Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কুষ্টিয়া শাখার মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ১৬১জন দেখেছেন

Image
হাবিবুর রহমান:কুষ্টিয়া জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির ডাকে সাড়া দিয়ে ১০ জুন ২০২৩ইং শনিবার সকাল ১০ টায় থানা মোড়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কুষ্টিয়া জেলা শাখার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আরিফ খানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান ও যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শেখ সুভিন আক্তার ।আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের  সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহম্মদ, আসাদুল ইসলাম শান্ত, দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি মোঃ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক শহীদ রানা, মিরপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি মেহেদী হাসান সানি, সাধারণ সম্পাদক রাহুল আহমেদ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহসান হাবীব বিদ্যুৎ , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জনি, আল্লার দরগাহ ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধ সভাপতি ফয়সাল সহ আরো অনেকে। সংগঠনের নেতারা একই দাবি জানান মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কারী খুনী আলবদর আল শামস এবং রাজাকারদের সংগঠন জামায়াতে ইসলামী কে আইন করে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। মুজিববাদ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।

আরও খবর



তানোরে প্রধান শিক্ষক আ"লীগ নেতার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে এক প্রধান শিক্ষক ও আ"লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খাস জায়গার তরতাজা গাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কলমা ইউনিয়ন (ইউপির)  চন্দনকোঠা লসকুরির পার্শ্বে ঘটে রয়েছে গাছ কাটার ঘটনাটি। গাছ কাটা ব্যক্তি চন্দনকোঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কলমা পূর্ব শাখা আ"লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। এঘটনায় চন্দনকোঠা গ্রাম বাসীর পক্ষে রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে গত বুধবার শিক্ষক আনোয়ারকে বিবাদী করে সহকারী কমিশনার ভূমির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তরতাজা গাছ কাটায় ওই এলাকায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেই সাথে জায়গার পার্শ্বে বসবাসরত আদিবাসি জনসাধারনও ব্যাপক ক্ষুব্ধ।অভিযোগে উল্লেখ, উপজেলার কলমা ইউনিয়ন (ইউপির)  চন্দনকোঠা মৌজার অন্তর্গত আরএস ১ নম্বর খাস খতিয়ান ভুক্ত ১৩২ নম্বর আরএস দাগে ২ একর ৩০ শতাংশের মধ্যে ১ একর ৮১ শতাংশ ভিটা ও পুকুর রয়েছে। পুকুরে ও পাড়ে থাকা ৮/১০ টির মত আম গাছ কেটে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এর আগেও একই পরিমানে তাল ও আম এবং অন্য প্রজাতির গাছ কেটে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এক্ষনে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক। 

বুধবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, দরগাডাংগা থেকে চন্দনকোঠা গ্রামে প্রবেশের পথেই মুল রাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম দিকে রয়েছে পুকুর। পুকুরের দক্ষিণ দিকে খাস জায়গার উপরে রয়েছে আম বাগান। বাগানের দক্ষিণে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। সেখানে যেতেই অনেক আদিবাসী মহিলা পুরুষ এসে জড়ো হয়। তারা বলেন, এটা খাস জায়গা ও পুকুর। জায়গাটিতে আমাদের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করেন। কিন্তু মাস্টার প্রচুর গালমন্দ করেন। সে পুরো জায়গাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। প্রয়োজনে গরু ছাগল বাধার দরকার হলেও মাস্টার বাধতে দেয়না। তার ভয়ে জায়গায় কেউ যায় না। এমনকি পুকুরে গরুকে গোসল পর্যন্ত করাতে দেয়না। পুকুরে এক জাতীয় শামুক থাকে সেটা আমরা খায়, কিন্তু পুকুরে নামতে দেয়না। আমরাও ভয়ে কিছু বলিনা। আমগাছ গুলো কয়েকদিন ধরে কাটা শুরু করেন। কিন্তু অভিযোগের পর প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। সেখানে ৭/৮ টির মত গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। বাকি ৫/৭ টি গাছ কাটা হয়নি। গাছগুলো কাটা পড়লে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হবে। 

সেখান থেকেই প্রধান শিক্ষক আ"লীগ নেতা আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমার পিতা এমপির পিতার কাছ থেকে জায়গা ও পুকুর কিনে নিয়েছিল। পিতা মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ সুত্রে পেয়ে ভোগ দখল করে আসছি। জায়গাটি খাস কেনা বেচা কিভাবে হল জানতে তিনি জানান দলিল খারিজ খাজনা সব আছে, আমি নোয়াখালীতে আছি আগামী রবিবারে ভূমি অফিসে জমির কাগজ দেখানো হবে। তার এমন কথা আদিবাসীদের বলা হলে পরমেস হেমরমের স্ত্রী ঠুনকি মুরমু বলেন,  আজ থেকে প্রায় ৭০/৮০ বছর আগে আমার পিতা রামজিদ মুরমু বাড়ি ঘর করে বসবাস করত। কিন্তু ৪০/৫০ বছর আগে মাস্টারের পিতা কছিমুদ্দিন উচ্ছেদ করে আমাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে জায়গাটি দখলে নিয়েছেন। খাস জায়গা কোন কেনা বেচা হয়নি। এমপির পিতা নাকি মাস্টারের পিতার নিকট জায়গাটি বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজনরা বলেন, যদি নিজের জায়গা হয় তাহলে প্রশাসন এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দিল কেন। এসব সব মিথ্যা। আমরা কখনোই শুনিনি যে এমপির পিতা জমি বিক্রি করেছে। মাস্টারের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।অভিযোগ কারী রবিউল ইসলাম বলেন, জায়গাটি খাস। এর আগেও আনোয়ার মাস্টার গাছ কেটে বিক্রি করেছিল। আবার আম গাছ কাটা শুরু করেছেন। আ"লীগের পদ পেয়ে নিজেকে বিশাল কিছু মনে করছেন। এটা ভেবেই সরকারি জায়গার গাছ নিধনে মেতে উঠেছে। অভিযোগের পর কর্তৃপক্ষ গাছ কাটা নিষেধ করেছেন।আমরা চাই সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।সহকারী কমিশনার ভূমি আবিদা সিফাতের সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে বিজি পাওয়া যায়। 

আরও খবর



মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত ২৯৬

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৯৬ জনের মৃত্য হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যা ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

সেই সঙ্গে দেশটির বহু বাসিন্দাকে রাস্তায় রাত কাটাতে হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ইউএসজিএস বলেছে, দেশটির স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছুক্ষণ পরে আটলাস পর্বতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থল মারাকাশের প্রায় ৭২  কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-আওলায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২৯৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৫৩ জন। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, আফটারশকের জন্য বাসিন্দারা এখনও ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

দেশটির এ বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাসিন্দাদের নিরাপদে অবস্থান নেওয়ার সতর্ক করেছেন। ইউএসজিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবারের এ ভূমিকম্প অঞ্চলটির জন্য অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী ছিল।

এতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সিএনএন বলেছে, এ দুর্ঘটনায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে। সূত্র: সিএনএন


আরও খবর



হাত রেখেছি তোমার হাতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:এক বছর ধরে মিলন তমাকে ওর বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছে। তখন থেকেই তমা আর মিলনের মধ্যে ভালোলাগার শুরু। মুখে ভালোবাসার কথা না বললেও তাদের দু'জনেরই পরষ্পরের প্রতি অনুভূতিটা প্রগাঢ়। তবে মিলনের ভয়: তমার বড়লোক বাবা যদি তার মত বেকার দরিদ্র ছেলেকে মেনে না নেয়! একদিন হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে আমেরিকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তমার চাচাতো ভাই ফারহান। ফারহানকে দেখে তমার বাড়ির সবাই অবাক। ফারহান আসায় তমার বাবা একদিকে যেমন খুশি তেমনি মনে মনে কিছুটা আতঙ্কিত এই ভেবে যে ফারহান হয়ত তার বাবার সম্পত্তির ভাগ নিতে এসেছে। তমার মায়ের মাথায় এক বুদ্ধি আসে : তমাকে ফারহানের সাথে বিয়ে দিতে পারলে সব দিক রক্ষা হয়। তবে তমা এই প্রস্তাবে রাজি না। সে এ মুর্হূতে কি করবে বুঝতে পারে না।

পরিস্থিতি যখন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে তখন ফারহানই তার চাচাকে তমার সাথে মিলনের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অবশ্য তার আগে সে মিলনের সাথে দেখা করে তারও ভুল ভাঙায়। তাছাড়া ফারহান এতোদিন পর তার গ্রামে আসার উদ্দেশ্য সর্ম্পকে জানায়: তার ইচ্ছা তার দাদার নামে তাদের গ্রামে একটা কলেজ নির্মান করা। তার আরও ইচ্ছা সেই কলেজে শিক্ষকতা করবে মিলন আর কলেজের তদারকি করবে তার চাচা।

এরকমই একটি গল্প নিয়ে আলোকসজ্জার প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’। শরিফুজ্জামান সাগরের কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে এবং সাকিল সৈকতের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, সালহা খানম নাদিয়া, সাইফুল ইসলাম,শিল্পী সরকার অপু, আব্দুল্লাহ রানা, শেলী আহসান, মুকুল সিরাজ,অদিতি সহ অনেকে।

নাটকটি প্রসঙ্গে পরিচালক সাকিল সৈকত বলেন, রোমান্টিক ধাঁচের গল্প নিয়ে 'হাত রেখেছি তোমার হাতে' টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছি। গল্পের চাহিদা অনুযায়ী অভিনয়শিল্পী বাছাই করেছি। শরিফুজ্জামান সাগর ভাই দুর্দান্ত একটি গল্প লিখেছেন। অভিনয় শিল্পীরাও ভালো অভিনয় করেছে। আশা করছি দর্শকরা খুবই ইনজয় করবে।

অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক বলেন,  ‘টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। যখন গল্পটি আমি পড়ি মনে হয়েছে বর্তমান সময়ের গতানুগতিক ধারার চেয়ে ভিন্ন কিছু দর্শক উপভোগ করতে পারবে।’

অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া বলেন,  ‘সাকিল সৈকত ভাই ভালো ডিরেক্টর। অন্যদিকে ‘হাত রেখেছি তোমার হাতে’ টেলিফিল্মটির গল্প খুবই চমৎকার। সহশিল্পীরাও খুবই ভালো কাজ করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি ভালোভাবে অভিনয় করার। বাকিটা টেলিফিল্মটি দেখে দর্শকরাই বলবেন।

আলোকসজ্জার প্রযোজনায় টেলিফিল্মটির সহযোগী পরিচালক হিসেবে ছিলেন দ্বীন ইসলাম সম্রাট, চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন নুরুন্নবী তরুন এবং এডিট,  কালার ও পোস্টার ডিজাইন করেছেন রণি শিকদার জিতু

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাত ৮:৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে 'হাত রেখেছি তোমার হাতে' টেলিফিল্মটি প্রচারিত হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারসহ এক শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:নওগাঁর মান্দায় সড়ক দূর্ঘটনায় একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ও একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বিজয়পুর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, নাটোরের লালপুর উপজেলার হাজিরহাট ভবানীপুর এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে আরিয়ান খান রকি(২৪) এবং বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমহনী এলাকার আবু মুসার ছেলে রবিউল ইসলাম(১৯)। 

নিহত রবিউল দুপচাঁচিয়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে এসএসসি পাশ করেছে এবং আরিয়ান খান রকি একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, আরিয়ান আমাদের প্রতিবেশীর মেয়ে জামাই। তার সাথে ব্যাক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে তারা দুইজন রাজশাহী থেকে আসছিলেন। এর মধ্যে একটি বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা চার্জারভ্যানের পেছনের দিকে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে তারা গুরুতর জখম হন। তাৎক্ষণিক ভাবে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা দুইজনই মারা যান।

মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল মালেক বলেন, আহত আরিয়ান খান রকি হাসপাতালে নেওয়ার আগে এবং  রবিউল ইসলাম জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মোজাম্মেল  হক কাজী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

আরও খবর



খুবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কর্মশালার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত: উপাচার্য ড.মাহমুদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image
ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক কাউন্সেলিং এন্ড মোটিভেশন শীর্ষক কর্মশালার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত এ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হচ্ছে নিজেকে প্রস্তুত করে নেওয়ার উত্তম সময়। দীর্ঘ ১২ বছরের শিক্ষাজীবন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে বেশ কিছু পার্থক্যের মুখোমুখি হতে হয় নবীন শিক্ষার্থীদের। এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা স্কুল-কলেজ থেকে আলাদা। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে তৈরি করতে হবে।তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে একই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে সব ডিসিপ্লিনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হয়। ছাত্ররাজনীতি না থাকলেও নিজেকে বিকশিত ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ করার জন্য এখানে অনেক সংগঠন রয়েছে। এখানকার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা দক্ষ দেশপ্রেমিক ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু লেখাপড়া বা আভিধানিক জ্ঞান অর্জনের জন্য নয়, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। দেশ ও জাতির জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রিন-ক্লিন ক্যাম্পাসে পরিণত করতে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।পরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাগতভাবে নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। উক্ত শপথবাক্যে সন্ত্রাস, ছাত্ররাজনীতি, র‌্যাগিং ও মাদককে না বলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য রিসোর্স পারসন হিসেবে ‘কী টু সাকসেস ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক একটি সেশন উপস্থাপন করেন। এছাড়াও কর্মশালায় ‘টিচিং লার্নিং অ্যাপ্রোচেস ইন হায়ার এডুকেশন’, ‘এডুকেশন সিস্টেম, রুলস এন্ড রেগুলেশন্স ইন কেইউ’, ‘এক্সেস টু রিসোর্স, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি ইন কেইউ’ এবং ‘স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস ইন কেইউ’ শীর্ষক আরও ৪টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।কর্মশালাটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সফলতা অর্জনের বিভিন্ন দিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়মকানুন, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন দিকে আলোকপাত করা হয়।অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন মুদ্রিত সমন্বিত প্রসপেক্টাস বিতরণ করা হয়। কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুল এবং আইন স্কুলের আওতাধীন ৬টি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর