Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা

ইভ্যালির রাসেল হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৬৫জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, রাসেলের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টম্বর প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হন মো. রাসেল। পরে তার স্ত্রী জামিনে মুক্তি পান। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ওই দম্পতিসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান অভিযোগকারী। ইভ্যালির অর্ডার দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি তা পাননি।

চলতি বছরের ২ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।


আরও খবর



কুমিল্লা-ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে চলছে ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু । আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ময়মনসিংহ সিটিতে ১২৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও ভোটের এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম। ৩৩টি ওয়ার্ডে থাকছে র‍্যাবের ১৭টি টিম ও বিজিবি থাকবে সাত প্লাটুন। এই সিটি নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ রেজাউল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে, কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুইটি রিজার্ভ টিম থাকছে। এছাড়া নিয়োজিত থাকছে র‍্যাবের ২৭টি টিম ও বিজিবি ১২ প্লাটুন। এই সিটি নির্বাচনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী-তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মত নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দু'জন।

নির্বাচনে দুই সিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর ১৬ জনের ফোর্স ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকছে। এদিকে, পৌরসভাগুলোয় ১২ থেকে ১৪ জনের ও ইউপির নির্বাচনগুলোতে ২২ জনের ফোর্স নিয়োজিত করেছে ইসি।

ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, পরিস্থিতি ভালো আছে। তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।


আরও খবর



বহিরাগত যাত্রী তুলতে নিষেধ করায় ইবি শিক্ষার্থী মারধর করলেন বাস ড্রাইভার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান,ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীবাহী বাসে বহিরাগত যাত্রী তুলতে মানা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া বাস ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। রবিবার (৩ মার্চ ) দুপুরে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর ও প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের নিয়মিত ছাত্র। অভিযুক্ত রোকনুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স’ নামক ভাড়া বাসের ড্রাইভার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, 'গত শনিবার আনুমানিক বিকাল ৩ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে মজমপুর থেকে ‘নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স’ যার নাম্বার প্লেট (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৭৪৯৫) নামে একটি বাসে উঠি। বাসে উঠার পর দেখতে পায় তারা বহিরাগত যাত্রীদের কে বাসে তুলছে, পরে আমি বহিরাগতদের তুলতে নিষেধ করি এবং দ্রুত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে বাসের হেলপার আমাকে খুব অশ্লীল ভাষায় আমার বাবা-মা তুলে গালাগালি শুরু করেন। এবং এক পর্যায়ে আমাকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সানি আহমেদ মিথুন বলেন,  'দুপুর বেলা আমাদের ক্যাম্পাসের বাসে ওঠে দেখি ড্রাইভার ও হেল্পার ডেকে ডেকে বহিরাগত যাত্রী তুলছে,  আমি বাইরের যাত্রী তোলার প্রতিবাদ করলে আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং পরে ডকুমেন্টস হিসেবে ভিডিও করতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছি। আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার কঠিন বিচার দাবী করছি।'

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাস ড্রাইভার রোকনুজ্জামান বলেন, 'আমি আমার পরিচিত একজনকে গাড়িতে তুলেছিলাম তখন এই ছেলে ভিডিও ধারণ করে তখন আমি তাকে ভিডিও বন্ধ করার অনুরোধ করার পরও ভিডিও বন্ধ না করায় সামান্য কথা কাটাকাটি ঘটেছ, এর বেশি কিছু ঘটেনি।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'অফিসে অভিযোগ জমা দিয়েছে শুনেছি। আগামীকাল এ ব্যাপারে আলোচনা করে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ড্রাইভারকে নিয়ে বসেছি এবং ড্রাইভারকে চার্জ করেছি। এছাড়া এ ড্রাইভার ও হেল্পার কে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে স্থানীয় বাস মালিক সমিতির সাথে আমরা আলোচনায় বসবো।'

আরও খবর



দক্ষ আধুনিক শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আত্মপ্রকাশ করেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমবার (৪ মার্চ) পিলখানায় বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩ এর অনুষ্ঠানে,বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে চেইন অফ কমান্ড মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অফ কমান্ড একটি বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে চেইন অব কমান্ড মেনে চলতে হবে।

২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সালে কেবল সরকার গঠন করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে এক অঘটন। এই বিদ্রোহে ৫৭ অফিসারসহ ৭৪ জন জীবন হারায়। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। স্বজনদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্বজনহারার বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে কেউ বেশি জানে না। আমরা এই ঘটনার বিচার করেছি।

তিনি বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা করছি। যত খাদ্য লাগে আমরা বাইরে থেকেও নিয়ে আসছি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মানুষকে উৎপাদন করতে হবে। যাতে আমাদের কারও কাছে হাত পাততে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। বিজিবি বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে আমরা চাই। আজ বিজিবির কুচকাওয়াজ দেখে আমি আনন্দিত। বিশেষ করে, নারী সদস্যদের ড্রিল দেখে আমি বেশি আনন্দিত। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য যারা আজ পদক পেলেন আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। জাতির পিতা ‘ঈমানের সঙ্গে কাজ করো, সৎ পথে চলো’ বলে গিয়েছিলেন। তার এ নির্দেশনা আপনারা মেনে চলবেন, আশা করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশমাতৃকা রক্ষায় সদাজাগ্রত বিজিবি। তারা দেশের অর্থনীতির জন্যও কাজ করে। বিজিবি রোহিঙ্গাদেরও নিরাপত্তা দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়ায় যাইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারবে। দক্ষ আধুনিক শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা এর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিট সুন্দরভাবে সীমান্ত রক্ষা, সীমান্তে অপরাধ দমনে কাজ করতে পারছে। আমরা চাই, বিজিবি হবে অন্যতম স্মার্ট বাহিনী। এই প্রথম আমরা নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। ২০১৫ থেকে এই বাহিনীতে নারী সংযুক্ত হচ্ছে। তারা বেশ স্মার্ট, আজকে আপনারা দেখলেন।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারাই ক্ষমতা এসেছে, সীমান্ত চুক্তি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা ক্ষমতায় এসে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। ছিটমহল বিনিময় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। এতে বিজিবিও কাজ করেছে।

সকালে সাড়ে ৯টায় পিলখানায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পরে বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবির ৭২ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন এবং জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রেরণা ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন। এরপর বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন অনুষ্ঠানে।


আরও খবর



গাংনীতে টিসিবি কার্ড দেবার নামে গণহারে টাকা আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামে টিসিবি (ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) কার্ড করে দেয়ার নামে গণ হারে চাঁদা আদায়য়ের অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা বিকাশ মন্ডল নামে। তবে কাওকে তিনি টিসিবির কার্ড দিতে পারেন নি। এদিকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিকাশ ম-ল। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

জানাগেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় দরিদ্র পরিবারের জন্য সরকার স্বল্প মুল্যে খাদ্য সহায়তা(ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) টিসিবি কার্যক্রম চালু করেন। উক্ত কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে মেহেরপুর জেলায়। এর ধারাবাহিকতায় গাংনী উপজেলয় প্রায় ৩৮ হাজার পরিবার টিসিবির সুফল পাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ধারাবাহিক ভাবে টিসিবি পন্য বিতরণ করা হয় পৃথক পৃথক ভাবে।

গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার পরিবার এর আওতাভুক্ত। অথচ সরকারের এই সফলতাকে পুঁজি করে অসহায় মানুদের কাছ থেকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত গণহারে চাঁদা আদায় করেন আওয়ামীলীগ নেতা বিকাশ মন্ডল। তিনি ধানখোলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। গ্রামের দুস্থ ও অসহায়দের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে কারো কপালে টিসিবি কার্ড জোটেনি। আর এই চাঁদা আদায়ে সহায়তা করেন ওই গ্রামের মিখা মন্ডল।

সরেজমিনে নিত্যানন্দনপুর গ্রাম ঘুরে জানা যায় বিকাশ মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা। ওই গ্রামের খুশি মন্ডল, মহন মন্ডল,শুকুমারি সমিতা রানী, মার্থা,আরতি, মেরি, ঝুনু মুক্তা, শুরভি, বিজয়, চামেলি, অঞ্জলির কাছ থেকে ৭৫০ টাকা নেয়া হয়। রতন সরকার ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের কাছ থেকে নেয়া হয় ৩০০০ টাকা। শুধু নাম প্রকাশ কারিরাই নয়, এভাবে পুরো গ্রাম বাসীরে কাছ থেকেই ৭৫০ টাকা করে আদায় করেন বিকাশ মন্ডল। টাকা নেয়ার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও আজও তাদের ভাগ্যে জোটেনি টিসিবি’র কার্ড। এ নিয়ে গ্রাম বাসীদের মধ্যে দানা বেধেছে ক্ষোভ আর কষ্টের।

নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে গ্রামের অনেকেই জানান, বিকাশ মন্ডল আওয়ামীলীগ নেতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে গ্রামে এভাবে টাকা তোলেন। তার প্রতিবাদ করার কেউ নেই। যদি কেউ প্রতিবাদ করেন তাকে নানা ভাবে হয়রানী করেন বিকাশ মন্ডল ও তার বাহিনীর লোকজন।

গ্রামবাসীরা আরও জানান, বিকাশ মন্ডল গ্রামর কয়েকজনকে নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করেছে। তাদেরকে নিয়ে নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কেউ তার ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়ার দাবী এলাকাবাসীর।

বিকাশ মন্ডল টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি টাকা নিয়েছেন ঠিকই তবে ৭৫০ টাকা নয় ২৫০ টাকা নেয়া হয়েছে। এ টাকায় যাদের কার্ড রয়েছে তাদের কার্ড পুনরায় অনলাইন করতে হবে। সেই অনলাইন করতে যে টাকা খরচ হয়েছে সে টাকায় নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, ওই গ্রামে টিসিব কার্ড বিষয়ে বিকাশ মন্ডলের দায়িত্ব দিয়েছেন চেয়ারম্যান। টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না । যদি গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে তা খুবই দুঃখ জনক ও অমানবিক।

ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রাজ্জাক জানান, টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে অভিযোগ পেলে বিকাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, হত দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায়ের কোন নিয়ম নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক তুষার হাওলাদারের পরিবারকে আর্থিক অনুদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

রেজা ঝালকাঠি প্রতিনিধি:ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ঢাকার বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক তুষার হাওলাদারের (২৫) পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ অনুদান তুলে দেওয়া হয়। তুষার হাওলাদারের মা অঞ্জনা রানীর হাতে অনুদানের ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন কাঠালিয়ার ইউএনও মো. নেছার উদ্দিন।

আমেরিকার ভার্জিনিয়া ভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশীদের মানবাধিকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাভ শেয়ার বিডি এ অনুদান দিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এ সংগঠনের ঝালকাঠির প্রতিনিধি আক্কাস সিকদার, স্বেচ্ছাসেবক আবু তাহের লিটন, ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আল আমিন তালুকদার, স্থানীয় দৈনিক গাউছিয়া পত্রিকার প্রকাশক অলোক সাহা, কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচএম নাসির উদ্দিন। এ সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডক্টর এস এম জিয়াউদ্দিন হায়দার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছে লাভ শেয়ার বিডি। প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১৯৯০ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার রক্ষা এবং হতদরিদ্রদের সহায়তায় কাজ করে আসছে।

সংগঠনের সভাপতি জাকির চৌধুরী জানান, ঢাকার বেইলি রোড ট্রাজিডির ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি সমবেদনার পাশাপাশি নিহত দরিদ্র পরিবারের সহায়তা এবং আহত দরিদ্রদের চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা সহায়তার ঘোষণা দেন। এ অগ্নিকাণ্ড নিহত আর্থিকভাবে অসচ্ছল মোট ১১ জনের পরিবারকে এ অনুদান দেওয়া হবে।


আরও খবর