Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯৪জন দেখেছেন

Image

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে স্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের সাথে মাছবোঝাই পিকআপের সংঘর্ষে স্বামী ও স্ত্রী নিহত হয়েছে। সে সময় আহত হয়েছে ভ্যানের দুই যাত্রী। মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হল, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের ছাবদার আলীর ও তার স্ত্রী পারভীনা বেগম। এ ঘটনায় আহত তাদের মেয়ে সাথী খাতুন, ভ্যানের চালক করিম ও অপর এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা দেওয়া হ”েছ। কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল কবির জানান, সকালে ফজরের নামায পড়ে ভ্যানযোগে মেয়েকে যশোরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে ছাবদার আলী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রওনা দেয়। পথিমধ্যে কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে পৌছালে পিছনের দিক থেকে আসা মাছ বোঝাই পিকআপ ভ্যান যাত্রী বাহী ওই ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনা¯’লেই মারা যায় পারভীনা খাতুন। সেসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামী ছাবদার আলী, মেয়ে সাথী খাতুন, নাতী ছেলে ও ভ্যান চালক করিম কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। সে সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ছাবদার আলী কে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও মেয়ে সাথী ও ভ্যানচালক করিমকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।




আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




মীরার সঙ্গে ডিনার ডেটে মেজাজ হারালেন শাহিদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় স্ত্রী মীরার সঙ্গে ডিনার ডেটে গিয়েছিলেন শাহিদ কাপুর। দুজনের পরনে ছিল কালো পোশাক।

ডিনার শেষে সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে যখন রেস্তোরাঁ থেকে বের হলেন তারা, ছবি শিকারিরা অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়েন এ জুটির ওপর। হাসি মুখে ছবিও তোলেন শাহিদ-মীরা।

কিন্তু তারা গাড়ির দিকে এগিয়ে যেতেই ঘটে বিপত্তি। পিছু নিতে শুরু করেন ছবি শিকারিরা। তুলতে থাকেন একের পর এক ছবি। ব্যক্তিগত সময়ে এমন হস্তক্ষেপ মানতে পারেননি শাহিদ। রেগে বললেন, ‘আপনারা একটু থামবেন!’ উত্তেজিত হয়ে এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘ঠিকঠাক আচরণ করুন।’

২০১৫ সালে মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেন শাহিদ। এক বছর পরে আগস্টে কন্যা মিশার জন্ম হয়। এরপর ২০১৮ সালে ছেলে সন্তান আসে তাদের জীবনে। নাম জৈন। ‘মীরার সঙ্গে বিয়ে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা’, দাম্পত্য জীবন নিয়ে ‘কফি উইথ করণ ৭’ শোতে বলেছিলেন শাহিদ।

শাহিদ-মীরার রসায়ন বরাবরই নজর কেড়েছে ভক্তদের। স্ত্রীর প্রতি প্রেম নিয়ে কোনো দিনই রাখঢাক করেন না এই বলিউড অভিনেতা। তার কথায়, আমার জীবনে ও অনেক কিছু নিয়ে এসেছে। আমার সবদিকে ভারসাম্য বজায় রাখে। আমার স্বাভাবিক জীবনযাপনের নেপথ্যেও মীরা। আমাদের সুন্দর সন্তানরা রয়েছে। সবকিছুর জন্যই আমি কৃতজ্ঞ মীরার কাছে।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের ভাবনায় ঈদ-আনন্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন পালন করবেন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। তবে ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ক্লান্তিময় জীবনের শেষে সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে ঈদ পালনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসায় পৌছে গেছে । ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে  নিটার শিক্ষার্থীদের কেমন সময় কাটছে, কেমন উপভোগ করছেন ঈদের আমেজ তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                                                    ‘‘অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রেমে মগ্ন হয়ে ঈদের উৎসবে”
আমার ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এবং কাঁচা আমের সুগন্ধে। আম্মু দেখি এখনো বিভিন্ন রকম খাবার  তৈরিতে ব্যস্ত । আমার ছোট ভাই-বোনেরা এসে বলতে লাগল, “ভাইয়া, আজকে কিন্তু আপনাকেও সালামি দিতে হবে।” বললাম, “আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আগে গোসলটা করে আসি।” আমার নানুর বাড়ি আমাদের বাড়ির মোটামুটি পাশেই। গোসল করার পর কাপড়-চোপড় নিয়ে নানুর বাড়ি গিয়ে মামাদের ডাক দিলাম। বললাম, “চলেন, নদীতে গোসল করতে যাই।” সবাইকে নিয়ে মাতামুহুরি নদীতে একসাথে গোসল করলাম। অনেক মজা করলাম। আমার নানুর বাড়ি যেহেতু কাছে, তাই ঈদ মানে আমার দ্বিগুণ উৎসব দ্বিগুণ আনন্দ। গোসল করে বাসায় গিয়ে তৈরি হয়ে সবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে রওনা দিলাম । ঈদের নামাজ পড়ে সবার সাথে কোলাকুলি করলাম। ধনী-গরিব সবাই একসাথে নামাজ পড়ছে, কুশলবিনিময় করছে এরচেয়ে আর সুন্দর মুহূর্ত কি হতে পারে! পুরাতন বন্ধুদের সাথেও দেখা হয়ে গেল।  নামাজ পড়ে বের হতেই চারিদিকে শুধু  সুঘ্রাণ পাচ্ছি। তর সইছে না। বাড়ি গিয়ে  অবস্হা কাহিল, সালামি নেওয়ার জন্য সবাই ঘেরাও করছে ওদের সালামী দিতে গিয়ে আমার পকেট ফাঁকা।  এরপর  প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে যে  ভোজন শুরু করলাম, শেষ কিন্তু আর হয় না। এমন ভোজন করলাম যে, পেট ফেটে যাবে এমন অবস্হা, তবু ইচ্ছা করতেছে আরও খাই। কেন খাব না বলেন! খাবারে যদি থাকে পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, সেমাই ও বিভিন্ন রকমের পিঠা ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভোজনের সাথে কিন্তু আমিও সালামি নিতে ভুলিনি। এরপর বছরের সব জমানো কথা নিয়ে বিকালে স্কুলের মাঠে পুরাতন বন্ধুরা আড্ডা  দিতে বসলাম। এইভাবে অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং ঘুরে বেড়িয়ে আমার ঈদ কাটালাম।
কবির মোহাম্মদ গালিব তাসপি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                          ‘‘ছোটবেলার সেই চাঁদরাত আর আজকের চাঁদরাত”
ছোটবেলায় বিশ রোজার পর অপেক্ষায় থাকতাম কবে ২৯ রোজা আসবে, চাঁদ উঠবে। দোয়া করতাম যেন, কোন মতেই ঈদ ৩০ রোজায় না হয়। কারণ ২৯ রোজায় চাঁদ ওঠা একটা অনিশ্চয়তার ব্যাপার, আর তাই মজার। ইফতার করতে পারতাম না সেদিন, পানি আর দুই একটা জিনিস মুখে দিয়েই দৌড়। পিছন পিছন আম্মা হয়তো বলত, এই দাঁড়া, দাঁড়া। কে শোনে কার কথা? আমরা থাকতাম কলোনীতে, চাঁদ দেখতাম বড় মাঠে গিয়ে। আমরা এখন আর কলোনীতে থাকি না, সেই মাঠ এখনো আছে, কিন্ত আমরা ঢাকাবাসীরা কতদিন চাঁদ দেখি না। এখন চাঁদ দেখা যায় চুয়াডাংগা, পঞ্চগড় এ।আর দেখা যাবেই বা কেম নে ঢাকাতে এখন আকাশ দেখা যায় নাকি? চাঁদ উঠলে আমরা বাজি ফুটাতাম, তারাবাতি জালাতাম। আরেকটু বড় হলে ভাইরা ডেক সেটে গান ছাড়ত, মসজিদে মসজিদে আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, অসাধারাণ সেই সুর, কিছুক্ষন পর পর হুজুরের জানিয়ে দেয়া ঈদের জামাতের সময়। বাসা বাসা থেকে আসত রান্নার গন্ধ। সব মিলিয়ে আনন্দটা ছিল অনেক বেশি। এখন আর ছোট নেই, আমি বড় হয়েছি। এখন অনেক দায়িত্ব। তবুও মাঝে মাঝে খুব ছোট হতে ইচ্ছা করে আবারো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখনো ঈদে অনেক আনন্দ আছে, অন্যরকম এবং দায়িত্বের। ছোট বেলার সেই বল্গাহীন আনন্দটা নেই। তবে সেজন্য আমি দুঃখিত নই এতটুকুও, মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই এই আর কি! সবাইকে ঈদ মোবারক।
মোঃ আরাফাত হোসেন রাফি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                        ‘‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে পরিবার”
ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে সীমাহীন আনন্দ ও ভালোবাসা। ব্যস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবনে ঈদ নিয়ে আসে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বয়স ভেদে মানুষের কাছে ঈদের সংজ্ঞা বা ঈদের আনন্দের রঙ একটু আলাদা। কেউ সকালে শত আশা-প্রত্যাশা নিয়ে জেগে উঠে ঈদের দিন ভোরে সকলের দোয়া নেওয়ার আশায়, কেউবা শত ত্যাগ এর মাধ্যমে হাসি ফুটিয়ে দেয় পরিবারের ছোটোবড় সকলের মাঝে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়াই ঈদের সার্থকতা। আবার, সকল ছেলেদের কাছে ঈদ স্বপ্নের চেয়ে কোন অংশে কম নয়! কারণ, এই দিনে সে নিজের বাবার সাথে কোলাকুলি এবং সালাম করার মাধ্যমে জীবনের সকল হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে জীবন, যেমন করে ঈদের দিন ভোরে একটু একটু করে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হয় নতুন একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনের আশায়। আবার, শেষ রোজার সন্ধ্যায় সূর্য পশ্চিমে লুকিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে দেখা যায় ছোট্ট একফালি ঈদের চাঁদ। যা সকলের শত ক্লান্তি ও পরিশ্রমের পর স্নিগ্ধ এক হাসির কারণ। ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মোঃ সাদিয়াল হোসেন, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                  ‘‘ঈদ মানে ব্যস্ত জীবনে আনন্দের ছোয়া”
ঈদ হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ হতে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালনের পর ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে আনে। ঈদের আগমন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ে, ছোটবেলায় দাদুবাড়িতেই ঈদ কাটানো হতো। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের নামাজে ঈদগাহে যাওয়া কিংবা নামাজে না গিয়ে চাচাতো ভাইয়াদের সাথে সদাই খাওয়া, খেলনা কিনার দিনগুলো এখন শুধুই সোনালী অতীত। যতই বয়স বেড়েছে ঈদের আনন্দ আসতে আসতে কমে এসেছে। তবুও ঈদ যেন পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেওয়ার সু্যোগ করে দেয়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনা, খেলাধুলা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে সরে যাই। তবে ঈদের সময় বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষেরা খোঁজখবর নেয়। পুনরায় যোগাযোগ করার একটি সুন্দর সুযোগ হয়ে উঠে। এবারের ঈদটি কিছুটা বিশেষ কারন এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ঈদ। ঈদের দিন রাত থেকেই অন্য রকমের অনূভুতি হয়। সকালে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু। আব্বু-আম্মুর থেকে সালামি নিতে ভুল হয় না। তারপর কিছুটা মিষ্টিমুখ করে ঈদের নামাজ শেষ হয়। পেটুক হওয়াতে কিছুক্ষণ পর পরই মুখে কিছু দিতেই হয়। সারাদিন আব্বু-আম্মু আর বোনের সাথে অনেক মজায় সময়গুলো কাটে। বিকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুরতে যাওয়া ঈদ আনন্দের অন্যতম অংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সহপাঠী বন্ধুদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এই ঈদটি আরো বিশেষ হওয়ার অন্যতম কারন হলো এই রমজানের শেষের দিকে অর্থাৎ ঈদের আগ মুহূর্তে ঘটে গেছে সূর্যগ্রহণের মতো বিরল এক ঘটনা যা প্রায় ১২৫ বছরের ব্যবধানে হতে দেখা যায়। এই হলো আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একজনের ঈদ! হয়তো ঈদ উদযাপন খুবই সাধারণ, তবুও ছোটবেলার মতো খুবই জাকজমকপূর্ণ না হলেও এমন বিভিন্ন কারনে এই ঈদ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা ঈদের দিনের মতো বছরের অন্যান্য সময়গুলোও কিছুটা হলেও আনন্দময় করে দিক এবং মুছে দিক সকল বেদনা।
মোঃ আব্দুল হাশেম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধিতে দাম কমেছে,বেড়েছে কিচমিচ ও সাদা ফলের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি প্রতিনিধি:ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলা পণ্যের আমদানি। তিন মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি জিরার দাম কমলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।আর কিচমিচ ও সাদা ফলের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১০০ টাকায়। এবার ঈদে মসলা পণ্যের দাম কমায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। শুক্রবার (৫এপ্রিল) দুপুরে বাংলাহিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,মসলার দোকানগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিরার প্যাকেট সাজিয়ে রেখেছেন।

দোকানগুলোতে মসলা কিনতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। আমদানিকৃত কাকা জিরা ৬০০ টাকা,বাবা জিরা ৬২০ টাকা,মধু জিরা ৬২০ টাকা, অমরিত জিরা ৬০০ টাকা, সোনা জিরা ৬৩০ টাকা ও ডিবিগোল্ড জিরা ৬৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাসেও দাম বাড়েনি যেসব পণ্যের বড় জাতের কালো এলাচ ২ হাজার ৬ শত টাকা কেজি দরে, ছোট জাতের কালো এলাচ ২ হাজার ৪ শত টাকা কেজি দরে, দারুচিনি মোট জাতের ৫২০ টাকা কেজি দরে, চিকন জাতের দারুচিনি ৪২০ টাকা কেজি দরে, লং ১৭০০ শত টাকা কেজি দরে, গোল মরিচ ৯০০ টাকা কেজি দরে, কালোজিরা ২৮০ টাকা কেজি দরে, কাজু বাদাম ১২০০ শত টাকা কেজি দরে, কাট বাদাম ১ হাজার ৬০ টাকা কেজি দরে। এক মাস থেকে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে ভালো মানের সাদা এলাচ ২ হাজার ৫ শত টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ২ হাজার ৪ শত টাকা, কিচমিচ ৫৮০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ২৬০ থেকে ৪০০ শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন মাস আগেও খুচরা পর্যায়ে মানভেদে ভারতীয় জিরা প্রতিকেজি ১১ শ’ টাকা থেকে ১২ শ’ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই জিরা আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ শত থেকে ৬০০ টাকায়।

বিস্ধসঢ়;মিল্লাহ মসলা ঘরের আব্দুল আউয়াল সবুজ জানান, চলতি মৌসুমে ভারতে জিরার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। হিলি বন্দর দিয়ে ব্যপক আমদানি হচ্ছে। এরফলে প্রতিনিয়ত কিছু পণ্যের দাম কমছে আবার কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। গত তিন মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা। ঈদকে সামনে রেখে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন জিরাসহ বিভিন্ন মসলা কেনার জন্য। আগের থেকে জিরাসহ সবধরেণ মসলাপণ্যর বেচাকেনা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের মসলাপণ্য আমদানিকারকরা জানান, দেশে মসলা পণ্যের চাহিদা থাকায় বন্দর দিয়ে আমদানিও বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারকরা। জিরাসহ অন্যান্য পণ্য আসছে ভারতের গুজরাট থেকে। এসব মসলাপণ্য বন্দরের স্থানীয় বাংলাহিলি বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




মিরসরাইয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে পানিতে ডুবে জাকারিয়া (৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরিয়তপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী ওই এলাকার রহিম উল্ল্যাহ হাজী বাড়ির কৃষক শিপনের ছেলে। সে স্থানীয় শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুম তালিমুল কোরআন মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

নিহতের চাচা কামরুল ইসলাম জানান, জাকারিয়া মাদ্রাসার বিরতির সময় বাড়িতে এসে পুকুরে গোসল করতে নামার একপর্যায়ে সে ডুব দিলে পুকুরে তলিয়ে যায়। পরে ৮-১০ জন মিলে পুকুরে খুঁজে তার সন্ধান পেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুল তালিমুল কোরআন মাদরাসার সুপার মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, জাকারিয়া মাদ্রাসার টিফিনের বিরতির সময় হওয়ায় বাড়িতে যায়। দুপুরে খাবার খেয়ে আবার মাদ্রাসায় ফেরার কথা। এর মাঝে পরিবারের অগোচরে গোসল করতে পুকুরে নামে। পরে খবর পাই সে আর নেই!


আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




কামরাঙ্গীর চরে মামার চুড়িকাঘাতে ভাগ্নে নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

শফিক আহমেদ চৌধুরীঃরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নূরবাগ এলাকায় মাদকাসক্ত মামার ছুরিকাঘাতে তানিন হোসেন (২৩) নামে ভাগ্নে নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় তানিনের বড় ভাই তামিম হোসেন (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।  মামা রাকিব মাদকাসক্ত।

তাকে মাদকের টাকা না দেওয়ায় দুই ভাগ্নেকে ছুরিকাঘাত করেছে।রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালের  নিয়ে আসলে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তানিনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি (ওসেক) সার্ভিসের চিকিৎসক ডা . মোহাম্মদ রাসেল।নিহতের বাবা জামিল হোসেন জানান, আমার দুই ছেলেই ইলেকট্রিকের কাজ করে।

বিকেলের দিকে ওদের মামা রাকিব বাসায় এসে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহতাবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিনকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায়। আমার তিন ছেলে এক মেয়ে।ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের আরেক ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর