Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

হেভিওয়েট প্রার্থীদের নিয়ে তোড়জোড়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৫৪জন দেখেছেন

Image
  • নিজস্ব প্রতিবেদক;হেভিওয়েট প্রার্থীদের আসন বলে পরিচিত পাবনা-১। সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত এই আসন থেকে নির্বাচিত প্রার্থীরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের শেষদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এই আসনে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। অফিস-আদালত, চায়ের দোকান, ক্লাব, রিকশা-বাস, সিএনজি-নছিমন-করিমন স্ট্যান্ডসহ সর্বত্র এখন নির্বাচনী আলোচনা। কোন দলের পক্ষে কারা কারা মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং কে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন দলের জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। পরপর তিনবার এই আসনে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে এই আসনে বিজয়ী হয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়্যিদ। ১৯৯১ সালে এই আসনে বিজয়ী হন জামায়াতের মওলানা মতিউর রহমান নিজামী (মানবতাবিরোদী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত)। ২০০১ সালে তিনি আবারও নির্বাচিত হলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তারও আগে এই আসনে বিজয়ী হয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় পার্টির মেজর (অব) মঞ্জুর কাদের।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে পরাজিত করেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। ওই মেয়াদে তিনি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে ফের মনোনয়ন পেয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়্যিদকে হারান তিনি। আবু সাইয়্যিদ প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান ১৯৯১ সালে। সেবার জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামীর কাছে পরাজিত হলেও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিজয়ী হন তিনি। তবে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আবারও নিজামীর কাছে হারেন তিনি।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। এ ছাড়াও দলটির মনোনয়ন চান সাঁথিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই নেতা প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন, দলের বাইরে কোনো কাজ করবেন না।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে শামসুল হক টুকুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়্যিদ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

তবে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করেন তার ছেলে ও বেড়া পৌরসভার মেয়র আসিফ সামস রঞ্জন। তিনি জানান, পাবনা-১ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর বিকল্প নেই। তাই তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হবেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে চায়।

১৯৯১ ও ২০০১ সালে পাবনা-১ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন জামায়াতের প্রার্থী মতিউর রহমান নিজামী। শোনা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে দলটি থেকে প্রার্থী হবেন বেড়া উপজেলা শাখার আমির ডা. আব্দুল বাছেদ খান। তিনি বলেন, জামায়াত তৃণমূলের সংগঠন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে যোগ্যতম ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয় তার দল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আবারও এই আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থী জয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বাছেদ খান জানান, এই আসনে জামায়াত প্রার্থী ১৯৯১ সালে ৩৮ শতাংশ, ’৯৬ সালে ৩২ শতাংশ, ২০০১ সালে ৩৯ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে ৩৩ শতাংশ ভোট পায়।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেত্রী খাইরুন নাহার খানম। তিনি দাবি করেন, নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলীয় কর্মকা-ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ভোটের পরিবেশ এলে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি নির্বাচন করবেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মামলা তথ্য সংরক্ষণবিষয়ক সম্পাদক, ধোপাদহ ইউনিয়নের দুইবার নির্বাচিত চেয়াম্যান সালাহ উদ্দীন খান দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন করবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, এই আসনের সাঁথিয়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮২১ আর বেড়া অংশে (১টি পৌরসভা ও ৪টি ইউপি) নিয়ে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭৩।


আরও খবর



ডিএসসিসির ৬৫ নং ওয়ার্ডে মেইন হোলের ঢাকনা উধাও, মশার উপদ্রব,ড্রেনে উপচেপড়া ময়লায় জন সাধারণের ভোগান্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসান: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৫ নং ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা, সড়কের মেইন হোলের ঢাকনা উধাও সহ মশার উপদ্রবে নাগরিক ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ডিএসসিসির নবগঠিত ৬৫ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আলী মোহাম্মদ খান রোড আদর্শ বাগ এলাকায় নির্মিত নতুন সড়কটি মেরামতের কয়েক মাস যেতে না যেতেই  ড্রেনেজ লাইনে প্রায় ৩টি ,বানিয়ারবাগে ৩টি, মাতুয়াইল মেডিকেল থেকে মাতুয়াইল চৌরাস্তা পর্যন্ত ৭ টি ম্যানহোলের ঢাকনা নেই। সড়কগুলো দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকার লোকজন।৭ ফুট গভীরতার বড় বড় ম্যানহোলগুলো খোলা থাকায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থার  সিষ্টেম ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় প্রধান নালা ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে,ড্রেনগুলোতে জমে থাকা পানির মধ্যে মশার প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পানিনিষ্কাশন,ড্রেনেজ লাইনের উপড় মেইন হোলের ঢাকনা উধাও এবং মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়ে জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সড়ক গুলো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে,৬৫ নং ওয়ার্ডে লক্ষাধিক লোক বসবাস করে বর্তমানে মেইন হোলের ঢাকনা উধাও, নর্দমার জলজট, মশার উপদ্রব সব কিছু মিলিয়ে কঠিন দুঃসময় পার করছি।

অটোরিকশাচালক ইকবাল জানান, এক সপ্তাহ আগের চার-চারটি ম্যানহোলে ঢাকনা ছিল না। এখন দেখি অনেকগুলোতে নাই। যাত্রী নিয়ে চলতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। রাতে বেশি আতঙ্কে থাকতে হয়।

৬৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এনাম আহমেদ এনাম জানান, মেইন হোলের ঢাকনা গুলো ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে ভেঙ্গে গেছে, সেই ভাঙ্গা ঢাকনাগুলো রাতের 

আঁধারে চুরি করে নিয়ে গেছে। অনেক দিন যাবত ভোগান্তিতে রয়েছে  ওয়ার্ডবাসী। 

অনেকে অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর কে বিষয়টি অবগত করেছি। মেরামতসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও খবর



সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি, বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়ছে উত্তাল ঢেউ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

রাসেল কবির মুরাদ কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : দক্ষিনপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিন আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত হয়েছে। এটি আরো ঘনীভূত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে এর প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর রয়েছে বেশ উত্তাল।

আকাশ রৌদ্রজ্জল থাকলেও দক্ষিন উপকূলে এক ধরনের তীব্র গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে। নদ-নদী পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। ভোগান্তিতে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষজন। আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় জেলা আবহাওয়া অফিস।



আরও খবর



যশোর জেলা ‍বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : যশোরে বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন এসআই জয় বালা। মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, কাজী আজম, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পিকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। একইসাথে পাঁচটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া,  যশোরে কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন থানায় পৃথক নাশকতা মামলায় মোট ৪৪ নেতাকর্মীকে আটক করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বাদী এসআই জয়বালা উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন শুক্রবার বিকেলে শহরের পূর্ববারান্দীপাড়া শতদল পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় নাশকতা কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা হাতবোমা, লাঠি ও ইট পাটকেল নিয়ে অবস্থান করছেন। তাৎক্ষনিক পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি ককটেল, তিনটি কাঠের লাঠি ও পাঁচ টুকরা ইট উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বারান্দী মোল্লাপাড়ার মনিরুল করীম ওরফে ফল নান্নু, একই এলাকার সাইদুর রহমান শাহীন, পূর্ব বারান্দিপাড়ার অ্যাডভোকেট এস এম আব্দুর রাজ্জাক, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রব, বারান্দীপাড়া বৌবাজারের আব্দুল কাদের, সিটি কলেজপাড়ার শেখ মোহাম্মদ, বারান্দী মালোপাড়ার তৌহিদুর রহমান, পূর্ববারান্দী মোল্লাপাড়ার রাব্বি হোসেন, শংকরপুরের তাইজুল ইসলাম তাজু, সিদ্দিকুর রহমান, মনিরুজ্জামান মানু, মনোহরপুর গ্রামের দাউদ ইব্রাহিম, সিরাজসিঙ্গা গ্রামের খালেকুজ্জামান, ভগবতীতলার হাফিজুর রহমান, শাহাপুর গ্রামের কাওছার আলী, পাচবাড়িয়া গ্রামের সাইফুজ্জামান মুন্না, নওদাগ্রামের আবু খায়ের, রুপদিয়ার শাহিন রহমান, জিরাট গ্রামের আব্দুল গণি, তেতুলিয়ার প্রভাষক মনিরুজ্জামান, ওয়াপদা পাড়ার মাহাবুব হোসেন আপন। এ ছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত আরও তিন আসামি সুজলপুরের নিছার আলী, ভাতুরিয়ার মহাসিন আলী ও জগমোহনপুরের ফারুক হোসেনকে এ মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। 

শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, বাউলিয়ার মোহাম্মদ মহাসিন, চান্দুটিয়ার শফিয়ার রহমান, নারাঙ্গালী গ্রামের ইদ্রিস আলী, আড়পাড়ার আমিনুর রহমান মধু, ঝুমঝুমপুরের জাহাঙ্গির হোসেন, পূর্ববারান্দীপাড়ার তারেক হোসেন চুন্নু, জিরাট গ্রামের আবু রাসেল, রুপদিয়ার হাসানুর রহমান লিটু, নরেন্দ্রপুরের আতিয়ার দফাদার, চাউলিয়ার সোহেল রানা তোতা, বিএম গোলাম রসুল, নরেন্দ্রপুরের আজিম হোসেন মিন্টু, ভেকুটিয়ার খাইরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সুজলপুরের শামসু ওরফে ভাংড়ি শামছু। 

উল্লেখ্য, কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২৫জন ছাড়াও শার্শা থানায় ছয়জন, বেনাপোল পোর্ট থানায় পাঁচজন, বাঘারপাড়ায় তিনজন, চৌগাছায় দুইজন, ঝিকরগাছায় দুইজন ও মণিরামপুর থানা পুলিশ একজনকে নাশকতার পৃথক পেন্ডিং মামলায় আটক করেছে। জেলায় শনিবার বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



ডোমারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে একই দিনে বিভিন্ন মামলার ১০ জন আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী)প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ওয়ারেন্টভুক্ত ১০জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্ল্যার নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক মাহামুদ উন নবী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ করিম, এসআই কাওছার আলী ও সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃতরা হলেন, ডোমার পৌর এলাকার ছোট রাউতা ময়দান পাড়ার অফির উদ্দিনের ছেলে আঃ মান্নান (৫০), বাবুল মিয়া (৫৫), মজনু মিয়া (৫২), বাবুল হেসেনের ছেলে সাজু ইসলাম (৩০), আঃ মান্নানের ছেলে মুন্না (২৫), চিকনমাটি বসতপাড়া এলাকার ফজলু রহমানের ছেলে আল-আমিন রহমান রাজু (২৫), মৌজাপাঙ্গা এলাকার আফছার আলীর ছেলে শাহিনুর ইসলাম (৩০), মৃত অলিয়ার রহমানের ছেলে মানদুল ইসলাম (৪০), জলঢাকা বালাপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফজল আলী (৪৯) এবং নীলফামারী সদর সিংদই জেলেপাড়া এলাকার শরৎ দাসের ছেলে রতন দাস (৩৫)।

ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহামুদ উন-নবী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ জন আসামীর মধ্যে ৩০ এপ্রিল ভোর রাতে ডোমারে ছোট রাউতা ব্রাহ্মন পাড়ার পুরহিত বিজয় চক্রবর্তীর বাড়ীতে চাঞ্চল্ল্যকর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রতন দাসকে গ্রেফতার করি। এর আগে গত ১ মে ডাকাতি মামলার ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত টাকা, কাসার প্লেট গ্লাস, মোবাইল ফোনসহ ডাকাতির কাজে ব্যহৃত এ্যাপাসি ১২৫ সিসি মোটর সাইকেল আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৮০ জন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৩ জন ও বাকি সাতজন ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে। এসময়ে কোনো ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা যায়নি। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৭৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১১৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৮৫ জন।

অন্যদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪৮৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩৩ ও ঢাকার বাইরের ৫৫৬ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর