Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেনের কত ভেতরে ঢুকতে পারে রুশ সেনারা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনে মোতায়েনকৃত রাশিয়ার সেনারা কিয়েভ বা লভিভ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। এমন সময় তিনি এই মন্তব্য করলেন যখন ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, বাখমুত শহর দখলের আক্রমণে রুশ সেনারা মোমেন্টাম হারাচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন মেদভেদেভ। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর বিরুদ্ধে নিয়মিত হুশিয়ারিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন। শুক্রবার মেদভেদেভ বলেছেন, কোনো কিছুই বাদ দেওয়া যায় না। যদি কিয়েভ পর্যন্ত যেতে হয়, তা হলে কিয়েভ যেতে হবে। যদি লভিভ যেতে হয়, তা হলে এই সংক্রমণ ঠেকাতে লভিভ যেতে হবে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এটাই রাশিয়ায় প্রথম সফর শির।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নির্দেশে ওই সামরিক আগ্রাসন শুরু হয়। আক্রান্ত দেশটি ও এর ইউরোপীয় এবং পশ্চিমা মিত্ররা একে যুদ্ধ বললেও মস্কো একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলেই অভিহিত করে আসছে। নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোয় পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্ভাব্য সম্প্রসারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্ত হুমকির মুখে পড়ছে- এ চিন্তা থেকে দেশের ভবিষ্যতের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মেদভেদেভ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিদেশে পুতিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাকে মস্কো যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করবে। আইসিসির এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাবে।

সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে তখন পুতিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মেদভেদেভ। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর তিনি ক্রমশ যুদ্ধংদেহী বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় রয়েছেন। একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




পোরশায় একটি “মিনি পুকুর” বদলে দিয়েছে শিক্ষিত বেকার যুবকের ভাগ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১০জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):শিক্ষিত বেকার যুবকের নাম নাইমুল ইসলাম নাঈম, তিনি এইচএসসি পাস করে নওগাঁর পোরশা সরকারি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন, কিন্তু গত করোনা মহামারির সময় পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়েন। বাড়িতে বেকার বসে থাকা এবং পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে হয় বাপ-দাদার পেশা কৃষি কাজে। বরেন্দ্র অঞ্চল এখন আমের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় তিনি আম চাষ করার পরিকল্পনা করেন। গত বছর তার গ্রামের পাশের মাঠে স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট থেকে ১২বছরের জন্য সোয়া ২বিঘা জমি লিজ নিয়ে তৈরি করেন আম্ব্রপালী জাতের আম বাগান। আর সেই বাগানের মধ্যে থাকা ছোট গর্তকে একটি বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় পুনঃখনন করে তৈরি করেন একটি মিনি পুকুর। ঐ পুকুরের পানি ব্যবহার করে, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করে শিক্ষিত এই বেকার যুবকের ভাগ্যের চাকা ঘোরা শুরু করেছে।

নাইমুল ইসলাম নাঈম নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের ছাওড় দক্ষিনপাড়া গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে, তার এই বাগানটি ছাওড়ের বরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন।

তরুণ চাষি নাইমুল ইসলাম নাঈম জানান, জমিতে আম বাগান তৈরি করার পরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট তীব্র খরা প্রবন এলাকা হওয়ায় পানির অভাবে তার আম বাগানের গাছ মরতে শুরু করে। বাগানটি রাস্তার সাথে হওয়ায় মরা গাছগুলি ঐ এলাকায় কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সিসিডিবি’র কর্মকর্তাদের নজরে আসে। সংস্থার পক্ষ হতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে আনুমানিক ১শতাংশ জমির উপর একটি মিনি পুকুর তৈরি করা হয়। এই মিনি পুকুর মূলত আকাশের বৃষ্টির পানি ধরে রেখে প্রয়োজন ও পরিমাণমতো গাছে পানি সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ঐ পুকুর থেকে বাগানের গাছ বাঁচিয়েও সিসিডিবি’র সহযোগিতায় পুকুর পাড়ে বেগুন, লাউ, টমেটো, সিম, করলা, পটল, গাজরসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি চাষ করেন নাঈম। এর পরেও ঐ মিনি পুকুরে পানি অবশিষ্ট থাকায় সিসিডিবি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আম বাগানের সাথি ফসল হিসাবে তিনি চাষ করেন মিষ্টি কুমড়া। বিনামূল্যে উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ, ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠাঁলো ফাঁদ, ২/৩জি কাটিং পদ্ধত্তি, কেঁচো সারের ব্যবহার, মালচিং ইত্যাদি জৈব পদ্ধত্তি চর্চা করার জন্য সহায়তা করে আসছে সিসিডিবি।

চাষি নাঈম আরও জানান, আম বাগান বাদে শুধু মিষ্টি কুমড়া পরিচর্যায় এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০হাজার টাকা। বাগানে মিষ্টি কুমড়ার গাছ রয়েছে ৮৫০টি, প্রতি গাছে ফল রয়েছে ৩-৪টি, তবে গাছে পর্যায়ক্রমে ফল ধরা চলমান রয়েছে। বর্তমান স্থানীয় বাজারে এই ফল বিক্রি হচ্ছে সাইজ ভেদে ৫০-৬০ টাকা প্রতিটি। শুধু মিষ্টি কুমড়া বিক্রয় করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন বলে তিনি আশা করছেন। এছাড়াও তিনি তার পুকুরপাড় থেকে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি বিক্রি করে প্রতি মাসে ২-৩ হাজার টাকা আয় করছেন। এর সবগুলো ঐ মিনি পুকুরের সংরক্ষিত বৃষ্টির পানির কারণে সম্ভপর হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বেসরকারি সংস্থা খ্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এর প্রোমোটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ-২ প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী স্টিভ রায় রুপন বলেন, আমরা প্রকল্পের কাজের জন্য ঐ বাগান সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। পানির অভাবে বাগানের গাছগুলো মরে যাচ্ছে দেখে আমাদের প্রকল্প থেকে উক্ত উপকারভোগী সদস্যকে “জলবায়ু অভিযোজিত কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রসারের জন্য” ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে একটি মিনি পুকুর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। তীব্র খরা প্রবণ এলাকা হওয়ায় খরা মৌসুমে এই এলাকার অনেক পুকুরই পানিশূন্য হয়ে যায়। আমরা ঐ মিনি পুকুরে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য ত্রিপল বিছিয়ে দিয়েছি, এখানে পানিতে কচুরিপানা এবং তালপাতা রাখা হয়েছে যাতে পানি কম বাষ্প হয় এবং বেশি দিন পানি ব্যবহার করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, তীব্র খরা প্রবণ এই এলাকার বিভিন্ন জমিতে বিশেষ করে নতুন ফল বাগানগুলোতে এমন মিনি পুকুর খনন করলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বেশ অবদান রাখা যাবে। একই সাথে বৃষ্টির পানি ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আমরা আম চাষি কৃষকদের আম বাগানে সাথি ফসল হিসাবে এই জাতীয় শাকসবজি ও মসলার মধ্যে পেঁয়াজ রসুন চাষ করতে বলছি। এতে আম গাছের পরিচর্যায় যে খরচ হবে তা এখান থেকেই উঠে আসবে। সিসিডিবির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এমন মিনি পুকুর এই এলাকার বাগানগুলোতে তৈরি করতে পারলে জমিতে সেচের পানির সংকট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 


আরও খবর



ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ সংবাদপত্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৬ দিনের ছুটি পেলেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে। প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা।

রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় ফের সরকার নির্ধারিত ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

শনিবার (৬ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটি পাবেন সংবাদকর্মীরা।

জানা যায়, ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার বিষয়ে নোয়াবের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। তাছাড়া এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানিয়েছে। অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে।

এ বিষয়ে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ঈদের ছুটি চিরাচরিত। একইভাবে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখ। তাই সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, সেই আবেদন আমরা নোয়াবের কাছে জানিয়েছি। এতে কর্মীদের কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে। তা ছাড়া গণমাধ্যমে ছুটিও এমনিতে অনেক কম। আশা করছি, নোয়াব সংবাদকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হবে। তিনি জানান, ঈদের ছুটি ৬ দিন হলে এটি অনন্য রেকর্ড হবে। স্বাধীনতার পর আর কখনও সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।

জানতে চাইলে নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কিনা– তা নিয়ে নোয়াবে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হাইকোর্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিকছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে করা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে দিলেন।ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নাই।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি।

আদালতের এ আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার পর ছাত্র আন্দোলনের মুখে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। কিন্তু ওই ঘটনার চার বছর না পেরোতেই বুয়েটে আবারও ছাত্র রাজনীতি চালুর জন্য তৎপরতা শুরু করেছে ছাত্রলীগ। এতে সায় আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেরও। বুয়েটের উপাচার্য বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে আবারও ছাত্র রাজনীতি চালু করা যেতে পারে।

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয় গত ২৭ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশকে কেন্দ্র করে। এ ঘটনায় পরদিনই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে, এমন অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শত শত শিক্ষার্থী।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঈদযাত্রা স্বস্তির প্রস্তুতি ম্লানের আশঙ্কা মহাসড়কে হাটবাজার-ইটবালু ব্যবসা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি:দেশের অত্যান্তু গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক গুলোর মধ্যে একটি ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন মহাসড়কের ৭টি ফ্লাইওভার খুলে দেওয়াসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।কিন্তু মহাসড়কের ওপর অবাধে চলছে হাটবাজার, চোরাই ইটবালু ব্যবসা ও অবৈধ থ্রি-হুইলার। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও উচ্ছেদ করা না হলে ঈদযাত্রা স্বস্তির সকল প্রস্তুতি ম্লান হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন শ্রমিক, যাত্রীসহ স্থানীয় লোকজন।

সরেজমিনে ঘুরে সড়ক সংশ্লিষ্ট ও পরিবহন শ্রমিক-যাত্রীসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম একটি মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১২২টি সড়কের যানবাহন চলাচল করে। ফলে এ মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়কে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। এক সময় নাকাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতেন উৎসবমুখর ঘরমুখো মানুষ। অনেকেই যানজটে আটকে ঈদের নামাজেও শরীক হতে পারতেন না। আবার এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতের মনে হলেও দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন যাত্রীরা। চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিল একই অবস্থা। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন অনেকটা স্বস্তির মহাসড়ক দুটি। কিন্তু বছরে দুটি ঈদ, দূর্গাপূজাসহ বড় ছুটির সময়ে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়ে এখনো মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

শিল্পকারখানা একত্রে ছুটি হলে মহাসড়কে চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যানজট আরো দৃঢ় হয়। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে গত ২৪ মার্চ বিভিন্ন মহাসড়কের ৭টি ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এয়ারপোর্ট, জসীমউদ্দিন, ইউটার্ন-১ গাজীপুরা, ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত

বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগড়া, চৌরাস্তা ফ্লাইওভার। এসব ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করছে। এছাড়াও প্রতিবছরের ন্যায় এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগ, হাইওয়ে,জেলা ও থানা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ নাম মাত্র উচ্ছেদ অভিযান করলেও মৌচাক, সফিপুর, পল্লীবিদ্যুৎ, চন্দ্রা ত্রিমোড়, বোডঘরসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভারের নিচে এবং ফুটপাতসহ মহাসড়ক দখল করে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে বসছে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট ও হাটবাজার। এছাড়াও খাড়াজোড়া, কালিয়াকৈর বাইপাস, শ্রীফলতলী, হিজলতলী, সূত্রাপুর, বোডঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের ওপর প্রায় অর্ধশত চোরাই ইটবালু স্পট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেট চক্ররা প্রশাসনকে মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কের ওপর এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অপর দিকে মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, সিএনজি, মাহিন্দ্রসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহনের ইচ্ছা মতো মহাসড়কের ওপরেই রয়েছে তাদের অবৈধ ষ্টেশন। ফলে প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও।

দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন, আবার অনেকেই হয়েছেন পঙ্গু। নিঃস্ব হয়েছেন তাদের অনেকের পরিবার। কিন্তু তারপরও ভ্রাম্যমান দোকাটপাট, হাটবাজার, চোরাই ইটবালু ও থ্রি-হুইলার সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন সব মিলিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, ওই টাকা ভাগ যাচ্ছে কিছু অসাধু পুলিশ, সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পকেটেও। ফলে মহাসড়ক ঘিরে প্রকাশ্যে এভাবে অন্যায় অপরাধ সংঘঠিত হলেও সংশ্লিষ্টরা যেন নিবর দর্শক। এছাড়াও যেখানে সেখানে যত্রতত্র গাড়ি পাকিং, যাত্রী উঠানামা করানোসহ যানজটের সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আর এসব কারণ এখনো চলমান থাকায় এবার ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণ গুলো সমাধান করা না হলে সংশ্লিষ্টদের স্বস্তিতে ঈদযাত্রার সকল প্রচেষ্টা ও প্রস্তুতি ম্লান হবে বলেও মনে করছেন পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন। পথচারী ও যাত্রী আয়েশা আক্তার, আলমগীর হোসেন, লাল মিয়া, সাদ্দামসহ অনেকেই বলেন, প্রশাসনের লোকজন যত যাই বলুক, যানজট লাগবেই। যানজট ছাড়া কোনো ঈদে আমরা বাড়ি যেতে পারি না। পিকআপ চালক নুর ইসলাম, পিপলু হোসেন, বাস চালক মোখলেজ মিয়া, তজু মিয়াসহ অনেকে বলেন, মহাসড়কের ওপর হাটবাজার, ইটবালু ব্যবসা করায় প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে। এছাড়া আমাগো লগে পাল্লা দিয়ে আগে যাচ্ছে অটোরিকশা সিএনজি। ফলে দুর্ঘটনা ও যানজট লেগে যায়।

প্রতিবছরই মতো এবারও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে উল্লেখ করে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এ মহাসড়কের সাড়ে ৬ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ যানজট এলাকায় ৩২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। তবে ঈদকে ঘিরে ফুটপাত দখলমুক্ত, রং পাকিং গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়াও থ্রিহুইলার, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ইটবালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।

সম্প্রতি ওই মহাসড়ক পরিদর্শণ শেষে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রায় ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানান ঢাকা রেঞ্জের হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, গতবার ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও এবার এবার আরো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। এবার টকিং ড্রোন ব্যবহারের পাশাপাশি নতুন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি থাকছে বডি লাইভ ক্যামেরা যা সরাসরি হেড অফিসে চন্দ্রা কন্ট্রোল বক্সের মাধ্যমে মহাসড়ক নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, ঈদকে ঘিরে মহাসড়কের যানজট নিরসনে ইতিমধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাতে যানজট না থাকে সে বিষয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর



জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে,শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায়।

এর আগে আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা। সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূস আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন চান তিনি। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সকালের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ ৪ জন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় দেয়া বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।


আরও খবর