Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইভ্যালির গ্রাহকদের জন্য বড় সুখবর

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির ১৪ গ্রাহক।

জানা গেছে, এসএসএল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করা ১৪টি লেনদেনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম ধাপে ১৪ গ্রাহককে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৭ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, ‘প্রথম ধাপে এসএসএলের মাধ্যমে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আজ অথবা কালকের মধ্যে নগদে আটকে থাকা দেড় কোটি টাকার একটি বড় পেমেন্ট রিফান্ড করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১২ তারিখ থেকে ইভ্যালি রিফান্ড কার্যক্রম শুরু করেছে। ধাপে ধাপে বিকাশ, নগদ ও এসএসএলে আটকে থাকা টাকাগুলো গ্রাহকদের রিফান্ড করা হবে। ইভ্যালির সবচেয়ে বেশি ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আটকে আছে নগদে। বিকাশে ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা ও এসএসএলে আছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া ছোট কিছু অ্যামাউন্ট আছে বিভিন্ন সার্ভিসে। তবে সেগুলোর পরিমাণ খুবই কম।’

গত বছরের ২৮ অক্টোবর পুনরায় চালু হয় ইভ্যালি। ‘ধন্যবাদ উৎসবের’ মাধ্যমে ব্যবসায় ফেরে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার সহধর্মিণী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রাহক ঠকানোর একাধিক মামলায় মোহাম্মদ রাসেল এখনও কারাগারে রয়েছেন। তবে তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন গত বছরের এপ্রিলে জামিন পাওয়ার পর পুনরায় কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে আসীন হন।


আরও খবর



এক্স সিরামিকস গ্রুপের চিফ ব্র্যান্ড অফিসার হলেন ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দেয়া নাজমুল হোসেন শান্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় সিরামিক কোম্পানি এক্স-সিরামিক্স গ্রুপের নতুন চিফ ব্র্যান্ড অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

ক্রীড়া জগতের সাথে এক্স সিরামিকস গ্রুপের সর্ম্পক বেশ পুরনো। বিশেষ করে বিপিএলের সাথে দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি জড়িত। এবার প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যাণ্ডিংয়ের কাজে যোগ হচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গণের উদীয়মান একজন তারকা।

এ বিষয়ে এক্স ইনডেক্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ক্রীড়ানুরাগী জনাব মাহিন মাজহার বলেন, আমাদের কোম্পানী সিলেট স্ট্রাইকার্সের দুই মৌসুমের জন্য সহ-মালিকানা গ্রহণ করে। নাজমুল হোসেন শান্ত সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেছে। তখন থেকে তার সাথে আমরা আলোচনা শুরু করি। আমরা নিশ্চিত যে, শান্তর উপস্থিতি এবং আন্তরিকতা আমাদের ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

এসময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সিরামিক কোম্পানিতে যোগদান করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্র্যান্ড প্রসারে সচেষ্ট থাকবো। এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার জন্য এক্স সিরামিক গ্রুপকে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তরুণ ও প্রতিভাবান ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সাথে সংযোগ গড়ে তোলার এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আরও বিনিয়োগ করার উদ্দেশ্যে এক্স সিরামিকস গ্রুপ এই প্রদক্ষেপ নিয়েছে, যা সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিতে বিরল। গ্রুপটি খেলাধুলা, ব্যবসায়িক শৃঙ্খলা, দলগত কাজ, নেতৃত্ব ও কৌশলগত চিন্তাভাবনার আক্ষরিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।


আরও খবর



রাজউকের নতুন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার,রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান হলেন। দুই বছর মেয়াদে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান পদে তাকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৩ এর ধারা ৪ (২) অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক ত্যাগের শর্তে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হল।

তার যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর মেয়াদে তিনি এ পদে থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সিদ্দিকুর রহমানের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১০ আগস্ট নরসিংদী জেলায়। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সামরিক একাডেমিতে যোগ দেন তিনি। চাকরি জীবনে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কমান্ডার এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ-এর দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনী থেকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে তিনিই প্রথম নিযুক্ত হলেন।


আরও খবর



আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি মাঠের পাশে কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। তবে আগুনে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকাল ৪টার ১০ মিনিটে আমাদের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। সংবাদ পেয়ে আমাদের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।



আরও খবর



ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফলাফল ঘোষণা করেন।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী এবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ। এই ইউনিটে এবার অংশ নেন ১ লাখ ২ হাজার জন শিক্ষার্থী; যাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন।

বিজ্ঞান ইউনিটে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন অংশ নেন, এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

এছাড়া, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী, তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

চারুকলা ইউনিটে পাসের হার ১১.৭৫ শতাংশ। এই ইউনিটের পরীক্ষায় ৪ হাজার ৫১০ জন অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৫৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।


আরও খবর