Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ২৯৯জন দেখেছেন

Image

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের চ্যাটকে ব্যক্তিগত এবং সুরক্ষিত রাখতে নতুন চ্যাট লক চালু করছে। নতুন বৈশিষ্টটি ব্যবহারকারীদের ‘গোপন চ্যাট’কে সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তরে আড়াল করে রাখবে।

এই ‘লকড চ্যাট’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো নতুন বিজ্ঞপ্তি লুকানো থাকবে এবং ব্যবহারকারীদের তাদের ডিভাইসের পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক তথ্য (যেমন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট চাট বা ফেসিয়াল রিকগনিশন) ভেরিফাই করতে হবে।

একটি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্টটি চালু করার সময়, হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে, ‘আমরা মনে করি এই বৈশিষ্টটি সেই সমস্ত ইউজারদের জন্য দুর্দান্ত হবে যাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই তাদের ফোনটি শেয়ার করতে হয়। এই বৈশিষ্টের সাহায্যে আপনি ফোন শেয়ার করলেও আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট গোপনই থাকবে।

ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি নতুন বৈশিষ্ট্য ঘোষণা করে এবং এটি কীভাবে কাজ করবে তা দেখানোর জন্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ আগামী কয়েক মাসে চ্যাট লকের আরও বিকল্প যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে আপনার ডিভাইসে চ্যাট লক করার ক্ষমতা এবং আপনার লক করা চ্যাটের জন্য একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করার ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড থেকে আলাদা হবে৷ নতুন চ্যাট লক বৈশিষ্টটি iOS এবং Android উভয় ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে।


আরও খবর



হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির পাতরাপাড়া গ্রামে অবস্থিত মানব কল্যাণ ভোগ্য পণ্য সমবায় সমিতির উদ্যোগে দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পাতরা পাড়া গ্রামে সমবায় সমিতির কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব কল্যাণ ভোগ্য পণ্য সমবায় সমিতির সভাপতি হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল এর পুত্র নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে শতাধিক গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করেন। দোয়া মাহফিলে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বর্তমানে তিনি ভারতের ভেলোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন, তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন গ্রামবাসী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাতরাপাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাধারণ গ্রামবাসী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ বিষয়ে নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি আমাদের বাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন। তখন থেকেই আমাদের পরিবারের সঙ্গে অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এই এলাকার ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক সফল মন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য আ্যডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আমরা তার সুস্থতা কামনা করে আজকে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি, তার জন্য দোয়া করছি আল্লাহ্ধসঢ়;;আলা যেন তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রইস উদ্দিন। এ সময় প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির করছে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের তেতুলিয়া বাজারে নূর নেহা লাচ্ছা সেমাই কারখানায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রং ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। ভেজালবিরোধী অভিযান শিথিল হওয়ায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নাম্বার যেটা আছে (বিডিএস ১৬২০) সেই নাম্বার আবার নওগাঁ সদর উপজেলার মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি নিজের লাকী লাচ্ছা সেমাই নামে ( বিডিএস ১৬২০) দাবী করেন।  এছাড়াও এই কারখানায় নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, যার কারণে কারখানার পরিবেশটাও নোংরা। এই কারখানায় নিম্নমানের পাম অয়েল ও ডালডা দিয়ে তৈরি করছে এসব সেমাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা সেমাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য চিকিৎসকদের। 

স্থানীয়রা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে তেতুলিয়া বাজারে নুর নেহা ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে বিস্কুটের কাজ বন্ধ রেখে গড়ে তুলেছেন লাচ্ছা সেমাইয়ের কারখানা। মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদাল এসে লিখিত নিয়ে জরিমানা করেন। তারপরেও কারখানাটির মালিক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক (ফারুক) ইসলামী আন্দোলন দলের নেতা হওয়ায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে  অধিক মুনাফা পাওয়ার আশায় ভেজাল পন্য তৈরি করেন। 

তেতুলিয়া বাজারের স্থানীয় (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক দোকানদার বলেন, প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে ও তদারকির অভাবে ভেজাল লাচ্ছা তৈরির করছেন ফারুক’ এই কারখানার  কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া উচিত তা না হলে এই ভেজাল লাচ্ছা সেমাই খেয়ে শিশু বৃদ্ধসহ সকলেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে কারখানাটির মালিক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক (ফারুক) এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিজেকে ইসলামী আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার কারখানায় মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত আসে তারা এসে ২.৪.৫ হাজার টাকা জরিমানা করে চলে যায় আমার কিছুই করতে পারে না। আমি কিভাবে ব্যবসা করছি এটা আমার বিষয় আপনাদের সমস্যা কি আপনারা থাকেন আমার লোকজন যাচ্ছে আপনার কি করতে আমার কারখানায় আসছেন সেটা আমি দেখছি।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ জানান, পচা ডিম, অ্যানিমেল চর্বি এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধি মিশ্রিত সেমাই তৈরি যাতে না হয়, সে জন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে এসব ভেজাল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং আমরা এই বিষয়ে জেনেছি ব্যবস্থা নিব।

আরও খবর



বগুড়া ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়া ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের স্থানীয় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এক টেবিলে বসার সুযোগ করেছে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। বগুড়া ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কর্মরত ফটো সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠন। এই এসোসিয়েশনের প্রতিটি কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের আয়োজনে সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। দেশের মানুষ সংবাদপত্রের মাধ্যমে সমাজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। আর এ কাজটি করতে যারা অসামান্য অবদান রাখেন তারা ফটো সাংবাদিক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যে ভাবে কাজ করেন তা দেশ ও জাতি গঠনে নিঃসন্দেহে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এসময় তিনি রমজান মাসের সংযমের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগের আহবান জানান।

ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাওছার উল্লাহ আরিফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জেএম রউফ, সাধারণ সম্পাদক মাছুদুর রহমান রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া এর সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, সূচনা কম্পিউটারের স্বত্তাধিকারী নাজমুল হক সোহেল, বগুড়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম কমল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আসাফুদ্দৌলা ডিউক, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মুমিন, কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ মামুন, প্রদর্শনী সম্পাদক জাফর আহম্মেদ মিলন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাবু ইসলাম, সদস্য মহিত উল আলম মিলন, মোমিন জিল্লু, শফিকুল ইসলাম শফিক, বজলুর রশিদ সুইট, আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, সোহেল রানা, বিমু রহমান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আল আমিন,। ইফতার পূর্বে দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বগুড়া বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ বেলায়েত আলী।


আরও খবর



সাংবাদিক কন্যার অপহরণ মামলা নিতে গড়িমশি কুমিল্লার ওসি ফিরোজ হোসেন, ০৩ আসামী অব্যহতি!

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮৭জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লা প্রতিনিধি:গত ০৯/১২/২০২৩ইং তারিখে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানা থেকে কুমিল্লা সদর - কোতয়ালী মডেল থানায় যোগদানের পরথেকেই কুমিল্লার মানুষ এর মুখে মুখে একটি বাক্য না জানি আবার কার মায়ের বুক খালি হয়! কিন্তু কুমিল্লা বাসীর ধারণা পুরোপুরি মিথ্যা নাও হতে পারে। ওসি ফিরোজ হোসেন তোয়াক্কা করেন না তেমন কাউকেই; এমনকি মিডিয়াতো তার হাতের খেলার পুতল মাত্র। কারণ ওসি ফিরোজ হোসেন-এর বাবা একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাই তার কাছে সাংবাদিকদের কোন মূল্যায়ন নেই বললেই চলে। যখন তখন যা-তা তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করেন তিনি। ব্যবহারের পরিমার্জন এমন যে- আপনি কিসের সাংবাদিক, কতদিন সাংবাদিকতা করেন, আপনাকে তো এর আগে কখনো থানায় দেখি নি! এতে বোঝা যায় যে, প্রতিনিয়ত যারা মূলত পা-চাটুকার দালাল অর্থাৎ তৈলমর্দন করেন ও লেনদেন করতে যান; তাদেরকে উনি খুবই ভালভাবেই চিনেন, বাকিদেরকে ওনার চেনার প্রয়োজন হয় না হয়তো। তিনি এও বলেন, আপনি আমাকে কতটুকু চিনেন! আপনি জানেনই বা কি আমার সম্পর্কে! আমি ফিরোজ হোসেন, আমাকে প্রথমত ভাল করে চিনেন তারপরে থানায় আসেন। আমার বাবা একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাহলেতো উত্তর মিলেই গেল, ওসি ফিরোজ হোসেন উক্ত কারণেই সাংবাদিকদের সঠিক সম্মান-মর্যাদা দিতে জানেন না, কেননা হয়তো তার বাবা তাকে সে শিক্ষাটাই দেন নি। এমনই অসম্মানজনক আচরণে বিরক্ত কুমিল্লার বহু সাংবাদিকবৃন্দ! ইতিমধ্যে তিনি কুমিল্লা জেলা বরুড়া থানা ওসি থাকা অবস্থাতেও মিডিয়া পাড়ায় বিতর্কিত হোন বিভিন্ন গণমাধ্যমে, এক সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক সাথে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে অশুভ আচরণের কারনে কারনে।

সাংবাদিকদের পরিবারের মামলা-মোকদ্দমার বিষয় গেলে তাদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করাই যেন ওসি ফিরোজ হোসেনের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে; এমনকি মামলা নিতেও গড়িমসি করেন তিনি। গেল বছরের ২৬শে নভেম্বর এক সাংবাদিক কন্যাকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা নির্যাতন করে পূর্ববর্তী স্ট্যাম্পে ও কাজীর বালাম বইয়ে সই নিয়ে বিবাহের কোর্ট অ্যাফিট-ডেফিট তৈরি করেন।

তখন নির্যাতিত তরুণীকে নিয়ে অসুস্থ সাংবাদিক বাবা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে উক্ত বিষয় মামলা করতে পুলিশ কেস সার্টিফিকেট নিয়ে সাংবাদিক বাবা। মান-সম্মানের ভয়ে চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও অপহরণকারীদের ব্ল্যাকমেইল ও হুমকির স্বীকার হয়ে ঘটনার দুই দিন পর ২৮/১১/২০২৩ইং তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়ে তরুণীর বাবা আরও কয়েকজন সাংবাদিকদের নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করতে যায়। উক্ত বিষয় কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ অধিক সদস্য ও ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দসহ প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক সাক্ষাৎ ও মুঠোফোনে কথা বললেও তিনি মামলা নিতে গড়িমসি করে কেবলই মাত্র অভিযোগ গ্রহণ করেন ওসি ফিরোজ হোসেন। উক্ত অভিযোগের তদন্ত করার জন্যে এসআই বিশ্বনাথ জিৎ-কে দায়িত্ব দেন তিনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বনাথ জিৎ উক্ত অভিযোগ-এর ভিত্তিতে আসামী পক্ষকে থানায় ডেকে অপহৃত মেয়ের পরিবারের সাথে রফাদফা করার জন্যে পরামর্শ দেন বলে আসামীরা মেয়ের পরিবারকে জানান। আসামীদের থানায় ডেকে ও বাড়িতে গিয়েও কোন প্রকারের তথ্যই সংগ্রহ করতে পারেন নি বলে একাধিক অজুহাত দেখিয়ে মেয়ের বাবাকে বলেন প্রমাণ ছাড়া কিভাবে মামলা দায়ের করবো আর কিভাবেই বা আসামীদের গ্রেফতার করবো! এমতাবস্থায় মেয়ের বাবাকে বলেন, আসামীপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কোন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করা যায় কি না দেখুন! তৎক্ষণাৎ মেয়ের বাবার নিকট আসামীপক্ষের লোকজন রফা-দফা করতে চাইলে পূর্ববর্তী স্ট্যাম্পে ও কাজীর বালাম বইয়ে সই নিয়ে বিবাহের কোর্ট অ্যাফিট-ডেফিট তৈরির বিষয়ে মুঠোফোনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন যা মেয়ের বাবা রেকর্ড করে রাখেন এবং পরবর্তীতে স্বীকারোক্তি মূলক কল রেকর্ডটি নিয়ে এসআই বিশ্বনাথ জিৎ’কে দিলে; তিনি আগের মতোই মামলা নিতে গড়িমসি করেন। এভাবে অভিযোগের দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এসআই মামলা না নেওয়াতে এবং অন্য দিকে আসামী পক্ষ রফাদফার চেষ্টায় ধৈর্য্য হারা হয়ে অপহৃত ঐ তরুণী গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা তখন দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনর্চাজ, দেশপত্র পত্রিকার সিটি সম্পাদক, দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনর্চাজ ও ঢাকা প্রেসক্লাব-এর কার্যনির্বাহী সদস্য জুয়েল খন্দকারকে জানালে, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত অপহৃত মেয়েকে ন্যায়-বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আশ্বস্ত করেন এবং আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকতে স্বান্ত্বনা দেন।

পরে থানায় গিয়ে ওসি ফিরোজ হোসেন-এর সাথে মামলা নেয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে, এক পর্যায়ে সিনিয়র সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার বলেন, আপনি মামলা নিবেন কি না বলেন? থানা-পুলিশ মামলা না নিলে আমরা আদালতে যাবো, তখন ওসি ফিরোজ হোসেন সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন- আপনি কি এমন সাংবাদিক বনে গেছেন? আপনাকেতো এর আগে কখন থানায় দেখিনি, আপনার বাসা কোথায়?  আমার বাবাও বড় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এইসব বলে লাভ নেই, আমি প্রায় ১৬ বছর কুমিল্লাতে, আনাচে-কানাচের সকল সংবাদ আমার কানে আছে। আর তাছাড়া এখানকার সকলকেই আমি চিনি এবং জানি। তখন বিশ্বনাথ জিৎ-কে ডেকে বলেন মামলাটা নিয়ে নিতে বললেও আরও ৭ দিন অতিবাহিত করে ০২/০১/২০২৪ইং তারিখে মামলাটি রুজু করেন। কিন্তু অপহৃত মেয়ের সাংবাদিক বাবা উকিলের সাথে বুঝে, মামলায় ৭ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। কিন্তু আবারো ওসি দায়িত্ব দেওয়া ব্যক্তির কথা অনুযায়ী উক্ত মামলার ধারা বদলে দিয়ে তাদের মত করে ৩ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করেন। থানায় মামলা রুজু হওয়ার বিষয় আসামী পক্ষ কিভাবে জেনে বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হয়, তা এখনো আমাদের বোধগম্য হয় নি! আসামী পক্ষ হাইকোর্ট থেকে ৪১ দিনের জন্যে আগাম জামিন নিয়ে আসেন। অপহৃত মেয়েকে আদালতে নিয়ে ২২ ধারায় জবানবন্ধী নিয়ে কোর্ট ৩জন আসামীসহ মোট ৭ জনকে আসামী করেন। কিন্তু পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি, ইতিমধ্যে আসামীরা সকলেই জামিনে জামিনে চলে গেছেন। এইদিকে নাটকীয়ভাবে মেয়ের বাবাকে নিয়ে একের পর এক আসামীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছেন কিন্তু আসামীদের কোন ক্রমেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তাহলে পুলিশ অন্যান্য মামলার তথ্য ছাড়া আসামী কিভাবে গ্রেফতার করেন? সেটাও বোধহয় বোঝার উপায় নেই। 

ওসি ফিরোজ হোসেন সাংবাদিক নেতা জুয়েল খন্দকার এর সাথে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণের কথা জানতে চাইলে, সিনিয়র সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার বলেন- আমি এক মা হারা মেয়ে ও অসুস্থ সাংবাদিক বাবার সন্তানকে ন্যায়-বিচার পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কথা দিয়েছি। একটি মানুষকে বাঁচানোর স্বপ্ন ও আশা দিয়েছি, ওসি ফিরোজ হোসেনের সাথে তর্ক করে হয়তো বহুদূর যাওয়া যাবে কিন্তু অসহায় পরিবার কি আদৌ বিচার পাবে? তবে আমার জীবনের প্রথম এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৬ হাজার সাংবাদিকের সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি আমি, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সাথে অন্যায়-অবিচার, বিপদে-আপদে সব সময়ে ঝাপিয়ে পড়ি। আর আমার জীবদ্দশায় পুলিশের নিকট কখনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুপারিশ আমি করি নি। যদিও আমার পরিবারেই রয়েছেন এসপি, ডিসি, ডিআইজিসহ একাধিক প্রশাসন কর্মকর্তা। অনেকেই চলে গেছেন অবসরে কিন্তু আমি কখনো কাউকেই ক্ষমতা দেখাতে যাই না, কেননা ক্ষমতার কখনো অপব্যবহার করতে চাই নি। আমাদেরি সাংবাদিক পরিবারের সদস্য ওসি ফিরোজ সাহেব, কেননা তার বাবাও ছিলেন একজন সাংবাদিক। তবুয় সাংবাদিক কন্যা ন্যায় বিচারক পেলইবা কোথায় চার্জশিট থেকে ৭ জন আসামী থেকে ৩ জনের নাম বাদ-দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি ফিরোজ হোসেন বার বার কুমিল্লাতে বদলি হয়ে আসা নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ।

ওসি ফিরোজ হোসেন, সুযোগ্য পিতা: পিতা: মোঃ জালাল উদ্দিন, মাতা: ফাতেমা পারভিন, পাবনা জেলার সুজানাগর থানার মানিকহাট ইউনিয়নের নিঃসন্দেহে গর্বিত সন্তান।

ওসি ফিরোজ হোসেন চাকরীতে এসআই পদে যোগদান করেন ২৩/০২/২০০৬ ইং তারিখে। 

পরে টাঙ্গাইল জেলায় যোগদান করেন, ২২ দিন পরে সেখান থেকে ডিএমপিতে যোগদান করেন ১৫/০৩/২০১০ ইং তারিখ থেকে ২৬/১০/২০১০ ইং তারিখ পর্যন্ত। 

সেখান থেকে শিল্প পুলিশে বদলি হয়ে যায়, ০৪/১১/২০১০ ইং থেকে ১৩/০২/২০১১ ইং পর্যন্ত।  

ওখান থেকে সে কুমিল্লায় ১৩/০৩/২০১১ইং তারিখ থেকে ১৩/১০/২০১৫ইং তারিখ পর্যন্ত ছিলেন ডিবিতে। 

কুমিল্লায় ডিবিতে থাকাকালীন এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে-উন্নতি হয়ে সে ডিএমপিতে যোগদান করেন ১৭/১০/২০১৫ ইং তারিখ থেকে ১৯/১২/২০১৬ ইং তারিখ পর্যন্ত। 

পরে উক্ত থানা থেকে আবারও তিনি কুমিল্লাতে বদলি হয়ে ১০/০১/২০১৭ইং তারিখ থেকে ২৪/০২/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ছিলেন হাইওয়ে থানার ওসি হিসেবে।

সেখান থেকে ১৯/০৩/২০২০ইং তারিখ থেকে ০৪/১১/২০২১ইং পর্যন্ত ছিলেন জোড়ালগঞ্জ। সেখান থেকে গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশে ছিলেন, ১৪/১১/২০২১ ইং তারিখে থেকে ১৩/০৮/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত।

সেখান থেকে বান্দরবন জেলায় বদলি হয়ে ৩০/০৮/২০২২ইং থেকে ০২/১০/২০২২ইং পর্যন্ত মাত্র এক মাস ছিলেন। পরে আবার আসেন কুমিল্লা ডিএসবিতে ০৪/১০/২০২৩ ইং তারিখে পরে ডিএসবিতে ৪ মাস থেকে ওখান থেকে পরে চলে যায় কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায়। 

বরুড়া থানা থেকে আবারও কুমিল্লা জেলা সদর কোতয়ালী থানায় ০৮/১২/২০২৩ ইং তারিখে এখনো পর্যন্ত কুমিল্লায় রয়েছেন। 

ওসি ফিরোজ কুমিল্লায় আসার পরে আবারও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক, সে কুমিল্লায় ১৩/০৩/২০১১ইং তারিখ থেকে ১৩/১০/২০১৫ইং তারিখ পর্যন্ত যখন ডিবিতে ছিলেন তখন কুমিল্লার সন্ত্রাসী সুমন ওরফে জিরা সুমনসহ তার সঙ্গী আরও চারজনকে ক্রস ফায়ার দিয়ে হত্যা করেন যা কিনা কুমিল্লার মানুষের মুখে-মুখে শোনা যায়। জানা যায় যে, কুমিল্লায় জিরা সুমন সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত; সে ভারতীয় জিরার ব্যবসা করতেন তাই তার নাম হয়েছে জিরা সুমন। যদিও মাঝে-মধ্যে সে কসমেটিক্সসহ চিনির ব্যবসাসহ করতেন চাঁদাবাজীও। তবে জিরা সুমন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ধর্নাঢ্য ব্যক্তিদের অর্থ ছিনিয়ে আনা ছিল সুমনের মূল কাজ। যদিও ছিনিয়ে আনা অর্থগুলো অনেক মসজিদ মাদ্রাসায় দান করতেন সে, যেন সিনেমার হিরো নামক ভিলেন ছিলেন সুমন; সুমনের মৃত্যুতে মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক ও ছাত্ররাও কেঁদেছেন বলে জানা যায়। জিরা সুমনের কাছের এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে জিরা সুমনের পরিবারের সাথে আলোচনায় বসলে সুকৌশলে কথা বলে জানা যায় যে, সুমনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮/১০ টা মামলা তৎকালীন সময় চলমান ও কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্টও ছিল। কিন্তু একটা সময়ে রাজনৈতিক নেতাদের ইন্ধনে জিরা সুমনকে বলি হতে হয়। তবে জিরা সুমন ভাল মনের মানুষ ছিলেন, যদিও কুমিল্লা নগরীর সকলেই তাকে খারাপ বলেই জানেন। জানা যায় যে, ওসি ফিরোজ হোসেন তখন কুমিল্লায় ডিবি’র এসআই ছিলেন। জিরা সুমনের নামে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট থাকার কারণে সংবাদ পেয়ে গ্রেফতার করতে গেলে ব্রাক ব্যাংকের সামনে জিরা সুমনের সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তখন বর্তমান ওসি ফিরোজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। পরে  জিরা সুমনকে গ্রেফতার করার জন্য কুমিল্লার প্রশাসন একপর্যায়ে তৎপর হয়ে উঠে। গোপন সূত্রে সুমনসহ তার আরও ৪/৫ জন বন্ধুকেও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থেকে গ্রেফতার করেন ডিবির এসআই অর্থাৎ বর্তমান ওসি ফিরোজ হোসেন। তখন তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে আসলে জিরা সুমনের মা, সুমনের সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ঐদিন রাতেই সুমন ও তার বন্ধুদেরসহ গ্রেফতারকৃত সকলকেই পালপাড়া মাদক স্পটে নিয়ে ক্রস ফায়ার দেখিয়ে হত্যা করা হয়। পরে সুমনকে ঠাকুরপাড়ায় মাটি দিতে চাইলেও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে উক্ত জায়গায় মাটি দিতে দেওয়া হয়নি। পরে কুমিল্লা নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে মাটি দেওয়া হয় বলে, পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। সুমন ওরফে জিরা সুমনকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করে অনেকের দোয়া পেলেও সন্ত্রাসী পুলিশ অফিসার হিসেবে আখ্যায়িত হন তিনি। 

০৮/১২/২০২৪ইং তারিখে যখন ওসি ফিরোজ হোসেন কুমিল্লা কোতয়ালী থানা যোগদান করেন তখন দৈনিক সমাজকন্ঠ পত্রিকার এক নারী সাংবাদিক ফুল নিয়ে শুভেচছা জানাতে গেলে, সে বলেন সামনে নির্বাচন তাই আসলে কারো সাথে ছবি তুলছিনা। উক্ত সময়েই সেই সাংবাদিক বসে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের ২৫/৩০ জন কর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসলে তাদের সকলের সাথে গ্রুপ ফটো এবং আলাদা আলাদা ব্যক্তি কেন্দ্রিক ছবি তিনি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই তুলেন। সাময়িক ধারণা অগোছালো, যদিও ছাত্রলীগের সাথে নির্বাচনীয় মুহুর্তে ছবি তোলা বিতর্ক নয় কিন্তু সাংবাদিকের সাথে ছবি তোলা নিঃসন্দেহে বিতর্ক! ছাত্রলীগের সাথে কি এমন সম্পর্ক রয়েছে ওসি ফিরোজ হোসেন-এর তা আমাদের এখনো অজানা?

কুমিল্লা টাউন হলে কুটি-শিল্প মেলায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল চুরির ঘটনার দৈনিক সমাজকণ্ঠ পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক গেলে ঘটনাস্থলে তদন্ত করে ৪ জনকে সন্দেহভাজন শনাক্ত করে কান্দিরপাড় পুলিশ ফাড়ির পুলিশ গ্রেফতার করে কোতয়ালী মডেল থানার হাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু ওসি ফিরোজ হোসেন তাদেরকে ছেড়ে দেন। অতঃপর থানায় উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংবাদিক থানায় গিয়ে তার মুঠোফোনে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে বললে, ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন আমি আপনার মোবাইল দিয়ে কেন কথা বলবো? তাকে বলেন আমার মুঠোফোনে কল করতে। তৎক্ষণাৎ উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে বাধ্য হয়ে সাংবাদিক ওসি ফিরোজ হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আপনার মত কত সাংবাদিকইতো ফোন করেন; আপনাকে চেনার কিইবা আছে! এমন তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাষায় কথা বলার কারণে এক পর্যায়ে ঐ সিনিয়র সাংবাদিক ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

গত ০১/০২/২০২৪ইং তারিখে আরেকজন গণমাধ্যমকর্মীর ফুফু, হোসনে আরা বেগম কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। হোসনে আরা বেগম একটি জমি বিক্রি করেন কিন্তু কিছু স্থানীয় চাঁদাবাজ মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করেন ও পাশে থাকা জমি দখলের চেষ্টা করছেন বলে হোসনে আরা বেগম চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এবং বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করেন। এমতাবস্থায় হোসনে আরা’র দুই ছেলে মায়ের উপরে হামলার ঘটনা শুনে ঐ চাঁদাবাজদের পেয়ে মারধর করেন। কিন্তু কোতয়ালী মডেল থানা হোসনে আরা বেগম-এর অভিযোগ নিলেও এখনো পর্যন্ত কোন মামলা নেয়নি। কিন্তু উক্ত অভিযোগকে পিছু হটিয়ে চাঁদাবাজদের পক্ষে মামলা নিয়েছেন ওসি ফিরোজ হোসেন। যদিও উক্ত জমির কিছু অংশের মালিকানাও রয়েছে এক গণমাধ্যমকর্মীর। কিন্তু ওসি সাংবাদিকদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করেন বলে উক্ত গণমাধ্যমকর্মী ওসি ফিরোজ হোসেনের নিকট আর যান নি।

অন্য একজন সংবাদকর্মী জানান যে কুমিল্লা উপ-সিটি মেয়র নির্বাচনের সময় জনৈক মাদক ব্যবসায়ী তার নিজ বাড়িতে মাদক ও অস্ত্র মজুত রেখেছেন; এমন একাধিকবার সংবাদ কোতয়ালী মডেল থানায় দিলেও ওসি ফিরোজ হোসেন অন্য অযুহাত দেখিয়ে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করেন নি। এছাড়াও ছিনতাইয়ের দুই বস্তা মোবাইল ফোন উদ্ধার করার ব্যাপারে তাকে জানালে, সে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন সুইচ অফ করে রেখে দেয়।

কেন জানি কুমিল্লাতে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করাই হয় না। গোপন সূত্রে- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদক ব্যবসায়ী জানান যে, আমরা মোটা অংকের মাসিক মাসোয়ারা দেই, তাই হাজার বার বললেও কখন অভিযান পরিচালনা হবে না আর অভিযান পরিচালনা করলে মাসিক মাসোয়ারা বন্ধ করে দেব।

 অবশ্যই কুমিল্লা সদরে ক্রাইম ও মামলা কম দেখিয়ে ওসি ফিরোজ হোসেন শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। নিঃসন্দেহে এটি অবশ্যই ভালো কাজ কিন্তু মানুষ থানায় এমনিতেতো আর থানায় যায় না! নিষ্পেষিত-নিরাপত্তাহীন মানুষের শেষ স্থান হলো থানা, সেখানে গিয়েও যদি মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয় তাহলে এই সেবা দিয়ে কি হবে! কুমিল্লা আদালতে বেড়েছে মামলার সংখ্যা কেননা থানায় মানুষ ঘুরে ঘুরে সেবা না পেয়ে পরে মানুষকে আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হতে হয়। যদিও একটা বিষয় খুবই ভাল দেখা যাচ্ছে যে, ওসি ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে অনেক সামাজিক-অসামাজিক ঝামেলা-মামলা-মোকদ্দমা থানায় কিংবা সামাজিক বৈঠকেই সমাধান হয়ে যায়। তবে ওসি ফিরোজ হোসেন অধিকাংশ মামলা অর্থবিহীন রুজু করেন না বলেও প্রায়ই মানুষকেই বলাবলি করতে শোনা গিয়েছে। ওসি ফিরোজ হোসেন কিছুদিন আগে কুমিল্লা নগরীর সার্কিট হাউস ও প্রেসক্লাবের সামনে কিশোর গ্যাং-এর তান্ডবে ভাল সফলতা দেখিয়েছেন।

ওসি ফিরোজ হোসেন কোতয়ালী মডেল থানায় আসার আগে এ থানার সাবেক ওসি শহিদুল অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে অনেকংশেই কমিয়ে এনেছিলেন অপরাধ-মাদকের মতো অপরাধ। এই প্রথম কুমিল্লায় সিটি মেয়র নির্বাচন সুষ্ঠু হিসেবে কুমিল্লার মানুষকে কোন প্রকার গ্যাঞ্জাম-ফ্যাসাদ ছাড়াই কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সাবেক ওসি শহিদুল। ওসি মঞ্জুর মোর্শেদও প্রতি শুক্রবার কোন না কোন মসজিদে গিয়ে অভিভাবকদের বুঝাতেন ও উঠতি বয়সের কিশোরদের খেলার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিতেন। সাবেক ওসিবৃন্দদের দরজা সব সময় খোলা ছিল সাধারণ মানুষদের জন্য কিন্তু ওসি ফিরোজ-এর নিকট গত ২ মাসে আমাদের অনুসন্ধানী টিম যতবার গিয়েছেন, কোন না কোন দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে চায়ের আড্ডায় তাকে হরহামেশাই দেখা গেছে। তার কথার ধরণ ও ব্যবহার এবং সাংবাদিকদের সাথে মাস্তানস্বরপ আচরণ এতটাই ভয়ানক; তা বলা বহুল্য। কুমিল্লার স্থানী সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা যায় যে ফিরোজ হোসেন কুমিল্লায় ডিবি পুলিশে কর্মরত অবস্থায় সাংবাদিকদেরকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে একাধিক চাদাবাজীর মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণেও নাকি নজির ররছে। আর সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সাথে আচরণ যে কেমন হবে তা আর বুঝার বাকি কিইবা থাকে! সাংবাদিকদের সাথে মারমুখী আচরণ ও অপহৃত সাংবাদিক কন্যার মামলাতে গড়িমশির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিমাসে ১০০ মামলা হয় এতো মামলাতো আর মনে রাখা সম্ভন নহে আপনি এসআই ঈমাম হোসেন আইয়ু তার সাথে কথা বলেন নহেত থানায় এসে তথ্য নিয়ে জান। এসআই ঈমাম হোসেনকে ফোন করে বক্তব্য জানতে চাইলে বলেন আদালতে ১৬৪ এতে ভিকটিম এর জবানবন্দি নিয়ে ০৭ জনকে আসামী করা হলেও ০৪ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে কিন্তু বাকি ০৩ জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি তাই ০৪ জনকে আসামী করে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। প্রশ্নো উঠে যে আদালত ভিকটিমের ২২ ধারা জবানবন্দি নিয়ে ০৭ জনকে আসামী করলে পুলিশ কেন তাদের নাম ঠিকানা যোগার করতে পারেনি তাহলে কি তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয় ভিনগ্রহের প্রাণী যার কারনে নাম ঠিকা যোগার করতে পারেনি বলে মামলা চার্জশিট জমা দিয়ে দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানা যায় রাজনৈতিক বিভিন্ন তকদিরের কারণে এই তিনজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে মামলা চার্জশিট থেকে।

উক্ত বিষয় ঢাকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সোসাইটি (বিএমএসএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খন্দকার আসিফুর রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)  সাধারণ সম্পাদক শিবলি সাদিক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সোহাগ আরেফিন,  ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাংবাদিক নেতা মোঃ ফয়সাল বলেন যে, সাংবাদিক আর পুলিশ হলো বন্ধুস্বরুপ; অনিয়ম ও দুর্নীতি ধ্বংস করাই এই দু’দলের কাজ। সাংবাদিক অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন আর পুলিশ নিয়ম লঙ্ঘনকারী ও দুর্নীতিবাজদের ধরে আইনের আওতাধীন এনে বিচারের ব্যবস্থা করেন। কিছু কিছু পুলিশের জন্যে পুরো পুলিশ বাহিনীর দূর্নাম হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উচিৎ আগে থেকেই অসাধু পুলিশরা ক্ষমতার অপব্যবহার করার আগেই এদের লাগাম টেনে ধরা। নয়তো ২/৪ জন অসাধু পুলিশের জন্য পুলিশবাহিনী’র দূর্নাম হবে, যেমনটা হয়েছিলো ওসি প্রদ্বীপের ন্যায়। আর সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার মূলধারার একজন সিনিয়র সাংবাদিক,  সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা; তার সাথে ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়। মফস্বলের সাংবাদিকেরা সব সময়ই পুলিশের উপরে বড় আস্থা রাখেন।  আশা করি, ওসি ফিরোজ হোসেন সংশোধন হয়ে ও শুধরে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন। এছাড়াও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট অপহৃত সাংবাদিক কন্যার মামলার ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। ন্যায়-বিচারের নামে কোন প্রকার অযুহাত দেখালে সারা বাংলাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যখনই সরকারে এসেছি তখনই চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । কারণ খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি দেয়। দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায় এবং একই সঙ্গে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা ও পুরস্কার বিতরণ হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক। খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ, দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি। আমাদের ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড়রা যারা আজ এখান থেকে শুরু করলো, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে। ছেলেমেয়েরা সারাবছর যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য সরকার সব উপজেলায় একটি করে মিনিস্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপর ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর