Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইসলাম ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে যা বলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৮৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক; যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ দিন দিন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান ও সংরক্ষণেও নিচ্ছে প্রযুক্তির সহায়তা। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই প্রযুক্তি সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখে না। মানুষের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের বিপদে ফেলার ফাঁদ পাতা হয়।

এখন বেশির ভাগ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। কখনো কখনো এই স্মার্টফোনই মানুষের বিপদের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন অ্যাপ বা স্পাইওয়্যারের সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির স্মার্টফোনে আড়ি পাততে সক্ষম সাইবার অপরাধীরা। এতে করে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে, ব্যাংকের টাকা চুরি হয়ে যাচ্ছে, ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি।

ইসলামের দৃষ্টিতে এভাবে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির উদ্দেশ্যে তার ওপর নজরদারি চালানো নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা বেশি অনুমান থেকে বেঁচে থাকো। কারণ কিছু কিছু অনুমান তো পাপ এবং তোমরা কারোর গোপনীয় দোষ অনুসন্ধান করো না। ’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)

উপরোক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিকার রক্ষা করে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন, তা হলো মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখার অধিকার। অহেতুক মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত দোষত্রুটি খোঁজার জন্য তার পেছনে লেগে থাকা, প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ফোনে আড়ি পাতা জায়েজ হবে না।

তবে কারও মাধ্যমে যদি রাষ্ট্রের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে বৃহত্তর স্বার্থে আইনসিদ্ধ পদ্ধতিতে তার ওপর নজরদারি চালানোর অধিকার যাদের আছে, তারাই শুধু যৌক্তিক ব্যবস্থা নেবে। ইসলামের দৃষ্টিতে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধারের জন্য এ ধরনের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।

মানুষের ক্ষতি করার লক্ষ্যে যেকোনো ধরনের চক্রান্তকারী ব্যক্তিকে হাদিসের ভাষায় অভিশপ্ত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘অভিশপ্ত সে, যেকোনো মুমিনের ক্ষতি করে অথবা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪০)

স্মার্টফোনে আড়ি পাতাও অন্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করারই অংশ। যারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হবে তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে।

রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের কথা গুপ্তভাবে শুনল, অথচ সে তাদের কথাগুলো শুনুক তারা তা পছন্দ করছে না অথবা তারা তার অবস্থান টের পেয়ে তার থেকে দূরে পালিয়ে যাচ্ছে, কিয়ামতের দিন এ জন্য তার কানে সিসা ঢেলে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ৭০৪২)

আরেকটি হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হে লোকেরা, তোমরা যারা মুখে ইসলাম গ্রহণ করেছ, অথচ ঈমান তোমাদের অন্তরে ঢোকেনি, তোমরা মুসলমানদের কষ্ট দিও না। তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কারণ যে ব্যক্তি তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের দোষ অনুসন্ধান করল, আল্লাহ তাআলা তার দোষ অনুসন্ধান করবেন। আর যার দোষ আল্লাহ তাআলা অনুসন্ধান করবেন তাকে অবশ্যই তিনি লাঞ্ছিত করে ছাড়বেন, যদিও সে নিজ ঘরের অভ্যন্তরেই অবস্থান করুক না কেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩২)

নাউজুবিল্লাহ, এই হাদিসগুলো দ্বারা বোঝা যায়, অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, তার গোপন তথ্য হাতানোর অপচেষ্টা করা মুমিনের কাজ নয়। এগুলো মানুষের অধিকার হরণের শামিল। এগুলোর দ্বারা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হয়, শত্রুতার বীজ বপন হয়, যা ইসলাম সমর্থন করে না।

নবীজি (সা.) তার উম্মতদের অন্যের দোষত্রুটি খুঁজতে বারণ করেছেন, বরং প্রত্যেককে ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।

আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত, তোমরা কারও প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করো না। কেননা খারাপ ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। একে অপরের দোষত্রুটি খুঁজো না, একে অন্যের ব্যাপারে মন্দ কথায় কান দিও না এবং একে অপরের প্রতি শত্রুতা পোষণ করো না; বরং ভাই-ভাই হয়ে যাও। (বুখারি, হাদিস : ৫১৪৩)

তা ছাড়া স্মার্টফোনে আড়ি পাতা এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যের সম্ভ্রমহানির শামিল, যার শাস্তি ভয়াবহ। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোনো বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নেয় সেদিন আসার আগে, যেদিন তার কোনো দিনার বা দিরহাম থাকবে না। সেদিন তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ তার কাছ থেকে নেওয়া হবে আর তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ থেকে নিয়ে তা তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ২৪৪৯)

মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের জঘন্য পাপ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আরও খবর



পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ৪ জেলার উপর দিয়ে মিছিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় ফারাক্কা দিবস পালন করেছে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতি। কর্মসুচি বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়। ভারতের কাছ থেকে ফারাক্কা ও তিস্তা নদীসহ ৫৪ টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মাগুরা থেকে জিকে প্রকল্পের প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল, প্রচার অভিযান ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি পালিত হয়। 

এই কর্মসূচি জিকে প্রকল্পের ৪ জেলা তথা- মাগুরা, ঝিনেদা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ১৩ উপজেলার মধ্য দিয়ে যাবে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন  সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, কেন্দ্রীয় নেতা তসলিম উর রহমান, কাজী ফিরোজ, সহিদুল এনাম পল্লবসহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। 

কর্মসূচিতে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ অংশ নেন।বক্তারা,ভারতের কাছ থেকে ফারাক্কা ও তিস্তা নদীসহ ৫৪ টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা সহ ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। 

আরও খবর



সৈয়দপুরে মা ও মেয়ে একসাথে উত্তির্ন এস এস সি পরিক্ষায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরর ও প্যানেল মেয়র-৩ সাবিয়া সুলতানা ও তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তির্ন হয়েছেন।

ওই পরিক্ষায় প্যানেল মেয়র সাবিয়া সুলতানা পেয়েছেন জিপিএ-৩.৬৪ ও মেয়ে মোহিনী পেয়েছেন ৩.৫০ পয়েন্ট।মা পড়াশোনা করেছেন আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে আর মেয়ে শহরের ইসলামিয়া স্কুল থেকে। 

শিক্ষার যে কোন বয়স নেই তার প্রমান করলেন মা সাবিহা সুলতানা। এঘটনায় সৈয়দপুর শহর আলোচনায় মুখরিত। 

সাবিহা সুলতানা বলেন, আমার মা ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল। নবম শ্রেনিতে যখন পড়তাম তখন আমার বিয়ে দেয়া হয়। স্বামী চাকরি করতেন পৌর পরিষদের অধিনে। তার ইচ্ছে ছিল আমাকে পড়াশোনা করাবে কিন্তু  শ্বশুর বাড়ির লোকজন চাইতেন না বলেই পড়াশুনা করতে পারিনি।  প্রায় দশ বছর আগে আমার মা মারা যাওয়ায় জনগনের চাপের মুখে আমি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করি। ওই নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেন। পরপর দুইবার  কাউন্সিল নির্বাচিত হলে বর্তমান পৌর মেয়র ও এলাবাসী আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলে।  সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা শুরু করি। কারন, পড়াশুনার যে কোনো বয়স বা বিকল্প নেই বলে তা আমি জানতে পেরেছি । ভর্তি হই আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। মেয়ে এস এস সির ফরম ফিলাপ করে ইসলামিয়া স্কুল থেকে, আর আমি আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে। মা ও মেয়ে একসাথে এস এস সি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে খুব ভালো লাগছে।  তিনি সকল মা দের বয়স না দেখে শিক্ষিত হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 


আরও খবর



‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের এবারের স্লোগান ‘পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের নিশ্চয়তা’র সাথে সঙ্গতি রেখে সম্প্রতি ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। 

এ উপলক্ষে গাজীপুওে এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, খুলনার জি-গ্যাস এলপিজি মাদার প্ল্যান্ট ও রূপগঞ্জের জি-গ্যাস স্যাটেলাইট প্ল্যান্ট-১০১, অর্থাৎ এনার্জিপ্যাকের সকল কারখানায় বিশেষ ব্রিফিং, র‌্যালি সমাবেশ ও ফটো সেশনের আয়োজন করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রমশ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর মাঝেও নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটে। 

কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে এনার্জিপ্যাক অত্যন্ত সচেতন। এমন প্রত্যয় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য-বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে থাকে, যেন কর্মীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে পারে। কর্মস্থলের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রতিষ্ঠানটির সকল কারখানায় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মানদ- নিশ্চিত করা হয়। 

এ বিষয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, “এনার্জিপ্যাক সবসময় নিরাপত্তা, কর্মীদের স্বাস্থ্য ও টেকসই পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করে। আমাদের সকল প্রচেষ্টাতেই এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এমনকি সামনের দিনেও আমরা সকল কর্মীর জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করবো।”  


আরও খবর



ইতিহাস সৃষ্টি করে সর্বকনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তানভীর রেজা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করে সর্বকনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তানভীর রেজা। গত ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল চার টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসার চশম প্রতীকের প্রার্থী তানভীর রেজা কে বে সরকারী ভাবে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। তানভীর ৩৮ হাজার ৫৩৭ ভোট পান এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে সোহেল রানা ভোট পান ২৪ হাজার ৬০১ টি। তালা প্রতীকের চেয়ে ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট বেশি পান চশমা প্রতীক। যে কজন প্রার্থী ছিলেন তানভীর রেজা সবার চেয়ে কম বয়সী। তিনি এত পরিমান ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করবেন কেউ ভাবতেই পারেন নি। তানভীর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং আজিজুর গ্রামে বাড়ি। অপর প্রার্থী সোহেল রানা সাবেক ছাত্র লীগ নেতা ও তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী আবু বাক্কার সিদ্দিকের কাছে পরাজিত হন। 

জানা গেছে, প্রয়াত এরশাদ সরকারের সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হত। এরপর ১৯৯১ সালে বিএনপি ও  ১৯৯৬ সালে আওয়ামী এবং ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বাতিল করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সরকারের সেবা গ্রামগঞ্জে পৌছে দিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সে মোতাবেক ২০০৯ সালে তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন চশমা প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা আব্দুর রহিম। ২০১৪ সালেও আব্দুর রহিম পুনরায় নির্বাচিত হন। এর পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এনির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী আবু বাক্কার সিদ্দিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এনির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সর্বকনিষ্ঠ তানভীর রেজা চশমা প্রতীকে নির্বাচিত হন।

ডলার নামের চশমা প্রতীকের এক কর্মী জানান, তানভীরের বয়স কম, তার সাথে সবাই কথা বলতে পারবে। কোন কাজ না করলেও তাকে অনেক কিছু বলা যাবে। কারন সে আমাদের বয়সের। তানভীর একেবারে কম বয়সে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
মোসারফ নামের আরেক কর্মী জানান, তানভীর বয়সে ছোট তাকে ভোট দিবে কিনা সন্দেহ ছিল। কিন্তু তাকে মানুষ এত পরিমান ভালোবাসা দিয়েছে কল্পনাতীত। আমার জানা মতে তার মত কম বয়সে ভাইস চেয়ারম্যান কেউ হতে পারেনি।

বিজয়ী প্রার্থী তানভীর রেজা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার এবিজয় উপজেলা বাসীকে উৎসর্গ করেছি। আমি যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তার প্রতিদান অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব। আমার দপ্তর সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দার ভুয়া মৃত সনদ নিজেই তৈরি করতো: ডিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, রাতের আঁধারে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার প্রায় ৯০০ মরদেহ দাফনের ভুয়া মৃত সনদ নিজেই তৈরি করেছেন বলে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, আপনারা জানেন মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছি। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে রাতের আঁধারে সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই মৃতদেহ দাফন করার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

হারুন অর রশীদ বলেন, রাতের আঁধারে মিল্টন সমাদ্দার মরদেহ দাফন করতেন। সিটি করপোরেশনের সিল নিজেই মারতেন। সেই কাগজগুলো আমরা উদ্ধার করেছি। লাশ দাফন করার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সনদ সে নিতো না। নিজেই লিখে সই করতো। সিলসহ কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে আনার পরে তার স্ত্রীকেও ডাকা হবে। তবে কোনো ভুক্তভোগী যদি মামলা করেন তাহলে তার স্ত্রীকেও আমরা গ্রেপ্তার করব।


আরও খবর