Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হতে চলেছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৮৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিঃমিঃ উত্তরে।হাওড় বেষ্টিত অঞ্চল নাসিরনগর উপজেলা।নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করলেই এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেন মৌসুমি প্রার্থীরা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের এ উপজেলায়  এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগেও মাঠে দেখা যাচ্ছে এসব নেতাদের । তবে দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের দখলে থাকা এ আসনে এবারও লড়াইটা হবে পুরোনো নেতাদেরই মাঝে।


স্থানীয়রা বলছেন, নির্বাচন নিয়ে সবাই যাঁর যাঁর মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপিতে দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী বেশি আলোচনায় থাকলেও এবার রয়েছে একাধিক প্রার্থী।এবার আওয়ামী লীগেও একাদিক প্রা্র্থীর কথা শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী। এর মধ্যেই ভেতরে-ভেতরে নিজেদের গোছাচ্ছে বড় দুই দল। আওয়ামী লীগ এবারও আসনটি ধরে রাখতে আর বিএনপি তাদের দখলে নিতে চায়। 


এ আসনে পাঁচবার এমপি ছিলেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডঃ ছায়েদুল হক। এর মধ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ৪বার। তিনি ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর মারা যাওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির সন্তান বি,এম মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনিই আবার দ্বিতীয় বারের মতএমপি হন।


নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সাংগঠনিকভাবে মজবুত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে এম,পি সংগ্রাম। তিনি এমপি হওয়ার পর নাসিরনগরের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন।প্রতিটি গ্রামে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ছুটে চলেছেন এম, পি।করছেন গণসংযোগ ও কর্মী সমাবেশ।


অপরদিকে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দীয় অর্থ বিষয়ক  সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। নাজির মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে নাসিরনগরের বিভিন্ন গ্রামে জনগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।তিনি বেশ কিছু গরীব ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করে চলেছেন।


তার স্ত্রী রোমা আক্তার উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও তার শ্যালক গোলাম মোঃ আরমান নুর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।তাছাড়া মনোনয়ন চাইতে পারেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ এহসান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম আলমগীর,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজি্ুর রহমান ফাউন্ডেশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকার,বাংলাদেশ আওয়ামী প্রজন্ম লীগের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইহ তেশামুল কামাল প্রমুখ।


নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল বলেন, আমাদের কাছে যেহেতু এখন পর্যন্ত অন্য কোনো প্রার্থী আসেননি, শুধু বর্তমান এমপি বি,এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম মাঠে রয়েছেন। তাঁর জন্যই আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছে মনোনয়ন চাইব।’


এ আসনে কখনো বিএনপি জয়ী হতে পারেনি। সাংগঠনিকভাবেও দলটি মজবুত নয়। তবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন বেশ কয়েকবার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ব্যবসায়ী হওয়ায় সারা বছর টাকা খরচ করে দলটিকে সক্রিয় রেখেনছেন।দলে পেছনে তিনি প্রচুর টাকা খরচ করলেও ভোটের রাজনীতিতে তিনি তেমন ভালো করতে পারেননি। এবারও বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন এ নেতা। এ ছাড়াও এবার আলোচনায় রয়েছেন নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ কামরুজ্জামান মামুন।


উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে আছি। দলের কাছে আমিও মনোনয়ন চাইব। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেব।’


এবার জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম। তিনিই এখন নাসিরনগর জাতীয় পার্টির কর্ণধার। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি।


 বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সচিব অ্যাডঃইসলাম উদ্দিন দুলাল। বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল কাশেম মুহা. আশরাফুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের হুসেইন আহমদ ও জাতীয় পার্টি (বিজিবি) থেকে ফায়েজুল হক, বাসদ থেকে মনোনয়ন চাইবেন মোঃ বকুল হোসেন খান।


আসনটি হাওড়বেষ্টিত। এখন উপজেলা সদরের সঙ্গে  এখনো অনেক ইউনিয়ন ও গ্রামের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। ফলে হেঁটে কিংবা নৌকা  চলাচল করতে হয়। ভোটারদের অনেকেই বলছেন, এলাকাটি এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। এই সরকারের আমলে অনেক কাজ হয়েছে। তবে আরও ব্যাপক উন্নয়ন দরকার। এখানে কলকারখানা স্থাপনের দাবি জানান স্থানীয় জনগণ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



নবীনগর বিদ্যাকুটে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে,অগ্নিকান্ডে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৬৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বিদ্যাকুটে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল সহ বসতঘর পুরে ছাই।

উপজেলা বিদ্যাকুট  পশ্চিম পাড়ার একটি  বসত ঘরে অগ্নিকান্ডে নগদ অর্থ স্বর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল সহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েগেছে ।

গেল শুক্রবার দিবাগত রাত, ৮ ঘটিকায় ওয়াহেদ ডিলারের বাড়ির , মরহুম আবু তাহেরের বসতঘরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।


স্থানীয়রা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৮ ঘটিকায় পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে,  বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়,  অগ্নিকান্ডে একটি , বসতঘরের টিভি, ফ্রিজ ও ৪ ডাম চাওলা ,নগদ টাকা ও আসবাবপত্র ও সর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সম্পুর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 


মসজিদের মাইকে এলান করার পর প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে , এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে পারেনি , দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতেছে ৷ ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়নি পাকা বিটির  চৌচালা টিনের ঘরের আধুনিক সব সরঞ্জামাদি সহ আসবাবপত্র,


পড়ে খবর পেয়ে নবীনগরের ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট, ও স্থানীয়রা এসে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মরহুম আবু তাহেরের স্ত্রী বলেন , প্রায় এক বছর পূর্বে  আমার জমি বিক্রি করে  ২২ লাখ টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছিলাম, 


গত রাতে আগুন লেগে আমার বসতঘরের টিভি, ফ্রিজ ও ৪ ডাম চাওলা ,নগদ টাকা ও আসবাবপত্র ও সর্ণলংকার সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সম্পুর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


আমি আমার ঘরে নামাজ পড়তে ছিলাম।হঠাৎ একটি শব্দ শুনতে পাই, বের হয়ে দেখি আমার ঘরে আগুণ লেগেছে।আমি চিৎকার করতে দেখে গ্রামের লোকজন আগুন নিবানোর জন্য আসে।আগুন নিবানো হলেও আমার ঘরে আর কিছুই নেই সবই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।আমার শরীরে থাকা কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ডেমরায় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ৬৬ নং ওয়ার্ডের ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো একটি রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ব্যানারে শনিবার সকাল ১১ টায় ঐ রাস্তার সামনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের মাঝখানে দেয়াল তুলে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে লিপি আক্তার নামে এক নারী। এতে প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে এই সড়কের মাঝে উত্তোলন করা দেয়াল ভেঙে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। অবিলম্বে এই সড়কটি অবমুক্ত করে দেওয়া না হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ ওয়াসার খাবার পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হবে, সুয়ারেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যতে বৃহত্তম কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধন থেকে স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এবং ডেমরা থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ থাকে যে গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটাউনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক একজন এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।


আরও খবর



হাকিমপুরের রমজানের গুরুত্ব তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে কাশিয়াডাঙ্গা শাহাদাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কল্পে সূধী সমাবেশ ও রমজানের গুরুত্ব তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা

ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার বিকেলে উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা শাহাদাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্ধসঢ়;রাসার আয়োজনে মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে উন্নয়ন কল্পে সূধী সমাবেশ ও রমজানের গুরুত্ব তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুন উর রশীদ হারুন।

অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন,যুক্তরাজ্য বার এ্যাট-ল,দিঅনারেল সোসাইটি অফ লিংকনস্ধসঢ়; ইন লন্ডন ব্যারিষ্টর সানী আব্দুল হক, হাইকোর্ট এর এ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন,(বাবুল), ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুজ্জামান ইসলাম,বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজের সহযোগি অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের নিউরো সার্জারী ডা:আব্দুল আহাদ, আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, মনসাপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আলহাজ্ব আব্দুল কালাম আজাদ,হরিহরপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আফজালুল হক মাস্টার,ডুগডুগির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলম,ওই মাদ্ধসঢ়;রাসার সেক্রেটারী মোস্তাফিজুর রহমান,প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,শফিকুল ইসলাম,মাওলানা ইদ্রিস আলী,হাফেজ আব্দুল কাসেমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জয়পুরহাট সিদ্দিকিয়া মেডল কামিল মাদ্ধসঢ়;রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল মতিন,দ্বিতীয় আলোচক হাকিমপুর পাউশগাড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্ধসঢ়;রাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা মামুনুর রশিদ।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় সড়কে মারা গেলেন ৪০৭ জন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবার ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি । এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ জন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্র্টস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান।

সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ঈদযাত্রায় রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিলেন। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।


আরও খবর



থানার ভিতরেই নষ্ট হচ্ছে ৩ কোটি টাকা মুল্যের মোটরসাইকেল, কারও মাইক্রোবাস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭৬জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় শতাধিক দামি মোটরসাইকেল পড়ে আছে সৈয়দপুর থানার খোলা আকাশের নিচে। শুধু মোটরসাইকেল নয়, পাশেই রয়েছে জরাজীর্ণ মাইক্রোবাস প্রাইভেট কার, সহ অন্যান্য যানবাহন। নিত্যদিনের রোদ, বৃষ্টি,আর ধুলায় এসব গাড়ির যন্ত্রাংশে মরিচা ধরে গেছে। একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থাকায় অধিকাংশ যানবাহন অকেজো হয়ে গেছে।এ যানবাহনগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন অপরাধে জব্দ করা মামলার আলামত। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে এগুলো। আইনি জটিলতার কারণে অনেক মালিকই ছাড়িয়ে নিতে পারেন না এসব।  অন্যদিকে আইনি জটিলতার কারণে নিলাম না হওয়ার কারনে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

গতকাল ১ এপ্রিল সোমবার থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানা প্রাঙ্গণে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জব্দ করা প্রায় শতাধিক যানবাহন। সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যানবাহন খোলা স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। 

থানার কর্মকর্তাদের দাবি, জব্দ করা যানবাহন রাখার জন্য আলাদা  নির্দিষ্ট কোন গ্যারেজ নেই। গ্যারেজ থাকলে জব্দ করা যানবাহন গুলো নষ্ট হতো না। সরকারের কোষাগারে জমা হতো পর্যাপ্ত রাজস্ব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর থানায় জব্দকরা যানবাহনগুলো একই স্থানে পড়ে আছে বছরের পর বছর। ১০/১২ বছর আগে আটক করা গাড়িও আছে সেখানে। যার অধিকাংশই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক গাড়ি রয়েছে যেগুলোর ভেতরে, বাইরে ধুলা, ময়লা জমে যন্ত্রাংশ ক্ষয়ে খসে পড়ছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, জব্দ করা মোটরসাইকেলের সংখ্যা  প্রায় শতাধিক। এ ছাড়া ৩ টি প্রাইভেটকার ১ টি মাক্রোবাস সহ অন্যান্য যানবাহন খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বিভিন্ন অপরাধে এসব যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। কাগজপত্র না থাকায় সঠিক মালিকের কাছেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন বলে তিনিও মনে করেন। কিন্তু গ্যারেজের মত সেড না থাকায় সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘দৈনিক অথবা মাসে যে পরিমাণ গাড়ি আমাদের এখানে জমা হচ্ছে, সে অনুসারে মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আইনি জটিলতার ফলে জব্দ হওয়া বাহনের সংখ্যা বাড়ছে। অল্প জায়গায় অধিক যানবাহন রাখার কারণে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশ। জায়গা না থাকায় এগুলোকে খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয়।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন বলেন গাড়ি রাখার ভালো কোন জায়গা না থাকায় অনেক সময় অনলাইনের মাধ্যমে জরিমানা করে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়। ভালো জায়গা থাকলে ও কাগজ পত্র বিহীন গাড়ির দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হলে, খোলা আকাশের নিচে যানবাহন নষ্ট হতো না এবং সরকারও পেতো রাজস্ব। 


আরও খবর