Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

জি এম কাদের জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকছেন : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩০৯জন দেখেছেন

Image

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জি এম কাদেরের দলীয় দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা রইলো না।

আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

গত ৪ অক্টোবর জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা এবং দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন

পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে আবেদন করেন। আবেদনে জি এম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।

গত ২৪ নভেম্বর এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জি এম কাদের।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

মামলায় আরও বলা হয়, গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়, যা অবৈধ-উল্লেখ করা হয় মামলায়।

২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়।


আরও খবর



এনার্জিপ্যাকের সাথে চীনের আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চীনের আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁও এর এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র করপোরেট অফিস এনার্জি সেন্টার পরিদর্শন করেন। আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়েই জিয়াওমিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও চীনের সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরত্বারোপ করেন।

পাশাপাশি চীনা প্রতিনিধিদল জাতীয় সংসদ, বিসিসিসিআই (বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) ও ডিএনসিসি (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) পরিদর্শন করেন। উৎপাদন খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এনার্জিপ্যাকের কমিটমেন্ট হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষায়িত যানবাহন (স্পেশাল পারপাস ভেহিকল) ও বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) অ্যাসেম্বল ও উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে জ্যাক ও হেলির মতো বৃহৎ চীনা প্রতিষ্ঠানের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে এনার্জিপ্যাকের চলমান প্রকল্পগুলোর খুঁটিনাটি প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরা হয়।

এ বিষয়ে এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, “বাংলাদেশে আমরা জ্যাক ও হেলির একমাত্র পরিবেশক। আমরা গত প্রায় দুই দশক ধরে তাদের সাথে কাজ করছি এবং প্রতিনিয়ত তাদের নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আমাদের বাজারে নিয়ে আসছি। আমরা, ইতিমধ্যে বিশ্বখ্যাত হেলি ব্র্যান্ডের ইলেক্ট্রিক লিফটিং মেশিনারিজ আনতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতে আরও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। খুব শীঘ্রই আমরা পরিবেশবান্ধব টেকসই বিদ্যুচালিত (ইলেকট্রিক) বাস ও ট্রাক বাজারে আনতে যাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরিদর্শনে বাংলাদেশে বিশেষ করে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি, বাণিজ্যিক যানবাহন ও কৃষিপ্রযুক্তির মতো উৎপাদন খাতে আনহুই প্রদেশের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় ওয়েই জিয়াওমিং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সমন্বয় ও প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ও আনহুই প্রদেশের মধ্যে ২০২৩ সালে ৩১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে এবং সামনে এই সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রবল আগ্রহের বিষয়টি আনহুই প্রতিনিধিদলের এনার্জিপ্যাক অফিস পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই পক্ষই তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামীতে যা দুই দেশেরই আর্থিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শিশু সুবর্নাকে (৮) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এতথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দেয়া কথা বললে শিশু সুবর্নাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী  ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) এতথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিও দিয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে  মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের  রশিদ মেম্বারের ছেলে  মিলন পাশা সহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে খেলতে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।  শিশুকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেন কে ৭ হাজার টাকা প্রস্তাাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে সাব্বির হোসেন শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরে ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৮ জন ধর্ষন করে শিশুটিকে। এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বার বার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দিবো।

তখন আসামীরা চিন্তা করে শিশুটি যদি ঘটনার কথা সবাইকে বলে দেয় তাহলে বিপাকে পড়তে হবে। তাই ধর্ষনকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। শিশুটির পড়নের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়ে পিবিআইকে।

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায় শিশু সুবর্ণা কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।  এছাড়া তার যৌনাঙ্গ হতে কালো রক্ত বের হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশু সুবর্ণার পড়নের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) কে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার  দত্তকান্দি থেকে  শাকিব খান (২১) নামে এক যুবক কে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

আরও খবর



কলারোয়ায় স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা কোর্স সমাপ্তি,সনদপত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image
কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)র উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিবগণের ২দিনব্যাপি স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা কোর্স সমাপ্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯মে) বিকেলে সমাপনি অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় ওই সনদপত্র বিতরণ করেন। উপজেলা প্রশিক্ষণ সেন্টারে বুধবার থেকে ওই কোর্স অনুষ্ঠিত হয় আর বৃহস্পতিবার শেষ হয়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১৬৮জন চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব ওই কোর্সে অংশ গ্রহন করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় বলেন-স্থানীয় সরকারের অধিনে চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিবগণদের দক্ষতা বৃদ্ধি, ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আয়, আহারণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন-সঠিকভাবে বৈধ খাত থেকে আয়  যেমন-কর, ইজারা  থেকে  আয় দ্বারা  সকল নাগরিকের  সমান  সেবা প্রদান করা  ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এজন্য জনগণের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া আপনাদের কর্তব্য।

আরও খবর



আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করে ফসল বিনষ্ট: কৃষক সর্বশান্ত!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ৩নং খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর দলদলিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাশে এক কৃষকের আড়াই বিঘা বোরো জমির ধান গাছে প্রতিপক্ষরা আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করায় ধান গাছের পাতা পুড়ে খেত বিনষ্ট হয়েছে। এতে ঐ কৃষক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।

অভিযোগে সুত্রে জানা যায়,বিরামপুর উপজেলার টাটকপুর গ্রামের মৃত দানেজ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করে। ধান প্রায় পাকার পর্যায়ে। ইতিমধ্যে পূর্ব শশ্রুতার জের ধরে দলদলিয়া কুর্শাখালী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে বুলবুল হোসেন’সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জন গত ১৮ এপ্রিল রাতে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে সমুলে বিনষ্ট করে দিয়েছে।  গত ২১ এপ্রিল রাতে বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকটও অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, দ্রুত সময়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এটি একটি জঘন্নতম অপরাধ।

৩নং খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান বলেন, বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে বোরো ধানক্ষে নষ্ট করেছে। জানতে পেরে কৃষকের ধানক্ষেত পরিদর্শন করেন। তিনি অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।এসময় খানপুর কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই তুহিন বাবু জানান, জমির বোরো খেত নষ্ট করে দুর্বৃত্তরা অমানবিক কাজ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বিরামপুর সীমান্তে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পথে ভারতে সাপের বিষ পাচারের সময় দুই কেজি ৪৭১ গ্রাম সাপের বিষ উদ্ধার করেছে ২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি) অধীনস্থ ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। যার আনুষ্ঠানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা

শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বিরামপুর সীমান্তের ঘাসুরিয়া সীমান্তে ভারতে পাচারকালে মালিকবিহীন অবস্থায় সাপের বিষগুলো উদ্ধার  করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জয়পুরহাট-২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি)  অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, বিরামপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া এলাকা দিয়ে কিছু সাপের বিষ  ভারতে পাচার হচ্ছে।  এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে উপ-অধিনায়ক মেজর আফিক হাসানের নেতৃত্বে ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের  বিজিবি সদস্যেদের সমম্বয়ে বিরামপুর সীমান্তের ২৮৯/৪২ পিলার হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উচা গোবিন্দপুর নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এসময় মালিকবিহীন ২টি কাচের জার উদ্ধার করা হয়। যার ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় সাদা রংয়ের সাপের বিষ ১ কেজি ২০৩ গ্রাম এবং কালো রংয়ের সাপের বিষ ১ কেজি ৪৭১ গ্রাম উদ্ধার রয়েছে। সর্ব মোট ২ কেজি ৪৭১ গাম সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এবিষয়ে বিরামপুর থানায় মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও ১০ এপ্রিল/২৪ইং বুধবার বিরামপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া  সীমান্ত পিলার ২৮৯/১-এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওসমান মোড়, ঈদগাহ মাঠ নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এক কেজি সাপের বিষ উদ্ধার করা  হয়েছিল।উদ্ধারকৃত সাপের বিষের আনুমানিক মূল্য ছিল এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা। চোরাচালান প্রতিরোধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবি'র এই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।


আরও খবর