Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

জায়েদার জয়, অঘোষিত ‘মেয়র’ জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নগরজুড়ে কোথাও জায়গা হয়নি জায়েদা খাতুনের পোস্টারের। কিছু কিছু লাগানো হলেও পরবর্তীতে তা ছিঁড়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। হুমকি ধামকিতে অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি। সম্মুখ প্রচারও করতে পারেনি অনেক সমর্থক। প্রার্থী নিজেও যেতে পারেনি সব জায়গায়। তবে ভোটারদের মধ্যে এ নারীর জন্য সহানুভূতি তৈরী হয়েছিল, তারা তাদের হৃদয়ের কোণে তাকে জায়গা করে নিয়েছিলেন। আর সুযোগের ব্যবহার করেন ভোটকক্ষে। যা ছিল অনেকটা বোবা ভোট। সাড়া নেই শব্দ নেই, অথচ দিনশেষে তিনিই জয়ী।

গাজীপুরে এমন নিরব ভোটে ভোটাররা জায়েদা খাতুনকে নগর মাতার চেয়ারের দায়িত্ব দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে গাজীপুরবাসী এক নতুন নির্বাচন দেখলো। স্থানীয়রা বলছেন, ভোটারদের জয় হয়েছে গাজীপুরে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নতুন করে নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। নিজে প্রার্থী হতে না পেরে তার মাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে নির্বাচনের মাঠে আনেন। নিজে মাকে গাড়িতে নিয়ে নগরবাসীর কাছে ভোটের আবেদনে নামেন। প্রতিপক্ষের নানা হুমকির পরেও নির্বাচনী মাঠ না ছাড়ার ঘোষণা দেন। প্রচারণার সময় চারবার হামলাও হয় তার উপর। বেশ কয়েকজন কর্মীও আহত হন। নানা কারণে জায়েদা ও তার ছেলে জাহাঙ্গীরের উপর সাধারণ ভোটারদের সহানুভুতি তৈরী হয়। আর এর ফলেই জয় এসেছে বলে মনে করছেন নগরবাসী

নির্বাচনে টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন লড়লেও পেছন থেকে কাজ করেন ছেলে জাহাঙ্গীর। সব সময়ই মায়ের হয়ে কথা বলেন তিনি। মায়ের জয়কে নিজের জয়ই মনে করছেন তিনি। এক কথায় গাজীপুরে অঘোষিত ‘মেয়র’ জাহাঙ্গীর।

নির্বাচনে মায়ের জয়ের পর জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে একটি পরিকল্পিত নগরে পরিণত করব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমার মায়ের পাশে ছিলেন। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

তিনি বলেন, ‘এখানে নৌকার জয় হয়েছে, পরাজয় হয়েছে ব্যক্তির।’ এ সময় মাকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনে টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে আজমত উল্লাকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।


আরও খবর



আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণের পাশে থাকায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সকলকে (নেতাকর্মী) আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব।

গতকাল রোববার (স্থানীয় সময়) লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত চক্রকে ভোট চোর হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশবাসীকে তাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশকে ধ্বংস করবে। তাই সতর্ক থাকুন, যাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আবার ক্ষমতায় না আসে।

দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াতের ওপর আস্থা রাখবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। তাহলে জনগণ কীভাবে তাদের প্রতি আস্থা রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ইতিমধ্যে জেনে গেছে যে তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।

ছবি: বাসস

তিনি বলেন, তারেক রহমানকে তার দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ‘ডেল্টা ২১০০’ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশে আর কোনো গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষের আর খাদ্যের অভাব থাকবে না।

বিএনপি-জামায়াতের মতো আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে; জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। আমরাই এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করেছি।

২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারও কিছু বলার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল? বিএনপির ২০ দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০-দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন এবং পরে উপনির্বাচনে একটিসহ মোট ৩০টি আসনে জিতেছিল। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। আমরা বাকি সব আসন পেয়েছিলাম। জনগণের কাছে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে?

প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।

বাসস,


আরও খবর



বাংলাদেশে মার্কিন ব্যবসায়ীদের বড় বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল এবং ফার্মাসিউটিক্যালে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং শুধু মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ রাখার প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামসহ অনেক গতিশীল ও সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে সুযোগ অন্বেষণ ও বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ : শেয়ার্ড ভিশন ফর স্মার্ট গ্রোথ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিলের মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ইউএস বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল উদ্বোধন করেন। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ইউএস চেম্বার অব কমার্স ওয়াশিংটন ডিসির গ্রেট হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের যাত্রায় অংশীদার হিসেবে আমাদের সাথে থাকার জন্য আমি আজকে এখানে আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতির কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, ট্যাক্স হলিডে, রয়্যালটি রেমিটেন্স, বাধাহীন প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ ও মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন সুবিধা রয়েছে।

তিনি আশ্বাস ব্যক্ত করে বলেন যে, ‘আমরা আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আমাদের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।


তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো আমাদের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা। আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের মধ্যে সম্পর্কের তা প্রতিফলিত হচ্ছে। ২০২১-২০২২ সালে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশে একটি শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাপানের প্রস্তাবের উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই আমাদের লক্ষ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নীত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের প্রচেষ্টায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন সর্বজনীনভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, ‘সুশাসনের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি খাতে অগ্রগতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে যা আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত দেশে পরিণত করবে।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং চেয়ারম্যান এক্সেলরেট এনার্জি স্টিভেন কোবোস, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস (বিসিজি) হ্যান্স-পল বার্কনার, মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক পলিসি অপারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি অরোরা, বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক ওয়াকার এবং গ্লোবাল হেড অব এক্সপ্রোরেশন অ্যান্ড নিউজ এক্সনমোবিলের ভেঞ্চার ড. জন আর্ডিল গোলটেবিলে বক্তৃতা করেন।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট-সাউথ এশিয়া অ্যাম্বাসেডর অতুল কেশপ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বোয়িং ইন্ডিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট শাইল গুপ্ত, ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান কেভিন রোপেকে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 বাসস,


আরও খবর



কক্সবাজারে ভয়ংকর অপহরণ সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ আটক-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: পুলিশের বহিস্কৃত এসআইয়ের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ভয়ংকর একটি অপহরণচক্রের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব।সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক এবং এক নারীসহ পাঁচ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব -১৫।গত শুক্রবার (১৯ মে) কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করেন।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম ইকবাল পারভেজ (৪০)। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন মাইতুল সরকারবাড়ি এলাকার মৃত এরশাদ আলমের পুত্র।

চক্রের বাকি দুই সদস্য হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার মোঃ ইউনুসের পুত্র এমডি মুন্না (৩০) এবং একই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের পুত্র  মোঃ ইউসুফ।র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে কক্সবাজার বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন ঢাকা উত্তরার বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান কবির ও মঞ্জুর আলম। পরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে আংশিক মুক্তিপণ পরিশোধ করা হলেও মুক্তি মেলেনি শাহজাহান ও মঞ্জুরের। অপহৃত আরেক দম্পতিকে অপহরণ করে দাবিকৃত মোটা অংকের টাকা না পেয়ে স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে স্ত্রীকে একে একে ধর্ষণ করে চক্রের সদস্যরা। স্বামীর ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। অপহৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা বিকাশে দুই লাখের বেশি টাকা মুক্তিপণ দিলেও তাদের ছাড়া হয়নি। অপহরণকারীদের দাবি ছিল আরও অনেক বেশি টাকা। বেদম মারধরের পাশাপাশি চাহিদা মতো মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

নিরুপায় হয়ে স্বজনরা বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে কাজ শুরু করে র‌্যাব।এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় এই সিন্ডিকেটের দুটি সুরক্ষিত ও গোপন আস্তানার সন্ধান পায় র‌্যাব। পরে রাতভর এসব আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে কলাতলী থেকে চক্রের দুই সদস্যকে এবং পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুগন্ধা এলাকার অপর গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে চক্রের প্রধান ও পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম ইকবাল পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।র‌্যাব জানায়, চক্রের প্রধান ইকবাল পারভেজ ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পাশাপাশি চাকরিও হারান তিনি। চাকরি থেকে বরখাস্ত ও কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এসআই ইকবাল তার শ্যালক মুন্নাসহ ৭-৮ জন সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেন অপহরণ বাণিজ্যের রমরমা এই সিন্ডিকেট। চক্রের সদস্যরা দেশের নানাপ্রান্ত থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা মানুষদের টার্গেট করে অপহরণ করে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ফোন করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করতো।গত শুক্রবার (১৯ মে) অপহরণের শিকার শাহজাহান কবিরের বোন মোসাম্মৎ আমেনা বেগম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামি ও উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।এ বিষয়ে কক্সবাজার র‌্যাব -১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, কক্সবাজার কেন্দ্রিক অপহরণ-মুক্তিপণ সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে র‌্যাবের যে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, তারই অংশ হিসেবে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করেছি।তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে যা এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ চক্রের অন্য সদস্যদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। 


আরও খবর



বিএনপিই মূল বাধা সুষ্ঠু নির্বাচনে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্নের কিছু নেই। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন হোক সেটা চাই, যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে সেটাই দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা। আন্দোলন করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন বিএনপি বানচালের চেষ্টা করেছিল। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।

শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। ওই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা এটাই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।

আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে কোনভাবেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবিলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।

টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনি, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক প্রমুখ।


আরও খবর



আইপিএলে ভাঙা হাতেই নাচতে হলো চিয়ারলিডারকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: ভাঙা হাতে ঝোলানো হয়েছে স্লিং। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, খুব একটা ভালো নেই শরীরের অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতেও নাচতে বাধ্য হয়েছেন চিয়ারলিডার। সোমবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও গুজরাট টাইটান্সের মধ্যকার ম্যাচে ঘটেছে এমন ঘটনা।

নাচের সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবং আইপিএল কর্তৃপক্ষের একহাত নিচ্ছেন দর্শকরা। অসুস্থ মানুষকে কীভাবে নাচতে বাধ্য করা হলো সেটি নিয়ে তোলা হচ্ছে প্রশ্ন। প্রতিবেদন আনন্দবাজার ও জি নিউজের।

আইপিএল কর্তাদের পাশাপাশি সমালোচনা হচ্ছে হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও। আহত ওই চিয়ারলিডার হায়দরাবাদের হয়েই পারফর্ম করছিলেন। দলটির খেলোয়াড়রা চার-ছক্কা মারলে ভাঙা হাতেই অন্য চিয়ারলিডারদের মতো সমানতালে নাচতে হয়েছে।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ল্যাভেন্ডার রঙের জার্সি পরে খেলতে নেমেছিলেন গুজরাটের খেলোয়াড়রা। ক্যানসার সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়াতেই বিশেষ এই রঙের জার্সিতে দেখা গেছে হার্দিক পান্ডিয়াদের। সেই ম্যাচেই এমন লজ্জাজনক ঘটনায় সমালোচনা আরও বেড়েছে। এমন ঘটনা আইপিএলের জন্য লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে।


আরও খবর