Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

জেলে বসে আবারও সালমানকে যে হুমকি দিলেন গ্যাংস্টার

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক ;বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে জেল থেকে হুমকি দিয়েছেন গায়ক সিধু মুসে ওয়ালা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সম্প্রতি এবিপি নিউজ-এর স্পেশাল শো ‘অপারেশন দুরন্ত’-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ হুমকি দেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, লরেন্স বিষ্ণোই আট বছর ধরে জেলবন্দী।

জেলের ভেতর থেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে লরেন্স বলেন, তিনি সালমান খানের কাছ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা আশা করছেন এবং যদি তিনি তা করতে ব্যর্থ হন, তা হলে পরিণতির জন্য যেন প্রস্তুত থাকেন।

তিনি জানান, সালমানকে কখনোই ক্ষমা করবেন না। তার কথায়, ‘আমাদের গোষ্ঠীর মধ্যে তাকে নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। যদি তিনি ক্ষমা না চান, তা হলে পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত থাকুক। আমি অন্য কারও ওপর নির্ভর করব না। ছোটবেলা থেকে ওর ওপর রাগ রয়েছে। তবে যদি আমাদের বিষ্ণোই সমাজ মাফ করে দেয়, তা হলে আমি কিছু করব না।’

১৯৯৮ সালে রাজস্থানের জোধপুরে কৃষ্ণসার হরিণ ‘হত্যা’ করেন সালমান। কয়েক বছর আগে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই সালমান খানকে কালো হরিণ মামলায় জড়িত থাকার জন্য হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই ভাইজানকে লরেন্স খুন করতে চেয়েছিলেন বলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে।  

উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার হত্যার পর আবারও হুমকি পেয়েছেন সালমান। বেনামে চিঠি দেওয়া হয়েছিল যেখানে লেখা ছিল, ‘মুসে ওয়ালার মতো তোমাকেও মেরে ফেলব’।

যদিও এ ধরনের কোনো চিঠির কথা অস্বীকার করেন সালমান। সালমানকে খুন করার জন্য ২০১৮ সালে লরেন্স চার লাখ টাকা দিয়ে একটি রাইফেলও কিনেছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।


আরও খবর



বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-ছেলেসহ আহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের কচুয়ায় সরকারি সড়কের নারকেল গাছ নিলাম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নুর মোহাম্মাদ ও তার ছেলেসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে কচুয়া উপজেলার চরকাঠি মোড়ের চান্দু ওস্তার দোকানের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহতদের বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, চরকাঠি গ্রামের মৃত হাশেম আলী শেখের ছেলে নুর মোহাম্মাদ শেখ (৬৫), তার ছেলে আলতাপ শেখ (৪১) ও আলতাপ শেখের ছেলে সজিব শেখ (১৫)। জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলতাপ শেখ বলেন, রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা চরকাঠি থেকে পদ্মনগর পর্যন্ত নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছি।

ইজারা নেওয়ার পর দুইবার নারকেল পেড়েছি। সম্প্রতি পূর্বে যাদের ইজারা নেওয়া ছিল তারা আমাদের নারকেল পাড়ায় বাঁধা সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার সকালে চরকাঠি মোড়ের চান্দুর দোকানে এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইতরুপসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের নারকেল গাছের বিষয়ে শোনাশুনির কথা ছিল। এই জন্য সকালে আমরা চরকাঠি যাই। এসময় নজরুল ইসলাম রাঙ্গার নেতৃত্বে তার ছেলে বাবু শেখ, আইয়ুব আলীর ছেলে মোহসীন শেখ, সালাম শেখের চেলে আনিস শেখ, সাবু শেখসহ ৭-৮জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার মাথা কেটে যায় এবং আমার বাবার হাত কেটে গেছে। আমার শিশু ছেলেকেও মেরেছে তারা। আহত নুর মোহাম্মাদ শেখ বলেন, রাঙ্গা, মোহসিন ও তার লোকজন শুধু আমাদের নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় এলাকার অনেককে মারধর করেছে।

এলাকায় নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত রাঙ্গা ও তার লোকজন। আমরা এই হামলার সঠিক বিচার চাই। এদিকে নুর মোহাম্মাদ শেখ ও আলতাফ শেখের অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে বাবু শেখ বলেন, নুর মোহাম্মাদ শেখ ও তার লোকজন আমার বাবার উপর হামলা করেছে। বাবা এখন বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার বলেন, যারা নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছেন তাদেরকে মারধরের একটি খবর শুনেছি। এ বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কোনপক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



পরিণীতি চোপড়া বাগদান সারলেন, ছবিতে দেখুন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাগদান সারলেন। হবু বর আর কেউ নন, সেই রাঘব চাড্ডা। যিনি আম আদমি পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য।

গতকাল শনিবার পারিবারিক আয়োজনে আংটি বদল করেন এই প্রেমিক জুটি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, নয়া দিল্লির কাপুরথালা হাউজে বসেছিল বাগদান অনুষ্ঠানের আসর। দুই পরিবারের সদস্য ছাড়া এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। যদিও বিয়ে তারিখ এখনও ঘোষণা করেননি পরিণীতি। তবে শোনা যাচ্ছে, আগামী অক্টোবরে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন পরিণীতি-রাঘব।

বাগদান অনুষ্ঠানের জন্য বাহারি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল রাঘবের বাড়ি।

পরিণীতির বাগদান অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তার দুই ভাই সহজ আর শিবাঙ্গ। তারা সাদা পোশাকে হাজির হয়েছিলেন। বাগদানের আসরের বাইরে পাতা হয়েছিল রেড কার্পেট। অতিথিদের জন্যই এই ব্যবস্থা।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন পরিণীতির বোন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সকাল সকাল স্বামী নিক জোনাস ও কন্যাকে নিয়ে নয়া দিল্লিতে হাজির হন তিনি।

তাছাড়াও এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রাজনৈতিক জগতের বড় বড় ব্যক্তিত্ব। উপস্থিত ছিলেন আদিত্য ঠাকরে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

গতকাল রাতে বাগদান অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ্যে আসে। আর এ ছবি প্রথমে শেয়ার করেন পরিণীতি নিজেই। এসব ছবিতে দেখা যায়, রোমান্সে ডুবে আছেন পরিণীতি-রাঘব।

ভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থার দাবি, দুই জগতের দুই তারকা কলেজ জীবনের বন্ধু। একসঙ্গে লন্ডনে পড়াশোনা করেছেন তারা।

কিছুদিন আগে মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল একটি গাড়ি থেকে নামতে দেখা যায় পরিণীতি চোপড়া ও রাঘবকে। দুজনে একসঙ্গে ডিনার করতে একটি রেস্তোরাঁয় যান। এসময়ের ভিডিও ক্লিপ নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনায় উঠে আসেন এই জুটি।

পরিণীতি চোপড়া অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘উঁচাই’। গত বছরের ১১ নভেম্বর মুক্তি পায় সিনেমাটি। ২০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ৫০ কোটি রুপি।


আরও খবর



অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে যে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন এর আলোকে আমরা কাজ করছি। যদি কোনো অপরাধী ভালো পথে ফেরত আসতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই সুযোগ দেওয়া হবে। কারণে আমরা দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করতে পেরেছি।

যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের মধ্যে কেউ অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা তা আমরা নজরে রাখছি। গতকাল বুধবার ( মে) বিকেল ৩টার সময় কক্সবাজার জেলা পুলিশের কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশে নানা অপরাধের বিষয়ে আইজিপি জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সকলে মিলে দেশে ভালো কাজগুলো করছি। যেখানে অপরাধ  সংগঠিত হচ্ছে সেখানে পুলিশ পৌঁছে যাচ্ছে। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। যে যত বড় অপরাধী হোক না কেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।তিনি আরও জানান, বিভিন্ন কৌশলে প্রথমে আমরা অপরাধীদের তালিকা করি।

অপরাধের প্রমাণ পেলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনো ঘটনা সংগঠিত হলে কাউকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যে আইন-শৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আইজিপি জানান, ঘটনাটি আমি শুনার পর ডিআইজিকে দ্রুত তদন্ত করতে বলেছি এবং সিআইডির টিম পাঠিয়েছি। ঘটনায় সকল ডিপার্টমেন্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।

ঘটনায় বেশ কয়েকজন আসামি ধরা পড়েছে। তারা ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা আশা করছি এই তদন্তে ভালো কিছু আসবে।টেকনাফে অপহরণের ঘটনায় পুলিশপ্রধান জানান, এই ঘটনাগুলো যারা ঘটাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এসব ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য সবাইকে অনুরোধ করবো প্রয়োজনে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আমাদের জানান।এ সময় এডিশনাল  আইজিপি (ক্রাইম)মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, এডিশনাল আইজিপি(এপিবিএন) ডক্টর হাসান উল হায়দার , কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট  প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করলেন যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার বৈশাখী মেলার সামনে থেকে যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান পুলককে তুলে থানায় নিয়ে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার ভুক্তভোগী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক বাদী হয়ে সদর থানার ওসি মো: কামাল হোসেনসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। 

ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ মামলাটি আমলে নিয়ে আসাদুজ্জামান পুলকের ভাঙ্গা হাতের এক্স-রে সহ তার শারীরিক প্রতিবেদন ও ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারকে একটি মোকদ্দমা রজু করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং এ ঘটনায় নিরপেক্ষ ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য জেলায় কর্মরত একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থী হিসেবে যায় জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক খালিদ সিরাজ রকি। এসময় কতিপয় ছেলে অকারণে হট্টগোল করলে এতে সে বাঁধা দেয় এবং তাদের ঝগড়া নিরসনের চেষ্টা করে। এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে কোনকিছু না শুনে রকিকে মারধর শুরু করে এবং টেনে-হেচড়ে পুলিশ ভ্যানে নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। 

এসময় তিনি ওসি মো: কামাল হোসেনকে যুবলীগ নেতা রকিকে আটকের বিষয়ে ও মারধরের কারণ জানতে চান। কিন্তু ওসি তার কথা না শুনে পুলকের উপর চড়াও হয়ে রকি ও পুলককে মারধর করতে করতে থানায় নিয়ে যান। এরপর ওসির রুমে ঢুকিয়ে চোখে গামছা বেধে ও হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে আসাদুজ্জামান পুলককে বেধড়ক পিটিয়ে বাঁ হাত ভেঙ্গে দেন। এ সময় হাসপাতালে নিয়ে মানুষ দেখানো চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে গেলে সেখানে হাতের এক্স-রে করার কথা বললেও পুলিশ তা না করিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষের কোন লিখিত অভিযোগ না পেয়ে ১৫১ ধারায় একটি মামলা রজু করে। পরদিন পুলক ও রকিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়। গত ২ মে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে তার জামিন মঞ্জুর হলে সে ভাঙ্গা হাতের এক্সরে করে ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। 

মামলায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন (৪৭), সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) মো: লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় (৩৬), এসআই মোতালেব (৩৭) ও এএসআই মো: হাফিজ (৩৪) কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জসীমউদ্দীন ইতি

আরও খবর



জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার আইন (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯) অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

মনোয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোনো ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণখেলাপি বলে গণ্য হবেন।

এর আগে গত ৮ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আসাদুজ্জামান মনির, ওয়ায়েস আল হারুনী, নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন ফাইল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী নকীব সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৭ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর হয়।

তার আগে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।


আরও খবর