Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ইসলামি বক্তার জিহ্বা কাটল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাওলানা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬) নামে এক ইসলামি বক্তার জিহ্বা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার আজমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শরিফুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার ছেলে।

বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (আরবি) মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাতে বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি এলাকায় মাহফিলে অংশ নেন মাওলানা শরিফুল। মাহফিলে তিনি শিয়াদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন তিনি। মাহফিল শেষে মধ্যরাতে ভাগ্নের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলস্টেশন এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় শরিফুলের জিহ্বা ও ঠোঁটের অনেকটা অংশ কেটে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলে শরিফুলের সঙ্গে থাকা ওবায়দুল্লাহ (৩৪) নামে একজন আহত  হন। তাদের চিৎকারে আশপাশ থেকে মানুষ চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার শ্রীপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জোহরের নামাজের আগে মানববন্ধন করেছেন।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরিফুল ইসলামের ওপর হামলার খবর আমরা শুনেছি। তবে এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে আমি তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই বক্তাকে একদল যুবক চড়-থাপ্পড় মেরেছে। এ সময় তার জিহ্বা কেটে গেছে। কী কারণে মেরেছে, বিষয়টি আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



মির্জাপুরে পার্টনার ফিল্ড স্কুল (পিএফএস) ধান এর কার্যক্রম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পার্টনার ফিল্ড স্কুল (পিএফএস) এর কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ জুলাই ২০২৩ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত।১৭ এপ্রিল, ২০২৪ মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী এবং আনাই তারা ইউনিয়নের দুটি স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উয়ার্শী ইউনিয়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর উপজেলার বর্তমান সাংসদ খান আহমেদ শুভ এবং আনাই তারা ইউনিয়নের চামারি ফতেপুর গ্রামের স্কুল উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আলমগীর হোসেন।

মির্জাপুর উপজেলার কৃষি বিষয়ক এক্সটেনশন অফিসার রাজীব মন্ডল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরঞ্জন ভৌমিক এবং সাহাদাত হোসেন উনাদের বক্তব্যে প্রান্তিক কৃষকদের নিয়ে গঠিত পিএফএস এর কার্যক্রম এবং এর উদ্দেশ্য গুলো তুলে ধরেন।

প্রতিটা স্কুলে ১০ জন নারী এবং ১৫ জন পুরুষ নিয়ে পিএফ এস-এর এই কার্যক্রম শুরু হয়। হাতে কলমে দশটি ক্লাসের মাধ্যমে কৃষক কৃষাণীদের এখানে শিক্ষা দেয়া হবে।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক লুৎফর অরেঞ্জ, সাংবাদিক আশিক ইসলাম আসিফ, আনাই তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বিরাজুর রহমান রাহুল এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


আরও খবর



তানোরে দুই শতাধিকের অধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা! উত্তেজনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে দুই শতাধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী হাসানের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার জিওল গ্রামে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় জমির মালিকের ছেলে জিওল গ্রামের আলি হোসেন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাছ কেটে জমি দখলের ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলে আশঙ্কা গ্রামবাসির। 

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল মৌজার অন্তর্গত আরএস ৩৩ নম্বর খতিয়ানে আরএস ২৫৩ দাগে জমি রয়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ। জমিটির মালিক ওই গ্রামের মুন্তাজের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। তার নিজ নামে খাজনা খারিজও রয়েছে। যার খারিজ কেস নম্বর ৩৫৬০/1x-1/২০০৫-২০০৬ ইং, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১৯৭, হিসাব নম্বর ২০৩। কিন্তু জমিটি নিয়ে বারবার ঝামেলা ও দখল করার পায়তারা করে আসছেন জিওল গ্রামের প্রভাবশালী হাসান আলী। 
সরেজমিনে দেখা যায়, জিওল গ্রামের ধানী মাঠে পোল্ট্রি খামারের পূর্ব দিকে জমিটির অবস্থান। জমিটিতে গত মঙ্গলবার মালিক আনোয়ারা বেগমের ছেলে আলী হোসেন প্রায় আড়াই শত মত আম গাছ রোপন করেন। আমের জাত আমরুপালি। গাছ রোপনের পরদিন বুধবার  দখলদার হাসান গংয়ের নেতৃত্বে তরতাজা আম গাছ কর্তন ও ত্যারের বেড়া ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। গাছগুলো কাটা অবস্থায় নিথর ভাবে পড়ে রয়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, জমির মালিকের ছেলে আলী হোসেন তিনি জানান, বিগত ১৯৮১ সাল থেকে জমিটি আমাদের দখলে ছিল। মাঝে মধ্যেই হাসান দলবল এনে দখল বাজী ও আবাদের ক্ষতি করে থাকে। আমার মা বিগত ১৯৮১ সালের দিকে  এজমিসহ আরো জমি কিনেন। কিনার পর খাজনা খারিজ করা হয়েছে। হাসান খারিজ বাতিলের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিন্তু তার লাঠি ও টাকার জোরে দখলের চেষ্টা করে থাকেন। তিনিই থানায় অভিযোগ করেন, তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় বসার কথা হয়। অথচ বসার আগেই আমার রোপনকৃত গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এতে করে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চায়। জমি তার হলে অবশ্যই ছেড়ে দিব।

দখলদার হাসান বলেন, আমি জমিটি বিগত ২০০৫ সালে কিনেছে। কিন্তু তারা কিভাবে খাজনা খারিজ করে ফেলেছে আমি জানিনা। আমার দলিল আগে। আপনার দলিল আগে হলে তো মিস কেস করলে খারিজ বাতিল হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এডিসিতে আবেদন করেছিলাম, সে রায় ভূমি অফিসে আছে। রায় থাকলে তো জমি খারিজ হয়ে যাবে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদ উত্তর না দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বসে মিমাংসা করা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 
জমির মালিক আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মুন্তাজ আলী বলেন, কাগজ যার জমি তার। আমার নামে খাজনা খারিজ আছে। হাসানের কাগজ যদি সঠিক থাকে  ও খারিজ বাতিল করতে পারলে এবং আমাদের বিপক্ষে রায় গেলে আমরা জমি ছেড়ে দিব। কিন্তু বারবার লাঠিয়াল বাহিনী এনে সব নষ্ট করে ফেলা কোন কাজ। এতগুলো আমগাছ কেটে ফেললো এর ক্ষতি পূরুন কে দিবে। তার লোকজন ও টাকা পয়সা আছে বলেই সবকিছু করবে এটা কোন ধরনের কথা। আমরা এসবের ন্যায্য বিচার চাই।  গাছ কাটার পর থানা পুলিশ তদন্ত করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



বেনাপোল সীমান্তের ওপারে বিএসএফ'র রাবার বুলেটে ২ বাংলাদেশী আহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের বেনাপোল সীমান্তের ওপারে বিএসএফ'র রাবার বুলেটের আঘাতে ২ বাংলাদেশী নাগরিক আহত হয়েছে।মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে তারা ফেন্সিডিল (মাদক) আনতে ভারতে গেলে বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করে ও রাবার বুলেট ছুড়লে এরা আহত হয়। বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে। তাদের পায়ে ও চোখে গুলি লাগে।

আহতরা হলো, বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বরকত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ডালিম (৩২) ও মৃত দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে পিয়াস বাবু (৩৫)।

খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি)'র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার জানান, বেনাপোল সীমান্তের দৌলতপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১৭/৭-এস এর ১৮২ আর পিলার এর বিপরীতে আনুমানিক ২৫ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এরা দুই জন বাংলাদেশের নাগরিক ফেন্সিডিল আনতে গেলে বিএসএফ ধাওয়া করে ও রাবার বুলেট ছুড়ে। উক্ত রাবার বুলেটের আঘাতে  তারা আহত হয়। পরে, উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে বিজিবি টহল দল কর্তৃক উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্বাস্থ্য কমপেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয় এবং চিকিৎসা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্থান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইয়াছিন আলী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইয়াছিন আলীকে (৫৭) আটক করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-৬ এর খুলনা ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায় আসামিরা।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন শানতলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াছিন আলী কলারোয়া উপজেলার তুলশীডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার নির্যাতিত স্ত্রীকে দেখে ফেরার পথে কলারোয়া থানা এলাকায় পৌঁছলে কতিপয় সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, হাত বোমা সহ তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন সহ অন্যান্য আইনে পৃথক তিনটি মামলা হয়। পরে মামলাগুলোর বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে ইয়াছিন আলী অন্যতম এবং তিনি সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ২৬ মার্চ রাতে তাকে যশোরের শানতলা মোড় থেকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব-৬এর সদস্যরা। পরে তাকে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



প্রচন্ড তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ চলছে কোচিং সেন্টার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:প্রচন্ড গরমের তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও এক প্রকার দাপটের সাথেই চলছে কোচিং সেন্টার। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলেও কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় ব্যবস্হা নেয়ার দাবী জানান অনেকেই।নিত্যদিনের ন্যায় গতকালও শহরের ৮ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার চিত্র চোখে পড়ে।

দেখা গেছে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীরা গদাগদি করে বসে আছে। অনেকের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। অনেক অভিভাবক বলছেন,এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে ভালো হতো। কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে না থেকে কোচিং সেন্টারে ছুটছে।

৮ নং ওয়ার্ডে কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা অনেক শিক্ষার্থী বলছেন,গরমে বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। এরপরেও মেধার বিকাশ করতেই যেতে হচ্ছে সেখানে। এমনিতেই প্রচন্ড গরম এরপর কোচিং সেন্টারে গদাগদি করে বসলে সারা শরীর থেকে ঘাম ঝরে। কোচিং সেন্টারের সারেরা যদি এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতেন, তাহলে খুব ভালো হতো।আবার কেউ কেউ বলছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। কোচিংয়ের কারনে পড়াশোনা অনেকটা এগিয়ে গেছে। স্কুল কলেজ খোলার সাথে সাথে পরিক্ষা। কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা না করলে পরিক্ষায় লিখতে পারবো না।

গরমে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টার কেন খোলা রেখেছেন জানতে চাইলে সৈয়দপুর শহরের ডাক বাংলা সংলগ্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জাবেদ আকতারি জানান, সৈয়দপুরের অনেকেই তো কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন। গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে তা জানা ছিল না। তাছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক।  সকলের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে আমি ও বন্ধ রাখবো। তবে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সাথে সাথে যদি কোচিং সেন্টার ও বন্ধ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেই।

সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম  জানান,যারা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন তারা নীতিবহির্ভূত কাজ করছেন। সরকারের নির্দেশ কে সম্মান জানিয়ে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রচন্ড গরমের দিন গুলোতে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবী জানান তিনি। এরপরেও যদি কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

আরও খবর