
নাজমুল হাসানঃ
রাজধানীর জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন, শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল কুমার অপু ও কনস্টেবল মো. সিরাজুল ইসলাম।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিশান নামে এক নারী ও তার স্বামী রনি মোটরসাইকেলযোগে জুরাইন রেলগেটের রাস্তার উল্টো পথে যাচ্ছিল। এ সময় কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন ও ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম তাদের গতিরোধ করেন।
এ সময় নিশান নিজেকে অ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে ধাক্কা দেন। এ সময় অ্যাডভোকেট নিশান ডাকচিৎকার করতে থাকেন। এরপর লোকজন উপস্থিত হয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনের ওপর হামলা করে তাকে ছুরিকাঘাত করে।
শ্যামপুর থানা পুলিশের এসআই উৎপলসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনা শান্ত করতে আসলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা করে এবং ট্রাফিক বক্সে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। পরে শ্যামপুর ও কদমতলী থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত পুলিশ সার্জেন্ট আলী হোসেনসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মোটর সাইকেল চালক সোহাকুল ইসলাম রনিকে আটক করেছে শ্যামপুর থানা পুলিশ।পরে আটক রনি তার সহযোগী ইয়াসিন জাহান নিশান,ইয়াসিন আরাফাত ভুইয়া সহ অঞ্জাত ৩৫০/৪০০ জন ব্যাক্তিকে অভিযুক্ত করে শ্যামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওয়ারী ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আলী হোসেন।এবিষয়ে শ্যামপুর থানায় মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে।
ওয়ারী ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা।
এ ঘটনায় ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উল্টোপথে যাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশ তাকে বাধা দেওয়ায় হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।