Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

ইভিএম প্রকল্প স্থগিত হলেও হতাশার কিছু নেই’

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প স্থগিত হলেও হতাশার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘একটা সিদ্ধান্ত এসেছে, সার্বিক অর্থনীতির কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না। এখানে আমাদের রিয়েকশনের কিছু নেই।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম হবে। এখানে (পরিকল্পনা মতো না হওয়ায়) হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমাদের যে ইভিএম আছে তা দিয়ে ৫০,৪০,৩০ আসনে হবে? এ বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে তা যদি কার্যকর থাকে, আমরা কিউসি করছি, যতটা সম্ভব নির্বাচন করব। এ বিষয়টা এখনো নিশ্চিত নই। কত আসনে ইভিএমে ভোট করতে পারব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরে।

তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে আরও দুই লাখ ইভিএম কেনায় সরকার সায় দেয়নি। প্রকল্পটি স্থগিত হলেও তাতে হতাশ হইনি। সে সঙ্গে বিদ্যমান কার্যকর ইভিএম দিয়ে কত আসনে ইভিএমে ভোট করবে তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রজেক্ট স্থগিতে পরে কমিশনের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। ইভিএমের বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, হতাশার কিছু নেই। একটা সিদ্ধান্ত এসেছে, সার্বিক অর্থনীতির কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না। এখানে আমাদের রিয়েকশনের কিছু নেই।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, তাতে অর্ধেক সংসদীয় আসনে (১৫০টি) ইভিএমে ভোটগ্রহণের ভাবনা ছিল। সে লক্ষ্যে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য গত বছরের অক্টোবরে এ প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

সোমবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা কমিশন থেকে রোববার সিদ্ধান্ত পেয়েছি। এ মুহূর্তে প্রকল্পটি তারা প্রক্রিয়াজাতকরণ করছে না। বাতিল হচ্ছে না, তবে এ মুহূর্তে হচ্ছে না।’


আরও খবর



মাগুরার মহম্মদপুর সমবায় সমিতির নির্বাচন পরিদর্শন করলেন ড, তরুন কান্তি শিকদার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: মাগুরার মহম্মদপুর ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির লিমিটেড এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন  শুক্রবার দুপুরে পরিদর্শন করলেন সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  ড.তরুন কান্তি শিকদার।

মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন পরিদর্শন কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার  রামানন্দ পাল,সহকারি কমিশনার (ভূমি)  বাসুদেব কুমার মালো,অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  অসিত কুমার রায়,কৃষি অফিসার কৃষিবিদ  আব্দুস সোবাহান,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  মোঃ মোমিনুল ইসলাম,মাগুরা জেলা সমবায় অফিসার  মৃনাল কান্তি

আরও খবর



মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে নিজের ঘরে দিল আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ   নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে নিজের বসত ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণ পাল(৩৫) নামে এক মাদকাসক্ত। এতে কাটকোয়ারী দুই কক্ষের টিনের ঘরটি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায় ও তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। মঙ্গলবার ( ২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃত গৌরাঙ্গ পালের  ছেলে কৃষ্ণ দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকাসক্ত।


কৃষ্ণনের অত্যাচারে তার মা সহ প্রতিবেশীরাও আতঙ্কে থাকেন। ঘটনার দিন সকালে মাদক সেবনের টাকা চেয়ে মায়ের সঙ্গে কৃষ্ণনের কথা কাটাকাটি হয়। দুপুরে ১২টার দিকে কৃষ্ণ হঠাৎ নিজেদের বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভালেও দুই কক্ষের চালা, সব আসবাবপত্র, জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং প্রতিবেশী মোঃ আবুল বাশারের ঘরের ভিতরে থাকা বৈদ্যুতিক ওয়ারিং সহ ১০ সেফটির একটি ফ্রিজ পুড়ে যায় । এ ঘটনায় প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর কৃষ্ণকে নবীনগর থানা পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।


নবীনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেবগ্ৰত সরকার বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়।স্থানীয় বীরেন্দ্র পাল ও কৃষ্ণনর মা বলেন, তিন ভাইয়ের মধ্যে কৃষ্ণ পাল মাদকাসক্ত ।ছেলেটির অত্যাচারে তার মা সহ প্রতিবেশী সকলে আতঙ্কে থাকেন। এলাকায় ছিচকে চুরিও করে কৃষ্ণ। যে ছেলে নিজের ঘর পুড়াতে পারে সে এলাকার যে কারো ক্ষতি করতে পারে। আমি সহ এলাকাবাসীর নিরাপত্তা চাই।নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এলাকার লোকজন বলেছেন ছেলেটি মাদকাসক্ত ও নিজের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। সেটা ধরেই আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



দপ্তর জানেনা অথচ ৪০% কর্তন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: কিনা চমক প্রদ ব্যাপার, যে দপ্তর থেকে বরাদ্দ হয় এবং ৪০% কর্তন করা হলেও কিছুই জানেনা দপ্তরের কর্মকর্তা। এমন অলৌকিক ঘটনা দেশের সর্বত্রই চলমান। রাজশাহীর তানোরে প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর থেকে বিশেষ বরাদ্দের ৪০% টাকা কর্তন হয়। কিন্তু প্রধান কর্তা কিছুই জানেন না। কথা শুনে মনে হবে কোন এক অদৃশ্য ভাবে কর্তন হচ্ছে। আসলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  ক্ষোভেই কোন এক সময় বলেছেন গ্রামীণ অবকাঠামোর জন্য যত বরাদ্দ দেওয়া হয়, সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হলে সব কিছু চকচকে হত। দেশের প্রধান যখন এমন কথা বলেন তাহলে মাঠ পর্যায়ে অদৃশ্যের কথা মানানসই হওয়াটাই কি স্বাভাবিক না? এতে করে প্রকল্পগুলো নিয়ে এমপির সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তুলেছেন মেম্বারেরা। নচেৎ এমপির সদ ইচ্ছা ভেস্তে যাবে। কারন অতীতে যাই হোক এটা নির্বাচনের বছর। এজন্য প্রকল্প গুলো সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরী। তানাহলে ভোটের সময় এর প্রভাব পড়বে, তখন কোন জবাব থাকবে না, জনতার মুখে লাগামও দেওয়া যাবে না।

উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন(ইউপির) এক মেম্বার জানান, ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ১ লাখে ৪০ হাজার টাকা কর্তন। ৩ লাখে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কাটা হয়েছে। থাকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আমাকে ৩ লাখ টাকার কাজ করতে হবে। তাহলে কি ধান বিক্রি করে কাজ করব। আমি সাব জানিয়ে দিয়েছি এভাবে কাজ করা অসম্ভব। 

পিআইও অফিস জানায়, ২য় পর্যায়ের উপজেলার কলমা ইউপির বরাদ্দ ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বাধাইড় ইউপিতে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, পাচন্দর ইউপিতে  ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, সরনজাই ইউপিতে  ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, তালন্দ ইউপিতে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, কামারগাতে ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও চান্দুড়িয়া ইউপিতে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
চলতি অর্থ বছরের এটি ২য় পর্যায়ের বরাদ্দ।

কলমা ইউপির বেশকিছু মেম্বারেরা জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন এভাবে বরাদ্দ হয়েছে এবং  ৪০% কর্তন করা হয়। অবাক করার বিষয় বর্তমান মেম্বারেরা কাজ না পেলেও সাবেক মেম্বারকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। লাভ জনক কাজ অদৃশ্য ক্ষমতায় হয়। আর এইচবিবি বা হেরিং বন্ড রাস্তা ঠিকাদারের মাধ্যমে করা হয়। চেয়ারম্যান কে যে টুকু দেওয়া হয় পাই টু পাই কাজ বুঝে নেয়।  কিন্তু মাটি ফেলার কাজের কোন হিসেব থাকেনা। মাননীয় এমপি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ নিয়ে আসেন, আর ৪০% কেটে গিলছে। বর্তমান সরকার যে পরিমান গ্রামীণ বরাদ্দ দিয়েছে। তার ৮০% কাজ হলেও সব কিছু চকচক করত। অনেক ইউপিতে এক কাজ একাধিকবার দেখিয়ে লুটে নিচ্ছেন। কিছু বলারও নাই, দেখারও নাই, যে ভাবে চলছে চালিয়ে যাও অবস্থাটা এমন।

উপজেলার ৭ টি ইউপির মধ্যে ১ টিতে বিএনপির চেয়ারম্যান বাকি ৬ টিতে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান।  কিন্তু কলমা ইউপির চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা হলেও পরবাসী করে রাখা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারম্যান যে সুযোগ সুবিধা পায় তিনি সেটাও পান না এমন অভিযোগ অহরহ।

বেশকিছু মেম্বারেরা জানান, আমরা সাব বলে দিয়েছি পুরো বরাদ্দ দিলে কাজ করব। কিন্ত আগে ৪০% কেটে নিলে কাজ করা অসম্ভব। আমরা তৃনমুলের প্রতিনিধি। কাজ ভালো ভাবে না করলে জবাব দিতে হয়। সুতরাং যারা কেটে নিচ্ছে বা এক কাজ বারবার দেখিয়ে বরাদ্দ গিলছে তারাই যেন কাজ করে। এজন্য প্রকল্প দেয় না। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও প্রকৌশলী তারিকুল ইসলামের কাছে প্রকল্পের তথ্য জানতে চাইলে তিনি জানান অনুমোদন হয় নি। বরাদ্দের ৪০% টাকা কেটে নেওয়া হয় প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন কে কাটে জানিনা, যারা এসব বলে তাদেরকে প্রমান করতে বলবেন। আপনার দপ্তরের বরাদ্দ কে কাটবে জানতে চাইলে কোন সদ উত্তর না দিয়ে জেলা থেকে অনুমোদন হলে তথ্য দেওয়া হবে বলে দায় সারেন তিনি।

আরও খবর



পিএসজির জয় মেসি-এমবাপ্পের নৈপুণ্যে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৪২৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক; লিগ ওয়ানে গতকাল রোববার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি ও মার্সেই। লিগ টেবিলে যথাক্রমে এক ও দুই নম্বরে অবস্থানে থাকা দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষা ছিল সবার। তবে মেসি ও এমবাপ্পের নৈপুণ্যে সেটি আর হয়নি। পিএসজি জয় পেয়েছে অনায়াসে।

লিগ ওয়া; নের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মার্সেইকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় ক্রিস্তেফ গালতিয়ের দল। তিনটি গোলেই জড়িয়ে ছিল মেসি-এমবাপ্পের নাম। মেসির এসিস্ট থেকে এমবাপ্পে করলেন জোড়া গোল, আর এমবাপ্পের বাড়ানো পাস থেকে মেসি পেলেন তার মাইলফলক গোল। দুইজনের জুটিতে নেইমারের শুন্যতা অনুভব করেনি পিএসজি।

মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য ছিল পিএসজির। প্রতিপক্ষের মাঠে ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় গলতিয়ের শিষ্যরা। মেসির বাড়ানো বলে এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশ। চার মিনিট পরে আসা পিএসজির দ্বিতীয় গোলে প্রথম গোলের বিপরীত ভূমিকায় এই দুই তারকা। এবার এমবাপ্পের এসিস্টে মেসির লক্ষ্যভেদ। আর এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টাইন মহাতারকা ঢুকে গেলেন ইতিহাসের পাতায়।

ক্লাব ক্যারিয়ারে এটি তার ৭০০তম গোল। এর মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে করেছেন ৬৭২টি, পিএসজির হয়ে ২৮টি। ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) তথ্য অনুসারে, শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে ৭০০ ক্যারিয়ার গোল এখন মাত্র দুজনের। মেসির আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ক্লাব ক্যারিয়ারে ৯৫৭ ম্যাচে যার গোল ৭০৯ টি। তবে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে খেল ৭০০ গোল করেছেন একমাত্র মেসিই। রোনালদোর ৭০৯ গোলের মধ্যে ৮টি সৌদি প্রো লিগ ও পাঁচটি পর্তুগিজ প্রিমেরা লিগায়।

৫৫ মিনিটে এমাবাপের সৌজন্যে তৃতীয় গোলটি পায় পিএসজি। এবারো বলের যোগানদাতা মেসি।শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন ভিতিনিয়া। কিন্তু অনেকটা দোন্নারুম্মা বরাবর শট নিয়ে দলকে হতাশ করেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। এই জয়ে ২৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করল পিএসজি। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এগিয়ে গেল ৮ পয়েন্টে। ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মার্সেই।


আরও খবর

ভারতকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা

শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩




নাসিরনগরের তাণ্ডব,১৩ আসামির ৪ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

২০১৬ সালের ৩০শে অক্টোবর ধর্মীয় উস্কানীতে বা কোরআন শরীফের উপর দেবতা রাখার দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর,গোয়ালঘর,ওমন্দিরে ভাংচুর আর অগ্নিসংযোগের মামলায় ১৩ আসামিকে ৪ বছরের  সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ্য বিচারিক আদালত।১৬ মার্চ ২০২৩  রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে ১৩ আসামির মধ্যে ৫ আসামি পলাতক ছিলেন।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোখলেছুর  রহমান, মো. মফিজুল হক, খসরু মিয়া, নাজির রহমান, মো. মাফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, শেখ মো. আব্দুল আহাদ, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, মীর কাশেম, আনিস মিয়া, তাবারক রেজা, সজিব চৌধুরী ও দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি।


তাদের সবার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।রায় ঘোষণাকালে মোঃমফিজুল হক, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, আনিস মিয়া, তাবারক রেজা ও দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি পলাতক ছিলেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫টি মন্দির ও শতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা নাসিরনগর পশ্চিম পাড়ার গোবর্ধন দাসের বাড়ির সামনের দুর্গামন্দিরে আগুন দিয়ে মন্দিরের ক্ষতিসাধন করে। একই রাতে ঠাকুরপাড়ার কেশব চক্রবর্তীর বাড়ির রান্নাঘরেও আগুন দেয়। 


এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানার এসআই সাধন চন্দ্র চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ঘটনার ২দিন পর ৬ নভেম্বর নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের প্রত্যেককে ৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডঃ মোস্তাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডঃ এমদাদুল হক হাদী। আসামিপক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক হাদী বলেন,আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।আমরা এই মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর