Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঘরে বসেই মিলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;মাত্র কয়েকদিন আগেও কাগজপত্র জমা, ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষা এবং বায়োমেট্রিকের জন্য দিনের পর দিন ধর্ণা দিতো হতো বিআরটিএ অফিসে। এতে হয়রানির পাশাপাশি দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতো সেবাপ্রার্থীরা। কিন্তু বর্তমানে বদলে গেছে সেই চিত্র। এখন ঘরে বসেই মিলবে কাঙ্খিত ড্রাইভিং লাইসেন্স।গত মঙ্গলবার (২১মার্চ) সকালে কক্সবাজার বিআরটিএ অফিসে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সুফিয়ান। তিনি জানান,স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নব যুগের সূচিত হলো। পাশাপাশি দালাল চক্রের অপতৎপরতা রোধে এই কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।কক্সবাজার বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, নিজের মোবাইলে একাউন্ট খুলে আবেদন করে ফাইল সাবমিট করা যাবে। পরে একদিনেই অফিসে এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট, বায়োমেট্রিক ও পরীক্ষা দেওয়া যাবে। এরপর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মিলবে একটি ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স। যেটি দিয়ে নিমিষেই চালানে যাবে গাড়ি। পরে ডাকযোগে পৌঁছে যাবে লাইসেন্সের প্রিন্ট কপি।একদিনেই সহজেই হাতের কাছে সমস্ত সেবা পেয়ে বেশ খুশি সেবাপ্রার্থীরা।এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সিভিল সার্জন ডাক্তার মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দজাদী মাহবুবা মৌনা, ইনজারুল হক, ট্রাফিক পরিদর্শক রফিকুর রহমান ও বিআরটিএ এর মোটরযান পরিদর্শক তীর্থ প্রতীম বড়ুয়া। 



আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




পোরশায় আমগাছ কেটে ফেলা,কর্মচারীদের মারপিট ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় একটি আম বাগানের তিন শতাধিক আমগাছ কেটে ফেলা, কর্মচারীদের মারপিট ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষী ও এলাকাবাসী।বুধবার দুপুরে পোরশা উপজেলার বৌদ্যপুর গ্রামে ঐ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে গ্রামবাসী এবং আমচাষী অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষী হোসনেয়ারা আক্তার শিখা বলেন, এখানে ৩০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে একটি আমবাগান গড়ে তোলেন তিনি। পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৩১ জানুয়ারী দিবাগত রাতে স্থানীয় প্রভাবশালী আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে ৫-৭ জন দুর্বৃত্ত রাতের আধারে বাগানে প্রবেশ করে তিন শতাধিক আম গাছ কেটে ফেলেন। ওই ঘটনাটি তার কর্মচারী তাহের দেখে ফেললে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে তিনি ৩১ জানুয়ারী থেকে ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারী বাগানের পাহারাদার তাহেরকে আবারও মারপিট করে বাগানের মাঝে নির্মিত টিনের ঘর থেকে ধান, কৃষিজ যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক, সোলার ব্যাটারীসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে ভ্যানে করে নিয়ে যায়।আহত তাহেরকে প্রথমে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এরপর রাজশাহীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যে বাগানের যায়াতের রাস্তায় প্রতিপক্ষরা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

বিষয়টি থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আতঙ্কে জীবন যাপন করছেন তারা। তাই দ্রুত আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও আম বাগান রক্ষার দাবি জানান বাগান মালিক হোসনেয়ারা মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বৌদ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের, সাদ্দাম হোসেন, আতিকুর দেওয়ান, হাসান আলী, আব্দুল হালিম প্রমুখ।

এ বিষয়ে পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, এ বিষয়টি নিয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তবে হোসনেয়ারা আক্তার পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করায় বিষয়টি এখন আদালতের এখতিয়ারে চলে গেছে। এখন আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে দেশের ৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য বলা হয়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



ইবিতে ফি সমন্বয়ের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান, ইবি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফি সমন্বয়ের দাবিতে পৃথক পৃথক মানববন্ধন করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (০২ মার্চ) সকালে ফি সমন্বয় নিয়ে লুকোচুরির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

পরে মানববন্ধন শেষে পৃথক পৃথক স্বারকলিপি প্রদান করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বরত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। 

সাধারণ শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-  সমন্বয়ের ঘোষণা দেওয়া ফি সমূহ অবশ্যই সমন্বয় করতে হবে, ইতোমধ্যে যারা অতিরিক্ত ফি জমা দিয়েছে তাদের টাকা মাস্টার্সে সমন্বয় করতে হবে এবং বিভিন্ন ফি দেওয়ার পরেও একাডেমিক শাখার খাতায় না তোলার বিষয় সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

স্মারকলিপিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ৷ ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে অযাচিত বর্ধিত ফি ২০ শতাংশ কমানোর ঘোষনা দেন ও যারা ইতোপূর্বে ফি জমা দিয়েছিলো, তাদের ফি পরবর্তী সেমিস্টারে সমন্বয় করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন৷ 

সেই ঘোষণার পর থেকে  উক্ত দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা সমন্বয় করে ফি জমা দিয়ে আসছে৷ কিন্তু প্রশাসনে রদবদল হওয়ায় পূর্বের প্রজ্ঞাপনের তোয়াক্কা না করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস পূর্ণাঙ্গ ফি প্রদান পূর্বক সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র উত্তোলন করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন। অন্যথায় সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। যা উক্ত দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণার সামিল বলে স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়৷ 

এ বিষয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত ফি কেন সমন্বয় হচ্ছে না সে ব্যপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি৷ 

এদিকে শিক্ষার্থীদের ফি সমন্বয় বাস্তবায়ন ও প্রশাসনের অন্যায্য ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় দলীয় টেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়। 

এসময় সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মুখলেসুর রাহমান সুইট, ইবি সংসদের সহ-সভাপতি উদয় দেবনাথ, সাদিয়া মাহমুদ মীম, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আহমাদ গালিবসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২০ শতাংশ ফি কমানোর আশ্বাস দেয় তৎকালীন প্রশাসন। তবে ওই দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে সনদ উত্তোলন করতে গেলে পুনরায় বকেয়া ফি জমা দেওয়ার দাবি জানান কতৃপক্ষ। যা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক।

ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফি সমন্বয় তো করেনি, উপর্যুপরি শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে ২০১৯-২০ সেশন থেকে অন্যায্য ভাবে ফি বাড়িয়েছে, যা অত্যন্ত অমানবিক আচরণ। অনতিলম্বে ফি সমন্বয় বাস্তবায়ন এবং অন্যায্য ফি প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবি সমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না করেন তাহলে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বরত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সবার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান করা হবে।

আরও খবর



৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়ে দেশত্যাগের আবেদন ড. ইউনূসের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

শফিক আহমেদ চৌধুরীঃ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়ে দেশত্যাগের আবেদন ড. ইউনূসের ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার জন্য ব্যাংকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১০ মার্চ) রুপালী ব্যাংক পল্লবী শাখায় হাইকোর্টের নির্দেশে এই অর্থ জমা দেয়া হয়।একই সাথে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার তার পক্ষে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ আবেদন করা হয়।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এর লিখিত রায় প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে আপিল বিভাগে না গিয়ে ব্যাংকে অর্থ জমা দিয়ে দিলেন তিনি।গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে।

এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এর পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান। ওই আবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিজেক্ট করার পরে তারা আয় করের টাকা মওকুফ চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে-ই প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি থেকে প্রায় চারশ কোটি টাকার মতো ছিল।

কিন্তু অ্যাকাউন্টে অর্থ রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই অর্থ চেয়ে নোটিশ করার পরে কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না এনিয়ে রুলও জারি করেন আদালত।এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আসে। আজ সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদন খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমকে আদেশ দেন নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এর পর এনবিআরেরব বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে।

এদিকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১০ মার্চ) তার পক্ষে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেতে চান। কিন্তু আদালত যেহেতু দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবহিত করতে বলেছেন, তাই এই আবেদন করা হলো।সোমবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের করা মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ইউনূসকে ৬ মাস কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। ওইদিনই তিনি এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান।গত ২৮ জানুয়ারি সকালে সাজা বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকেও জামিন পান তিনি। সবশেষ গত ১০ মার্চ সেই জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছে। তবে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইউনূসকে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বায়ুদূষণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকার নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকার নাম বায়ুদূষণে ‘অস্বাস্থ্যকর’ তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই আজও বাতাসে নেই কোনো স্বস্তির খবর।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটের দিকে রাজধানীর বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে জানাচ্ছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। এদিকে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর। শহরটির স্কোর ২৩৩। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৯১, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, যার স্কোর ১৯০ এবং ১৮৬ স্কোর নিয়ে চর্তুথ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শহর লাহোর। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে চীনের উহান, যার স্কোর ১৭৭। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে বায়ুদূষণ।সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর