Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহ নিরোধে প্রীতি ফুটবল খেলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহ নিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রীতি ফুটবল খেলার মধ্যে দিয়ে কিশোরীদের ছড়িয়ে দিই তারুণ্যের কন্ঠস্বর। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় সোনাদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুইটি কিশোরী ক্লাবের ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, গোদাগাড়ী এপি’র আয়োজনে “মে মোমেন্টাম” ক্যাম্পেন এর অংশ হিসেবে। সোনাদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে। প্রীতি ফুটবল খেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্ককর্তা(ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন,মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কামরুল ইসলাম,উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগীর কবির তোতা,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ,গোদাগাড়ী এপি ম্যানেজার প্রেরণা চিশিম।

প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন মিল্টন রোজারিও, শ্যামল এইচ কস্তা, এন্ড্রিকাস মুর্মু, ডেভিড সাংমা, ফিলিপ বিশ^াস, সন্তোষ মিত্র, প্রোগ্রাম অফিসার ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশসহ সংস্থার ফ্যসিলিটেটর। উক্ত কর্মসূচীকে ঘিরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয় বিপুল সংখ্যক জনগণের সমাগম ঘটে। এরপর মনোজ্ঞ  গম্ভীরা পরিবেশনার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সচেতনামূলক ম্যাসেজ প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন,বাল্যবিবাহ নিরোধে মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন। তারা আশ^স্ত করে বলেন যে, উক্ত বিষয়ে যেকোন ধরণের সহযোগীতা প্রদান করবেন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুরা অতিথিদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তারা নিজেরা কেউ বাল্যবিবাহ করবে এবং অন্যদের বিয়েও শক্তহাতে প্রতিহত করবে। অনুষ্ঠান শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চলনায় ছিলেন যুব ও শিশু ফোরামের সদস্যগণ।


আরও খবর



খুবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কর্মশালার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত: উপাচার্য ড.মাহমুদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক কাউন্সেলিং এন্ড মোটিভেশন শীর্ষক কর্মশালার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত এ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হচ্ছে নিজেকে প্রস্তুত করে নেওয়ার উত্তম সময়। দীর্ঘ ১২ বছরের শিক্ষাজীবন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে বেশ কিছু পার্থক্যের মুখোমুখি হতে হয় নবীন শিক্ষার্থীদের। এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা স্কুল-কলেজ থেকে আলাদা। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে তৈরি করতে হবে।তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে একই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে সব ডিসিপ্লিনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হয়। ছাত্ররাজনীতি না থাকলেও নিজেকে বিকশিত ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ করার জন্য এখানে অনেক সংগঠন রয়েছে। এখানকার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা দক্ষ দেশপ্রেমিক ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু লেখাপড়া বা আভিধানিক জ্ঞান অর্জনের জন্য নয়, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। দেশ ও জাতির জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রিন-ক্লিন ক্যাম্পাসে পরিণত করতে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।পরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাগতভাবে নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। উক্ত শপথবাক্যে সন্ত্রাস, ছাত্ররাজনীতি, র‌্যাগিং ও মাদককে না বলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য রিসোর্স পারসন হিসেবে ‘কী টু সাকসেস ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক একটি সেশন উপস্থাপন করেন। এছাড়াও কর্মশালায় ‘টিচিং লার্নিং অ্যাপ্রোচেস ইন হায়ার এডুকেশন’, ‘এডুকেশন সিস্টেম, রুলস এন্ড রেগুলেশন্স ইন কেইউ’, ‘এক্সেস টু রিসোর্স, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি ইন কেইউ’ এবং ‘স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস ইন কেইউ’ শীর্ষক আরও ৪টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।কর্মশালাটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে ভর্তিকৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সফলতা অর্জনের বিভিন্ন দিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়মকানুন, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন দিকে আলোকপাত করা হয়।অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন মুদ্রিত সমন্বিত প্রসপেক্টাস বিতরণ করা হয়। কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুল এবং আইন স্কুলের আওতাধীন ৬টি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর



কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবাহিনীর প্রধানসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত, দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদর দপ্তরের কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির স্পেশাল অপারেশনস ফোর্সেস তাদের হালনাগাদ তথ্যে জানিয়েছে, গত শুক্রবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভিকটর সোকোলোভসহ ৩৪ জন রুশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কৃষ্ণসাগর নৌবহরের কমান্ডারও আছেন। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছে শতাধিক রুশ সেনা।

তবে ইউক্রেনের এসব দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটি রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য পায়নি। এ হামলার পর মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের একজন সেনা নিখোঁজ রয়েছে।

সম্প্রতি ইউক্রেন ক্রিমিয়া দ্বীপে হামলার পরিমাণ অনেক বাড়িয়েছে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৫৭০ এর বেশি দিন ধরে চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। সূত্র:সিএনএন


আরও খবর

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ট্রুডো

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আজ বিশ্ব ওজোন দিবস

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:‘বিশ্ব ওজোন দিবস’আজ । দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি-ওজোন স্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি’।ওজোন স্তরের ক্ষয় ও তার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলো ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। এই দিনটিতেই পালিত হয় বিশ্ব ওজোন দিবস বা আন্তর্জাতিক ওজোনস্তর রক্ষা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়।

বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে।অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।


আরও খবর



যশোরে মণিহার সিনেমা হলের মালিক সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

শার্শা, যশোর প্রতিনিধি:চাঁদা না দেয়ায় যশোরের মণিহার সিনেমা হলের ৩য় তলার ডিসি ক্যান্টিনে হামলা ভাঙচুর সহ ১২/১৩ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। এ অভিযোগ এনে রোববার হল মালিক সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ডিসি ক্যান্টিনের মালিক নাজির শংকরপুর এলাকার এবিএম কামরুজ্জামান পলাশ। সেখানে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে সিনেমা হল মালিক জিয়াউর রহমান মিঠুকে। অন্যরা হলেন, ম্যানেজার মোল্লাপাড়া বাঁশতলার মোল্লা ফারুক আহম্মেদ, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ, বলাডাঙ্গা কাজীপুরের সবুজ দাস ও নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার জনি।

থানায় অভিযোগে উল্লেখ রছেয়ে, ১৯৮৪ সাল থেকে তারা মণিহার সিনেমা হলের ৩য় তলায় ডিসি ক্যান্টিন দোকানটি পজিশন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। প্রথমে তার বাবা আব্দুল মালেক এবং বাবার মৃত্যুর পর তিনি এ প্রতিষ্ঠানটি দেখাশোনা করে আসছেন। এছাড়াও মণিহার কমপ্লেক্সে তার আরও দু’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে বিবাদীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি তিন লাখ টাকা চাঁদা দেন। এরপর আরও দু’ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এক পর্যায়ে তিনি এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেন। এতে করে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিবাদীরা। এর জের ধরে গত শনিবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরার পথে আইটি পার্কের গেটের সামনে পৌঁছালে আব্দুর রশিদ ও জনিসহ অজ্ঞাত সাত-আটজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এরপর মামলা প্রত্যাহার ও আরও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট ও গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। ওইসময় পকেটে থাকা ব্যবসার ৭০ হাজার টাকা ও সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয় তারা। এছাড়া, পরে রাতের আঁধারে বিবাদীরা মনিহার সিনেমা হলের ৩য় তলার ডিসি ক্যান্টিন ভাঙচুর করে। দোকানে থাকা পাঁচ লাখ টাকা লুট এবং আরও সাত লাখ টাকার মালামালের ক্ষতি করে। পরে সব মালামাল মণিহার সিনেমা হলের নীচতলার একপাশে ফেলে দেয়। এ বিষয়ে মণিহার সিনেমা হলের মালিক জিয়াউর রহমান মিঠু বলেন, পলাশ অবৈধভাবে ৩য় তলায় ডিসি ক্যান্টিন চালিয়ে যাচ্ছিল। ডিসি ক্যান্টিনের ওই স্থানে তারা শিশু বিনোদন ও মাতৃদুগ্ধ পান কেন্দ্র করতে ক্যান্টিনটি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু পলাশ ছেড়ে না দিয়ে নানা তালবাহানা করতে থাকেন। এ বিষয়ে তারা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগও দিয়েছেন। সর্বশেষ শনিবার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পলাশ সরাননি। বাধ্য হয়ে মালামাল সরিয়ে তার আরেকটি দোকান আস্থা বেকারির সামনে রেখে আসা হয়েছে। লুটপাট চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। 


আরও খবর



ইউনূসের বিচার স্থগিতের দাবির প্রেক্ষিতে ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেয়া খোলা চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশের ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী। 

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘খোলাচিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত চলমান মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। 

দেশের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, ‘উল্লিখিত খোলাচিঠির প্রেক্ষিতে বেশ কিছু আইনি ও নৈতিক প্রশ্ন সামনে চলে আসে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪(৪) অনুযায়ী বিচারকগণ তাদের বিচারিক কাজে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রপরিচালনায় যুক্ত কারোরই বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার নেই। 

উল্লিখিত চিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) স্বীকৃত শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। এই চিঠিতে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারকের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিচারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার সামিল বলে আমরা মনে করি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকই আইনের দৃষ্টিতে সমান। লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই সংবিধানে সকলেরই আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারকার্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ও স্বাধীনভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে ‘বিচারিক হেনস্তা’র অভিযোগ অমূলক ও অনভিপ্রেত। পাশাপাশি ড. ইউনূস বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সবসময়ই দেশে ও বিদেশে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন।

বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা বলেন, ‘প্রেরিত খোলাচিঠিতে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিবর্গের নিজ নিজ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমরা প্রত্যাশা করি, বিবৃতিদাতাগণ তাদের নিজ নিজ দেশের মতো বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকেও নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলার সুযোগ দেবেন এবং সম্মান করবেন।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন-নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক বুলবন ওসমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি নির্মলেন্দু গুণ, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল বায়েস, সাবেক বিচারপতি মমতাজউদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এ. কে এম মনোয়ার উদ্দিন আহমদ, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি, মানবাধিকার কর্মী অ্যারমা দত্ত এমপি, নারীনেত্রী রোকেয়া কবীর, সাংবাদিক আবেদ খান, কবি ও লেখক নূহ আলম লেনিন, সাংবাদিক হারুন হাবীব, প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শামীম বসুনিয়া, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, লাকী ইনাম, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদ, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, নাট্যজন ম. হামিদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি মফিদুল হক, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত, অজয় দাশগুপ্ত, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দীন ফকির, মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুর রশীদ, মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার, মেজর জেনারেল (অব:) নাসির উদ্দিন, লেখক শাহরিয়ার কবির, কবি তারিক সুজাত, কবি অসীম সাহা, নাট্যজন পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, কবি ও চিকিৎসক হারিছুল হক প্রমুখ।


আরও খবর