Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

ঝিনাইদহে ৬৮ তরুণ-তরুণী ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ;ঝিনাইদহে মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ৬৮ তরুণ-তরুণী। গত রোববার রাত ১০টার দিকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন যমজ দুই ভাই হাসান ও হুসাইন। বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র গ্রামে। বর্গাচাষির সন্তান তারা। এখনো তারা বিশ্বাস করতে পারছে না যে, মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেয়েছেন।

বাবা হারা শাহরিয়ার জোবায়েরের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাকড়ি গ্রামে। পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হওয়ায় আবেগে আপ্লুত তরুণ বলেন, ‘আমি আমার শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে কাজ করব।’

মেধা ও যোগ্যতায় উত্তীর্ণ কৃষকের মেয়ে আঁখতারা খাতুন জানান, পুলিশে চাকরি পেতে টাকা লাগে না। এখন যোগ্যতাই মূল চাবিকাঠি।

আঁখতারা খাতুনের বাবা আখের আলী বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। এখান থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে। টাকা দিয়ে চাকরি কোনোভাবেই আমাদের পক্ষে সম্ভব না। বিনা পয়সায় আমার মেয়ের চাকরি হয়েছে। আমি খুব খুশি।’

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, মোট ৬৮ জনের চাকরি হয়েছে। তার মধ্যে ১০ জন মেয়ে আর ৫৮ জন ছেলে রয়েছে। কনস্টেবল নিয়োগে গত ২, ৩ ও ৪ মার্চ ২৩৪৮ চাকরি প্রার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করেন ৪১৮ চাকরি প্রার্থী। গেল ৯ মার্চ তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৬৪ জন। আর ১৯ মার্চ রোববার মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ হন ৬৮ জন।

তিনি বলেন, ‘আইজিপি স্যারের নির্দেশে সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে এ পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। যারা চাকরি পেয়েছেন তারা সবাই নিজ মেধা আর যোগ্যতার ভিত্তিতে পেয়েছেন। চাকরিপ্রাপ্তরা দেশের সেবায় সব সময় সচেষ্ট থাকবেন বলে প্রত্যাশা করি।’


আরও খবর



সেতু থেকে পড়ে গেল বাস, নিহত ২২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মধ্য প্রদেশের খারগোন জেলার ওন পুলিশ স্টেশন এলাকায় আজ মঙ্গলবার ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু ও ছয়জন নারী আছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি সেতু থেকে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খারগোনের সাব-ডিভিশনাল অফিসার রাকেশ মোহান শুকলা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ইন্দোরের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু দংগারগাওয়ের কাছে এক নদীর ব্রিজ থেকে বাসটি পড়ে যায়। নদীতে কোনো পানি ছিল না বলে জানান রাকেশ।

রাকেশ বলেন, সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত যাত্রীদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় বাসের চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নারোত্তম মিশ্র বলেন, বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিল। খারগোনের দাসাংগা গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চালক ঘুমিয়ে ছিলেন এবং বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ব্রিজ থেকে বাসটি পড়ে যাওয়ার পর বাসটি চূর্ণ বিচুর্ণ হয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করেছেন।

মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং নিহতদের প্রতি পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের ৫০ হাজার রুপি, হালকা আহতদের ২৫ হাজার রুপি দেওয়া কথা বলেছেন। অন্যদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিহতদের প্রতি পরিবারকে ২ লাখ রুপে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

 


আরও খবর



সাবেকএমপি লালুসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের বিবৃত্তি গাবতলীর বিএনপি নেতা নতুন কারাগারে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

আল আমিন মন্ডল (বগুড়া) ঃ আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির সংঘর্ষে বিস্ফোরক ও মারপিট মামলায় গতকাল রবিবার (৭ই মে ২৩) বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক এনামুল হক নতুন কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। সকালে বিএনপির নেতা এনামুল হক নতুন গাবতলী আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে উভয়পক্ষের শুনানীন্তে বিজ্ঞ আদালত নতুনের জামিন না মুঞ্জুর করে বগুড়া কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন। এদিকে বিএনপি নেতা নতুনের অতিদ্রত নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বিবৃত্তি প্রদান করেছেন সাবেক এমপি লালু সহ যুব-ছাত্রদল ও অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দরা।

বিবৃত্তি দাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন, সহ- সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আশরাফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল হাসান মমিন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আরিফুর রহমান মজনু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রুহুল হাসান রুহিন, যুগ্ম আহবায়ক মহব্বত আলী, মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, মতিয়ার রহমান মতি, মাহারুফ স¤্রাট, মশিউর রহমান সুমন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমআর হাসান পলাশ, সাধারন সম্পাদক এসএম রাঙ্গা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক রাকিবুল হাসান হিরু, সদস্য সচিব সুজা উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক পবন সরকার, সদস্য সচিব লেমন সহ বিএিনপি ও অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দরা।


আরও খবর



দেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের জন্য মাসব্যাপী সেমিনার আয়োজন হুয়াওয়ের

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image


নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি ইক্যুইপমেন্ট ও সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের সহযোগীদের জন্য মাসব্যাপী সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ‘গাইড টু দ্য ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক বর্তমান বিশ্বের নতুন অনেক উদ্ভাবন ও সল্যুশন নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: গাইড (জিইউআইডিই), যার পূর্ণ রূপ হচ্ছে: গিগাভার্স ইনিশিয়েটিভ, আল্ট্রা-অটোমেশন স্পিডআপ, ইনটেলিজেন্ট কম্পিউটিং অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যাজ আ সার্ভিস, ডিফারেনশিয়েটেড এক্সপেরিয়েন্স অন ডিমান্ড, ও এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভার্নেন্স। আগামী কয়েক সপ্তাহ হুয়াওয়ে-সহ এইসকল খাতের অন্যান্য অংশীজনরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, প্রয়োগ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। 

রাজধানী ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের প্রথম দিনে একটি মিডিয়া সেশন আয়োজন করা হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া অফিসের প্রিন্সিপাল মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান এবং হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান বলেন, “বিভিন্ন খাতে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ও ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সঠিক প্রযুক্তিগত সমাধান চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে সে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। উদ্ভাবন হুয়াওয়ের মূল চালিকাশক্তি; আমাদের প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকেরও বেশি কর্মী গবেষণা ও উন্নয়ন (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- আরঅ্যান্ডডি) কর্মী হিসেবে নিয়োজিত। আমাদের বিনিয়োগের একটি বড় অংশই ব্যয় হয় গবেষণা ও উন্নয়নে। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই আমাদের আয়ের ২৫.১ শতাংশ (প্রায় দুই লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা)  গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের সমাধান ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে আমরা বিস্তৃত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশের ইকোসিস্টেমের জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন উদ্ভাবন ও খাতের অগ্রগতির ক্ষেত্রে মত বিনিময় আমাদের দেশের রূপান্তরে ও দেশকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আমাদের বিশ্বাস। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে আমরা আরেকটু এগিয়ে যাবো।”

বিভিন্ন খাতের অতিথিদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অতিথিরা পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী এসে আয়োজনটি ঘুরে দেখবেন ও হুয়াওয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সরাসরি অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, হুয়াওয়ে বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর এমার্জিং মার্কেটস, ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি চ্যালেঞ্জ, বেস্ট মোবাইল টেকনোলোজি ব্রেকথ্রু ও বেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য এমডব্লিউসি বার্সেলোনা ২০২৩ ফর গ্লোমো’র চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে।


আরও খবর

সেই টাইটানিক, যা আগে দেখেনি কেউ

বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩




কী কারণে র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, বোধগম্য নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কী কারণে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। ছয় দিনের সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী।

র‍্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকার কী কী সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আমেরিকার পরামর্শেই কিন্তু এই র‍্যাবের সৃষ্টি হয়েছে। র‍্যাবের প্রশিক্ষণ থেকে সবকিছুই আমেরিকার করা। যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসল, আমরা সবকিছু ঠিকমতোই চালাচ্ছি। তখন আমেরিকা কী কারণে র‍্যাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।

র‌্যাবের কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয় দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘র‍্যাবের কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার বিচার হয়। র‍্যাবের কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়লে সঙ্গেসঙ্গে আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। যেটা অন্য কোনো দেশে নেই, এমনকি আমেরিকাতেও নেই। এই আইনের শাসনটা আমাদের দেশে আছে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের জামাই র‍্যাবের সদস্য থাকা অবস্থায় একটি অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল। তাকেও সঙ্গেসঙ্গেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সে শাস্তিও পেয়েছে। বিষয়টিকে আমরা এভাবেই দেখছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে র‍্যাবের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু, হঠাৎ করে র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে জঙ্গিরা আবার উৎসাহিত হয়ে গেল বলে মনে হয়। এটাই হলো বাস্তবতা।

দেশে আইনের শাসন বলবৎ আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে আইনের শাসন বলবৎ রয়েছে। আমরা সবকিছু আইনের দৃষ্টিতে দেখি। আবার বিনা অপরাধে কেউ যাতে শাস্তি না পায়, এটাও আমরা দেখি।

নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার চিন্তা-ভাবনা কী আপনাদের আছে?- ভয়েস অব আমেরিকার করা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিন্তু বারবার আলোচনা করেছি, ২০২৮ সালের নির্বাচনেও…। কিন্তু আসলে বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যেটি সৃষ্টি করেছে একজন সামরিক শাসক। যে ১৯৭৫ সালে আমার বাবা, মা, ভাই, বোনকে হত্যা করেছে। একজন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন সেনাপ্রধান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে চেয়ারে বসল। বসে হ্যাঁ-না ভোটের নামে নাটক, সেখানে না নয়, সব হ্যাঁ ভোটই হয়ে গেল। পরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৯৭৭ সালে করল। এরপরে গিয়ে রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করল, ক্ষমতায় বসে থেকে। এ কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে, অস্ত্র হাতে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতায় বসে থেকে যে রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করা হয়েছে সেটাই হচ্ছে বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘আলোচনার কথা যদি বলেন…। দেখুন, আমার মা-বাবা-ভাইদের যারা হত্যা করেছে সেই হত্যাকারীদের বিচার আমি কোনো দিন চাইতে পারিনি। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসে মামলা করতে পারিনি। ক্ষমতায় এসে যখন মামলা করলাম, যেদিন রায় দেবেন সেদিন হরতাল ডেকেছে বিএনপি। যাতে জজ সাহেব কোর্টে গিয়ে রায় দিতে না পারেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষমতায় ছিল আবার আমার বাবা-মা ও ভাইদের হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী। তারপরও দেশের স্বার্থে, দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে আমি কিন্তু তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তারা… বলতে গেলে। সিট বিক্রি করা…।  একেকটা সিটের পেছনে দুজন-তিনজনকে নমিনেশন। একজনকে লন্ডন থেকে পাঠায়, আর ঢাকা থেকে কেউ দেয়। এভাবে একেক সিটে দুই-তিন করে ক্যান্ডিডেট। তারা দেখল ইলেকশন করার আর অবস্থা নেই, তখন তারা এক সময় ইলেকশন থেকে ইউথড্র করে চলে যায়। ইলেকশনটাকে তারা কন্ট্রোভার্সিয়াল করার চেষ্টা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেয়ারটেকার সরকারের ব্যবস্থা বিএনপিই নষ্ট করে দিয়ে গেছে। খালেদা জিয়া নিজেই বলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেই নেই। সেখানে তারা কীভাবে এই দাবি করেন? সেটাই হলো বড় প্রশ্ন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় একটা প্রশ্ন হলো…। তাদের সঙ্গে ডায়লগ, আমি ডায়লগ কীভাবে করব? ঠিক আছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরও কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি জানি, সে বিচারও কিন্তু তারা করেনি। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেছে, লাশ এসেছে। আমি কিন্তু প্রাইম মিনিস্টার। তবুও গেলাম সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাতে। আমি যখন রওনা হয়েছি তখন জানানো হলো ওই বাড়িতে (খালেদা জিয়ার বাড়ি) ঢুকতে দেবে না। মেইন গেট বন্ধ।

তিনি বলেন, ‘আমি তখন বললাম, এসেই যখন পড়েছি মেইন গেট না হয় না খুলল যেটা পকেট গেট আছে সেখান দিয়েই যাব। আমাকে এসএসএফ নিতে আসছে। যেই গাড়ি থেকে নামব, পেছন থেকে দরজাটা বন্ধ করে দিল। আমাকে ঢুকতে দিল না। আমাকে না ঢুকতে দিয়ে চরম অপমান করা হলো। আপনারা বলেন, এরপর কার সঙ্গে ডায়লগ করব আমি?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একে তো সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারপর আবার বাবা-মা, ভাই-বোনদের খুনি, যুদ্ধাপরাধী। তারপরও দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের জনগণকে রক্ষার জন্য কিন্তু অনেক উদারতা দেখিয়েছি। তবে এখন আর তাদের সঙ্গে কথা বলার কিছু নেই। কারণ তাদের যে অপরাধ। আমার ২১ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, ‘মানুষকে পুড়ি হত্যা করার পর। সেই পোড়া মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার করার পর। সেসব মানুষ মারা গেছে, তাদের পরিবারগুলো যে কষ্ট পাচ্ছে। যারা পুড়েও বেঁচে আছে, তাদের সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। যে অবস্থায় তারা আছে তা কেউ দেখলে…। পোড়া মানুষগুলোর কষ্ট দেখলে আর ওদের (বিএনপির) সঙ্গে বসতে ইচ্ছে হয় না। মনে হয়, ওদের সঙ্গে বসলে আমি পোড়া মানুষগুলোর গন্ধ পাই।


আরও খবর



বার্সার শিরোপা উৎসব ম্যাচ হেরেও

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: স্প্যানিশ লা লিগায় ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেছে বার্সেলোনা। তবে নিয়মরক্ষার বাকি ম্যাচ ঠিকই খেলতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু শিরোপা জিতে মাঠে নেমে হেরে বসল জাভির শিষ্যরা। কাতালান দলটিকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল রিয়াল সোসিয়েদাদ। এ জয়ে লিগ টেবিলে সেরা চারে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল দলটি।

শনিবার রাতে ক্যাম্প ন্যুতে মিকেল মেরিনো ও অ্যালেক্সান্দার সরলথের গোলে সফরকারীরা এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান কমান রবের্ত লেভানদোভস্কি।

ম্যাচে জয় না মিললেও ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলা শেষে বার্সার হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি।  

এই মৌসুমে লিগে এটি বার্সার চতুর্থ হার, যা ঘরের মাঠে প্রথম। ৩৫ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৮৫ পয়েন্ট কাতালানদের। এক ম্যাচ কম খেলে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের সমান ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ৩৫ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে রিয়াল সোসিয়েদাদ। পাঁচ নম্বরে থাকা ভিয়ারিয়ালের চেয়ে তারা এগিয়ে আছে ৫ পয়েন্টে।


আরও খবর