Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার আইন (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯) অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

মনোয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের রিট খারিজের লিখিত আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার ৫ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সিআইবি রিপোর্টে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ছিল। গত ২ মে তিনি সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ৯ (২) ধারা তুলে ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এই আইন অনুযায়ী আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোনো ঋণ বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা ছাড়াও বন্ধকদাতা বা জামিনদার ঋণখেলাপি বলে গণ্য হবেন।

এর আগে গত ৮ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আসাদুজ্জামান মনির, ওয়ায়েস আল হারুনী, নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন ফাইল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী নকীব সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৭ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর হয়।

তার আগে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ১ কাপ চায়ের দাম ৫শত টাকা- লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) রেজাউল করিমের ২২ সেপ্টেম্বরের পর আবারও উৎকোচ গ্রহনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 

জানা গেছে, গত রবিবার ঐ ভুমি অফিসে এক ব্যাক্তি ১০টাকা খাজনা দিতে যায়। এতে ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা নেন সংশ্লিষ্ঠ্য ভূমি কর্মকর্তা। টাকা লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অথচ ভূমি অফিসের দেওয়ালে লেখা রয়েছে আমি এবং আমার অফিস দুর্নীতি মুক্ত। যেখানে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, টাকা না হলে খারিজ হবে না,বাধ্য হয়ে আমি সোমবার খারিজ বাবদ ৮হাজার টাকা দিয়েছি সংশ্লিষ্ঠ্য তহসিলদারকে। 

এছাড়াও ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঐ কর্মকর্তার নামে টাকা লেনদেনের আরএকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। রবিবার (২১ এপ্রিল) ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ শত টাকা নিয়ে খাজনা রশিদ দিয়েছে সহকারী ভুমি কর্মকর্তা রেজাউল করিম। অথচ দেশের সকল ইউনিয়ন ভুমি অফিস কে ক্যাশলেস অফিস ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ঐ ভ‚মি কর্মকর্তা ভদেশ্বরী মৌজার ১৩৪ নম্বর হোল্ডিং এর ৫২৫/১ খতিয়ান ভুক্ত ২০.০০ (বিশ) একর পরিত্যক্ত সম্পত্তির ভুমি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। বিষয়টি তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা ১৪-০৮-২২ সালে ৪৯৫ নম্বর স্বারকে ভুমি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশের জবাব এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

স্থানীয় সুত্রে আরো জানাযায়,তাঁর কর্মকালীন সময়ে তিনি কমপক্ষে ১০০.০০ (একশত) একর এর অধিক সরকারি সম্পত্তিকে ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তি দেখিয়ে সেগুলির নামজারির প্রস্তাব প্রদান, ভুমি উন্নয়ন কর গ্রহন, অথবা হোল্ডিং অনুমোদন এর মাধ্যমে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। অনুমোদিত খারিজ কেসসমুহ এবং তাঁর মাধ্যমে ইস্যুকৃত খাজনার দাখিলা ও অনুমোদিত হোল্ডিংগুলি যাচাই করলে এর সঠিক পরিমান জানা যাবে।

এলাকার কিছু ভুমি জালিয়াত চক্র উক্ত খাজনা-খারিজের কাগজ দেখিয়ে চলমান আর এস জরিপে সে সকল সরকারি সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ২৭-০৩-২০১৯ সাল হতে দীর্ঘ ৫বছর একই অফিসে কর্মরত থাকার দাপটে তিনি কাউকে কোন কিছুই তোয়াক্কা করছেন না। ধর্মগড় ইউনিয়নের বেংপোখর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জল বলেন,আমি একটা খারিজ বাবদ অনেক দিন ধরে ঘুরতেছি, আজ নয় কাল এই ভাবে দিন ক্ষেপন করতেছে। এইটা কাগজ লাগবে ঐটা লাগবে,বলে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে শেষে মোটা অংকের টাকা চেয়েছে আমার কাছে টাকা না দিলে খারিজ হবে না মর্মে জানিয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম গত সোমবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ১০ টাকা খাজনা বড় বিষয় নয় তিনি আমাকে ৫শ টাকা চা খেতে দিয়েছেন। ক্যাশল্যান্ড অফিসে টাকা লেনদেন বিষয়ে তিনি বলেন, জমি মালিকদের বিকাশ নাম্বার থাকেনা তাই তারা আমাকে টাকা দেয় আমি ক্যাশ প্রেমেন্ট করে থাকি। ২২ সালে টাকা লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,তখন অফিসে হাতে হাতে টাকা লেনদেন হতো তাই সে ভিডিওটি কেবা কাহারা করেছে। ভদেশ্বরী মৌজার ১৩৪ নম্বর হোল্ডিং এর ৫২৫/১ খতিয়ান ভুক্ত ২০.০০ (বিশ) একর পরিত্যক্ত সম্পত্তির ভ‚মি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগেও তহসিলদারা নিয়েছে আমিও নিয়েছিলাম এবং এসিল্যান্ড স্যার আমাকে শাস্তি সোরুপ শোকজ নোটিশ প্রদান করেছিলেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার ভূমি রাকিবুল হাসান বলেন, ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে ৭ দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ"বৈশাখ আসে বৈশাখ যায়"দিয়ে যায় নাড়া বাঙ্গালির চেতনায়।এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার পৌর শহরের ডিগ্রি কলেজ মাঠে ৭ দিন ব্যাপী  ঐতিহ্যবাহী ৩১তম বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ৮টায় এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল।

উপজেলার বৈশাখ উদযাপন পরিষদ ও মেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যাপক ইয়াসিন আলীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও -৩ আসনের এমপি ও সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ।

গেস্ট অব অনার হিসাবে বক্তব্য দেন সাবেক এমপি ও জেলা আ'লীগ সভাপতি সেলিনা জাহান লিটা, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, ইউএনও রকিবুল হাসান, আ'লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান,ওসি সোহেল রানা। 

আরো বক্তব্য দেন, আ'লীগ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ,জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল বাতিন স্বপন, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও শেফালী বেগম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান,সাবেক মেয়র আলমগীর সরকার, জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহবায়ক আবু তাহের, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী, জাপা আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাব (পুরাতন) সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান। 

এছাড়াও পৌর আ'লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক, যুব লীগ সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক আরথান আলী প্রমুখ।বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতাকর্মী, শিক্ষক, মেলা কমিটির সদস্য এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে অধ্যাপক প্রশান্ত বসাকের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বৈশাখী মেলার মঞ্চে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আরও খবর



বাংলাদেশের ২৭ জেলেকে সাগর থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতীয় বঙ্গোপসাগরে সীমানায় ভাসতে থাকা বিকল বাংলাদেশি ফিশিং বোট ‘এফভি সাগর-০২’-এর ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া হতে ‘এফভি সাগর-০২’ নামক একটি ফিশিং বোট ২৭ জন জেলেসহ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হঠাৎ বোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং স্রোতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে।

বিষয়টি ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা দ্রুত জেলেসহ বোটটিকে উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে।

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ ২৭ জন জেলেসহ বোটটিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে।


আরও খবর



আমতলীতে ৪৮ ঘন্টায় ৬২ জন ভর্তি,কলেরা স্যালাইন তীব্র সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৪৮ ঘন্টায় ৬২জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্যরা। বেডে ঠাই না হওয়ায় আক্রান্ত রোগীরা নিরুপায় হয়ে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে রোগীদের।ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভর্তি রোগীদের বাহির থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। এতে গরীব রোগীরা পরেছে চরম দুর্ভোগে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল ১১ টা পর্যন্তÍ ৪৮ ঘন্টায় আমতলী হাসপাতালে ৬২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।

৬ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা সংকুলান না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে রোগীরা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সরকারী ভাবে এ চিত্র পাওয়া গেলেও গ্রামের চিত্র ভয়াবহ। অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে না এসে গ্রাম্য চিকিৎকের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী বলে এক বেসরকারী তথ্যে জানা গেছে।গুলিশাখালী ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব আকন বলেন, প্রায় ঘরে ঘরেই এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্তের রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বেডের অভাবে অনেক রোগী হাসপাতালের বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিসা নিচ্ছেন।

এসময় গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি গ্রামের ষাটোর্ধ মজিদ হাওলাদার (৬৩) নামে এক রোগী বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে জায়গার অভাবে এখন বারান্দায় শুয়ে চকিৎসা নিচ্ছি। এখানে ফ্যান নেই গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের আরেক রোগী রুকাইয়া (১৩) নামের এক কিশোরী বলেন, বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখান থেকে বাথ রুমে যেতে কষ্ট হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বৈঠাকাটা গ্রামের আশমান খাঁ (৯০) বলেন, বাবা খালি পানির মত পড়ে। হাসপাতালে আইছি। হেও আবার রুম পাইনাই। ওষুধ নাই। বাইরে গোনে টাহা দিয়া স্যালাইন কেনতে অয়। মোরা গরীব মানু স্যালাইন কেনার টাহা পামু কোম্মে।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের আবু ছালেহ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছি। এপর্যন্ত ৩হাজার লিটার স্যালাইন বাহির থেকে কিনে চিকিৎসা নিয়েছি।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের দুলাল সর্দার বলেন, মোর ৯ মাসের ছেলে ইয়াছিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে এনে ভুর্তি করেছি। এপর্যন্ত খাবার স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই হাসপাতাল থেকে পাইনি।

আমতলী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে পুশ করার জন্য কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। স্যালাইন সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীদের এখন ওষুদের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

আমতলী হাসপাতালের জরুররী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খান বলেন, ডায়রয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশী। তিনি বলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশী।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাওছার বলেন, শুকনো মৌসুমের কারনে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে এবং বিশুদ্ধ পানি পানের অভাবে এবং বৃষ্টি না হওয়ায় পানিতে লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আজ বা কালের মধ্যে পাওয়া যাবে। স্যালাইন পাওয়া গেলে এ সংকট থাকবে না। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সেবায় কোন ঘাটতি নেই। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা সবাই আন্তরিক ভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে


আরও খবর



১৩ বছরপর বাবার পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেলো রোকন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে দীর্ঘ ১৩ বছরপর আদালতের নির্দেশনায় বাবার রেখে যাওয়া পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেলো রোকনুজ্জামান রোকন (৪৫)। যার জন্য মহামান্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভুক্তভুগি রোকনের পরিবার।

মামলা সুত্রে জানাযায়, ডিমলা বাবুরহাট এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন। তার বাবার রেখে যাওয়া ডোমার পৌর এলাকার ছোটরাউতা মৌজায় কাজী পাড়া এলাকায় জেএল নং-২৩, খতিয়ান-৩৭৪, ১৩১৬ হালদাগে ৮৫ শতক জমি রেখে রোকনের বাবা আব্দুল জব্বার ১৯৭৯ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তারা ৯ ভাই বোনের মধ্যে রোকন ছিলো সর্বকনিষ্ঠ বাবার মৃত্যু কালীন সময়ে রোকনের বয়স ছিলো ৩ বছর। নাবালক থাকাকালীন অবস্থায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোকনের বড় ভাইবোনেরা ১৯৮০ সালে উক্ত জমিটি রোকনকে ঠকিয়ে এলাকার আনোয়ার, মোকলেছার, আঃ আজিজ নামক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। রোকন সাবালক হওয়ার পর জমি বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে। রোকনুজ্জামান

রোকন তার নাবালকের সম্পত্তি এবং বাবার পৈত্রিক জমি উদ্ধারের জন্য গত ০৫/০৬/২০১১ইং তারিখে নীলফামারী জেলার বিজ্ঞ বিচারক আদালতে অন্য-১৯/১১ মোকদ্দমা দায়ের করে। দীর্ঘদিন মামলা চলাকালীন সময়ে যাহা-২৮/০২/২০১৮ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত রোকনের পক্ষে রায় প্রদান করেন। ০৬/০৩/২০১৮ইং তারিখে ডিক্রী লাভ করে। নীলফামারী জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জনাব মোঃ মাহমুদুল করিম এ রায় প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪/০২/২০২৪ ইং তারিখে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ডোমার থানা পুলিশ এবং বিজ্ঞ আদালতের লোকজন ভেকু মেশিন দিয়ে উক্ত জমিটির স্থাপনা ভেঙেদিয়ে বাদী রোকনুজ্জামান রোকনকে ২ দাগে প্রায় ৯ শতক জমি উদ্ধার করে দখল বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে রাকনুজ্জামান রোকন জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আমার নাবালকের সম্পত্তি আমাকে সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে ফিরিয়ে দেয়ায় সেখানে আমার স্ত্রী, সন্তান পরিবার মিলে ঘড়বাড়ী তুলে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ এবং বিজ্ঞ আদালতের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।


আরও খবর