
বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
চুনারুঘাট থেকে ফিরেঃ- হবিগঞ্জজেলার চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ূন কবির খানের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।অভিযোগটি দায়ের করেন একই ইউনিয়নের বিলপাড় গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে দিন মজুর মোঃ আবুল মিয়া।আবুল তার অভিযোগে উল্লেখ করেন যে,তার স্ত্রী হালেমা বেগম (৩৪) সুন্দরী হওয়ায় বিগত প্রায় ২ বছর যাবৎ সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সাথে পরকীয়া আসক্ত হয়ে অবৈধ ভাবে মেলামেশা করে আসছে।
তিনি বলেন আমার স্ত্রীর সাথে হুমায়ূন কবিরের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে,হুমায়ুন কবির কে আমার বাড়িতে আসতে বিভিন্ন সময় বাধা প্রদান করি।আমার বাড়িতে আসা বাধাঁ দেওয়া আমার স্ত্রী হালেমা বেগম কে সে টাকার লোভ দেখিয়ে আমার সংসার ভাঙ্গার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমি বিষয়টি স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গন্য মান্য ব্যক্তিগনকে জানালে, হুমায়ুন কবির খান আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।হুমায়ুন কবির আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়া দলীয় প্রভাব কাটিয়ে আমাকে নিজের লাইসেন্স কৃত বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হুমকি দেন। আমার স্ত্রী হালেমা কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ান হুমায়ুন।এখন আমার সুন্দর একটি সংসার ভাঙ্গার পথে।
গত ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ দুপুর অনুমান ২ ঘটিকায় সময় গাজীপুর গ্রামে আমার স্ত্রী হালেমার ঘরে প্রবেশ করে হুমায়ুন কবির খান।তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। বিষয়টি হুমায়ূন কবিরের স্ত্রী সন্তান জানতে পেরে আমার ঘরে প্রবেশ করে দেখেন হালেমাকে নিয়ে হুমায়ুন কবির আমার বিচানায় শোয়ে রয়েছেন। এমন অবস্থা দেখে,হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী,তার স্বামী হুমায়ুন কবির আর আমার স্ত্রী হালেমাকে মারধর করে। এতে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে হালেমাকে রক্ষা করে,।পরে এলাকার স্হানীয় গন্য মান্য ব্যাক্তিদের সহযোগিতায় আমার বাড়ি থেকে হুমায়ুন কবির খান পালিয়ে যান।
অভিযোগের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এডঃ আবু জাহির এমপি বলেন আমি বিষয়টি অবগত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডঃ আকবর হোসেন জিতু মিয়া বলেন বিষয়টি শুনেছি, কোন অভিযোগ হলে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে তার বিরোদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
হুমায়ূন কবির খানের এমন নারী কেলেংকারীর কার্যক্রম নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা ঝড় বইছে।
মুঠোফোনে হালেমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন হুমায়ুন কবির একজন সম্মানী মানুষ।হুমায়ুন কবিরের স্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদদেআবুল হুমায়ুন কবিরের মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য এমন করছে।তাছাড়াও হালেমা আরো বলেন,প্রায় এক বছর পূর্বে আমি আবুল কে ডিভোর্স দিয়েছি।আবুলের বিরোদ্ধে আদালতে দেনমোহরের মামলা চলছে।মামলাটি রায়ের পথে।আবুল আমার দেনমোহরের ৫ লক্ষ টাকা দেয়ার ভয়ে এখন আমার ও হুমায়ুন কবিরের বিরোদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগকরছে।
এ বিষয়ে হুমায়ুন কবিরের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপনারা হুমায়ুন কবির আর হালেমার মোবাইল ফোন যাচাই করে সত্যতা বের করুন। আর না পারলে আমার কাছে আসুন আমি আপনাদের সব বলে দেব।
মুঠোফোনে গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি বলেন আমি অসুস্থ মানুষ।কিছু আগে আমার বাইপাস অপারেশন হয়েছে।তিনি বলেন আমি হালেমাদের বিভিন্ন বিচার শালীস করেছি।আমি রাজনীতি করি।আমার বিভিন্ন শত্রু রয়েছে।আমার মান সম্নান নষ্ট করার জন্য আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.বা