Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

গোলাপের মামলায় ব্যারিস্টার সুমনকে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: মিথ্যা-মানহানিকর তথ্য প্রচার করায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের করা মামলায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বুধবার ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ মো. আমিনুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার ওই আদালতের সেরেস্তাদার মতিউর রহমান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলাটিতে বিবাদীর আগামী ২৩ মার্চ জবাব দাখিলের দিন ঠিক করেছেন আদালত।

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‘দুদকে গিয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালান সুমন। এসব মিথ্যাচারের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে এক সপ্তাহ আগে সুমনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশের বিষয়ে কোনো জবাব না পেয়ে মানহানির অভিযোগ এনে ক্ষতিপূরণ দাবি করে এ মামলা করেছি।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুদকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ব্যারিস্টার সুমন। অভিযোগে তিনি বলেন, ‘আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বা অন্য কোনো দেশে একাধিক বাড়ি কেনার বিষয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন। এ জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি। 


আরও খবর



দোহার প্রেসক্লাব এর নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নূরুল্লাহ খান,নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকার দোহার উপজেলায় দোহার প্রেসক্লাব এর নব-নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার জয়পাড়ায় দোহার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাকা জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ নতুন ভবনটির উদ্বোধন করা হয়।

ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নব-নির্মিত এ ভবনটির উদ্বোধন করেন। এসময় দোহার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বলেন, দোহার প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমি তার সবই করবো। ঢাকা জেলার উন্নয়ন আমি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। আমি বলবো না জনগণের সব চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে পেরেছি, তবে ঢাকা জেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ আমি করেছি। এসকল কিছুর উন্নয়নের দাবিদার আমার নেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ। তিনিই আমাকে এসব উন্নয়ন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। এ সময় তিনি দোহার প্রেসক্লাব এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

দোহার প্রেসক্লাব এর সভাপতি কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানীর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা, ঢাকা জেলা পরিষদের প্রকৌশলি আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. বোরহান উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, দোহার প্রেসক্লাব এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান টিপু, সহ-সভাপতি অলি আহম্মেদ,  সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানী, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সোহেল রানা, দোহার প্রেসক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ এর দোহার প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহজাহান, এনটিভির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আনোয়ার পারভেজ, একাত্তর টিভির ঢাকা দক্ষিণ প্রতিনিধি ফারুক আহম্মেদসহ দোহার প্রেসক্লাব এর অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



পলাশবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image
গাইবান্ধা সংবাদদাতা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মেরীরহাট নামক স্থানে ইজিবাইকের নিচে চাপা পরে এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।ঐ শিক্ষার্থীর নাম সানাউল্লাহ(৫) সে মেরীরহাট দা হলি কোরআন একাডমীর প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী। 

নিহত সানাউল্লাহ উপজেলার হোসেনপুর ইউপির দিগদারী গ্রামের মাওলানা বেলায়েত হোসেনের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ জানান, ৮ মে সোমবার  বেলা ১.০০ টার দিকে সানাউল্লাহ স্কুল ছুটি শেষে ভ্যানযোগে বাসায় ফেরার সময় ভ্যান থেকে রাস্তায় পড়ে যায়।

তাৎক্ষণিক  পিছন থেকে একটি ইজিবাইক এসে তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় সানাউল্লাহকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে  চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। 


আরও খবর



নাসিরনগরে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে টাকা ছিনতাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান: জমি নিয়ে বিরোধ,পারিবারিক কলহ,পূর্বশত্রুতা ও মামলা মোকদ্দমার জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগরে সফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাগ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে তার সাথে থাকা ব্যবসার প্রায় সত্তর হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বর্তমানে ওই ব্যবসায়ী ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পঞ্জা লড়ছে।ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি সদর ইউনিয়নের ধনকুড়া গ্রামে।তার পিতার নাম মৃত জারু মিয়া বলে জানা গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল অনুমান চার ঘটিকার সময় উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে সরাইল নাসিরনগর মহা সড়ককের উপর স্মশানের নিকট।

ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় সদর ইউনিয়নের ধনকুড়া গ্রামে তাদের বাড়ি সংলগ্ন একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবেশী আওয়াল মিয়া ও তার লোকদের সাথে বিরোধ আর মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল।গত মঙ্গলবার রাতে আওয়াল মিয়া ও তার লোকজন মিলে সফিকুলের চাচাতো ভাই মোঃ কুতু্ব উদ্দিনের একটি জায়গার উপর অন্যায় ভাবে রাতের অন্ধকারে জোর পূর্বক একটি ঘর নির্মান করে ফেলে।পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আওয়াল মিয়ার অন্যায় ভাবে নির্মিত ঘরটি সরিয়ে ফেলে বলে এস আই শ্রীবাস চন্দ্র দাস জানায়।

ওই ঘটনার পর বুধবার নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার এস আই শ্রীবাস চন্দ্র দাসের মাধ্যমে উভয় পক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে এনে পরবর্তীতে আর কেউ অন্যায় ভাবে কোন ঝগড়া করবেনা মর্মে উভয় পক্ষের লোকজনের কাছ থেকে মুচলেহা আদায় করে নেয়।কিন্তু আওয়াল মিয়ার লোকজন থানায় মুচলেহা দিয়েও পরবর্তীতে মুচলেহার  শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামেনর উপর সন্ত্রাসী ভাবে হামলা চালিয়ে মারপিট করে মারাত্বক ভাবে আহত করে তার সাথে থাকা ব্যবসার প্রায় সত্তর হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম জানায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি টমটম যোগে প্রায় এক লক্ষ টাকার মাল( ব্যাগ) নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববরাতী লাখাই উপজেলার ভুল্লা,লাখাই,মোড়াকরি,ফান্দাউক বাজারে বিক্রি করে অনুমান সত্তর হাজার টাকা কালেকশন করে আবারা ওই টমটম যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।এ সময় ফান্দাউক স্মশানের নিকট আসা মাত্রই পূর্ব থেকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ধারলো দা,লাটি, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে ওৎপেতে বসে থাকা মোঃ আওয়াল মিয়া,কামাল মিয়া,সুকন মিয়া,জাবেদ মিয়া,আবেদ মিয়া হেকিম মিয়া,কাউছার মিয়া,রাসেল মিয়া।

সাদেক মিয়া সহ প্রায় চৌদ্দ জন লোক তার টমটমের গতিরোধ করে হর্তকিত ভাবে হামালা চালিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে সফিকুল ইসলামের মাথা ও ডান পা কুপিয়ে কেটে দেয়।তাছাড়াও রড দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ও বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক আঘাত করে মৃত ভেবে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।পরে  টমটম চালক আর পথচারীরা মিলে সফিকুল ইসলামকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎস সফিকুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।সফিকুলের অবস্থা আশংকা জনক হওয়া জেলা সদর হাসপাতাল ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।বর্তমানে সফিকুল ইসলাম ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ভালো হচ্ছে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ভালো হচ্ছে, কোনো অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। এ সময় মার্কিন নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সিসিটিভিতে আড়াই ঘণ্টা ভোট মনিটরিংয়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখছি শৃঙ্খলার সঙ্গেই ভোট হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা আছেন এবং নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে যাদের পাঠানো হয়েছে তাদের কাছ থেকে আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে এই যে আড়াই ঘণ্টা যাবৎ ভোট হচ্ছে ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে। খারাপ কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ না করার বিষয় জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইভিএম যেহেতু একটি মেশিন মাঝে মাঝে এটা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এটা হতেই পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫-১০ মিনিট পরে আবার সবাই ভোট দিতে পারছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে কিছু কেন্দ্রে ক্যামেরা আছে কিন্তু ইন্টারনেট না থাকার কারণে আমরা ঢাকা থেকে দেখতে পাচ্ছি না। তবে সেগুলোতে রেকর্ডিং হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ আমাদের হার্ডডিস্কে থাকছে।

অনেক কেন্দ্রেই মেয়র প্রার্থী জায়েদার পোলিং এজেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘এ বিষয়ে তো উনি কোনো অভিযোগ করেননি। না থাকলে সেটা তো তার অভিযোগ করা উচিত ছিল। তাদের সঙ্গে আমরা যখন মিটিং করেছি তখন বলেছি, নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হন, আমাদের নম্বরগুলো দেওয়া আছে, আমাদের কাছে জানাবেন, আমরা পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ওই কেন্দ্রে এজেন্ট বসার ব্যবস্থা করে দেব।

মার্কিন ভিসা সংক্রান্ত নতুন নিয়ম বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। এটা আন্তঃরাষ্ট্রীয় ব্যাপার। আমাদের দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আমরা তার সবই করব। ওই বিষয়টা কমিশনের অংশ না। সে বিষয়ে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের সঙ্গে যে আন্ডারস্ট্যান্ডমেন্ট আছে, সেটা তারা বলতে পারবেন।

এর আগে নির্বাচন কমিশনে কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট মনিটরিং শুরু করেন ইসি মো. আলমগীর, ইসি রাশেদা সুলতানা ও ইসি আহসান হাবিব। এরপরে ৯টার দিকে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ইসি আনিসুর রহমান। সাড়ে ৯টার দিকে আসেন সিইসি।


আরও খবর



তানোর পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনের প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনের প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মাস্টার রোল কর্মচারী দেলোয়ার বলে নিশ্চিত করেন মেয়র ইমরুল হক। আত্মসাতের ঘটনা জানতে পেরে মেয়র দেলোয়ারকে সে দায়িত্ব থেকে বাদ দিয়ে কাজিম নামের আরেক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন মাস্টার রোল কর্মচারী এত টাকা কি ভাবে আত্মসাৎ করেন এটা নিয়ে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেই সাথে মেয়রের বিরুদ্ধেও উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কারন মেয়রের ইন্ধন ছাড়া এত টাকা গায়েব করা অসম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি তানোর পৌরসভা ভোটে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমরুল হক। দায়িত্ব পেয়ে তার আত্মীয় ধানতৈড় গ্রামের দেলোয়ারকে চুক্তি ভিত্তিক বা মাস্টাররোলে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ওই গ্রামের মৃত আওয়ালের পুত্র। দেলোয়ার জন্ম নিবন্ধনের কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু পর থেকে জন্ম নিবন্ধনের টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে তছরুপ করেন। সম্প্রতি বিষয়টি ধরা পড়লে মেয়রসহ কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তারা জানান, জন্ম নিবন্ধনের টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হয়। কিন্তু বিগত ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে টাকা জমা না দিয়ে নিজের পকেটে রাখেন দেলোয়ার। শুধু তাই না নিবন্ধন নিতে আসা ব্যক্তিদের কাছে নানা তালবাহানায় অধিক টাকা আদায় করে থাকেন এবং  খারাপ আচরণ করেন। এসব নিয়ে মেয়রকে একাধিকবার বলা হলেও কোন গুরুত্ব দেন নি। না দেওয়ার কারনে ও মেয়রের ইশারায় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে আমরা মনে করছি। কারণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কাজিমকে কোন কাজ করতে দেওয়া হত না। কিন্তু টাকা আত্মসাতের পর পুনরায় কাজিমকে কাজ করতে দেওয়া হয়েছে। 

অভিযুক্ত দেলোয়ার বলেন, আমি টাকা আত্মসাৎ করিনি, টাকা নিয়ে আলু কিনেছিলাম, আলু বিক্রি করে গত সপ্তাহে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা হয়। আপনি কার অনুমতি নিয়ে টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে ব্যবসা করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ধানে বাতাস দিচ্ছি পরে কথা বলছি। পরে আর কথা বলতে চাননি। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী ও সচিব সরদার জাহাঙ্গীরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। এতদিন ধরে টাকা জমা হয়নি আপনি কেন জানতেন না প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন মেয়র ভালো বলতে পারবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেয়র ইমরুল হক বলেন, আমি জানার পর টাকা ফেরত দিতে বলি, দেলোয়ার বলে আমি আলু কিনেছি বিক্রি করে টাকা ফেরত দিব। এজন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়নি। গত সপ্তাহে আলু বিক্রি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। ১০ টাকা কেজি আলু কিনে ২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছে, ভালোই দান মেরেছে। আমি এ সুযোগ তাকে দিয়েছিলাম। দেলোয়ার বলেছে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে আরো কয়েক লাখ টাকা পাবে জানতে চাইলে মেয়র জানান না এত টাকা হবে না বলে দায় সারেন তিনি।


আরও খবর