Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে মাদক,কয়লা ও মোটর সাইকেলসহ ৩ জন গ্রেফতার সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ জারি আগরবাতি তৈরি করে ১০ হাজার নারীর ভাগ্য বদল ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস

গোদাগাড়ীতে তিনবিঘা পেয়াজের চারা নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯৩জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কালোসোনা খ্যাত পেয়াজের বীজ(থোকা) চারা কেটে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের উচলপাড়ায় তিন বিঘা জমিতে পেয়াজের বীজ তৈরীর জন্য চারা রোপন করে।প্রতিটি চারায় বীজের থোকা ধরেছিল ।১৫-২০ দিনের মধ্যে কাটা মাড়াই শেষে পেয়াজ বীজ সংরক্ষন করা যেত। এমন সময় শক্রতার জেরে দুর্বত্তরা তিন বিঘা পেয়াজ বীজের চারার মুড়ি কেটে নষ্ট করে দিয়েছে।(শনিবার ৯ মার্চ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,জমিতে কেটে ফেলা পেয়াজ বীজ। সাংবাদিক দেখে দেখে হাউ মাউ করে কান্নাকাটি করতে থাকে কৃষক আব্দুল্লাহ।পেঁয়াজ বীজ দানার গাছের মাথাগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।এ ঘটনায় কৃষক মোঃ আব্দুল্লাহ গোদাগাড়ী থানায় সাধারন ডাইরি করেছে। গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল মতিন বলেন,সাধারন ডাইরি সন্দেহ ভাবে দুইজনের নাম রয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষক আব্দুল্লাহ বলেন তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রতি বছর তিনবিঘা জমি বর্গা নিয়ে পেয়াজ বীজের চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে আসছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদিত পেয়াজ বীজ বিক্রি করে ১২ লক্ষ টাকা আয় হতো। কিন্তু পেয়াজ বীজের চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ৭ লক্ষ টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এই কৃষক। এদিকে বৃহস্পতিবার  উপজেরা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ ক্ষতিগ্রস্থ পেয়াজ বীজের জমি পরিদর্শন করেছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পেয়াজ বীজের নমুনা দেখে বলেন,আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জমি থেকে পেয়াজ বীজের উৎপাদন পাওয়া যেত।


আরও খবর



প্রশাসন ও প্রভাবশালির ছত্রছায়ায় রৌমারীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ভেকু চালক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড়, যাদুরচর ও চর শৌলমারী উইনিয়নে দির্ঘদিন থেকে ব্রম্মপুত্র, হলহলিয়া ও সোনাভরি নদীতে প্রশাসনের যোগসাজসে ও প্রভাবশালির ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মহাউৎবে মেতে উঠেছে। এ অভিযোগের অপরাধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজবের নেতৃত্বের এক অভিযানে ভেকু গাড়ি চালক ইউছুফ নামের একজনকে আটক করা হয়। অন্যদিকে দুটি ভেকু গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫ টায় বন্দবেড় ইউনিয়নের রৌমারী টু চিলমারী কুড়িগ্রাম জেলা সদর যাতায়াতের নৌকা ঘাটের দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম খন্ধসঢ়;জনমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দীঘদিন থেকে ব্রম্মপুত্র, হলহিলয়া, সোনাভরি নদী ও জিঞ্জিরাম নদী থেকে প্রশাসন ও কিছু কু-চক্রী প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ড্রেজার ও ভেকু গাড়ি দ্বারা অবৈধভাবে উন্নয়নের নামে বালু উত্তোলন করে (ট্রাক্টর) কাকড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি, পুকুর, ডোবা ভরাট ও ইট ভাটার নামে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। নষ্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন উর্বর শক্তি জমির মাটিও। ক্ষতি করা হচ্ছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের বাড়িঘর, গাছপাড়া ও জমিজেরাত। বন্যা আসলেই তীরবর্তী মানুষকে নদীপার থেকে দ্রুত সরে যেতে হয়। শুধু লাভবান হচ্ছে প্রশাসন ও কিছু কু-চক্রি মহল।তাদেরকে নিশেধ করার শাহসটুকু নাই তীরবর্তী মানুষের।

নদীতীরবর্তী এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বিকাল ৫ টায় ব্রম্মপুত্র নদের ফলুয়ারচর নৌকা ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ছয়লাভের এমন চিত্র দেখা যায়। এমন অবস্থায় সাংবাদিকগণ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানালে সাঙ্গে সঙ্গে

তিনি বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলীর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনা স্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তার কথা মতো সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছয়লাবের চিত্র দেখতে পেলে কুটিরচর গ্রামের আমির খাঁনের ভেকু চালক ইউছুফ নামের একজনকে আটক এবং ভেকুর চাবি জব্দ করে। পরে পশ্চিম খঞ্জনমারা গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সাজেদুলের ভেকু গাড়ির চাবিও জব্দ করা হয়।

এবিষয়ে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার বলেন, গাড়ি চালককে আটক করেছে শুনেছি। দেখিনি। তবে ভেকু গাড়ির চাবি ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলীর কাছে রয়েছে।

ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলী বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঘটনাটি সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ভেকু গাড়িরর মালিককে না পেয়ে, ভেকু চালককে আটক করে আনা হয়েছিল। প্র¯্রাবের কথা বলে পালিয়েছিল পরে খুজে এনে তাদের ঠিকানা লিখে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জব্দ করা গাড়ির চাবি আমার কাছে রয়েছে। ইউএনও স্যার এলে তার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী মেহেরপুরবাসীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃতাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী হতে চলেছে মেহেরপুরবাসীর। টানা কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ রোব্বার বিকেল তিনটায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রোব্বার বেলা চারটা পর্যন্ত শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। ষোলটাকা ইউনিয়নের বানিয়াপুকুর গ্রামে বেলা দুইটার দিকে তপ্ত দুপুরে মাথায় মাথাল দিয়েভুট্টা মাড়াই করছিলেন নজরুল ইসলাম কালাম আবুছদ্দীন ও মনিরুল। পাশের জমিতে ভুট্টা কাটছেন ইমদাদ আর কাউছার। তাদের ভাষায়, রোদির মদ্দি কাজ করতি সমেস্যা তো এট্টু হচ্চেই। কাজ না কল্লি তো আর হচ্চে না। কাজের ফাঁকে পর এট্টু জিড়িটিড়ি নিতে হচ্ছে। আমাগের হাত না নড়লিতো প্যাট চলবি না।

করিমপুর মোড়ে টং দোকানের সামনে কথা হয় কৃষক আবু বক্করের সাথে। তার ভাষায়, ‘জীবনকালে এমন গরম কখনো দেখেননি। এ গরম তো না মনে হচ্ছে গজপ। আমরা আগে দেকিচি এইরাম রোইদ পড়েচে, কিন্তু এইরাম তাপ ছিলুনা। সেই সুমায় খালে-বিলি পানি থাকতু। অ্যাকন কুথাও পানি নেই, রোদির ঝলক পড়চে। আমাদের বয়সে বহু কিচুই দেকিচি, অ্যারাম গরম দেকিনি।’

গোপালনগর চারচারা মোড়ে বটগাছের নীচে দেখা হয় কৃষক আকরাম আলীর সাথে। তিনি জমিতে সেচ দিচ্ছেন। একটু জিড়িয়ে নিতে গাছ তলায় বসেছেন। তার ভাষায় “ এমন গরম বাপের জন্মেও দেকিনি।আগে একঘন্টায় যে জমিতি পানি দেয়া হতো এখন লাগছে চারঘন্টা। সময় আর তেল দুটোই অপচয়।

কয়েকদিন আগে একটার মটরও পুড়ি গিছে। ইবার ধানে লুকসান হতি পারে।গাংনী রেজাউল চত্ত্বরে জুতা মেরামতকারী (মুচি) ভগত দাস রোদের মধ্যে ফাঁকা জায়গাতে ছাতির নীচে কাজ করছেন। সারা দিনে মাত্র ১২০ টাকার কাজ করেছেন। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তিনি জানান, দিন পনের আগেও এত তাপ ছিল না। সেসময় ৫/৬শত টাকা হতো।

এখন লোক সমাগম নেই তাই কাজও নেই। খদ্দেরের আশায় রোদের মাওেঝও বসে থাকতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আগের তাপ-গরমের সাতে অ্যাকনকার আকাশপাতাল তপাত। ঋতুর রদবদল হয়ে গিয়েচে। এই রোদি আর গরমে পারা যাচ্চে না। বয়স হয়ে গিয়েচে, অল্প পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে যাচ্চি।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আজ রোব্বার ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৮ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ৩০ জন। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই।

রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, তাপদাহ বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই রাস্তার পাশে বা যেখানে সেখানে বিক্রি হওয়া আখের রস, শরবত, লেবুপানি খাচ্ছেন। এগুলো অস্বাস্থকর। খাওয়া যাবে না। কারণ, একই গ্লাসে একাধিক ব্যক্তি শরবত পান করছেন। এতে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হালকা পাতলঅ পোশাক পরতে হবে।


আরও খবর



পোরশায় ৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬১জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ,পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় ৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার নোচনাহার বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৩লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানাগেছে। জানা গেছে, ঘটনার সময় হঠাৎ করে দোকান ঘরে আগুন দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। এ ঘটনায় বাজারের একটি কাপড়ের দোকান, একটি সুতার দোকান, একটি আতরের দোকান, একটি তেলের দোকান ও একটি পাটর্স এর দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মাসুদ রানা জানান, তারা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



বিডিইউ’তে অতিরিক্ত ফি আদায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে (বিডিইউ) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সেমিস্টার ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই অতিরিক্ত ফি  কমানোর দাবিতে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিডিইউ’র একাডেমি ক্যাম্পাসের সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। 

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে আওয়ামী সরকার। নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের সেমিস্টার ফি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই অতিরিক্ত ফি কমানোর দাবীতে রোববার সকালে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এসময় অতিরিক্ত ফি কমানো, শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অলিউর রহমান, শাহরিয়ার কবির  সজীব, সাজিদ আমিন, মাহমুদুল ইসলাম, ফখরুল হাসান ফয়সাল, প্রীতম ভৌমিক, প্রতিভা সাহা, আশুরা জাহান, জিন্না জামান মাহি, নায়লা তাবাসসুম, জান্নাতুল ফেরদৌস রাত্রিসহ প্রায় ১৭৪ জন শিক্ষার্থী।  

এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দোহাই দিয়ে শুরু থেকেই অতিরিক্ত বিভিন্ন ফিসহ সেমিস্টার ফি নেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে এর আগেও আন্দোলন করা হয়েছিল। তখন কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ^াস দেওয়া হয়েছিল, ফাইনাল পরিক্ষার আগেই ফি কমানোর বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু আট বছর অতিবাহিত হলেও সেশন ফি কমানো হয়নি। আগামী সপ্তাহে আমাদের পরিক্ষা। অতিরিক্ত ফি কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এছাড়াও আমাদের ৬ মাসের জন যে সেমিস্টার ফি নেওয়া হচ্ছে। সেটা ১০ হাজার টাকা। আমরা জানি অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসি শেষ করতে মোট এত বেিিশ টাকা দিয়ে থাকে। আমরা বছরে যে টাকা দিচ্ছি, অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চার বছরেও ওই টাকা দিচ্ছে না। আর আমাদের অতিরিক্ত যে পাঁচ হাজার টাকার হিসাবও দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যতক্ষন পযন্ত আমাদের সেমিস্টার ফি কমানো হচ্ছে এবং সে বিষয়ে লিখিত কোনো সিদ্ধান্ত না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সকল ধরণের ক্লাস বর্জন করে এখানে অবস্থান কর্মসূচী পালন করবো। অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে স্ট্রাকচার অনলাইনে গেলে দেখা যাবে সুন্দর স্ট্রাকচার করা হয়েছে। এটা আট বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয় সাহেবের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধুর নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রকম প্রহশন চলতেছে। যেগুলো বাস্তবায়ন হতে আমরা এখনো দেখছি না। আমাদের ক্যাম্পাসের যে স্থানটা বর্তমানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায় এগুলো বিরুদ্ধে কোনো হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিদ্যুতের সমস্যা জেনারেটর ঠিকমতো থাকে না। ক্লাসে গরমে খুব সমস্যা হচ্ছে। এসব বিষয়ে এটা আমাদের নায্য আন্দোলন।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিল রেখে এই ফি ধরা হয়েছে। তারপরও এ সমস্যা সৃষ্টি কারণে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মাননীয় উপচার্য এই সমস্যার সমাধান করবেন।


আরও খবর



সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সব দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব। স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাগুলো হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর। টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।


আরও খবর