Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

জলঢাকায় জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর- ৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রানা মোহাম্মদ সোহেলের বিরুদ্ধে" জমি কেড়ে এমপি রানা'র চা বাগান " শিরোনামে প্রকাশিত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে জাতীয় পাটি। 

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে জিরো পয়েন্ট মোড়ে উপজেলা ও পৌর জাতীয় পাটির আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী অনু্ষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সংগঠনটির কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইদার রহমান বুলুর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন জাপা নেতা আব্দুল্ল্যা হেল বাকি, তোফায়েলুর রহমান পায়েল, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনিছুর রহমান যাদু, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, যুব সংহতির সভাপতি বাবলুর রহমান, পৌর যুব সংহতির সভাপতি জাকির হোসেন হাসু, সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ছাত্র সমাজের সভাপতি আবু রায়হান প্রমূখ।

  • বক্তারা বলেন, এমপি মেজর রানার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে, কারণ সামনে নির্বাচন। মেজর রানা গত চারবছরে এমপি'র দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে কোথাও দুর্নীতির ছোয়া তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সময় টাকা রোজগার করে জমি ক্রয় করেছেন। 
সে সময় জমির মুল্য কমছিল। একটি কুচক্রী মহল সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্যদিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এসমাবেশে। উল্লেখ্য গত ১৮ মার্চ চ‍্যানেল 24 ও সমকাল পত্রিকায় পঞ্চগড় জেলায় জমি কেড়ে এমপি রানার চা বাগান নামের সংবাদ প্রকাশ হয়।



শাহজাহান কবির লেলিন 
জলঢাকা নীলফামারী
তাং ২২/০৩/২০২৩ 

আরও খবর



পত্নীতলায় দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও আলোচনা ও অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

দিলিপ চৌহান, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : "রুখবো দুর্নীতি. গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ" এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে - নওঁগা দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি পত্নীতলার আয়োজনে সোমবার পত্নীতলা উপজেলা অডিটেরিয়াম হল রুমে উপজেলার আট টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পত্নীতলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সামসুর রহমান চৌধুরী বুলবুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রুমানা আফরোজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশন নওগাঁর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, পত্নীতলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ টি এম জিল্লুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন নওগাঁর  উপ সহকারী পরিচালক আল মামুন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিচারক মন্ডলীর সদস্য  সহকারী সমাজ সেবা অফিসার সহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম, একাডেমীক সুপারভাইজার জাকির হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন, সহ-সভাপতি স্বদেশ কুমার মন্ডল, তসলিম উদ্দিন মিয়া, বাবু অজিত কুমার রায় সহ অন্যান্য সুধীজন প্রমূখ । পরে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী বিজয়ী চাম্পিয়ন গ্রুপ নজিপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রানার্স আপ গ্রুপ গাহন উচ্চ বিদ্যালয় ও শ্রেষ্ঠ বক্তা গাহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কবিতার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

আরও খবর



কথার ছলে সংলাপের কথা বলেছেন আমু, দাবি ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির সঙ্গে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় সংলাপের বিষয়টি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু কথার ছলে বলেছিলেন বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কথার ছলে আমু ভাই সংলাপের কথা বলেছেন। এই নিয়ে বিএনপির জিহ্বায় জল এসেছে। আপাতত এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবছে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ভাবছেন আমরা তাদের সংলাপে ডাকব। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য নিরপেক্ষ লোক খুঁজে বের করুন, তারপর দেখা যাবে। এ তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। মরা কিছুকে জীবিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা মারিনি। আদালতের রায়ে মরে গেছে। ফখরুল সাহেব, আপনি কেন বারবার আমাদের অপবাদ দেন? আমি আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা ভাবছি না। ভাবব কিনা পরে দেখা যাবে। আপাতত আপনাদের সংলাপের মুলা ঝুলিয়ে টেবিলে বসাব! গতবারের কথা আমাদের মনে আছে। একবার না, দুইবার বসেছি। রেজাল্ট কী? জগাখিচুড়ি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে কী পেয়েছে? ভিসানীতি। এতে আওয়ামী লীগের ভীত হওয়ার কিছু নেই। কে কাকে ভিসা দেবে, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেব, কাকে দেব না, সেটা আমাদের ব্যাপার।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা নিয়মের মধ্যে থাকুন, আমাদের শপথে থাকুন। আমাদের আবারও ৭ মার্চের শপথ নিতে হবে।

নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, এবার তোমরা যারা প্রথমবার ভোট দেবে, তোমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ভোটটা দেবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।


আরও খবর



তানোরে নিয়োগ পরিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় সুপার সভাপতি লাপাত্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভা দাখিল মাদ্রাসা( আমশো)তে নিয়োগ পরিক্ষার নির্ধারিত দিনে প্রার্থীরা যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হলেও সুপার মুনসুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক যুবলীগ নেতা ইকবাল মোল্লা উধাও হয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত করেন প্রার্থী রা। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে নিয়োগ পরিক্ষার সময় দিলেও দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রার্থী রা বসে থাকলেও সুপার ও সভাপতির দেখা মিলেনি। এতে করে নিয়োগ পরিক্ষার্থীরা তাদের না পেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কাঁদতে কাঁদতে ফেরত যান। ফলে সুপার ও সভাপতির শাস্তির দাবিতে ফু্ঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা।শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার মাঠে নিয়োগ পরিক্ষার্থীরা বসে কান্নাকাটি করছেন। মাদ্রাসার অফিস খোলা রয়েছে। ভিতরে কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারী বসে আছেন। তাদের কাছে নিয়োগ পরিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার সুপার জানায় নিয়োগ পরিক্ষা হবে এজন্য শুক্রবার সকালে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী আমরা সকাল থেকে বসে আছি। সুপার ও সভাপতি কেউ আসেনি। মোবাইল করলে ধরছেন না। পরিক্ষা না হলেও তো আমাদেরকে বলতে পারে। কারন যারা নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন সবাই আমশো গ্রামের বাসিন্দা। যতই বেলা গড়াচ্ছে গ্রামের লোকজন ততই জড়ো হচ্ছেন। আমরাও অফিস বন্ধ করতে পারছিনা। নিয়োগ পরিক্ষার্থী ও গ্রামের মানুষকে কিছু বলে পাঠাবো সেটাও বলছে না সুপার। কতবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও কত জন আবেদন করেছেন জানতে চাইলে তারা জানান, যে আলমারিতে কাগজপত্র থাকে সেটার চাবি সুপারের কাছে, তিনি ছাড়া কেউ কিছুই বলতে পারবেন না।

নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধের বিষয়ে এক শিক্ষক জানান,  আয়া ও নিরাপত্তা পদে দুটি নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু সুপার একাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন। এজন্য সে বেশ কিছুদিন ধরে মাদ্রাসায় আসছেন না। আসলেই পাওনাদারেরা ধরবে।  মুলত এসব কারনেই সুপারের ইচ্ছায় নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ হয়েছে। শুধু চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা নেয় না, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের উপরে লাখলাখ টাকা নিয়েছেন। গত ৩০ মার্চ চাকুরীর ৪ লাখ টাকা আদায়ের জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে চাকুরী প্রার্থীর স্বজনরা ধরে সুপারকে থানায় দিতে চান। কিন্তু স্থানীয়দের অনুরোধে তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান বসে মিমাংসা করে দেন এবং দু মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিবে মর্মে লিখাপড়া হয়।এঘটনায় সুপার মুনসুর বলেছিলেন, চাকুরীর টাকা না সুদের উপর টাকা নেওয়া হয়েছিল।জানা গেছে, (আমশো) পৌরসভা দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তা ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চলতি মাসের ১৪ মে শনিবার মাদ্রাসার প্যাডে সুপার মুনসুরের স্বাক্ষরিত নিয়োগ পরিক্ষার জন্য স্বাক্ষাতকার/ প্রবেশপথ দেওয়া হয়।নিরাপত্তা কর্মী পদের আবেদন কারী সাফিউল ইসলাম, আশিক হাসান ও আয়া পদে নাসিমা, শিমানা ও জুথিসহ আরো কয়েকজন জানান, গত ১৪ মে প্রবেশ পত্র দিয়ে বলা হয়েছে শুক্রবার সকাল ৯ টার সময়  লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা হবে। সে মোতাবেক আমরা মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়েছি। তিন ঘন্টা ধরে উপেক্ষা করার পর জানতে পারলাম পরিক্ষা স্থগিত। কিন্তু আমাদেরকে কিছুই বলা হয়নি।

মাদ্রাসা সুপার মুনসুরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি রাজশাহীতে আছি, সমস্যার জন্য পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতের বিষয়ে আবেদন কারীরা নাকি কিছুই জানেন না প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন হঠাৎ কর্মকর্তা অসুস্থ এজন্য স্থগিত জানানোর সময় পাওয়া যায়নি। আপনি নাকি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক পৌর যুবলীগের সভাপতি ইকবাল মোল্লা জানান, রাজশাহীতে নিয়োগ পরিক্ষা শুরু হয়েছে। সুপার বলেছে স্থগিত আপনি কিভাবে বলেন শহরে পরিক্ষা হচ্ছে প্রশ্ন করা হলো উত্তরে বলেন আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি।
একথা শোনার পর পুনরায় সুপার মুনসুরেকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর



পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:কয়লার অভাবে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালীর ১,৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট গত ২৫ মে বন্ধ হয়ে যায়। অপর ইউনিটটি আজ সোমবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

আগামী ২০-২৫ দিন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকতে পারে বলে এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এ কারণে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বর্তমান পাওনা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। ডলার সংকট থাকায় এলসি খোলা যাচ্ছিল না। আর এ কারণে কয়লা আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। কয়লার অভাবে তাই বন্ধ হয়ে গেল বিদ্যুৎ উৎপাদন।

শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা সরবরাহ শুরু হবে। তবে কয়লা আসতে অন্তত ২০-২৫ দিন সময় লাগবে। এ সময় বন্ধ থাকবে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর কয়লা এলে জুনের শেষ সপ্তাহে আবারও উৎপাদন শুরু হবে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসি) পটুয়াখালীর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা-তাপভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান মালিকানা রয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করে ইন্দোনেশিয়ার যে কোম্পানি, সেই কোম্পানির দাম পরিশোধ করে সিএমসি। বিসিপিসিএলের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, কয়লা আমদানিসংক্রান্ত চুক্তি অনুযায়ী সিএমসি কয়লা ক্রয়ের ছয় মাস পরে বাংলাদেশ অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রোভাইড করে সিএমসি। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হলো- আমরা ইন্দোনেশিয়া থেকে যে কয়লা কিনি, তার ইনভয়েসের এগেইনস্টে সিএমসি এলসি করে পেমেন্ট করে। চুক্তি অনুযায়ী, আমাদের পেমেন্ট মেথড হলো ডেফার্ড পেমেন্ট (দেরিতে পরিশোধ)। শর্তানুযায়ী, আমরা ছয় মাস পর সিএমসিকে বিল দেই। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়ার কৌল-মাইনিং কোম্পানিকে সিএমসি যে পেমেন্ট দেবে, আমরা জুলাইয়ে সিএমসিকে তা পরিশোধ করব। বাস্তবতা হচ্ছে, ছয় মাস তো পার হয়ে গেছে অনেক আগেই। আরও পাঁচ মাস চলে গেছে। আমরা বকেয়া শোধ করতে পারছি না।

এত টাকা বকেয়া হওয়ায় চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কয়লা ক্রয়ে নতুন করে এলসি খুলতে সিএমসিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বিদ্যুৎ খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করে কয়লা আমদানি অব্যহত রাখা জরুরি। কারণ, কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো অসম্ভব হয় পড়বে। ফলে একদিকে সাধারণ মানুষ লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়বে; অন্যদিকে শিল্পোৎপাদনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।


আরও খবর



নিউইয়র্কে জেমসের কারণে দেখা দিল যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকার আমাজুরা হলে গত রোববার অনুষ্ঠিত হয় নগর বাউল’খ্যাত জেমসের কনসার্ট। আর সেই কনসার্টের জন্য নিউইয়র্কের রাস্তায় দেখা দেয় যানজট! এমনকি চাপ সামলাতে পুলিশ, সিরিউরিটিকেও হিমশিম খেতে হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিষয়টি জানিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি।

তার কথায়, ‘আমার দেশের কোনো শিল্পীর আগমনে যখন বিদেশের মাটিতে ট্র্যাফিক জ্যাম তৈরি হয়। পুলিশ সিরিউরিটিকে হিমশিম খেতে হয়, ভিড় সামলাতে তাদের নাজেহাল হতে হয়, তখন তা ছিল আমার কাছে অবিশ্বাস্য। রোববার নিউইয়র্কে হয়ে গেল নগরবাউল জেমসের শো। জ্যামাইকার অ্যামাজুরা হলের পুরো এলাকা যেন হয়ে উঠেছিল একটা জেমসময় বাংলাদেশ। মানুষের দীর্ঘ লাইন আর গাড়ির ভিড় সামলাতে ব্যস্ত ছিল নিউইয়র্ক সিকিউরিটি।

কনসার্টে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আমি স্বপ্ন দেখতাম অন্য দেশের শিল্পীদের মতো আমাদের দেশের কোনো শিল্পী যদি এভাবে সবাইকে অবাক করে দিতে পারত! রোববার ছিল সেই দিন। আমি গর্বিত আমাদের একজন জেমস আছে, আমি গর্বিত আমাদের জেমসকে ভালোবেসে মানুষের স্রোতে নিউইয়র্কের একটি এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কাল এই আনন্দে চোখে পানিও চলে এসেছে। একেই বলে আমার দেশ, আমার গান, আমাদের গর্ব আর জেমস। জেমস ভাই আপনি আমাদের অহংকার।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান শো টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম জানান, প্রায় পাঁচ বছর পর নিউইয়র্ক মাতাতে আসেন জেমস। তাই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে এই কনসার্টে দর্শক এসেছে। বিপুল দর্শকের কারণে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে।


আরও খবর

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ফেরদৌস

বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩