Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ইভিএম নির্ভরযোগ্য, এখন পর্যন্ত অভিযোগ আসেনি: সিইসি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত তথ্যনির্ভর কোনো অভিযোগ আসেনি বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ শনিবার সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রধানতম কাজ ভোটাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়া। ভোটাররা কে, কোন দলকে ভোট দিয়েছে; সেটা কমিশনের দেখার বিষয় নয়। ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারেন, তাদেরকে যদি প্রতিহত করা হয়; ভোট কেন্দ্রে যদি তাদের অধিকার খর্ব করা হয়- তাহলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আমাদের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ব্যাপকভাবে আস্থাভাজন হয়ে ইসি ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইতোপূর্বে ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত তথ্য নির্ভর কোনো অভিযোগ আসেনি। তাই ইসির যে সক্ষমতা রয়েছে- তাতে আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৮০টি আসনে নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




জয়পুরহাটে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন আসমী পলাতক রয়েছেন।

রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের আ: গফুর, মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ,  জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম,  মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য জুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি ঈদ উদযাপনে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন। সে ১১ জানুয়ারি বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন সকালে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’র নাবিকদের সঙ্গে সবার যোগাযোগ বিচ্ছন্ন রয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) দিনভর জিম্মি থাকা নাবিকদের কেউ জাহাজ মালিক কিংবা স্বজনদের সঙ্গে কোনোভাবে করতে পারেনি।

মঙ্গলবার ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার পর প্রতিদিন নাবিকদের কেউ না কেউ যোগাযোগ করেছেন স্বজন কিংবা জাহাজ মালিকদের সঙ্গে। এই প্রথম একটি দিন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিলেন নাবিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, মালিক পক্ষের উপর চাপ তৈরি করতেই এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা তৈরি করেছে জলদস্যুরা।

বৃহস্পতিবার থেকে জলদস্যুদের কবলে পড়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জলদস্যুদের নতুন আরেকটি দল। মঙ্গলবার জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ার পর বৃহস্পতিবার সোমালিয়ার উপকূল হতে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করেছিল। এরপর জলদস্যুদের আগের দল জাহাজ থেকে নেমে পড়ে। আরও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৫-২০ জনের নতুন আরেকটি দল জাহাজের দায়িত্ব বুঝে নেয়।

নোঙর তুলে শুক্রবার বিকেলে তারাই জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে। এদের সঙ্গে আছেন ইংরেজি জানা একজন দোভাষী। আজ শনিবার পর্যন্ত সোমালিয়ার জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করেনি। এ ব্যাপারে মালিকপেক্ষরও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে মুক্তিপণের প্রস্তাব পাঠাবে জলদস্যুরা।

এদিকে, শনিবার দিনভর নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়েছে স্বজনদের।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বার নির্বাচন//সভাপতি ব্যারিস্টার খোকন, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিএনপি-সমর্থিত ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ -সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ (সাদা প্যানেল) থেকে অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে সম্পাদক, দুই সহ-সভাপতি, দুই সহ-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ তথা সাদা প্যানেলের ১০ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে সভাপতিসহ ও তিনটি সদস্যসহ চার পদে বিএনপি-জামায়ত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

শনিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টায় নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক আইনজীবী আবুল খায়ের আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফলে মাহবুব উদ্দিন খোকন ২ হাজার ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের আবু সাঈদ সাগর দুই হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়েছেন। সভাপতির একই পদে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ পেয়েছেন ৪৬ ভোট এবং অপর সভাপতি প্রার্থী সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান বাবলু (এম কে রহমান) পেয়েছেন ২২৯ ভোট।

সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলের শাহ মঞ্জুরুল হক তিন হাজার ৩১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে নীল প্যানেলের মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল) ১ হাজার ৭০২ ভোট পেয়েছেন। দুই প্যানেলের বাইরে সম্পাদক পদপ্রার্থী নাহিদ সুলতানা (যুথী) পেয়েছেন ২৬৯ ভোট এবং অপর সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া পেয়েছেন ৬০ ভোট।

এর আগে বুধবার (৬ মার্চ) ও বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এই দুদিন ভোটগ্রহণ হয়। ৭ মার্চ রাত ১১টার পর ভোট গণনার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাদা পোশাক পরা লোকজন দেখে সমিতির সবগুলো গেটে তালা লাগিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক কক্ষ বরাবর সরাসরি নিচের একটি গেট (মূল ভবনের গেট) খোলা রাখা হয়। যেখান দিয়ে আইনজীবীদের পরিচয়পত্র দেখে প্রবেশ করানো হচ্ছিল।

এরপর শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার পর থেকে ভোটগণনা শুরু হয়। চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। রাত দেড়টায় নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে দুদিনব্যাপী নির্বাচনে ভোট গণনা ঘিরে অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




গাংনীতে টিসিবি কার্ড দেবার নামে গণহারে টাকা আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামে টিসিবি (ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) কার্ড করে দেয়ার নামে গণ হারে চাঁদা আদায়য়ের অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা বিকাশ মন্ডল নামে। তবে কাওকে তিনি টিসিবির কার্ড দিতে পারেন নি। এদিকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিকাশ ম-ল। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

জানাগেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় দরিদ্র পরিবারের জন্য সরকার স্বল্প মুল্যে খাদ্য সহায়তা(ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) টিসিবি কার্যক্রম চালু করেন। উক্ত কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে মেহেরপুর জেলায়। এর ধারাবাহিকতায় গাংনী উপজেলয় প্রায় ৩৮ হাজার পরিবার টিসিবির সুফল পাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ধারাবাহিক ভাবে টিসিবি পন্য বিতরণ করা হয় পৃথক পৃথক ভাবে।

গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার পরিবার এর আওতাভুক্ত। অথচ সরকারের এই সফলতাকে পুঁজি করে অসহায় মানুদের কাছ থেকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত গণহারে চাঁদা আদায় করেন আওয়ামীলীগ নেতা বিকাশ মন্ডল। তিনি ধানখোলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। গ্রামের দুস্থ ও অসহায়দের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে কারো কপালে টিসিবি কার্ড জোটেনি। আর এই চাঁদা আদায়ে সহায়তা করেন ওই গ্রামের মিখা মন্ডল।

সরেজমিনে নিত্যানন্দনপুর গ্রাম ঘুরে জানা যায় বিকাশ মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা। ওই গ্রামের খুশি মন্ডল, মহন মন্ডল,শুকুমারি সমিতা রানী, মার্থা,আরতি, মেরি, ঝুনু মুক্তা, শুরভি, বিজয়, চামেলি, অঞ্জলির কাছ থেকে ৭৫০ টাকা নেয়া হয়। রতন সরকার ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের কাছ থেকে নেয়া হয় ৩০০০ টাকা। শুধু নাম প্রকাশ কারিরাই নয়, এভাবে পুরো গ্রাম বাসীরে কাছ থেকেই ৭৫০ টাকা করে আদায় করেন বিকাশ মন্ডল। টাকা নেয়ার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও আজও তাদের ভাগ্যে জোটেনি টিসিবি’র কার্ড। এ নিয়ে গ্রাম বাসীদের মধ্যে দানা বেধেছে ক্ষোভ আর কষ্টের।

নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে গ্রামের অনেকেই জানান, বিকাশ মন্ডল আওয়ামীলীগ নেতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে গ্রামে এভাবে টাকা তোলেন। তার প্রতিবাদ করার কেউ নেই। যদি কেউ প্রতিবাদ করেন তাকে নানা ভাবে হয়রানী করেন বিকাশ মন্ডল ও তার বাহিনীর লোকজন।

গ্রামবাসীরা আরও জানান, বিকাশ মন্ডল গ্রামর কয়েকজনকে নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করেছে। তাদেরকে নিয়ে নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কেউ তার ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়ার দাবী এলাকাবাসীর।

বিকাশ মন্ডল টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি টাকা নিয়েছেন ঠিকই তবে ৭৫০ টাকা নয় ২৫০ টাকা নেয়া হয়েছে। এ টাকায় যাদের কার্ড রয়েছে তাদের কার্ড পুনরায় অনলাইন করতে হবে। সেই অনলাইন করতে যে টাকা খরচ হয়েছে সে টাকায় নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, ওই গ্রামে টিসিব কার্ড বিষয়ে বিকাশ মন্ডলের দায়িত্ব দিয়েছেন চেয়ারম্যান। টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না । যদি গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে তা খুবই দুঃখ জনক ও অমানবিক।

ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রাজ্জাক জানান, টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে অভিযোগ পেলে বিকাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, হত দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায়ের কোন নিয়ম নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




দেশে প্রথমবারের মতো ফাউন্ডেশন ইংলিশ টেস্ট (এফইটি) গ্রহণ শুরু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রাথমিক পর্যায়ের (এন্ট্রি-লেভেল) ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়নে দেশের আটটি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং ও ইনকিউবেশন প্রকল্পে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫,৪০০টি টেস্ট পরিচালনা করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে টেস্টগুলো ডিজাইন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি এ টেস্ট পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এফইটি ডেলিভারি পার্টনারদের মধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ফাউন্ডেশন ইংরেজি টেস্টে সহজে ও সমভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়ন করা হয়।

যেসব প্রার্থীদের এন্ট্রি-লেভেল ইংরেজি দক্ষতার (কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্সে (সিইএফআর) এ১ ও বি১ লেভেল) সনদ প্রয়োজন, তারা এ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। টেস্টটি দ্রুত শেষ করা যায় এবং একইসাথে অর্থ সাশ্রয়ী।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ জনশক্তির বিকাশে দেশব্যাপী আটটি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করেছে। শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের মত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেনো তাদের প্রার্থী ও কর্মীদের প্রতিদিনকার কাজে ব্যবহৃত প্রাথমিক পর্যায়ের ইংরেজি দক্ষতার মূল্যায়ন করতে পারে এজন্য এ উদ্যোগ চালু করা হয়।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে উপস্থিত ছিলেন এর ডিরেক্টর অব অপারেশনস জুনায়েদ আহমেদ, ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সারওয়াত রেজা এবং বিজনেস পারসুইট ম্যানেজার তাসনীন তাবাসসুম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট প্রোগ্রামার রুনা পারভেজ।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অব অপারেশনস জুনায়েদ আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফাউন্ডেশন ইংলিশ টেস্ট (এফইটি) গ্রহণ শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিদের সঠিক ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে পারে এমন কর্মী নিয়োগের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে৷ আমি আমাদের ডেলিভারি পার্টনারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা দেশজুড়ে ৫,৪০০টি এফইটি সঠিকভাবে পরিচালনায় নিরলস কাজ করছেন।”

আটটি ডেলিভারি পার্টনার হল: ডিক্রাউড আইটি লিমিটেড অ্যান্ড জেভি, লজিকাল ট্রায়াঙ্গাল-এনআরবি জবস-জায়ানজারা লিমিটেড, শ্যুটিং স্টার লিমিটেড, ওয়েবপারস লিমিটেড, অ্যাডি সফট লিমিটেড, এজ্জে টেকনোলজি লিমিটেড, কোডারস্ট্রাস্ট বাংলাদেশ ও ডিজিকন টেকনোলজিস পিএলসি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য এ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সময়সূচির পরিকল্পনাসহ অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় ব্রিটিশ কাউন্সিল, যাতে অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পনা ও সময় অনুযায়ী টেস্টের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।


আরও খবর