Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বসেই ৬ দফা প্রণয়ন করেছিলেন বাবা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতি সব সময় আলাদা অনুভূতি রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিসে বসে বাবা ৬ দফা রচনা করেছিলেন। যে ৬ দফা আসলে আমাদের বাঙালির মুক্তির সনদ, আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি।

আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বিমা দিবস-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বিমা কোম্পানির যোগসূত্র রয়েছে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বসেই ৬ দফা প্রণয়ন হয়েছিল। পুরো জিনিসটা টাইপ করেছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। পরে এটা একজন বিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে ট্রান্সলেশন করা হয়। আমাদের যে স্বাধীনতা অর্জন বা ছয় দফা প্রণয়ন, ছয় দফার ভিত্তিতে ৭০ এর নির্বাচন- সবই কিন্তু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বসেই করা হয়। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ইন্স্যুরেন্সের এক যোগসূত্র রয়ে গেছে, এটা বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন-জীবিকার জন্য আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে দায়িত্ব নেন। সেই কোম্পানির মালিক আমার বাবার বন্ধু ছিলেন। তিনি তাকে দায়িত্ব নিতে বলেন। সে কারণে তিনি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করতেন। তবে এটা বেশি দিন টেকেনি। কারণ ১৯৬২ সালে আবার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মার্চ মাস আমাদের সংগ্রামের মাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

বিমা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।


আরও খবর



সোহেল খান কে ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চায় নেতা-কর্মীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ২৫০জন দেখেছেন

Image

আর হানিফ: যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এবারের সম্মেলনে তৃণমূল তাদের পছন্দের নেতা হিসেবে ৬৪ নং ওয়ার্ডে সোহেল খান কে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে তৃণমূলের ব্যাপক তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেছে।বিভিন্ন গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নেতার ভূয়সী প্রসংশা করে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।তার নেতৃত্ব গুনের কারনেই তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের। সোহেল খান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অকুতোভয় বীর যোদ্ধা।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করতে চায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।দুর্দিনে যারা অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করে দলে কাজ করেছিলেন সেইসব নেতাদের এবারে ওয়ার্ড কমিটিতে গুরুত্বপুর্ন পদে অন্তর্ভুক্ত করতে চান।যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামীলীগের এি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জনপ্রিয়তা শীর্ষে সাবেক তুঁখোড় সাহসী ছাএনেতা বৃহত্তর মাতুয়াইল ইউনিয়ন ছাএলীগের তৎকালীন ২০০২ হতে ২০১৩ পর্যন্ত সফল দায়িত্ব প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জননেতা সোহেল খানঁ।গত ২০১৭ সালে বৃহত্তর মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা-০৫ আসন উপ-নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৪ নং ওয়ার্ড নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ন-সদস্য সচিব এর দায়িত্ব পালন করেন।সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক ভুমিকা পালন করেন।এছাড়াও ,তিনি করোনা মহামারী দুর্যোগ এর সময় ৬৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় নিরীহ মানুষ ব্যাপক সাহায্যে সহযোগিতা করেছেন।তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন।

ডিএসিসির ৬৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সফল ছাএনেতা সোহেল খাঁন এর এলাকায় ব্যাপক সুনাম রয়েছে।দলের দুঃসময়ে যখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা সোহেল খান এর  কাছে আশ্রয় পেয়েছিলেন।সাবেক ছাএনেতা সোহেল খাঁন ২০০৪ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে মিথ্যা হত্যা মামলার শিকার হয়ে দীর্ঘ তিন মাস কারাবরণ করেছিলেন।যার মামলা নং-৪৪১/২০০৪।এছাড়াও তৎকালীন সময়ে মাতুয়াইল ইউনিয়ন ছাএলীগ সংগঠন ছিলো বৃহওর ডেমরা থানা শক্তিশালী সংগঠন।তিনি জোট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনরত অবস্থায় একাধিকবার জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।সাবেক আওয়ামী লীগের নেতা শরীফ মোজাম্মেল হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেএী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে রাজধানী জুরাইনে সমাবেশ সফল করে বাড়ী ফিরে আসার সময়ে পথিমধ্যে তৎকালীন সরকারী পেটোয়া বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দী ছিলেন।

গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদে বিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাস,গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ  জ্বালাও পোড়াঁও আন্দোলনে কোনাপাড়া কাঠের পুল এলাকায় নিরীহ বাস যাএীদের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে গুরুতর আহত যাএীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সু চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গিয়ে সেচ্ছাসেবীর ভূমিকা পালন করেন তিনি। 

এবং ব্যাক্তিগত ভাবে দূস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হন। সরকার বিরোধী সড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বিএনপি-জামাত কর্তৃক জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজপথে বহু বার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।ডিএসসিসির ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে বর্তমানে সুসংগঠিত রেখেছেন সোহেল খাঁন।তার নেতৃত্ব এই অঞ্চলের আওয়ামীলীগ নেতা--কর্মীদের মাঝে প্রানচাঞ্চল্য ফিরে  এসেছে।দলের জন্য সদা-সর্বদা নিবেদিত সক্রিয় নেতার ভুমিকা পালন করে আসছেন তিনি।সোহেল  খান আওয়ামী লীগের একজন দক্ষ রাজনৈতিক নেতা,তার চৌকস নেতৃত্বের কারনে বিএনপি-জামাত এই অঞ্চলে নাশকতামুলক কর্মকান্ড করার আগে অন্তত দশবার চিন্তা করে।

ডিএসসিসি ৬৪ নং ওয়ার্ড জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নয়ন মোল্লা বলেন,স্থানীয় আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করতে সোহেল খান যে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে আসছেন তা অতুলনীয়,তার মতো যোগ্য ব্যাক্তি ৬৪ নং ওয়ার্ড  আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলে দল আগামীতে আরো গতিশীল হবে।

সর্বোপরি সবদিক বিবেচনায় ডিএসসিসির ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে ত্যাগী নেতা হিসেবে যোগ্যতার মুল্যায়ন হিসেবে সোহেল খান কে নির্বাচিত করলে নেতা-কর্মীদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।


আরও খবর



কোন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রোখা যাবেনা শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা: সাইফুজ্জামান শিখর এমপি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: দেশে আর কেউ কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কোন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বন্ধ করা যাবেনা শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা।।সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত। কাল  বৈশাখী  ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীপুর উপজেলার টিকারবিলা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ পরিদর্শনকালে রবিবার সন্ধ্যায় এক সমাবেশে  এ কথা বলেন।   শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়া মাহমুদুল গনি শাহিন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুনুর রশীদ মুহিত, জেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সংসদ সদস্য বলেন,  জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাল থাকলে দেশের মানুষ ভাল থাকে। তাই শেখ হাসিনা যাতে ভাল না থাকে তার জন্য আন্দোলন সংগ্রামের নামে সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। দেশকে যারা পাকিস্তান বনানোর স্বপ্ন দেখেন সেই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মত করতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার দুটি কণ্যা শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করতে চায়। তিনি বিএনপির কর্ম কার্ন্ডের সমালোচনা করতে যেয়ে বলেন, তারা সরকারে থেকে গ্রেনেট হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, সিলেট মাজারে বোমা বাজী করে অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবরিয়াকে হত্যা  আহসান উল্লাহ মাষ্টারকে হত্যা, রমনা বটমূলে বোমা হামলাসহ দেশকে বোমাবাজির রাষ্ট্রে পরিনত করেছিল। সে খান থেকে দেশকে আজ কোথায় এনেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার। যা তাদের ভাল লাগছেনা। তাই দেশকে আবার অকার্যকর রাষ্ট্রে তালিকায় আনতে ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সকল ষড়যন্ত্র বানচাল করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রস্তুত। মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকা বিরোধীতা করেছিল, তারা আবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কোন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কাজ হবেনা, জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল বাঁধা উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সংসদ সদস্য এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর কলেজের  ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনর্নির্মাণসহ নানাবিধ উপকরণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন । পরে তিনি কিছুদিন পূর্বে বজ্রপাতে নিহত তিনজনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে চরচৌগাছী গ্রামে যান । পরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মার্কেট পরিদর্শন করেন । এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মধুপুরে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:সফল প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার হুমকির দেওয়ায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর  উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২২ মে) বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবুর নেতৃত্বে   বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

মিছিলটি  শহরের গুরুত্বপুর্ণ  সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা মোড়ে এসে কাজী ডিজিটাল হাসপাতালের সামনে এসে শেয হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, অরনখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ: রহিম, বেরিবাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং ভোটের অধিকার প্রয়োগসহ মুক্ত মত প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। আজকে সেই দেশে, মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হচ্ছে, হয়েছে। চলছে দুর্নীতি আর মিথ্যাচারের এক মহোৎসব।

দেশে বর্তমানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং চলছে। এর ফলে এসএসসি পরিক্ষার্থীরা অস্বাভাবিক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ না করে বিগত দিনের ন্যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন নিপীড়নের যাত্রা শুরু করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী মতের দলগুলো এবং দেশবাসী এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, ঠিক সে সময় অবৈধ সরকারের মন্ত্রী এবং শাসকগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যাচার ও অলিক কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। জনগণ ইতিমধ্যে এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছে। অবৈধ সরকার আন্দোলন যখন দানা বেঁধে উঠছে, ঠিক সেই সময় মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করতে চায়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকার মামলা-হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। একতরফা বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। সিলেটে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় তল্লাশি করছে; বিষয়টি সিলেট পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে।

এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ সরকার দেশের মানুষের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন চালানোর জন্য এবং অধিকার হরণের জন্য রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ যথা আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ সর্বশেষ বিচার বিভাগকে এই সরকার দখল করে নিজেদের ইচ্ছামত বিরোধী মতের মানুষসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপরে অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের জনগণের দ্বারা প্রত্যাক্ষিত বর্তমান সংসদকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যে মানুষের ভোটের অধিকার স্তব্ধ করে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সব কালা কানুন তৈরি করেছে। শাসন বিভাগকে ব্যবহার করে যখন তখন যেকোনো মানুষকে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হত্যা ও খুন এখন নিত্যদিনের এই অবৈধ সরকারের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার প্রধানের ইচ্ছামতো মানুষকে কারাগারে বন্দী রাখা, নির্যাতন করা বিচার বিভাগের অবৈধ সরকারের নির্দেশে ফরমায়েশি রায় প্রদান করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মামলা-হামলায় কারাগারে প্রেরণ ও সাজা প্রদান করছে। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্চ আদালতের জামিনে থাকার পরেও নেতাকর্মীকে নিম্ন আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছেন, যা আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে জনগণ মনে করে।

এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ সাড়ে ১১ হাজার মামলায় বিএনপিসহ বিরোধী মতের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩টির অধিক মামলা এই অবৈধ সরকার দায়ের করেছেন। আসামির সংখ্যা প্রায় ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮১ অধিক। তার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ হাজার ৮৩০ এর অধিক ঢাকাতেই ১৫শ মামলা


আরও খবর



বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীন দেখতে চাই: গভর্নর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে পেশাদার, বিচক্ষণ ও সর্বোচ্চ স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দেখতে চান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমার দায়িত্ব চার বছর। মেয়াদ শেষে আমি বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই। এখানে ইন্টেলেকচুয়াল বা মেধাবী বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের মিলনমেলা থাকবে এবং এপেক্স রেগুলেটরি বডি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল উদ্যোগে রোববার বিদায়ী পিআরএল গমনকারী কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, সাবেক-বর্তমান ডেপুটি গভর্নর এবং সাবেক-বর্তমান নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন অফিসার্স ওয়েলফেয়ারের সভাপতি এইচ.এম. দেলোয়ার হোসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, ‘অনেক সময় কাজের প্রয়োজনে সাবেক গভর্নরদের পরামর্শ নিতে হয়। সেজন্য ফরাসউদ্দিন স্যারকে সবসময় কাছে পেয়েছি। তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে সব পরামর্শ বাস্তবায়ন করা যায় না। বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদানের পরপরই আমি কিছু কাজ গুরুত্ব সহকারে হাতে নিয়েছি। এগুলোর মধ্যে কর্মকর্তাদের বাসস্থান। অর্থাৎ ব্যাংক কলোনি গুলোর মান উন্নয়ন। পাশাপাশি কর্মের পরিবেশ ভালো করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের যতগুলো অফিস রয়েছে সেগুলোর মান উন্নয়নের কাজ শুরু করেছি। আমি বিশ্বাস করি কর্মের পরিবেশ ভালো থাকলে ৪০ শতাংশেরও বেশি প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মো. ফরাস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার অস্তিত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক মিশে আছে। আমি এটা ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা। যারা এখানে কাজ করেন তারা শুধু চাকরিই করেন না, এটা তাদের পরিবার। আমি অবসরে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত অনেক পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। অনেক সময় গভর্নরদের হাত-পা বাঁধা থাকে। তাই চাইলেও সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারে না। দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, ৫ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সীমাবদ্ধ থাকলে তাকে মডারেট মূল্যস্ফীতি বলা হয়। ইদানিং আমাদের দেশে যত ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে তার অন্যতম কারণ বহির্বিশ্বের অস্থিরতা। এই সমস্যা ও খুব ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ভবিষ্যতেও এরকম ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে ঋণ খেলাপিদের পরিচালক বানানো হয় না। আমি দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় সরকার একবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন ঋণ খেলাপি। তাকে নিযুক্ত করতে সরাসরি আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সুতরাং এখনো পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ সুশাসন ধরে রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও এর ধারা যাতে অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা করেন তিনি।


আরও খবর