
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। উত্তরের খারকিভ থেকে দক্ষিণের ওদেসা, পশ্চিমের জাইটোমি থেকে রাজধানী কিয়েভেও হামলা হয়েছে। খারকিভ ও ওদেসায় চালানো হামলায় বিভিন্ন ভবন ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজধানী কিয়েভেও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এই লড়াই চলার মধ্যেই ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রাশিয়া।
বাখমুত দখলের লড়াইয়ে রাশিয়ার পক্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশটির বেসরকারি সামরিক বাহিনী ভাগনার গ্রুপ। তারা শহরটির পূর্বাঞ্চলীয় অংশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে। এ দাবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে শহরটি রক্ষায় এখনো অনড় মনোভাব দেখিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক এভ্রিল হেইনস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। তবে তিনি এ কথাও বলেন, রুশ বাহিনী সম্ভবত ইউক্রেনে তার যুদ্ধের বর্তমান মাত্রা ধরে রাখতে পারবে না। চলতি বছর ইউক্রনের ভূখণ্ড পুনর্দখলের ক্ষেত্রে রুশ বাহিনী যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে বলে মনে হয় না।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। ইতোমধ্যে এ হামলার এক বছর পেরিয়ে গেছে। চলমান এই যুদ্ধে উভয়পক্ষে লাখো সেনা হতাহত হয়েছেন। যুদ্ধে ইউক্রেনের হাজারও বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো ইউক্রেনীয়।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একটি আবাসিক ভবনের উঠানে গাড়ি জ্বলতে দেখা গেছে। তিনি লোকজনকে নিরাপদ স্থানে (শেল্টার) থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বন্দরনগরী ওদেসার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ওদেসার গভর্নর ম্যাকসিম মার্চেনকো বলেন, হামলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওদেসার আবাসিক এলাকায়ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। খারকিভের আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ সিনেগুবভ বলেন, শহরসহ অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় হামলা হয়েছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনে। ইউক্রেনের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলেও রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্য পাওয়া গেছে।