Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাইবান্ধায় তুলা চাষে নতুন করে সম্ভাবনা দুয়ার খুলেছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৩৩জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:-বাংলাদেশের তুলা ছিল এক সময় জগত বিখ্যাত। চাহিদা অনুযায়ী বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে দেশেই তুলা চাষ করা হতো। কালক্রমে হারিয়ে যায় সেই তুলা চাষ। বিপাকে পড়ে দেশের বস্ত্র শিল্পসহ তুলা চাষীরা। বর্তমান বস্ত্রশিল্পের প্রয়োজনীয় সিংহ ভাগই তুলা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন এলাকায়  তুলা চাষে নতুন করে সম্ভাবনা দুয়ার খুলেছে। তুলা বর্তমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল যা বস্ত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় তুলা চাষে গাইবান্ধার কৃষকরা অতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। তুলা চাষে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। অল্প বিনিয়োগে বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় তুলা চাষ হচ্ছে।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি গ্রামে উচ্চ ফলনশীল পালী-১ জাতের তুলার চাষ হচ্ছে। মাটি ও আবহাওয়া তুলা চাষে উপযোগী হওয়ায় গাইবান্ধা জেলায় দিন দিন বাড়ছে উচ্চ ফলনশীল শুভ্র জাতের কার্পাসসহ রূপালী, হোয়াইট গোল্ড, ডিএম তুলার চাষ।স্বল্প মূলধনে অধিক লাভবান হওয়ায় তুলা চাষীরা বস্ত্রশিল্পের কাঁচামালের চাহিদা যোগান দিচ্ছে। এছাড়াও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। ফলে তুলা চাষীদের পাশাপাশি শ্রমিকরা কাজ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনের করছে। তুলা চাষি জামিরুল হক বলেন, ১৫ বছর যাবত তুলা চাষ করছে। আগে কলা, ভুট্টা,পাট ও গমসহ অন্যান্য ফসল চাষ করতো। এ বছর প্রায় এক একর জমিতে তুলার চাষ করেছে।১ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০০০টি তুলা গাছ রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। এবার উন্নত জাতের তুলা চাষ করায় তুলনামূলক ভাবে ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২০-২২ মণ তুলা উৎপাদন হয়। 

বর্তমান প্রতিমণ তুলার বাজার মূল্য ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। তুলা চাষি আব্দুল জব্বার বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় তুলা চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় ৪-৫ বছর যাবৎ তুলা চাষ করা হচ্ছে। উৎপাদিত তুলা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এর মধ্যে ২.৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। লক্ষমাত্রা চেয়ে ১৬.২ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়নি। লক্ষমাত্রা পূরণের জন্য কৃষকদের তুলা চাষের সুফল ও গুরুত্বপূর্ণ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলে কৃষক তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

আরও খবর



বিএনপি সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেছিল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির পিতার নেওয়া পদক্ষেপ অনুসরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য সারা দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন কাজ শুরু করি। সেই সময় জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি গ্রহণ করি। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করি। নারী শিক্ষা বিস্তার এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ছিল আমাদের আন্তরিক প্রয়াস।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নিদের্শে ’৭৩-৭৮ সাল পর্যন্ত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাশনাল কাউন্সিল কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে এদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সমস্ত অর্জনগুলো একে একে নষ্ট করে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর আমরা আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১২ প্রণয়ন করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প আবারও চালু করি। বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এগুলোর মাধ্যমে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ ৩০টি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার ক্লিনিকে স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক হতে মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য এসব কেন্দ্রে ৪ জন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের অঙ্গীকার করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি। মাতৃ স্বাস্থ্য সেবায় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। ‘মা টেলিহেলথ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে প্রসূতি মায়ের গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৩ লাখ উপকারভোগীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


আরও খবর



তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তীব্র তাপদাহে পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। এর আগে খেটে খাওয়া মানুষসহ সড়কে থাকা নারী-পুরুষ সবাইকে এ গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় পল্লবী থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর উদ্যোগে  দিনভর রাজধানীর পল্লবী থানা  এলাকার বিভিন্ন সড়কে থাকা প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়। এ সময় পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান  বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশক্রমে পল্লবী থানা এলাকায় পথচারী, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করানো হচ্ছে। এই প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা নিবারণ করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশুদ্ধ পানি সাধারণত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পথচারী ও অন্যান্যদের মধ্যে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া নিয়েছি। তাপদহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। 

সরেজমিন দেখা যায়, ভ্রাম্যমান গাড়ির উপরে তৈরি করা হয়েছে 'ওয়াটার বুথ'। আর এই বুথ থেকেই পথচারী, রিকশাচালক, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকসহ সব পেশার মানুষ বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করছেন সকলে। প্রয়োজনে দেওয়া হচ্ছে ওরস্যালাইনও। এ বুথেও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন পল্লবী থানার বিভিন্ন পুলিশ সদস্যরা।

আরও খবর



দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী হলেন- বর্তমান নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, বর্তমান দিনাজপুর-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিকের ছোট ভাই ও বাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম (নাইন্টি),  ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজামুল হাসান।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী হলেন-ওয়ায়েস করুনী, আফতাবুজ্জামান, গোলাম ফিরোজ করিব, আইনুল হক চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক ও আজিজার রহমান।

মহিলা ভাই চেয়ারম্যান পদে ৪ জন হলেন- বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান পারুল বেগম, শিউলি বেগম, শাবানা খাতুন ও শেফালী বেগম রেখা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগামী ৫ জুন/২৪ইং রোজ বুধবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার নির্বাচনে উপজেলার ৭৩টি ভোট কেন্দ্রে নবাবগঞ্জ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে তাঁরা তাদের ভোটাধিকার প্রযোগ করবেন। এবার উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা এক লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৫ জন। পুরুষ ভোটার ৯৭ হাজার ৮'শত ৩৩ জন, মহিলা ভোটার ৯৬ হাজার ২'শত ৩৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জানান, অবাধ সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আশা করছি আমরা নবাবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব।


আরও খবর



হিলিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল লেবার ও অটো রিকসা শ্রমিকদের নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে প্রথম বারের মত দিনাজপুরের হিলিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বন্দরের লেবার শ্রমিক ও অটোরিকসা শ্রমিকদের নিয়ে লেবার কাপ প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট খেলা। 

বুধবার (১ লা মে) বিকেল সাড়ে ৫ টায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক জাবেদ হোসেন রাসেল এর উদ্যোগে হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় দুটি দল অংশ গ্রহন করেন অটোরিকসা শ্রমিক দল বনাম হিলি পানামা পোর্ট এর লেবার শ্রমিক দল। খেলায় নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে খেলা শেষ হয়। পরে ট্রাইবেকারে ১-০ গোলে হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের লেবার শ্রমিক দল চ্যাম্পিয়ন হন। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি বড় ট্রফি ও  ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা এবং রানার্সআপ দলকে একটি ছোট ট্রফি ও ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা তুলে দেওয়া হয়।  

এসময় সেখানে দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান,হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ও সাবেক মেয়র কামাল হোসেন রাজ ও হিলি স্থলবন্দরের আমদানি- রপ্তানিকারক জাবেদ হোসেন রাসেল। 

খেলার আয়োজক জাবেদ হোসেন রাসেল বলেন,সীমান্তঘেঁষা হাকিমপুর হিলি উপজেলা। মাদক থেকে যুব সমাজকে দুরে রাখতে শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে আনন্দ বিনোদন দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই খেলার আয়োজন করা হয়। আমি কিছু দিন পূর্বে হিলি পানামা পোর্টে শ্রমিকদের সাথে কথা বললে শ্রমিকরা বলেন,মে দিবসে ফুটবল খেলতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। তাই আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। আমি সারাজীবন এসব শ্রমিকদের পাশে থাকতে চাই।


আরও খবর



মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ-

টাঙ্গাইলের মধুপুরে  কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মুল্যে তালিকা ভুক্ত কৃষকদের নিকট  কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) বিতরণ করা হয়েছে।রবিবার(৫এপ্রিল) দুপুরে মধুপুর উপজেলা কৃষি পূনর্বাসন কমিটির বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার শিবরামবাড়ী গ্রামের কৃষক আরিফ হোসেনের নিকট চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে  এ  কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। 


উপজেলা কৃষি অফিসার শাকুরা নাম্নী'র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠা‌নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  জুবায়ের হোসেন।ভর্তুকি মূল্যে উপজেলার শিবরামবাড়ী এলাকার কৃষক আরিফ হোসেনের নিকট এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র) হস্তান্তর করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে  উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা, সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। 


এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের  হোসেন বলেন, সরকারী ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে । এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে অল্প সময়ে অল্প খরচে জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে পারবে এতে শ্রমিক সংকট দূর হবে।মধুপুর  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী  বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সরকারের পরিচালনার বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মেশিনটি  ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকের  মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।কৃষক  আরিফ হোসেন জানান এ যন্ত্র পেয়ে সে  খুশি। এ মেশিনের কারনে  বর্তমানে খরচ কমে অর্ধেকে নেমে আসবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর