Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে সামনে ঝুলন্ত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণার জন্য ‘২০২৪ এএফআই ইনক্লুসিভ ফিনটেক শোকেস’ –এ পুরস্কৃত আইফার্মার মোবাইলের অডিওকে উন্নত করতে ইনফিনিক্স ও জেবিএল-এর পার্টনারশিপ তিতাস গ্যাসের প্রয়াত সিবিএ সভাপতি কাজিম উদ্দিনের স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় সমন জারি তাহসান-মিথিলা বিচ্ছেদের পর ফের ‘একসঙ্গে’ সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে সুনামগঞ্জে একদিনে ৪ জন সহ ৩ দিনে ৫জনের মৃত্যু

ইভিএমে ভূত-পেত্নী দেখতে পেলে আদালতে যান: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কেউ ভূত-পেত্নী দেখে থাকলে আদালতে যেতে বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বুধবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে সংশয় থাকলে আদালতে যান। আমাদের বলবেন না। আমরা ইভিএমে ভূত-পেত্নী দেখিনি। আপনারা দেখতে পেলে আদালতে যান। ইভিএম নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। আপনাদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে সরাসরি আদালতে পেশ করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে না। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আচরণ বিধিমালা প্রার্থীদের মেনে চলতে হবে। তা না হলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বাতিল করতে বিন্দুমাত্র দেরি করবে না।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন সচিব জাহাংগীর আলম, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান, রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারণ দাবীতে ১৪ কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নৈতিক স্খলন, অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অদক্ষতার অভিযোগ এনে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর প্রতি অনাস্থা ও অপসারাণের দাবীতে একাট্টা হয়েছেন প্যানেল মেয়র সহ পরিষদের ১৪ কাউন্সিলর। তারা গত ২৩ মার্চ স্হানীয় সরকার,  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা সহ ৩১ মার্চ শহরের ওয়াবদা মোড়ে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী তুলে ধরে পৌরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। 

এর আগে গত ২০ মার্চ  রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরেও একই আবেদন করেছেন কাউন্সিলররা। স্ব স্ব কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা।বেলা ১২ টায় শহরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেনের অফিসে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন  করেন। এতে তিনি নিজে সভাপতিত্ব করে বক্তব্য রাখেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি,২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই বেহায়াপনা চালচলন করতে থাকে।২০২৩ সালে তার আপত্তিকর ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর চলতি বছরেও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় তার।পৌরসভার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও ২৫ ভাগ উন্নয়ন করেন নাই তিনি। নামে বেনামে তিনি প্রতিমানে ১৫ জনের বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে চলেছেন।
মেয়রের এহেন কর্মকাণ্ডে তার পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং স্হানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়রের সকল অশ্লীল কর্মকান্ড, ভিডিও ও দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে অপসারণ দাবী করেন তারা।  

অন্যান্য কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-২ ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন পারভীন, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর আলম।

আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



বিজিবির কাজে বাধা,ভারতীয় পন্যে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে যুবক আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে সরকারি কাজে বাধা ও বিজিবির কাছ থেকে ভারতীয় পন্য ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে লিটন (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। পরে হাকিমপুর থানায় মামলা দায়ের পূর্বক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃত লিটন পৌর শহরের ধরন্দা গ্রামের মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে। বুধবার বেলা ৩ টায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেটে এই ঘটনা ঘটে।

হিলি আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি’র নায়েক ওমর আলী হাকিমপুর থানায় মামলা দায়ের এজাহারে উল্লেখ করেন, বুধবার দুপুরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেইটের জিরো পয়েন্টে ডিউটি রত থাকা কালিন সময়ে ভারত থেকে এক নারী পাসপোর্ট যাত্রী দুইটি কাপড়ের কালো ব্যাগে ভারতীয় পন্ডস বিউটি ক্রিম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় ওই পাসপোর্ট যাত্রীকে ব্যাগে পন্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে কোন সঠিক উত্তর দিতে না পারায় ওই ব্যাগ দুইটিতে থাকা ৫৮ কেজি পন্ডস ক্রিম হিলি বন্দর শুল্ক অফিসে প্রেরন কালে আসামি লিটন চেকপোস্টের মেইন পিলার ২৮৫/ ১১ এস হইতে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আমার পথ রোধ করে সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা প্রদান করিয়া ভারতীয় পণ্য সামগ্রী বোঝায় কালো কাপড়ের ব্যাগ দুটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং আমাকে ধাক্কা মারলে আমি মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পাই। পরে অন্য কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে দুইটি মোবাইল এবং সিমসহ দুইটি সিম জব্দ করা হয়েছে।

এবিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল তানজিলুর রহমান বলেন,বিজিবির কাজে বাধা প্রদান, বিজিবি সদস্যকে ধাক্কা মেরে তার কাছ থেকে পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার কোন ভাবে কাম্য নয়। আমি সংবাদ পাওয়া মাত্রই থানা পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত করি। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে এসে সবার সাথে কথা বলেছি।


আরও খবর



সি‌লেটের ছিনতাইকৃত আঙ্গুর মালামাল ছাতক থে‌কে উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

আনোয়ার হো‌সেন র‌নি ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার তেমু‌খি এলাকা থে‌কে সি‌লেট সুনামগঞ্জ সড়কের পিক-আপ ভর্তি ৪ শত ৩৯ ক‌্যা‌রেট আঙ্গুর ফলের চালক-কে অস্ত্রের মু‌খে জি‌ন্মি ক‌রে ছাত্রলীগ প‌রিচয় দি‌য়ে ছিনতাইয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সুনামগঞ্জ সি‌লেট শহর জু‌ড়েই ব‌্যাপক আলোড়ন সৃু‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এ ঘটনার গত শ‌নিবার রাত সা‌ড়ে ১২ টায় গোপন সংবাদ পে‌য়ে সি‌লেট সুনাসগঞ্জ সড়‌কে গোবিন্দগঞ্জ এলাকার সি‌লেট জালালাবাদ থানার এ এস‌পি কামরুল ইসলাম ও ও‌সি মিজানুর রহমা‌নের নেতৃ‌ত্বে গো‌বিন্দগঞ্জ ট্রা‌ফিক মতলিবের গোদামে সাড়াশি অভিযান চালানো হয়। 

এ সময় তার গোদাম থে‌কে  ছিনতাইকৃত দুই শত ২৭ ক‌্যা‌রেট আঙ্গুর ফল মালামাল উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। পু‌লিশ টের পে‌য়ে আড়ৎদার মত‌লিব গোদাম ছে‌ড়ে পা‌লি‌য়ে যায়।

পু‌লিশ জানায়, মতলিব ও সোহেল ও তেমুখি থেকে রাজা নামের এক লোকের কাছ থেকে নিয়ে আসেন গো‌বিন্দগঞ্জ এলাকার । এসময় চালক ছিল মাহিন তার বাড়ী বিশ্বনা‌থে থানার লামাকাজী এলাকায়।

এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্প‌তিবার রা‌তে  জালালাবাদ থানাধীন সি‌লেট সুনামগঞ্জ সড়‌কের

তেমুখী এলাকা থেকে  ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘ‌টে। এ সময় ছিনতাইকৃত ২শত ২৭  ক‌্যা‌রেট আঙ্গুর  উদ্ধার কর‌লে ও ঘটনার স‌ঙ্গে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার কর‌তে পা‌রে‌নি পু‌লিশ। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার পিক-আপের চালকরা । এ ঘটনায় ১০/১২ জনকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় একখানা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

ছাতক থে‌কে কাচা মালামাল ভর্তি গাড়ি সি‌লেট সুনামগঞ্জ সড়‌কের  বিভিন্ন স্থানে গা‌ড়ি আট‌কি‌য়ে ছাত্রলীগ নামধারী সি‌ন্ডি‌কেট প্রায় সময়ই চালক-কে মারধর করে গাড়ি থেকে দফায় দফায় মালামাল ছিনতাইয়ের একা‌ধিক চাদাবা‌জির ঘটনা ঘটেছে।

সরকার দলীয় স্থানীয় পর্যায়ের কিছু কতিপয় নেতাকর্মী এ সমস্ত ঘটনায় জড়িত। তবে তাদের শেল্টারদাতা হিসেবে নেপথ্যে রয়েছেন এই দলের কিছু ‘রাঘব বোয়াল’ এমনকি এই তালিকায় বাদ যাননি হাতে গোনা কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও।

ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের স্থানীয় পর্যায়ের শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ- এরকম ঘটনা আজ নতুন নয়। দিনের আলো শেষে অন্ধকার নেমে আসলেই ছাত্রলীগ প‌রিচয় দি‌য়ে এক‌টি সি‌ন্ডি‌কেট চত্রু সড়‌কে ব‌সে থা‌কে।

এব‌্যাপা‌রে জালালাবাদ থানার ও‌সি মিজানুর রহমান মিজান এঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত ব‌লেন, তদন্তক্রমে ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজন ছিনতাইকারীর পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ এবং তাদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চল‌ছে।


আরও খবর



নির্বাচনের পর দিল্লি যাবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের আসন্ন নির্বাচনের পরে দেশটিতে সফর করবেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

জুনের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা রয়েছে, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ভারত সফরে যাবেন। তবে ভারতের নির্বাচনের পরে। সেটা কখন হবে সেটি নিয়ে কোনো আলোচনা অফিসিয়াল লেভেলে হয়নি।

জুনে ভারতে এ সফর হবে চতুর্থমেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেন সরকারপ্রধান। তবে সেটি ছিল বহুপাক্ষিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ। দিল্লি সফরের আগে এমন আরও বহুপাক্ষিক ফোরামে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪