Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

হঠাৎ ওষুধের দাম বাড়ল ১২ শতাংশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের ২৪ ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে সরকার। হাইকোর্টে কোম্পানিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনায় এ দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আশরাফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২৪টি ওষুধের মূল্য প্রায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। টেকনিক্যাল সাব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মূল কমিটি এটা পুনঃনির্ধারণ করে দিয়েছে। তারা বলেছিল, বর্তমানে কাঁচামালের মূল্যসহ অন্যান্য খরচ বিবেচনা করে আমাদের সার্বিক নীতিমালা অনুসরণ করেই সর্বনিম্ন মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

যেসব ওষুদের দাম বাড়ল: লিবরা কোম্পানির ৫০০ মিলির কলেরা স্যালাইনের দাম আগে ছিল ৬১ টাকা। বর্তমানে দাম বাড়িয়ে ৭২ টাকা করা হয়েছে। একই কোম্পানির ১০০০ মিলির কলেরা ৮৮ টাকার স্যালাইন ৯৮ টাকা করা হয়েছে। ২০০০ মিলির ১১৩ টাকার কলেরা স্যালাইন ১২২ টাকা, ৫০০ মিলির হাপটসম্যান সলিউশন ৭৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২ টাকা, ৯৫ টাকার ১০০০ মিলির হাটসম্যান ১০৫ টাকা, ৫৫ টাকার ৫০০ মিলির হাটসম্যান প্লাস ৬৬ টাকা, ৭১ টাকার ১০০০ মিলির হাটসম্যান ৮০ টাকা, .০৯% সোডিয়াম ক্লোরাইডের দাম ছিল ৬৪ টাকা, তা ৬৬ টাকা, ৭৪ টাকারটি ৮০ টাকা, ৮৯ টাকারটি ১০০ টাকা, ১০২টাকারটি ১১৫ টাকা, ১০% ৮০ টাকার ডেক্সট্রোজ ৯০ টাকা, ৯৮ টাকারটি ১০৫ টাকা, ৭০ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ক্লোরাইড ৮০ টাকা, ৯৩ টাকারটি ১০৭ টাকা, ৬৬ টাকার ২৫ ডেক্সট্রোজ ৭৫ টাকা, ৭৮ টাকারটি ৮২ টাকা, ৯৩ টাকার ৫% ডেক্সট্রোজ ১০৫ টাকা, ৬৬ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৭২ টাকা, ৭৮ টাকারটি ৮৫ টাকা, ৮৬ টাকারটি ৯০ টাকা, ৭৮ টাকারটি ৮২ টাকা, ৯৩ টাকারটি ১০০ টাকা করা হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশে এল ভারতীয় পেঁয়াজ, কেজি ২৫ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

হিলি প্রতিনিধি:দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই ভারতীয় দুটি ট্রাকে ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছেন এন আলম ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। 

হিলি আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, গত ১৬ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করায় আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এন আলম ট্রেডাস দুটি ট্রাকে ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করে। এখন ১৫০ থেকে ২০০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এতে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

হিলি স্থলবন্দরের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে ১৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।


আরও খবর



সিআইপি হলেন ৪৪ ব্যক্তি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৪ জনকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) সম্মাননা দিয়েছে সরকার। সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী ২০২১ সালের অবদানের জন্য তাদের সিআইপি সম্মাননা দিল শিল্প মন্ত্রণালয়।

গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুর হোসেন ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।

এনসিআইডি ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের ছয় ব্যক্তি। তারা হলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী, বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী।

বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে সিআইপি হওয়া ২০ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার এরিক এস চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলসের চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, প্রাণ ডেইরির চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ মৃধা, ডিউরেবল প্লাস্টিকের পরিচালক উজমা চৌধুরী, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোবারক আলী, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এসিআইয়ের এমডি আরিফ দৌলা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মাঈনউদ্দিন মোনেম, ফারিহা নিট টেক্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের এমডি অঞ্জন চৌধুরী, হ্যামস গার্মেন্টসের এমডি মো. সফিকুর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলসের উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মীর সিরামিকের পরিচালক মাহরীন নাসির, রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উইনার স্টেইনলেস স্টিল মিলসের চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, তাসনিয়া ফেব্রিক্সের উদ্যোক্তা পরিচালক আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলসের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, এনভয় টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।

বৃহৎ শিল্প (সেবা) ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন- এসটিএস হোল্ডিংয়ের এমডি খন্দকার মনির উদ্দীন, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজের এমডি জাকারিয়া শাহিদ, দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের এমডি মো. আতিকুর রহমান, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এসএম কামাল উদ্দিন ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।

মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন বিশ্বাস পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার জাহান হাসনিন মুক্তাদির, অকো-টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সোবহান, জিন্নাত নিটওয়্যারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল জব্বার, রোমানিয়া ফুল অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ূন কবির বাবলু, প্রমি অ্যাগ্রো ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হাসান খান, মাসকো পিকাসো লিমিটেড পরিচালক ফাহিমা আক্তার, টর্ক ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, জিন্নাত অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ ও সিটাডেল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিদুল ইসলাম।

ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে সিআইপি হওয়া দুজন হলেন রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান ও আরফান অ্যাগ্রো ফুড লিমিটেডের পরিচালক মাহবুব আলম। এ ছাড়া মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এমএ সবুর সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন।


আরও খবর



জাতীয় ভূমি সপ্তাহ উপলক্ষে বোরহানউদ্দিনে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধিঃজাতীয় ভূমি সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে ভোলা বোরহানউদ্দিনে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ মে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা ভূমি অফিস এর সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভূমি অফিসের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে উপজেলা ভূমি অফিসের নিচে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুন্নী ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বোরহানউদ্দিন থানার এস.আই মানিক হালদার, উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মো. আনোয়ার হোসেন, কুতুবা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শহীদ তালুকদার, বড়মানিকা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকতা মো. সুজাউদদৌলা, উপজেলা ভূমি অফিস সহকারী তরিকুল ইসলাম সোহাগ, উপজেলা ভূমি অফিস সহকারী মেহেদী হাসান প্রমূখ সহ উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী গণ ও ভূমি মালিকরা।


আরও খবর



বেনাপোলে পরিবহণ শ্রমিক বাপ্পীর সম্পদের পাহাড়, দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : বেনাপোলের পরিবহণ শ্রমিক নাজমুল হোসেন বাপ্পী হঠাৎ করে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। অভিযোগ উঠেছে দুদকে। বেনাপোলের ছোটআঁচড়া গ্রামে বিলাসবহুল পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করে আলোচনায় উঠেছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি হুন্ডি ও মাদকের কারবারে জড়িয়ে অবৈধ এ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক
সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। দুদকে দাখিল হওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা রয়েছে, বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের আব্দুল করিম’র ছেলে নাজমুল হোসেন বাপ্পী সাউদিয়া পরিবহণের কলারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গত কয়েক বছর ধরে।

পরিবহণ শ্রমিক হয়েও তিনি ছোট আঁচড়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে জমিজমা ক্রয় করেছেন এবং ব্যাংকে বিপুল টাকা গচ্ছিত রয়েছে। অভিযোগকারীর দাবি, পরিবহণ শ্রমিকের পরিচয়ের পেছনে নাজমুল হোসেন বাপ্পী হুন্ডি ও মাদকের কারবারে জড়িত। এই কারবারেই তিনি অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে নাজমুল হোসেন বাপ্পী দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়। তিনি সাউদিয়া পরিবহণের চাকরি করলেও তার মাছের ঘের ও মাছের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা রয়েছে। বাড়ি করলেও তিনি অনেক টাক ঋণগ্রস্ত। ব্যক্তিস্বার্থে তাকে হেয় করার জন্য এ ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক
মো. আল-আমিন জানিয়েছেন, বেনাপোলের নাজমুল হোসেন বাপ্পীর ব্যাপারে অভিযোগ
পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নৌকা ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে আসতে দেবেন না’ বলা আজিজুরের প্রার্থিতা বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আজিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার ভোটের আগের দিন ইসিতে শুনানির পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (লাটিম প্রতীক) মো. আজিজুর রহমা গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ওই ওয়ার্ডের পুবাইল এলাকার কলের বাজার নামক স্থানে বেআইনি মিছিল করেছেন। ওই জনসভায় ‘নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেবেন না’ মর্মে তাস সৃষ্টি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদান করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার তদন্ত করে গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্ণিত বেআইনি মিছিল, জনসভা, ত্রাস সৃষ্টি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি তিনি (আজিজুর) স্বীকার করেছেন এবং তৎসংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক স্বাক্ষ্য-প্রমাণাদি পাওয়া গেছে মর্মে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।

এতে বলা হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তাকে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেয়। তিনি আজ নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য প্রদান করেন এবং লিখিতভাবে অভিযোগ স্বীকারপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ধারণকৃত ভিডিও শুনানিকালে তাকে প্রদর্শন করানো হয় এবং ওই বক্তব্য তারই, স্পষ্টরূপে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যম হতে প্রাপ্ত ভিডিও ক্লিপ, রিটার্নিং অফিসারের পাঠানো তদন্ত প্রতিবেদন, তার (আজিজুর) দোষ স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি পর্যালোচনাপূর্বক সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে তার ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন কমিশনের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। উপর্যুক্ত বিষয়াদি পর্যালোচনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, তিনি বেআইনি মিছিল, জনসভা, ত্রাস সৃষ্টি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদান করে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ৭৩ এবং সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৭ ও বিধি ৩০ লঙ্ঘন করেছেন, যা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিপন্থী।

এতে বলা হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ১১-এর উপবিধি (২) এবং সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩২-এর উপবিধি (২) অনুসারে মো. আজিজুর রহমানের প্রার্থীতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর