Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
দেশে গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার চালু করল হায়ার বিচারপতিদের সমান বেতন-ভাতা পাবেন নির্বাচন কমিশনাররা থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে নজর রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ৮ হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল-মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর মাগুরার মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় ২৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ গুলশানে বারের সামনে মারামারি, ৩ নারী গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবায় সন্তষ্ট সেবাগ্রহীতারা

জি এম কাদের জাপা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৩২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের দায়িত্ব পালন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে আর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তিনি।

একই সঙ্গে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ অক্টোবর দলে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা

এরপর জি এম কাদের যাতে জাপার বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন সে বিষয়ে ৩০ অক্টোবর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। পরে এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জি এম কাদেরের করা আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।

এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জি এম কাদের। জেলা জজ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। পরে শুনানির আদেশ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করলে ২৪ নভেম্বর জেলা জজ আদালত সেটিও খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন জি এম কাদের। পরে ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞার আদেশ ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন।

এরপর জিয়াউল হক মৃধা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় এটি আপিল বিভাগে শুনানি হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর হাইকোর্টে একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন জি এম কাদের।

এরপর ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন।


আরও খবর



২৯ পরিবেশনায় রমনা বটমূলে বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মানুষের ঢল নামে। বটমূলে প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। একে একে পরিবেশন করা হয় মোট ২৯টি পরিবেশনা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সকালে শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

সবশেষ পরিবেশনাটি ছিল শচীন দেববর্মনের সুরে করা ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই’ গানটি। এরপর ছিল নববর্ষ কথন। নববর্ষ কথন শোনান ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।

এবারের কথনের শেষ অংশে বলা হয়, ‘অমানবিক এই অস্বাভাবিকতা থেকে বেরোতে হবে। নইলে বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নববর্ষ উদযাপনও হয়ে পড়বে কেবল একটি দিনের জন্য বাঙালি সাজবার উপলক্ষ।

সারওয়ার আলী আরও বলেন, ‘আজ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতের সুরবাণী আঁধার রজনী পোহালো, জগত পূরিল পুলকে। নববর্ষের নবীন আলোয়, নবীন আশায়, নবজীবন লাভ করে সবাই যেন স্বাভাবিকতায় ফিরি এবং সম্প্রীতির সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করি—এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। শুভ নববর্ষ।’

এবারের আয়োজনে সম্মেলক গান ১১টি, একক গান ১৫টি এবং পাঠ ও আবৃত্তিও ছিল। এ আয়োজনকে ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পার্কের ভেতরে ডিএমপি, র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিকেল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ রয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এদিন বাঙালি জাতি পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নামে রমনায়।


আরও খবর



গণসংবর্ধনা ও মেয়রের অভিষেক অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:বরগুনা -১ আসনের এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুকে গণসংবর্ধনা ও আমতলী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের অভিষেক মঙ্গলবার সকালে পৌরসভা চত্ত্বরের বঙ্গবন্ধু মুর‌্যালের পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয়। গণসংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ও সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু এমপি। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরগুনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া, বেতাগী পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবির, তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রেজবিউল কবির জোমাদ্দার, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসান প্রমুখ। সভার শুরুতেই অনুষ্ঠানের সভাপতি পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গোলাম সরোয়ার টুকু এমপিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান ও স্বর্নের নৌকার কোট পিন পরিয়ে দেন। সভায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছোসেবকলী, জনপ্রতিনিধি, আইনজীজিবী, কাউন্সিলর, মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিল।

গণসংবর্ধনার জবাবে গোলাম সরোয়ার টুকু এমপি বলেন, আমি আমতলীতে শান্তির সুবাতাস নিয়ে এসেছি। কেউ আমতলী অশান্ত করবেন না। তিনি আরো বলেন, মত পথ ভিন্ন থাকতে পারে কিন্তু সকলের মর্যাদা এক। কলকে মর্যাদা দিতে হবে। তিনি আরো বলেন আমি আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলাকে মডেল এবং স্মার্ট উপজেলা বানানোর জন্য মেয়রসহ সকল জনপ্রতিনিধির সহযোগিতা চাই। 


আরও খবর



সুনামগঞ্জে ৩ দিনে নারী ও পুলিশের এএসআইসহ ৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জে গত ৩দিনে পৃথক ঘটনায় এক নারী ও পুলিশসহ ৬জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল মঙ্গলবার (২রা এপ্রিল) দুপুরে জেলার ছাতক উপজেলার কালারুকা-লালপুর নামকস্থান সিএনজি ও অটোরিক্সার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় সিএনজিতে থাকা যাত্রী রাহেনা বেগম (২৩) গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করে। মৃত যাত্রী সিলেট জেলার জালালাবাদ থানার আলীনগর গ্রামের আখলিছ আলীর মেয়ে। দূঘর্টনার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এদিকে গত সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ১০টায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার থলেরবন্দ গ্রামের রাস্তার পাশে ওই গ্রামের আশিক আলী বাড়ির সামনে একটি ঘোড়া গাছের সাথে বেঁধে রাখে একই গ্রামের শের আলী। ওই সময় আশিক আলীর ছেলে ফরিদ আলী তার বাড়িতে যাওয়ার সময় ওই বেঁধে রাখা ঘোড়াটি তাকে লাথি মারলে সে আহত হয়। এঘটনার জের ধরে দু‘পক্ষের মধ্যে প্রথমে কাটাকাটি, পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ভাবে সমাধান করে দেন। কিন্তু তারই জের ধরে রাত ১২টায় দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ডাকাডাকি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর এই সংঘর্ষের উভয়পক্ষের ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় নুর মোহাম্মদ (২২) কে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আব্দুল আউয়াল  (৫৫) কে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা আহত আব্দুল আউয়াল ও গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ২টায় নুর মোহাম্মদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে দুইপক্ষের ৬জনকে গ্রেফতার করেছে। এঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ও আশেপাশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে গত সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় দিরাই উপজেলার ধল গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু ফাহিমা বেগম (৩৯) তার ১৮ মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে ভাড়ায়  যাত্রী পরিবহণ করা মোটর সাইকেল যোগে পাশে রনভূমি গ্রামের যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেল থেকে রাস্তা পড়ে যায়। এঘটনায় ওই গৃহবধু তার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়। সেই সাথে তার শিশুকন্যাও। পড় স্থানীয়রা মা ও মেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয় যাওয়ার পর গৃহবধু ফাহিমাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। আর আহত শিশুকন্যাকে ভর্ত করা হয়।

অপরদিকে গত রবিবার (৩১ শে মার্চ) সকাল ১১টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকায় প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুটির সাথে ধাক্ষা লেগে এএসআই মহিউদ্দিন আহমদ (৩৫) ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন। ওই সময় গাড়ি চালক এএসআই মামুন গুরুতর আহত হয়। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে এদিন ভোর ৪টায় প্রতিপক্ষের ক্ষুড়ের আঘাতে গুরুতর আহত ব্যবসায়ী আমির উদ্দিন (৪৮) সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে মারা যায়। ওই ব্যবসায়ী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের বাসিন্দা। এঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন, দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ছাতক থানার এসআই আসাদুজ্জামান পৃথক ঘটনায় ৬জনের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান-এব্যাপারে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর



জীবন সংসার নিয়ে ফিরছেন শামীম হাসান ও তাসনুভা তিশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢালিউডে জনপ্রিয় এক সিনেমার ‌নাম ‌‘জীবন সংসার’। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। এতে অভিনয় করেছেন অমর নায়ক সালমান শাহ। তার সঙ্গে জুটি হয়ে দর্শকের মনে দোলা দিয়েছিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর। ছবিতে আরও আছেন ফারুক-ববিতা জুটি। মিষ্টি প্রেমের গল্প ও গান সমৃদ্ধ সিনেমাটির আবেদন আজও ফুরায়নি।

সেই জীবন সংসার নতুন করে ফিরে এলো নাটকে। একই নামে নাটক নির্মাণ করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। আসছে ঈদের জন্য এই ফিকশনটি বানিয়েছেন তিনি। নামটুকু ছাড়া অবশ্য আর কোনো কিছুতেই মিল নেই দুই জীবন সংসারের মধ্যে। আলমের নাটকের সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সুস্ময় সুমন। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার, তাসনুভা তিশা। তাদের সন্তান আয়াজ চরিত্রে অভিনয় করেছে শিশুশিল্পী তাওহিদুল ইসলাম তাইফ।

জীবন সংসার নাটকে দুইটি গান ব্যাবহার করার হয়েছে, গান দুইটি গেয়েছেন রেজোয়ান শেখ ও ইয়াসমিন লাবন্য , গান দুটি লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রেজোয়ান শেখ।

সুলতান মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নাটকটির প্রযোজনা করেছেন তানভির মাহমুদ। নাটকটি নিয়ে জিয়াউদ্দিন আলম বলেন, ‘প্রথমে নাটকটির নাম ছিল বৃত্তের ভেতর। কিন্তু একটা সময় মনে হলো এর গল্পটা জীবন সংসার নামের সঙ্গেই বেশি মানাবে। সেজন্য নামটি বদলে ফেলা। এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, সালমান-শাবনূর অভিনীত সিনেমার প্রসঙ্গটি ফিরে এসেছে আমাদের নাটকের মধ্য দিয়ে। আমি

জীবন সংসার সিনেমাটি কয়েকবার হলে গিয়ে দেখেছি। সিনেমার গানগুলোও ছিল দারুণ রোমান্টিক। জাকির হোসেন রাজু ভাইয়ের অনবদ্য একটা সৃষ্টি আমি মনে করি এই সিনেমা।নিজের নাটকের গল্প সম্পর্কে আলম জানান, নাটকের গল্পে দেখা যাবে আসিফ আর মিলির সংসার।

তাদের সন্তান আয়াজ স্কুলে পড়ে। সমস্যা হলো আসিফ ও মিলি তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে এত ব্যস্ত যে, সংসার ও সন্তানকে তারা সময় দিতে পারে না। এসব দায়িত্ব নিয়ে প্রায়ই দুজনের ঝগড়া চলতে থাকে।

মিলি প্রমোশনের আশায় বসের সঙ্গে বন্ধুত্বে জড়িয়ে পড়ে। সে নিয়ে কলহ চলতে থাকে আসিফের সঙ্গে। হঠাৎ তাদের সন্তান আয়াজ অসুস্থ হওয়ায় সবকিছু বদলে যেতে থাকে। এমনই এক পারিবারিক গল্প নিয়ে জীবন সংসারে হাজির হবেন শামীম ও তিশা।


আরও খবর