Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

হিলিতে বেগুন কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনজপুরের হিলিতে বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আর পাইকারী বাজারে আলুর দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা কেজির বেগুন আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। বিক্রেতা বলছেন,ঘণ কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে কৃষকেরা ক্ষেত থেকে বেগুন তুলতে পারছেনা। তাই মোকামে বেগুন পাওয়াই যাচ্ছে না। পাঁচবিবি ও বিরামপুর মোকামে বেগুনের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে।

রোববার দুপুরে হিলি সবজির বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে আগে বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ সেই বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে শিম ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৪০ টাকা কেজি দরে,করলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, টমেটো ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, মুলা ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ১৫ টাকা কেজি দরে, পাতা পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা আজ ৫০ টাকা কেজি দরে,আর দেশী পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পাইকারী বাজারে কেরেস আলু ২৫ টাকা কেজি দরে,আর গুটি লাল আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৪০ টাকায়। সবধরণের সবজির দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

হিলি বাজারে বেগুন কিনতে আসা মোহাম্মদ আলী বলেন, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুন কিনেছি ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আজ প্রতিকেজি বেগুন কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধান বেগুনের দাম কেজি বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

আরেক ক্রেতা আবু সাইদ বলেন, এখন তো বেগুনের ভরা মৌসুম তার পরেও বেগুনের দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। এক কেজি বেগুন কিনলাম ৭০ টাকায়।

হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা তারেক রহমান জানান,আজ আমি বিরামপুর পাইকারী বাজার থেকে বেগুন কিনেছি। বিরামপুর পাইকারী বাজারেই বেগুন সরবরাহ কমে গেছে। গতকাল শনিবার বিরামপুর হাটের পাইকারী মোকামেই প্রতিমণ ২ হাজার ৪০০ টাকা মণ হলে কিনতে পড়ছে ৬০ টাকা কেজি। তারপরও বেগুন নেই। তাই আমরা যেটুকু বেগুন পাচ্ছি ৬০ টাকা কেজি দরে কিনে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি। মোকামে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম হয়তো কমে আসবে। তখন স্থানীয় বাজারেও দাম আগের মতোই কমে আসবে।

হিলি বাজারের পাইকারী আলু বিক্রেতা বলেন,আজ পাইকারী আলু বিক্রি করছি কেরেস ২৫ থেকে ২৬ টাকায় আর গুটি লাল আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গত এক সপ্তাহের তুলুনায় আজ রোববার কেজিতে ১৫ টাকা আলুর দাম কমছে। আর কয়েক পর দাম আরও কমে আসবে।


আরও খবর



গাংনীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত থেকে পুষ্টি সপ্তাহের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সুপ্রভা রাণীর সভাপতিত্বে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল আল মারুফ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, গাংনী প্রেসক্লাব সহ- সভাপতি মজনুর রহমান আকাশ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম প্রমূখ। 

অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, সিএইচসিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেড় হাজার কোটি টাকা টোল আদায় ছাড়িয়েছে পদ্মা সেতুতে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের বৃহত্তম এ সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এরমধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ টি। অপরদিকে, জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি।

অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতুটি। চালু হওয়ার পর প্রথম দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু ব্যবহার করেছিল। সেদিন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা।


আরও খবর



বিরামপুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩৫জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার  বিরামপুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই মাছ চাষির ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গত শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাতে বিরামপুর উপজেলার ৬নং জোতবানী ইউনিয়নের ট্যাগরা তকিপুর এলাকার ১টি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের খিয়ারমামুদপুর গ্রামের মাছচাষী মমিনুল ইসলাম ৬নং জোতবানী ইউনিয়নের ট্যাগরা তকিপুর গ্রামের মছির মাস্টারের ছেলে রানা’র কাছ থেকে ৫ বছরের জন্য পুকুরটি লিজ নিয়ে, আড়াই বছর ধরে পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিল।

পুকুরের পাহারাদার আব্দুস সালাম জানান, প্রতি রাতের মত পুকুর পাহারা দিয়ে একটু ঘুমিয়ে পড়ি। রাতে ঘুম থেকে উঠে পুকুরে ছোট মাছগুলো মরা অবস্থায় ভাসতে দেখতে পাই। পরে বিষয়টি পুকুরের মালিককে অবগত করি।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি মমিনুল ইসলাম বলেন, এই পুকুরে আমি আড়াই বছর সময় ধরে মাছ চাষ করে আসছি। আর অল্প কয়েকদিন পর মাছগুলো বাজারে বিক্রি করতাম। কিন্তু, শুক্রবার দিবাগত রতে শত্রুতামূলক কে বা কারা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের সব মাছ মেরে দিয়েছে।

৬নং জোতবানি ইউনিয়নের ২ ওর্য়াড সদস্য সাহানুর আলম বলেন, রাতের আধারে মাছচাষী মমিনুল ইসলামের লিজ নেওয়া পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করেছে দুর্বত্তরা। খবর পেয়ে পুকুরটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরের মাছ নিধনের ব্যাপারে এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান কত?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দিন দিন মেগাসিটি ঢাকায়ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যেও ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

আগের দিন সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে ১৩০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে ছিল শহরটি। তার আগের দিন রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ৯২ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ২০ নম্বরে ছিল ঢাকা।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর



চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে আবারো ২শ টন কয়লা পাচাঁর: নেই অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আবারো অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে। সীমান্তের বিভিন্ন বসতবাড়ি ও একাধিক ডিপুতে অভিযান পরিচালনা করলে কোটি টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই সীমান্তে জোড়ালো কোন অভিযান হয়না বলে জানা গেছে।   

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- আজ বৃহস্পতিবার (২রা মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ৮০মেঃটন কয়লা ভারত থেকে পাচাঁর করে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক, ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে মজুত করেছে। এরআগে ভোর রাতে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন চারাগাঁও ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়াগং ভারত থেকে ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের নারী চোরাকারবারী লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়ার বাড়ি ও ফজলু সদর, কাইয়ুম সর্দারের ডিপুসহ আরো একাধিক স্থানে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, গরু, সুপারী,  চিনি, পেয়াজ, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও পাশের বীরেন্দ্রনগর ও বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। এছাড়াও সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩বছরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে হয়েগেছে কোটিপতি। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম ও বিল্লাল কর্মরত থাকাকালীন সময় এই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে ছিল। আটক করা হয়েছে অবৈধ কয়লাসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু নায়েক সুবেদার সিদ্দিক যোগদান করার পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিয়ষে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার কামাল বলেন- চারাগাঁও সীমান্ত আমার কোম্পানীর অধিনে। ওই সীমান্তের চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলব। এই সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।



আরও খবর