Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

গুরু রবিদাসজী’র ৬৪৬ তম জন্মজয়ন্তীর ডাক : জাতপাত নিপাত যাক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৩১জন দেখেছেন

Image

লেখক : শিপন রবিদাস প্রাণকৃষ্ণ: ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ গুরু রবিদাসজী’র ৬৪৬ তম জন্মজয়ন্তী। ভক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, জাতপাতের বিরুদ্ধে আজন্ম সংগ্রামী, সন্ত শিরোমণি রবিদাসজী। স্বতন্ত্র ভাষা, সংস্কৃতি, প্রথা, বিশ্বাস ও বর্ণমালায় সমৃদ্ধ রবিদাস জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ও পরম পূজনীয় উৎসব হলো মাঘী পূর্নিমা বা গুরু রবিদাসজী’র জন্মজয়ন্তী। বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত রবিদাসীয়দের নিকট এই তিথিটি অত্যন্ত আনন্দের, শ্রদ্ধার আর ভক্তির সাথে পালনের। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় রবিদাসীয়গণ গুরুগাদী পূজা, রাতভর ভজন কীর্তন, আলোচনা সহ বিভিন্ন আয়োজনে পালন করে থাকেন এই উৎসবটি। উত্তর ভারতের বারানসীর অন্তর্গত কাশীর নিকটবর্তী শ্রী গোবর্দ্ধনপুর গ্রামে ১৩৭৭ খ্রিস্টাব্দের (মাঘ সুদী ১৫ বিক্রম সংবত ১৪৩৩) মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রবিবার দিন এক চর্মপাদুকা নির্মানকারী পরিবারে জন্মগ্রহন করেন এই পরম সমাজ সংস্কারক। তৎকালে কাশী ছিল রাজা নগর মহলের রাজ্যভুক্ত। সন্ত রবিদাসজী (স্থানভেদে ভক্ত রুহিদাস, রাইদাস ও রাভিদাস নামেও পরিচিত) এর পিতা সন্তোখ দাস ছিলেন চর্মপাদুকা নির্মানকারী গোত্রের দলপিতা। মাতা শ্রীমতি কালসী দেবী, যিনি পরলোকগমন করেন যখন রবিদাসজীর বয়স মাত্র ৫ বছর। গুরুজীর পিতামহ কালুরাম, পিতামহী শ্রীমতি লাখপতি দেবী, স্ত্রী লোনা দেবী ও একমাত্র পুত্রের নাম বিজয় রবিদাস।


সন্ত রবিদাসজী হচ্ছেন ভারতবর্ষের “মধ্যযুগের ভাববিপ্লব” এর একজন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি “তথাকথিত নিম্ন বর্ণে” জন্মগ্রহন করেছিলেন কিন্তু জ্ঞানে ও প্রজ্ঞায় ছাপিয়ে গিয়েছিলেন উচ্চবর্ণের লোকদের। তিনি সকল প্রকার বর্ণবাদ, জাতিভেদ প্রথা, ধর্মীয় গোঁড়ামী (ভেদাভেদ) ও উগ্রপন্থার বিরোধী ছিলেন এবং সারাজীবন লড়াই করেছেন এগুলোর বিরুদ্ধে। তিনি সবার মাঝে প্রচার করতেন সাম্য, প্রেম ও সম্প্রীতির বাণী। গুরুজীর আধ্যাত্মিক শক্তির প্রকাশ হয় তাঁর জন্মের ক্ষণ থেকেই। তাঁর বৃদ্ধা ও ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন ধাত্রীমাতা নবজাতক রবিদাসজীর দিকে তাকানো মাত্রই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান এবং উনার ভাষ্যমতে এই শিশুটি ছিল অন্যান্য শিশুর চেয়ে আলাদা রকমের। বাল্যকালে রবিদাসজীর পিসিমা তাঁর জন্য একটি চামড়ার খরগোশ নিয়ে এসেছিলেন। গুরুজীর  চরণস্পর্শে এটি প্রান ফিরে পায় এবং বালক রবিদাসজীর সাথে দৌড়াতে আরম্ভ করে। এমন অলৌকিক ঘটনায় আশ্চর্যান্বিত হয়ে সকলে মিলে বালক রবিদাসজীর চরণপদ্মে প্রণিপাত করেন। এছাড়াও তাঁর আধ্যাত্মিকতার প্রমাণ মেলে ষাটোর্ধ বয়সী অন্ধ অথচ চরকায় সুতা কাটা অবস্থায় কর্মবতী (রবিদাসজীর পিতামহী লাখপতির বান্ধবী) এর চোখস্পর্শপূর্বক দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। পন্ডিত সারদানন্দের বাড়িতে নির্মিত পাঠশালায় হাতেখড়ি নিতে গিয়ে নিজেই যখন প্রত্যেকটি অক্ষর ও বর্ণের ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন তখন শিক্ষাগুরু নিজেই আশ্চার্যান্বিত হয়ে শিষ্যকে শ্রদ্ধা করতে শুরু করলেন। একবার পন্ডিত সারদানন্দের শিশুপুত্র আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু শিশুটির সাথে মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী লুকোচুরি খেলায় পালা অনুসারে ঐ শিশুটির বালক রবিদাসজীকে খুঁজে বের করার কথা ছিল। প্রিয়সখার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাঁর শবপাশে বসে গুরুজী তাকে ঘুমিয়ে না থেকে চুক্তি অনুযায়ী খেলার আহ্বান জানান। তখন গুরুজীর আধ্যাত্মিক ক্ষমতাবলে তার সখা জীবিত হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তথাকথিত নিচুজাতির বালক রবিদাসজীর সাথে ব্রাহ্মণবালক রামলাল খেলাধুলা করার অপরাধে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে রামলালের পিতামাতাকে সাবধান করে দেয় স্থানীয় ব্রাহ্মণসমাজ। এতে কর্ণপাত না করায় রামলালকে ক্ষুধার্ত সিংহের খাঁচায় নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু দেখা গেল রবিদাসজী খাঁচার ভেতর বসে আছেন আর তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতাবলে সিংহ শান্তভাব ধারণপূর্বক রামলালকে প্রণাম করলেন। এছাড়াও গুরুজীর সাথে অসৌজন্যতামূলক আচরণের ফলে জনৈক ধন্যাঢ্য শেঠজীর কুষ্ঠরোগাক্রান্ত হবার ঘটনা, চিতোরের রানী ও রাজস্থানের রাজকন্যা মীরাবাঈয়ের গুরুজীর নিকট দীক্ষাগ্রহন, রবিদাসজীর পিতার মৃতদেহ সৎকারে ব্রাহ্মণদের বাধার মুখে নাগওয়াতে সৎকারের সময় গঙ্গা নদীর আগমন, গুরুজীর অন্নদান অনুষ্ঠানে গঙ্গাদেবীর কুমারীরূপে আবির্ভাব, গুরুজীর সাথে সম্রাট বাবরের দর্শণ ও পরামর্শগ্রহন, কবীরসাহেব, শিখধর্মের প্রবর্তক গুরুনানকজী এবং আলাওয়াদী রাজা, রাজা চন্দ্র প্রতাপ, গোরক্ষনাথ, সদনা পীর, সহিত সংলাপের ঘটনায় গুরুজীর আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রমাণ মেলে বহুবার।

পৌরাণিক হিন্দু শাস্ত্রানুসারে ঈশ্বরের পূজার্চনার অধিকার ছিলো কেবলমাত্র ব্রাহ্মণদের। ব্রাহ্মণের চরণধৌত জল পান করলে মানবজীবনের সর্বপাপ ধুয়ে মুছে যায়, তাদেরকে দুগ্ধবতী ধেনুদান করলে লোম সংখ্যক বর্ষ গোলকে বাস করা যায়- শাস্ত্রমতে এমনটাই বিশ্বাস প্রচলিত ছিলো সর্বত্র। এমনকি সংসারে ধনরত্ন, স্ত্রী, কন্যা সবকিছুতেই ব্রাহ্মণের অগ্রাধিকার। শুদ্র কেবলমাত্র ব্রাহ্মণের উচ্ছিষ্ঠ ভোগ করবে এবং তাদের পরিত্যক্ত কৌপিন ব্যবহার করবে, সর্বোপরি পশুর ন্যায় জীবনযাপন করে ভবলীলা সাঙ্গ করবে। এমন বিশ্বাসের বিরোধিতা করা মানেই নাস্তিকতার সামিল হিসেবে গণ্য করা হতো। এমন এক প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতিতে রবিদাসজীর মতো একজন তথাকথিত অস্পৃশ্য ও অব্রাহ্মণ ব্যক্তি ঈশ^রের ভজন-সাধন-পূজন করবে এমন বিষয় কতটা ঔদ্ধত্য, অপরাধ ও মহাপাপ হিসেবে পরিগণিত হতো তা সহজেই অনুমেয় বটে। আসলে ভক্তির ঠাকুর কখনো কোন প্রথার জালে আবদ্ধ থাকেন না, বাস করেন না কোন শাস্ত্র পুথিতে। ঈশ্বরগতপ্রাণ রবিদাসজী তৎকালীন জটিল পূজা পদ্ধতি পরিহারপূর্বক সহজসাধ্য ভজনের সূচনা করেন যা ছিলো মূলত ভক্তিকেন্দ্রীক। যার ফলস্বরূপ বর্ণবাদীদের প্রাচীর ভেঙ্গে লাখো মানুষ তার নৈকট্যলাভের আশায় আসতে থাকেন। এতে করে যে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের বর্ণশ্রেষ্ঠতাকে আঘাত করা হচ্ছিলো তা নয়, বরং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধনও হয়েছিল সন্দেহাতীতভাবেই। ব্রাহ্মণেরা তাঁকে পূজা অর্চনা করতে নিষেধ করেন। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রবিদাসজী মানবমুক্তির লড়াইয়ে স্বোচ্চার থেকেছেন। জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়েছেন। লিখে গেছেন অসংখ্য পদ, দোহা, ভজন। যার অধিকাংশই শিখ ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ “গুরু গ্রন্থ  সাহেব” এ লিপিবদ্ধ রয়েছে।


জগৎগুরু রবিদাস মহারাজজী কে ভক্তির শিরোমণি মেনে নিয়ে সন্ত গুরু কবীর দাস জী বলেছেন -


"সাধন মে রবিদাস সন্ত হে, সুপচ ঋষি সো মানিয়া।

হিন্দু তুরখ দুই দিন বনে হে, কছু নেহি পেহচানিয়া।।"


অর্থাৎ : সন্তদের মধ্যে মহান হলেন সন্তগুরু রবিদাস মহারাজজী, যাকে সারা বিশ্ব এক মহান সন্ত ঋষি বলে মেনে নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে হিন্দু-মুসলমান একই সাথে তাঁর সামনে নতমস্তক হয়ে তাঁকে গুরু রূপে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।


"রবিদাস চামারু উসততি করে।

হরি কীরতি নিমখ ইক গায়ি।।

পতিত জাতি উতমু ভাইয়া।

চারু বরণ পএ পগি আয়ি।।"


সৎগুরু রামদাসজী বলেছেন যে- গুরু রবিদাসজী, এক ঔঁকার পরমাত্মার এমন ভক্তি, আরাধনা এবং উপমা করেছেন যে তিনি নিজেই পরমাত্মার রূপ হয়ে গিয়েছেন। তৎকালীন সমাজের তথাকথিত নীচু জাতিতে জন্ম নেওয়া সত্ত্বেও তাঁর ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার জন্য সমাজের চার বর্ণ যথা - ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র সকলেই তাঁর চরণে নতমস্তক হয়েছিলো।


সৎগুরু অর্জুন দেব মহারাজ তাঁর উপমা করেছেন -


''ঊঁচ তে ঊঁচ নামদেও সমদরশী।

রবিদাস ঠাকুর বাণী আঈ।।"


অর্থাৎ : উচ্চ থেকে উচ্চ সমদৃষ্টি সম্পন্ন সৎগুরু নামদেব জী হয়েছেন এবং  সৎগুরু রবিদাস জী এই সংসারে প্রভু রূপে এসেছেন।


জগৎগুরু রবিদাসজীর মানবতার প্রতি উপকার কে নিজের বাণী দ্বারা, সন্ত পীপাজী এভাবে বর্ণনা করেছেন -


"যে কলি রৈদাস কবীর না হোতে, 

লোগ বেদ অরু কলিযুগ মিলি কর

ভগতি কো রসাতল দেতে।"


অর্থাৎ : যদি সৎগুরু রবিদাস জী ও সৎগুরু কবীরদাস জী যথাসময়ে অবতারিত না হতেন, তাহলে তৎকালীন উচ্চবর্গ, বেদ আর কলিযুগীয় বিচারধারাতে ভক্তিকে পাতালে নিয়ে গিয়ে স্থান দিতেন।


জগৎগুরু রবিদাস জী তাঁর বাণীতে বলেছেন -


"মেরী জাতি কুট বালা ঢোর ঢোবন্তা

নিতহি বানারসী আস পাসা।

অব বিপ্র পরধানু তিহি করহি ডঁডউতি

তেরে নাম সরণায়ি রবিদাসু দাসা।।"


অর্থাৎ : আমার জন্ম সেই মানুষদের মধ্যে হয়েছে, যারা বানারসের কাছাকাছি প্রতিদিন মৃত পশুদের নাড়াচাড়া করে। কিন্তু আমি, প্রভূর নামের শরণ নিলাম আর আজ বিপ্রদের প্রধান লোকেরা আমাকে দন্ডবৎ হয়ে নমস্কার করে।  


গুরু রবিদাসজী’র বিখ্যাত বাণী, 

“মন চাঙ্গা, তো কঠৌতি মে গঙ্গা।”

“উংচে কুল কারণৈ ব্রাহ্মণ কোনো না হোই। জও জানোহি ব্রহ্ম-আত্মা রবিদাস কহে ব্রাহ্মণ সোই।।”

“তু হাজরা হুজুর যোগ ইক, অউর নাহি হৈং দুজা। জিসকে এক আসরা নাহি, কেয়া নামাজ, কেয়া পূজা।।”


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও রবিদাসজীকে নিয়ে লিখেছেন “প্রেমের সোনা” কবিতা। লালন সাঁইজীর কন্ঠেও গুরু রবিদাসজী’র পংতি করবার প্রমাণ মেলে। তাতে গুরু রবিদাসজী’র মহত্ত্বেও বিশালত্ব বিষয়ে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যায় অনায়াসেই।


মোটাদাগে বলতে গেলে বলা যায়, সারা পৃথিবীর চিরদুখী, চিরবঞ্চিত ও অবহেলিত মেহনতি মানুষের মুখপাত্র ছিলেন গুরু রবিদাসজী। তিনি আজীবন সমাজের পশ্চাদপদ অংশের সুখ-দুখের কথা বলার প্রতিনিধিত্বের দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন নিজ দ্বায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই। তৎকালীন সময়ে ভারতবর্ষের তথাকথিত অস্পৃশ্য অংশকে দীর্ঘদিনের মানবসৃষ্ট বৈষম্যজাল ভেদ করে সত্য ও সুন্দরের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রণোদনা প্রদান করেন। গুরুজীর অসংখ্য অমৃত সমান বাণী পথভ্রষ্ট জাতিকে আলোর পথ দেখাতে পারে। অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত ও জাতপাতহীন সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে রবিদাসজী’র জীবনাদর্শ অবশ্য অনুসরনীয়। গুরু রবিদাসজী’র মানবতাবাদী চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। তবেই সমাজের কূপমন্ডুকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প হতে মুক্তি মিলবে। রবির আলোয় দূরীভূত হোক সকল আঁধার। রবিদাসীয় চেতনার জয় হোক।



আরও খবর



দৌলতপুরের নিখোঁজ বিকাশ ব্যবসায়ী ১০ দিনেও সন্ধান মেলেনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

দৌলতপুর,কুষ্টিয়া:কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সাদিপুর দাঁড়ের পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম এর ছেলে লিখন মিয়া (৩৪) দীর্ঘ্য দিন যাবত ঢাকার শ্রীপুর থানার জৈনা বাজার (নয়েছ আলী এর বাড়ীরভাড়াটিয়া) একই মালিকের দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছে । হঠাৎ ১০ দিন যাবত সে নিখোঁজ। একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। পরিবার সহ এলাকায়বাসী শোকাহত, নিখোঁজ বিকাশ ব্যবসায়ীর লিখন মিয়ার স্ত্রী শ্যামলি আকতার বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘ্য দিন যাবত ঢাকার শ্রীপুর থানার জৈনা বাজার, নয়েছ আলীর দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে বিকাশ এর ব্যবসা পরিচালনা করে আমাদের সংসার পরিচালনা করে আসছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থেকে ঢাকায় যায় আমার স্বামী এবং ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ। তার সাথে আমরা কোন যোগাযোগ করতে পারছিনা। পরে আমরা এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি জি ডি করেছি, যাহার নং ১৯৮০। ১০ দিন অতিবাহিত হলেও আমার স্বামীর কোন খোঁজ আমরা পাই নাই। আমারা আমার স্বামী কে ফেরত পেতে চাই। এ বিষয়ে জি ডি তদন্তকারী অফিসার সুজন কুমার পন্ডিত এস আই বলেন, শ্রীপুর থানায় একটি জি ডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তবে আমার ধারনা সে মানুষের টাকা পয়সা নিয়ে আত্মগোপনে আছে। অথবা কোন নারী গঠিত বিষয় আছে। তারপরেও আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি লিখন মিয়াকে উদ্ধারের জন্য।


আরও খবর



আজ বিশ্ব ওজোন দিবস

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:‘বিশ্ব ওজোন দিবস’আজ । দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি-ওজোন স্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি’।ওজোন স্তরের ক্ষয় ও তার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলো ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। এই দিনটিতেই পালিত হয় বিশ্ব ওজোন দিবস বা আন্তর্জাতিক ওজোনস্তর রক্ষা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়।

বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে।অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করলো ভারত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :কানাডার নাগরিকদের ভিসা ইস্যু করা স্থগিত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশটি এই পদক্ষেপ নেয় এবং ‘পরবর্তী নির্দেশ বা বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত’ এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

কানাডায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দেশটির সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বর্তমানে তুঙ্গে রয়েছে এবং এর মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত’ কানাডিয়ান নাগরিকদের ভিসা ইস্যু স্থগিত করেছে ভারত। অনলাইন ভিসা আবেদন কেন্দ্র বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের একটি বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, ‘পরিচালনা সংক্রান্ত কারণে... পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে’।

কানাডার নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা স্থগিতের মতো পদক্ষেপ এমন সময়ে নেওয়া হলো যখন কানাডায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দেশটির সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বর্তমানে তুঙ্গে রয়েছে। মূলত নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার পর ট্রুডো এখন কানাডার মিত্র দেশগুলোকেও পাশে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে শিখ নেতা নিজ্জার হত্যার তদন্তে ভারতকে সহযোগিতা করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি কানাডার এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গত ১৮ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জারকে।

গত সোমবার কানাডার হাউস অব কমন্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘কানাডার গভীর উদ্বেগের কথা ভারত সরকারের শীর্ষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে জি টুয়েন্টি সম্মেলনের মধ্যে বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি।

এছাড়া কানাডা ভারতের দিকে ওই গুরুতর অভিযোগ তোলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য আর অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে তারা কানাডার নাগরিকের হত্যা তদন্তের দিকে নজর রাখছে।

এদিকে ট্রুডোর সেই ভাষণের পরে কানাডিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি ঘোষণা করেন, কানাডা থেকে এক শীর্ষ ভারতীয় কূটনীতিককে তারা বহিষ্কার করছে। ভারতের সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, বহিষ্কৃত ওই কূটনীতিকের নাম পবন কুমার রাই এবং তিনি ভারতের গুপ্তচর সংস্থা’ ‘র’-এর কর্মকর্তা।

অবশ্য নিজ্জারকে হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার গুরুতর এই অভিযোগকে ‘মনগড়া’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে নাকচ করে দিয়েছে দিল্লি।


আরও খবর

ভূমধ্যসাগরে নিহত ও নিখোঁজ ২৫০০: জাতিসংঘ

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ডা. আধানম গ্যাব্রিয়াসুসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়।

‘বিশ্বাস, পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। সোমবার নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে এই অধিবেশন শুরু হয়।

এ বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু ইস্যুর পাশাপাশি প্রাধান্য পাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে সাধারণ সভার আলোচনা।

এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিচ্ছেন।

নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন তিনি।

এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে চলন্ত বাসের ধাক্কায় ৩ বাসযাত্রী নিহত হয়েছেন। তবে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের রামের খোলা নামক এলাকায় ফ্লাইওভারের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে হাসিনা বেগম (৪২) নামে একজনের নাম জানা গেছে। ওই নারী বাসের যাত্রী ছিলেন। গুরুতর আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লাবিবা পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস কুয়াকাটা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের রামের খোলা নামক এলাকায় ফ্লাইভারের ওপর পৌঁছালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকের পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লাবিবা পরিবহন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ের সঙ্গে সজোরে আঘাত লেগে উল্টে দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। এ সময় তিন বাসযাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন প্রায় ১২ বাসযাত্রী।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার সিংহ বলেন, মালবাহী ট্রাকটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পথে দাঁড়িয়ে ছিল। পেছন থেকে লাবিবা পরিবহনের বাসটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে । বাস ও ট্রাক আমাদের হেফাজতে আছে। বেশ কিছু বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩