Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
কদমতলীতে আদালতের রায় নিয়ে নালিশি সম্পত্তিতে প্রবেশ, সাইনবোর্ড স্থাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০ তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ গরমে বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত আলু পচে যাচ্ছে নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড সাজেকে ট্রাক খাদে, ৬ শ্রমিক নিহত নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি

হ্যান্ডবল কোচেজ টেকনিক্যাল কোর্স ২০২৩ শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩৯জন দেখেছেন

Image

আজাদ হোসেনঃ উন্নত মানের হ্যান্ডবল প্রশিক্ষক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আজ থেকে পল্টনস্থ শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে আট দিনব্যাপী হ্যান্ডবল কোচেজ টেকনিক্যাল কোর্স ২০২৩ শুরু হয়েছে। 

বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনেরসাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কোচেজ টেকনিক্যাল কোর্সের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক এস.এম খালেকুজ্জামান স্বপন এবং মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহাম্মেদ।

কোর্সে দেশের বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সার্ভিসেস এবং হ্যান্ডবল ক্লাব দল হতে প্রাপ্ত আবেদন থেকে বাছাইকৃত মোট৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছে।

জাতীয় হ্যান্ডবল প্রশিক্ষক কামরুল ইসলাম কিরনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কোর্সটি আগামী ১১ মার্চ সার্টিফিকেট বিতরনের মাধ্যমে শেষ হবে।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু:আহত ২৫,গ্রেফতার ৬

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে পৃথক ঘটনায় এক নারীসহ ৩জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলো- জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২২), একই গ্রামের মৃত নইমুল্লার ছেলে আব্দুল আউয়াল (৫৫) ও দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ধল গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু ফাহিমা বেগম (৩৭)। আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ১০টায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার থলেরবন্দ গ্রামের রাস্তার পাশে ওই গ্রামের আশিক আলী বাড়ির সামনে একটি ঘোড়া গাছের সাথে বেঁধে রাখে একই গ্রামের শের আলী। ওই সময় আশিক আলীর ছেলে ফরিদ আলী তার বাড়িতে যাওয়ার সময় ওই বেঁধে রাখা ঘোড়াটি তাকে লাথি মারলে সে আহত হয়। এঘটনার জের ধরে দু‘পক্ষের মধ্যে প্রথমে কাটাকাটি, পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ভাবে সমাধান করে দেন। কিন্তু তারই জের ধরে রাত ১২টায় দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ডাকাডাকি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর এই সংঘর্ষের উভয়পক্ষের ২৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় নুর মোহাম্মদ (২২) কে রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আব্দুল আউয়াল (৫৫) কে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া  হচ্ছে।

এমতাবস্থায় আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা আহত আব্দুল আউয়াল ও গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ২টায় নুর মোহাম্মদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে দুইপক্ষের ৬জনকে গ্রেফতার করেছে। এঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ও আশেপাশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

এদিকে সকাল ১১টায় দিরাই উপজেলার ধল গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু ফাহিমা বেগম (৩৯) তার ১৮ মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহণ করা মোটর সাইকেল যোগে পাশে রনভূমি গ্রামের যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেল থেকে রাস্তা পড়ে যায়। এঘটনায় ওই গৃহবধু তার মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়। সেই সাথে তার শিশুকন্যাও। পড়ে  স্থানীয়রা মা ও মেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর গৃহবধু ফাহিমাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। আর আহত শিশুকন্যাকে ভর্তি করা হয়।

শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন ও দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন  চৌধুরী পৃথক ঘটনায় ৩জনের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এব্যাপারে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



জাতির পিতার সমাধিতে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃগোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ বেদির পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে  জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, "ঈদের এই আনন্দের দিনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আগমন করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই আজ স্বাধীন সার্বভৌম দেশে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারছি। এই দিনে জাতির পিতাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। দোয়া করি মহান আল্লাহ তায়ালা, তাঁকে যেন জান্নাত দান করেন। আমিন, জয় বাংলা।"

এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ছালেহ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, গোপালগঞ্জ জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিপলু আহম্মেদ, সিনিয়র স্টাফ অফিসার (পিএস-২) মোঃ নাজমুল হোসেনসহ ফায়ার সার্ভিসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।


আরও খবর



চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মীরপুর শাহআলী ও দারুসছালামবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪৯জন দেখেছেন

Image

ডেক্স রিপোর্টঃচাঁদাবাজদের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মিরপুর-১, দারুসসালাম থানা এলাকার কাঁচাবাজারে আড়ৎসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে রাস্তার পাশে ফুটপাথে বসা ব্যবসায়ী যেন ভোগান্তির শেষ নেই। বাদ পড়ছেন না বিভিন্ন মার্কেটে পজিশন নিয়ে বসা ব্যবসায়ীরাও। এমনকি টেম্পু স্ট্যান্ডগুলো চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মালিক ও চালকরা । এইসব নিয়ন্ত্রণ করছেন মোহাম্মদ খাইরুল, মোহাম্মদ রতন ও মোহাম্মদ জনি । তারা যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।


এই তিন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট মিলে প্রতিদিন ওইসব এলাকা থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায় এবং মাসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা উঠায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইসব চাঁদার টাকা উঠানোর জন্য ওই তিন সিন্ডিকেট ১০ থেকে ১৫ জনকে নিয়োগ করেন। নিয়োগকৃত সদস্যরা প্রতিদিন এক লাখ টাকা চাঁদা উঠায়ে তিন সিন্ডিকেটের প্রধান রতনের কাছে টাকাগুলো জমা দেন বলে তাদের নিয়োজিত একজন সদস্য জানায় । এভাবে তাদের চাঁদাবাজি চলতে থাকে মাসের পর মাস বছরে পর বছর । তারা এমপি ও স্থানীয় প্রভাবশালী সরকারদলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এইসব চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে তারা এইসব অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের মাধ্যমে।


মিরপুর বেড়িবাঁধের কাঁচামালের আড়ৎদের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন এখানে প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ আড়ৎদার রয়েছেন । ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাবধানে নেন এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখানে মাল ক্রয় করতে আসলে তাদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করে থাকেন। ওই চাঁদাবাদ সন্ত্রাসীদের নিয়োজিত সদস্যরা প্রতিটি রিকশা ভ্যান থেকে ও পিকআপ ভ্যান থেকে এমন কি ট্রাক থেকে ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেন। সাদা টাকা না দিলে ওই ব্যবসায়ীদের উপরে অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজ সদস্যরা। তখন ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এইসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।


ওইসব চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে গিয়ে দ্রব্যমূল্য জিনিসের দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘকাল ধরে এলাকার নেতা ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাস্তানদের চাঁদা এবং পুলিশকে ঘুষ দিয়েই কাঁচামালের আড়ৎদের, ফুটপাথে ব্যবসা ও টেম্পু স্ট্যান্ড গুলো ব্যবসা করতে হচ্ছে এছাড়া আমাদের কোন প্রকার উপায় নেই। নাইমেন তৈয়ব আলী জানান, চাঁদাবাজ খাইরুল, রতন ও জনি তার কাছ থেকে প্রতিমাসে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না হলে তাকে লাইন চালাইতে দিবে না। এমনকি তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেন ওই চাঁদাবাজরা। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বিভিন্ন ধরনের অমানবিক নির্যাতন শুরু করে চাঁদাবাজদের সদস্যরা তাই ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে তাদেরকে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।


যেখানে চাঁদাবাজদের সঙ্গে প্রশাসন লোকজন জড়িত রয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছ থেকে বিচার দিয়ে কি আর লাভ হবে। ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান খাইরুল, রতন ও জনি তারা কিশোর গ্যাংয়ের লিডার এবং তাদের মাধ্যমে মিরপুর বিভিন্ন এলাকায় কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তাদের মাধ্যমে তারা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। টেম্পু চালক আতিফুর রহমান জানান ওইসব চাঁদাবাজদের অত্যাচারে টেম্পু স্ট্যান্ডে যাত্রী রাও আসতে ভয় পায়। প্রতিদিনই চাঁদাবাজ সদস্যদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয় এমনকি আমাদেরকে মারধর করে।


ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাউসার মিয়া জানান চাঁদাবাজরা যেসব চাঁদা টাকা উঠায় সেগুলো আবার মিরপুর ১ নাম্বার প্রিন্স বাজার মার্কেটের দ্বিতীয় ও সপ্তম তলা বসে তারা ভাগাভাগি করে নেয় । তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে উল্টো তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকেন। এইসব অবকর্মীর দেখার কেউ নেই? ওইসব চাঁদাবাজরা এমপি ও স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য অপকর্ম করে যাচ্ছে কিন্তু নেতারা জানার পরেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন। এর শেষ কোথায় কবে জানব।


এইসব ব্যাপারে খাইরুল, রতন ও জনি কে কাছে জানতে চাইলে তারা এসব ঘটনার অস্বীকার করেন তারা এইসব ঘটনায় কিছুই জানেন না। আবার
সম্প্রতি কিছু উঠতি মাস্তানদের দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এসব মাস্তান ২৫-৩০ জন কিশোরকে দলে ভিড়িয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করছে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে হাত করে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি মিরপুর-১ ও দারুসসালাম এলাকায় হকার মোহাম্মদ খলিল ও আলামিন নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এমনই একটি গ্রুপ।


যারা ওই এলাকার প্রতিটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দিনহারে চাঁদা আদায় করছে। তাদের টাকা দিতে না চাইলে শুরু হচ্ছে হামলা ও নির্যাতন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে দ্বিমুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পুলিশ অভিযোগ শুনলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এই সুযোগে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে নির্যাতন চালাতে শুরু করে। শাহ আলী এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হোসেনের দোকানে হামলা চালায় তাদের বাহিনীর সদস্যরা। এই ঘটনায় তিনি শাহআলী থানায় একটি জিডি করেন। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ব্যবসা করতে গেলে কয়েকটি ধাপে চাঁদা ও ঘুষ দিয়েই ব্যবসা করতে হয়। এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।


কিন্তু যখন এর বাইরেও চাঁদা দিতে হয় তখন ব্যবসায়ীদের পুঁজি ভেঙে খাওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকে না।তিনি বলেন, ফুটপাথে খুবই কম লাভে পণ্য বিক্রি করতে হয়। এখন প্রচুর দোকান থাকায় খুব বেশি লাভও হয় না। তার মধ্যে থানা, পুলিশ, লাইনম্যান, ঝাড়–দার, সোর্স এবং এলাকার বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের আলাদা আলাদা করে টাকা দিতে হয়। কেউ দিন হিসাবে আবার কেউ সপ্তাহ হিসাবে এসব টাকা নিয়ে থাকে। তার মধ্যে এখন যুক্ত হয়েছে খলিল ও আলামিন বাহিনীর সদস্যরা। কিছু কিশোর ও উঠতি বয়সী যুবকদের সাথে নিয়ে প্রতিটি দোকানে চাঁদা দাবি করছে। না দিলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে।


কামাল হোসেন নামে অপর একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, এই দলে সাইদুল, হাসান, সিরাজ, বড় সুমন, মোল্লা ,বাবুসহ ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা প্রত্যেকে এলাকা ভাগ করে চাঁদা আদায় করছে। কেউ দিতে না চাইলে এরা সবাই একসাথে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। চাঁদা না দেয়ায় তার দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে।এই ঘটনায় তিনি দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। তিনি আরো বলেন, এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। ফলে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, ফুটপাথে সামান্য লাভে পণ্য বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়।


কিন্তু সেই সামান্য লাভের টাকা থেকে যদিও এভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে ভাগ দিতে হয় তাহলে আর কিছুই থাকে না। এখন দেখা যাচ্ছে পুঁজি থেকেই চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।তারা আরো অভিযোগ করে বলেন মুক্ত বাংলা মার্কেটে সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুম্মান মিরপুর বিভাগের পুলিশের ডিসি মো. জসিম উদ্দিনের নামে খলিল ও আলামিন মাধ্যমে চাঁদা উঠায় হকারদের কাছ থেকে। প্রতিদিন তারা্ এই ভাবে পুলিশের নামে হকারদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা উঠাচ্ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




মিরসরাইয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে পানিতে ডুবে জাকারিয়া (৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরিয়তপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী ওই এলাকার রহিম উল্ল্যাহ হাজী বাড়ির কৃষক শিপনের ছেলে। সে স্থানীয় শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুম তালিমুল কোরআন মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

নিহতের চাচা কামরুল ইসলাম জানান, জাকারিয়া মাদ্রাসার বিরতির সময় বাড়িতে এসে পুকুরে গোসল করতে নামার একপর্যায়ে সে ডুব দিলে পুকুরে তলিয়ে যায়। পরে ৮-১০ জন মিলে পুকুরে খুঁজে তার সন্ধান পেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শরিয়তপাড়া ফজলুল উলুল তালিমুল কোরআন মাদরাসার সুপার মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, জাকারিয়া মাদ্রাসার টিফিনের বিরতির সময় হওয়ায় বাড়িতে যায়। দুপুরে খাবার খেয়ে আবার মাদ্রাসায় ফেরার কথা। এর মাঝে পরিবারের অগোচরে গোসল করতে পুকুরে নামে। পরে খবর পাই সে আর নেই!


আরও খবর

হোমনায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক ছেলে আটক

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




শপথ নিলেন ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটির মেয়র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শপথ নিয়েছেন ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়ররা। এই দুই সিটিতে নির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও ডা. তাহসীন বাহার সূচনাকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ গ্রহণ করেন তারা।

একই সঙ্গে ময়মনসিংহ সিটির নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পড়ানো হয়।

গত ৯ মার্চ ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ করা হয়। একই দিন উপরোক্ত জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ময়মনসিংহ সিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ডা. তাহসিন বাহার সূচনা।


আরও খবর