Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাপানি মায়ের জিম্মায় থাকবে দুই শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৩৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মায়ের সেই দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার আদেশ দিয়েছেন ঢাকা জেলা জজ আদালত। রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া বাবার আপিল খারিজ করে এ রায় দেন।

গত ৬ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইমরান শরীফের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী জাপানি দুই শিশু কার জিম্মায় থাকবে- এ সংক্রান্ত আপিল শুনানিতে বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন। পর ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে খারিজ করেন হাইকোর্ট।

ফলে ঢাকা জেলা জজ আদালতে জাপানি দুই শিশু কার জিন্মায় থাকবে- এ সংক্রান্ত আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এখানেও বাবার আপিল খারিজ করে মার জিম্মায় দুই শিশুকে রাখার আদেশ দেন।

এর আগে গত ৯ মার্চ জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বিদেশে নিয়ে যেতে জাপানি মায়ের আবেদন নাকচ করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুই শিশু কার জিম্মায় থাকবে এ সংক্রান্ত আপিল জেলা জজ আদালতকে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। এ সময় পর্যন্ত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকবে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

ওইদিন আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন, আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না, এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি সিভিল রিভিউ পিটিশন ও একটি এক্সপাঞ্জ চেয়ে আবেদন করেছিলেন জাপানি মা। আপিল বিভাগের আগে একটি আদেশ ছিল আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা যেন আদেশ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য আবেদন করেছিলেন জাপানি মা।

বাবা ইমরান শরীফ নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ জাপানি মা দুইবার চেষ্টা করেছেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। মা নাকানো এরিকোও একটা আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ বাবা ইমরান একটি শিশুকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। এ কারণে তিনি এ আবেদন করেছিলেন। এই চারটা আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন, মা নাকানো এরিকো যেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে।

একইসঙ্গে জেলা জজ আদেশ দিলেন শিশুদের জিম্মায় রাখা সংক্রান্ত আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার। এছাড়া আরেকটা নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা হলো স্ট্যাস্টাকো (স্থিতিবস্থা) মেনে চলার। যার অর্থ এখন যে অবস্থায় আছে,সেই অবস্থাটা মেনে চলতে হবে যতদিন পর্যন্ত জেলা জজ আদালতে থাকা আপিলটা নিষ্পত্তি না হয়। এর অর্থ দুই শিশুকে দেশের বাইরেও নেওয়া যাবে না। তারা যে যার কাছে আছে, সেখানেই থাকবে।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ ও জাপানি মা নাকানো এরিকোর দুই শিশুকে জাপানি মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নাবালিকা দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা কোথায় থাকলে কল্যাণ হবে সেদিক বিবেচনায় রেখে এ রায় দেওয়া হয়। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এ রায় দেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণ: রায়ে আদালত বলেছেন, মামলা করার কারণ আদালতের কাছে প্রমাণ করতে পারেনি বাদীপক্ষ। বরং আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা দুই শিশুর বেড়ে ওঠা জাপানে। সেখানে তারা লেখাপড়া করেছে। তাদের মা নাকানো এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক।

তিনটি সন্তান জন্মের পর মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে সন্তানদের পাশে ছিলেন। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, জাপানে বেড়ে ওঠা দুই শিশুর প্রাথমিক শুশ্রূষাকারী তাদের মা নাকানো এরিকো। অথচ তাকে কিছু না জানিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়া হঠাৎ অন্য একটি দেশে নিয়ে আসাটা মাতৃত্বের বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন রূপটিকে অসম্মান করার নামান্তর।

রায়ে আদালত আরও বলেছেন, বাবা হিসাবে ইমরান শরীফ নাবালিকা দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার পূর্ণ হকদার। তবে জাপানি মায়ের কাছে দুই নাবালিকার হেফাজত তাদের শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক, তথা সার্বিক মঙ্গলজনক বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আপিল করেন বাবা ইমরান শরীফ।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



‘আদম’ সিনেমার তরুণ নির্মাতার হঠাৎ মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:গত বছর ‘আদম’ নামের একটি ছবি মুক্তি দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এরপর আরও কয়েকটি ছবিও নির্মাণে হাত দিয়েছিলেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি এর মধ্যেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর।

রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসায় মৃত্যু হয় এই তরুণ নির্মাতার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাসাটির কেয়ারটেকার গাজী নজরুল ও হিরণের প্রতিবেশী ইকরাম। ওই বাসাটির দ্বিতীয় তলায় তরুণ এই পরিচালক ভাড়া থাকতেন। গাজী নজরুল জানান, আজ সকাল ৬টার দিকে হিরণ তাকে কল দিয়ে জানান, তিনি স্ট্রোক করেছেন। পরে দ্রুত নজরুল ওপরে ছুটে যান। তবে রুম ভেতর থেকে বন্ধ থাকার কারণে তিনি রুমে ঢুকতে ব্যর্থ হন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে তাকে মৃত অবস্থায় পান।

ঢাকায় হিরণের পরিবারের তেমন কেউ নেই বলে জানা গেছে। তবে ইতোমধ্যে তার খুলনার বাড়িতে খবর দেয়া হয়েছে। শিগগির তার মরদেহ খালিশপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আবু তাওহীদ হিরণের। প্রবল চেষ্টায় বানিয়েছিলেন ‘আদম’ ছবিটি। যেখানে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহীদুজ্জামান সেলিমের মতো অভিনয়শিল্পী। গত বছরের রোজার ঈদে এটি মুক্তি পায়।

এরপর হিরণ নির্মাণ করেছেন ‘রং রোড-অধ্যায় আদুরী’ নামের একটি ছবি। যেটির নাম ভূমিকায় আছেন মানসী প্রকৃতি। এটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে আরও একটি ছবির ঘোষণা দেন এই তরুণ। ‘দ্য পাপ্পি’ নামের সেই ছবির গল্প কুকুরকে ঘিরে। কিন্তু কাজ আর সেরে যেতে পারলেন না।

আরও খবর



ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



যশোরে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:আজ যশোরে তীব্র তাপদাহে জলছে। দুপুর তিনটায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। যা জনজীবনে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই তীব্র গরমের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। রাস্তাঘাট প্রায় শূন্য পৌছে গেছে। দুপুরের তীব্র রোদের মধ্যে রাস্তায় বের হলে ত্বকে পোড়া ভাব অনুভূত হচ্ছে।

শিশু, বৃদ্ধ ও দুর্বল মানুষ এই তীব্র তাপদাহের দ্বারা বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে যশোরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


আরও খবর



বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস ৬ বিভাগে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস এমনটাই বলছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় আজ শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস রয়েছে।

সেই সঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমে আসতে পারে।

এদিকে, পরবর্তী পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর