Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

জয় বাংলা কনসার্টে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

বাসস: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ স্মরণে আয়োজিত জয় বাংলা কনসার্টে আজ বুধবার যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি ৫: সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধির দিকে) পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বিকেলে ঢাকায় ফেরেন।

রাজধানীর ছিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে গতকাল মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কনসার্ট শুরু হয়।

সিআরআই’র যুব প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা কোভিড-১৯ মহামারির জন্য গত দুই বছর ছাড়া ২০১৫ সাল থেকে সপ্তমবারের মতো জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করেছে। মূলত নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করা জন্যই এই কনসার্ট আয়োজন করা হয়।

সাধারণত প্রতি বছর ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। তবে পবিত্র শবে বরাতের কারণে এ বছর অনুষ্ঠানটি ৮ মার্চ স্থানান্তর করা হয়েছে।

কনসার্টে স্বনামধন্য স্থানীয় ব্যান্ড আর্টসেল, এভয়েড রাফা, লালন, চিরকুট, ক্রিপ্টিক ফেট, কার্নিভাল, মেঘদল, নেমেসিস এবং আরেক্টা রক ব্যান্ড পরিবেশন করে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের যে কারণে বাংলাদেশের নির্বাচনে মাথা ঘামানো উচিত নয় :রামি দেশাই

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ডেস্কঃ দেখা গেছে, আরব বিশ্ব সব সময়ই কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের আলোচনার বাইরেই থেকে যায়। এক রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ৮০টির মতো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মজার ব্যাপার, এসবের অর্ধেকের বেশি দেশে গণতান্ত্রিক শাসন নেই।

নির্বাচনের দিন যেহেতু ঘনিয়ে আসছে, শেখ হাসিনার উচিত হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি মোকাবিলা করা। তবে ব্যাপকমাত্রায় হস্তক্ষেপের সম্মুখীন হয়েও শেখ হাসিনা রাখঢাক করেননি। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তারা গণতন্ত্র হরণের চেষ্টা করছে এবং এমন একটি সরকার আনতে চাইছে যাদের গণতান্ত্রিক ভিত্তি নেই। এটি করা হলে তা অগণতান্ত্রিক হবে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশের কূটনীতিকের ওপর থেকে ‘অতিরিক্ত পুলিশ’ প্রটোকল প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। অনেকে আমেরিকার সাম্প্রতিক ভিসানীতিকে এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেও দেখছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, দেশটি (আমেরিকা) হয়তো তাঁকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ অভিযোগ শুধু শেখ হাসিনারই নয়, বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশের ক্ষমতার পালাবদলের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর ইতিহাস আরও জটিল।

বিশ্বজুড়ে মার্কিন স্বার্থবিরোধী হওয়ার কারণে অথবা গণতন্ত্রের প্রয়োজনের কথা বলে কিংবা কর্তৃত্ববাদী সরকার থাকলে সেসব দেশের ‘সরকার পতনে’ ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার নজির রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে হাওয়াই, কিউবা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর কথা। এসব দেশের ক্ষেত্রে মার্কিন সংশ্লিষ্টতা বা কলকাঠি নাড়ার মাত্রা অনেকটাই সরাসরি ছিল।

কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমেরিকা তাদের এসব কর্ম বেশ গোপনেই সারছে। পরের দুই দশকের মধ্যে ১৯৫৩ সালে ইরানে, ১৯৫৪ সালে গুয়েতেমালায় ও ১৯৬৩ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনাম তার উদাহরণ।

২০০০ সালে যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচের পতন ও ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণে সিআইএ’র ভূমিকা অনেকটাই স্পষ্ট। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিগনিউ ব্রেজেনস্কি সে সময় জর্জ ডব্লিউ বুশকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে।

যাই হোক, আমেরিকার কোনো হস্তক্ষেপই হয়তো একক ফ্যাক্টরের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি। যদিও দৃশ্যমান পদক্ষেপগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বা গণতন্ত্রীকরণের লড়াই হিসেবে আখ্যা দেওয়া হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রেই এর অন্তর্নিহিত কারণগুলো মূলত নিজেদের স্বার্থে। অতীতে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা তাৎপর্যময় হয়ে উঠেছিল। যেমন স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়েছিল। তখন সোভিয়েত জোটপন্থি ভারতকে মোকাবিলা করতে পাকিস্তানের মতো দেশগুলোকে সমর্থন দিয়েছিল আমেরিকা।

একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবেশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কারণ এখানে তার ভূরাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত। যেমন দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত অবস্থান, এখানকার মূল্যবান সম্পদ, বাণিজ্যপথ, বাজার, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। আফগানিস্তানের মতো দেশে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা, বাংলাদেশের মতো দেশে মানবিক উদ্বেগ এবং চীনের মতো দেশের অর্থনৈতিক উদ্বেগ। এসব কারণেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্তের প্রতি ঝুঁকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে একটি অনিশ্চিত অবস্থানের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ দুই দেশে বিশৃঙ্খলা এতটাই বড় আকার ধারণ করেছে যে, সম্ভবত সেখানকার ভূরাজনৈতিক পতন ইরাকের পরে সবচেয়ে জটিল হিসেবে চিহ্নিত হবে।

আফগানিস্তানে ‘মার্কিনপন্থি গণতান্ত্রিক’ সরকার বসানোর কয়েক দশকের চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলে, সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের জনগণকে শুধু হতাশই করেনি বরং এ অঞ্চলের সমগ্র নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ঠেলে দেয়। বিশ্বের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নৈতিক প্রতিশ্রুতি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, কিন্তু সেখানে তাদের একটি বড় উদ্দেশ্য ছিল যা তারা ঠিকই সাধন করেছিল।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমেরিকার জনগণকে বুঝিয়েছেন, ওসামা বিন লাদেন এবং অন্য মার্কিনবিরোধী সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন করতে আফগানিস্তানে তাদের যে মিশন, তা সফল হয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি উদ্বেগের বিষয় বলে মনে হয়নি যে, তারা আফগানিস্তান থেকে যখন বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন তালেবান ২০০১ সালের চেয়েও অনেক বেশি শক্ত সামরিক অবস্থানে ছিল। তখন তারা দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিল। আর ওইসব জায়গায় আমেরিকার সৈন্য ছিল সংখ্যায় খুবই নগণ্য।

প্রতিবেশী পাকিস্তানও বাদ পড়েনি। ইমরান খান যেমন একবার বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল পাকিস্তানকে তাদের সমস্যা দূর করার জন্য দরকারি বলে মনে করে। তারা আফগানিস্তানে নিজ সৈন্যদের রসদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহে পাকিস্তান হয়ে যাতায়াতের সুযোগ ব্যবহার করেছিল। বৈরিতার কারণে ইরান কিংবা রাশিয়াপন্থি উত্তরের দেশগুলো দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি তারা। কিন্তু পাকিস্তান প্রথম থেকেই একটি ভিন্ন গল্পের শিকার হয়েছে।

ব্যাপকভাবে সাহায্যনির্ভর পাকিস্তানে ৩ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এটি করেছে শুধু আফগানিস্তানে তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য। অভিযোগ রয়েছে, পাকিস্তানে মোশাররফের স্বৈরশাসনের সময় গণতান্ত্রিক উত্তরণসংক্রান্ত কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই প্রায় ১ হাজার কোটি ডলার সাহায্য করেছিল বুশ প্রশাসন। আর এ সহায়তার বেশির ভাগই গিয়েছিল সামরিক বাহিনীতে। আর এ ঘটনা তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন সমর্থনের ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেয়। অথচ তারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) গণহত্যার জন্য দায়ী ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরাচারী শাসনকে সমর্থন করেছিল, যদিও তখন ঢাকার মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেল দিয়েছিলেন ভিন্ন পরামর্শ।

বাস্তবতা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পশ্চিমা শক্তিগুলো তাদের উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিকোণ থেকে এ অঞ্চলকে দেখে। তারা নৈতিকতার দোহাই দিয়ে ঢোকে আর যাওয়ার সময় নিজস্বার্থে চম্পট দেয়। আফগানিস্তান এর উজ্জ্বল উদাহরণ।

সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে তার আধিপত্য নিশ্চিত করতে চাইছে। বাইডেন প্রশাসন অনেকবার গণতন্ত্রের মূল্যবোধের কথা বলে নিজেকে ‘মুক্তবিশ্বের’ নেতা বলে জাহির করেছে। কিন্তু গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য তাদের পর্যবেক্ষণ, চাপ এবং নিষেধাজ্ঞা সারা বিশ্বে সমানভাবে প্রযোজ্য বলে মনে হয় না।

বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের অভিযোগে র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে গিয়ে তার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এসবে বোঝা যায়, বাংলাদেশে গভীরভাবে দৃষ্টি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ক্ষেত্রে ভারতকে পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে মার্কিন হস্তক্ষেপের ফলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী এলাকা নাজুক পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। একইভাবে উত্তর-পূর্ব সীমান্তের ওপারে তেমনটি হলে আরও জটিলতা দেখা দিতে পারে।

বিশ্ববাসীর জন্য এখন আর মোড়ল রাষ্ট্রের কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের উচিত স্থানীয় জনগণকেই তাদের নিজেদের ভালোমন্দ নির্ধারণে স্থানীয় জনগণের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখা। এতদসত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র যদি ‘মুক্তবিশ্বের’ নেতার ভূমিকা পালনের জন্য জেদি হয়, তাহলে তাদের পরামর্শ দেওয়া যায় যে, তারা ওই নেতাগিরিটা আফগানিস্তান দিয়েই শুরু করুক।

লেখক : ডিস্টিংগুইশড ফেলো, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন

৫ জুন, ২০২৩ ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত


আরও খবর



পরীমণিকে নিয়ে যা বললেন রাজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক ;চিত্রনায়িকা পরীমণি ও অভিনেতা শরিফুল রাজের সংসার ভেঙে যাচ্ছে-এমন খবর কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে আসছে। এরই মাঝে আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যের লাইভে আসেন অভিনেতা শরিফুল রাজ।

রাজ লাইভে এসে তার সংসারে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ব্যক্তি জীবনের অনেক কিছু খোলামেলা আলোচনা করেন। লাইভের শুরুতে রাজকে প্রশ্ন করা হয় আপনার আইডি থেকে যেসব ছবি ও ভিডিও আপলোড করা হয়ছে সেগুলো কে করেছে? প্রশ্নের জবাবে রাজ বলেন আমি জানি না। তবে আমার আমার আইডি হ্যাক হয়নি।

কিছুক্ষণ একই প্রশ্নের জবারের সূত্র ধরে রাজ বলেন, আমার আইডি হ্যাক হয়ে থাকলেও যারা হ্যাক করেছে তারা এগুলো আপলোড করে আবার আইডি ফেরত দিয়েছে।

শরিফুল রাজের এই জবাবের রেশ টেনে তাকে পুনার প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কী আপনার পাসওয়ার্ড কেউ জানে? জবাবে রাজ বলেন, আমার পাসওয়ার্ডের অ্যাকসেস নেওয়ার মতো মানুষ আছে। তবে কার কাছে আমার এই পাসওয়ার্ড আছে তার নাম বলতে চাই না।

রাজের অ্যাকাউন্ট থেকে ফাঁস হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এগুলো আসলে আমার পাঁচ ছয়-বছর আগের করা ভিডিও। এগুলো ফাঁস করে কে অথবা কারা কী বুঝাতে চেয়েছে সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি বুঝতে পারছি না। ভিডিওগুলো আমার কাছেই ছিল। হয়তো কোনো হোয়াসআপ গ্রুপ অথবা ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ থেকে এগুলো থাকে পারে। ৫ বছর আগের আগে এ ভিডিওগুলো করা, তাই এ সম্পর্কে আমার পরিষ্কার ধারণা নেই। তবে ভিডিওগুলো কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি। জাস্ট আমরা বন্ধুরা ফান করার জন্য করেছি।

প্রায় ৩৭ মিনিটের লাইভে আরও বলেন, আমাদের একটি সন্তান আছে। সুতরাং এই সন্তানের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদের সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলা উচিত। রাজকে আরও প্রশ্ন করা হয়- কয়েকদিন আগে পরীমণি বলেছিল রাজ ২০ দিন ধরে বাসায় নেই। এ সময় আমি কোথায় ছিলেন? জবাবে রাজ বলেন, পরী সত্যি বলেছে। এসময় আমি আমার গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছিলাম।

লাইভে অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাজ বলেন, ‘আমি ও পরী সেপারেশনে (আলাদা) আছি। আর আমি এই বিষয় নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতে চাই না।’

এর আগে রাজ আরও বলেন, আমরা আলাদা হলেও আমাদের বেবির টেককেয়ার আমরা দুইজনই করবো।

এরপর রাজকে প্রশ্ন করা হয় আপনি কী ডিভোর্সের দিকে আগাতে চান? জাবাবে রাজ বলেন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমার আরও অনেক সময় লাগবে।


আরও খবর

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ফেরদৌস

বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩




গাজীপুরের মতো সব নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি

আলমগীর বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সামনে আরও চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন রয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ আগামী জাতীয় নির্বাচন গাজীপুরের মতো সুষ্ঠু হবে।

বর্তমান কমিশনের অধীনে ‘সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’দাবি করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো আমাদের সক্ষমতা সব সময় ছিল এবং এখনো আছে।

গাজীপুরে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’অনুষ্ঠানের পেছনে বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতির প্রভাব আছে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, এই নির্বাচনের সঙ্গে মার্কিনভিসা নীতির সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতেই সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এবং আগামী দিনেও হবে। আমাদের কাজ হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করব আমরা।’

ইভিএমে নেওয়া ভোটের ফলাফল দেরিতে প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যা করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেক প্রার্থী ছিলেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এ জন্যই নির্বাচনে ফলাফল দিতে সময় লেগেছে।


আরও খবর



সিলেটে দুর্ঘটনা: নিহত প্রত্যেকের পরিবার পাবে ২০ হাজার টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেবে জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মো. সিজিল মিয়া (৫৫), একলিম মিয়া (৫৫), হারিছ মিয়া (৬৫), সৌরভ মিয়া (২৭), সাজেদুর (৬০), বাদশা মিয়া (৩০), সাধু মিয়া (৫০), রশিদ মিয়া (৫০) ও মেহের (২৫); সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শাহীন মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (২৬) ও আওলাদ হোসেন (৫০); হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমিনা বেগম (৪৫) এবং নেত্রকোনা বারহাট্টার আওলাদ মিয়া (৪০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে অন্তত ৩০ জন শ্রমিক ঢালাইকাজের জন্য পিকআপ ভ্যানে করে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। ভোরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।

সিলেটের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, স্বজনদের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা গেছে। সবার মরদেহ সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব সৌদি আরবের

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্থিতিশীল সরকার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনামন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম গতকাল মঙ্গলবার দোহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার অবস্থানরত ভবনে সাক্ষাতের সময় এ প্রস্তাব দেন।

বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রীর বরাত দিয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‌‘বিনিয়োগকারী হিসেবে আমরা খুব কম ইস্যু দেখি। প্রথমত, দেশের স্থিতিশীলতা, ব্যবসায়ীরা স্থিতিশীল কিনা, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ খুবই ভালো এবং সে কারণেই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রীরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের নেতৃত্ব খুবই ভালো, দৃষ্টিভঙ্গি ভালো এবং তাদের প্রতিশ্রুতি খুবই ভালো। দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো।


তারা জানান, ইতিমধ্যে তারা কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন যার মধ্যে তারা পতেঙ্গা বন্দরের জন্য কিছু করতে এবং এর পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চান।

তারা আরও বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশকে তার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কারণ, দেশটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত। আমরা যদি এটিকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলি, তাহলে আমরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক দেশ কভার করতে পারব।

দুই মন্ত্রী বলেন, তারা এখানে পেট্রোকেমিক্যাল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, সার এবং প্রধান বিতরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিপিং লাইন করতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তিনি ইতিমধ্যে অনুমতি দিয়েছেন এবং অবিলম্বে এটি চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধার জন্য সৌদি আরবকে মাতারবাড়ি ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাবও দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ সহজ করতে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

সৌদি আরবও পারস্পরিক সুবিধার জন্য কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

হজ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় উভয় মন্ত্রী সৌদি আরবে আবাসন ও হাসপাতাল নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন।

সৌদি আরবের দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য সৌদি আরবে ওষুধ, পানীয় এবং রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনের অনুরোধ জানান। সেই সঙ্গে সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী ও অর্থনীতি মন্ত্রী সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তারা বাংলাদেশের আরএমজির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন যে এটি বিশ্বের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসের রাজধানী হয়ে উঠেছে।

বাসস,


আরও খবর