Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার (পাকচং-১) জাতের ঘাস। কৃষকরা ধানের খড়ের বিকল্প হিসেবে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিকর গো-খাদ্য হিসেবে এ ঘাস চাষে ঝুঁকে পড়েছে। অনেকে আবার বাণিজ্যিক ভাবে এ ঘাস চাষে সফল হয়েছেন।জেলা প্রাণিসম্পদক বিভাগ থেকে চাষিদেরকে এ ঘাস চাষে উদ্বৃদ্ধ করতে প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে বলে জানাযায়।সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে,এ উপজেলায়  গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে দেশী ঘাস ও ধানের খর গরুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করা হতো।

বর্তমানে প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে গরু, ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশু ব্যাপকভাবে পালন করা হচ্ছে।গরুর খাদ্য হিসেবে ভুষি খুদ, ভুট্টা ও দানাদার খাদ্যের দাম ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা নেপিয়ার ঘাষ চাষের উপর ঝুকে পরেছে।অনেক কৃষক জমিতে ধান চাষের পরিবর্তে ঘাস চাষ করছেন।খামারী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে সাহারুল ইসলাম জানান তিনি ১ একর জমিতে এই ঘাস চাষ করেছেন তেল, সার,বীজ ও মজুরী দিয়ে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়।একই জমিতে ধানের পরিবর্তে ঘাস চাষ করে সে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। 

 কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর পাড়া গ্রামের কেরামত মুন্সি ছেলে নুরুল ইসলাম বলেন এই ঘাস চাস করে তিনি এক দিকে যেমন পশু খাদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছেন অন্যদিকে বানিজ্যিক ভাবে তিনি লাভবান হচ্ছেন।বরিশাল ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকার কৃষক স্বপন চন্দ্র বলেন এই ঘাস চাষ অত্যান্ত লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এই ঘাস চাষে ঝুকে পরেছেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার ডেইরী ফার্ম চাষিদেরকে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ নেপিয়ার ঘাস (পাকচং-১) চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে ও খামারীরা জানান।এতে কৃষকরা বেশি পরিমাণে এ ঘাস চাষ করছেন। কাটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘাস জমিতে লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ঘাস কাটা শুরু হয়।  

 উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন বলেন দানাদার খাদ্যের তুলনায় এই ঘাসের দাম কম হওয়ায় খামারীরা এই ঘাস চাষ করছেন।এই ঘাস শুধু পলাশবাড়ী উপজেলায় নয় গোটা গাইবান্ধা জেলায় বানিজ্যিক ভাবে সরবরাহ করছে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা।গবাদিপশু প্রজননের ক্ষেত্রে কাচা ঘাসের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই ঘাস চাষের জন্য স্বল্প পরিমান সার ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডা: মাসুদার রহমান বলেন গোটা গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাষ চাষ হচ্ছে পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায়।গবাদী পশুর অন্যান্য খাদ্যের তুলনায় কাচা ঘাষ স্বাস্থ্য সম্মত।খামারী ও কৃষকরা  নিজেদের পশু খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই ঘাষ বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করছেন।

আরও খবর



টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে গ্রামের একটি অংশের নাম পরিবর্তনের প্রচেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি ঘাটাইল (টাঙ্গাইল)

 টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার নবগঠিত সংগ্রামপুর (বৃহত্তর সন্ধানপুর) ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শত বছরের পুরাতন বগা গ্রামের পূর্ব   অংশের নাম পরিবর্তন করে বগা তরফদার পাড়া করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 


সম্প্রতি ১০ মে (বুধবার) গ্রামের পূর্ব অংশে তরফদার বংশের কিছু লোক একত্রিত হয়ে  গ্রামের পূর্ব অংশের নাম পরিবর্তন করে পাকুটিয়া থেকে দেওজানা রোডে ৩টি আলাদা আলাদা জায়গায়  ব্যানারে 'তরফদার পাড়া' লিখে নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে। বগা গ্রামের পূর্ব অংশে তরফদার বংশের বসবাস। আগে বগা পূর্বপাড়া অথবা চটাপাড়া নামে পরিচিত ছিল। 


তরফদার পাড়ার পূর্ব অংশে মূলবাড়ী গ্রাম, দক্ষিণে সত্তুরবাড়ী গ্রাম, উত্তরে বগা উত্তরপাড়া  এবং পশ্চিমে বগা পুকুরচালা অবস্থিত। 


 ২০১২ সালে স্থাপিত বগা তরফদার পাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ এর বারান্দার দক্ষিণ রাস্তা মুখী একটি পোস্টার, পূর্বে মজিবর তরফদারের বাড়ীর পূর্ব পাশে ব্রিজ পাড়ে, এবং পশ্চিমে আঃ ছামাদ তরফদারের বাড়ির পশ্চিমে মোট তিনটি " স্বাগতম তরফদার পাড়া, বগা পোস্টার টানানো হয়।


মূলত উত্তরে ওয়াহেদ কারী তরফদার এর বাড়ী,  পূর্বে মজিবর তরফদার থেকে পূর্ব  দক্ষিণে জুলহাস তরফদার, দক্ষিণ পশ্চিমে কামরুল তরফদার পশ্চিম উত্তরে আঃ ছামাদ তরফদার  এর বাড়ী পর্যন্ত তরফদার পাড়া নামে পরিচিত।


 এ অংশে একটি মসজিদ, মসজিদের পাশেই রয়েছে গোরস্থান এবং মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলিতেছে। উল্লেখ্য তরফদারদের মূলবাড়ী গোরস্থান সহ ৪টি গোরস্থান থাকলে বর্তমানে মসজিদ গোরস্থান হচ্ছে এদের কেন্দ্রীয় গোরস্থান। 


 সজীব তরফদার সাঈম জানায়, বর্তমানে ৪৫ টির মতো পরিবারের মধ্যে মাত্র ৫/৬ টি পরিবার রয়েছে অন্য বংশের। সকলের  সন্মতিতে ২০১২ সালে মসজিদ তৈরি করে আমরা বগা তরফদার পাড়া জামে মসজিদ নামকরণ করেছি। এখন আমরা  মহল্লার পুরো অংশের নাম পরিবর্তন করা চেষ্টা চালাচ্ছি। 


 জানা যায়, বগা গ্রামটি শত বছরের পুরাতন একটি গ্রাম। গ্রামে বিভিন্ন বংশের লোক বসবাস করলে পূর্ব পাশের পুরো অংশে একটি বংশের লোক বসবাস করে আর তা হলো তরফদার বংশ। ১৮ শতকের শেষের দিকে গুমান তরফদার ভুয়াপুর উপজেলা থেকে ঘাটাইলের দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বসবাস শুরু করে। এবং ১৯ শতকের শুরুর দিকে তার ছেলে চানঁ তরফদার ও তার চার মেয়ে ও তিন ছেলে জুলমত তরফদার, এবার উদ্দিন তরফদার ও রেফাজ উদ্দিন তরফদার কে নিয়ে পাহাড়িয়া বগা গ্রামের পূর্ব অংশে এসে বসবাস শুরু করেন। 


এরপরে বড় ছেলে জুলমত তরফদার মারা যান স্বাধীনতার পূর্বে, তাকে দাফন করা হয় তার বাড়ির পশ্চিম পাশে পুরনো গোরস্তানে। তার ২ মেয়ে ও ৩ ছেলে মাজম আলী তরফদার, হোসেন আলী তরফদার, শমসের আলী তরফদার। 


ছোট ছেলে রেফাজ উদ্দিন তরফদার মারা যান ১৯৩৮ সালে, তাকে দাফন করা হয় তার বাড়ির পাশেই। তার ২ ছেলে তোরাপ আলী তরফদার ও আরশেদ আলী তরফদার। 


 মেজো ছেলে এবার উদ্দিন তরফদার মারা যান ১৯৭৭ সালের ১৭ মার্চ রোজ বুধবার, এবং তার সহধর্মিণী আহাতন নেছা মারা যান ১৯৮৬ সালের ২৩ মে রোজঃ বুধবার। তাদের  দাফন করা হয় রেফাজ উদ্দিন তরফদারের কবরের পাশে।  তাদের ৭ ছেলে আকবর আলী তরফদার, ওয়াহেদ কারী তরফদার, জাফর আলী তরফদার, বর্তমানে জীবিত আছে ছোট চার ছেলে হলো কলিম উদ্দিন তরফদার, মজিবর রহমান তরফদার, ফজলুর রহমান তরফদার, কাজী আব্দুল আউয়াল তরফদার। 

তিন কবরের গোরস্থান বর্তমানে মজিবর ও ফজলুর তরফদারের বাহির বাড়িতে অবস্থিত। 


গুমান তরফদার থেকে শুরু করে বর্তমানে অষ্টম প্রজন্ম এখানে মিলে মিশে যুগ যুগ ধরে গ্রামের অন্য বংশের লোকজনের সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন। এ ছাড়াও তরফদার বংশের কিছু লোক বগা মধ্যপাড়ার মাদ্রাসার পাশে বসবাস করে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মেটলাইফের বীমা সুবিধা পাবেন টেন মিনিট স্কুল লিমিটেডের কর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্মীদের বীমা সুবিধা প্রদানে মেটলাইফের সেবা গ্রহণ করবে শীর্ষস্থানীয় এডুকেশন টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল। এর ফলে, প্রতিষ্ঠানটির কর্মীবৃন্দ দুর্ঘটনা, অক্ষমতা, অকালমৃত্যু এবং জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে বীমা সুরক্ষার আওতায় থাকবেন। এ নিয়ে দু’টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্প্রতি এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মেটলাইফের কাস্টোমাইজড সল্যুশন, অনলাইন দাবি নিষ্পত্তি সেবা, দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ এবং আর্থিক সক্ষমতার কারণে কর্মীদের বীমা সেবা প্রদানে মেটলাইফকে বেছে নিয়েছে এডটেক প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত টেন মিনিট স্কুল বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম। শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী টেন মিনিট স্কুলের মাধ্যমে মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করেন।বাংলাদেশে আটশো'র বেশি প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি কর্মী ও তাদের পরিবারকে বীমা সুরক্ষা দিচ্ছে মেটলাইফ।এ নিয়ে টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিক বলেন, “আমাদের টিম আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। তাদের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম সুবিধা নিশ্চিত করা ও তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের বিশ্বাস, বীমা কর্মীদের সন্তুষ্টি ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমাদের সকল কর্মীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর, আনন্দদায়ক ও সহায়ক কাজের পরিবেশ তৈরিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ বীমা সুবিধা তা নিশ্চিতেরই একটি অংশ।”

মেটলাইফ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট বিজনেস অফিসার নাফিস আখতার আহমেদ বলেন, “কর্মীদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার সময় বীমা সুবিধা তাদের স্বস্তি এনে দিতে পারে। জীবনের অনিশ্চয়তা এবং স্বাস্থ্যজনিত জরুরি চিকিৎসা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা লাঘব করতে সাহায্য করবে এই বীমা।“ অনুষ্ঠানে টেন মিনিট স্কুল থেকে উপস্থিত ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিক, হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস তাসনুভা নাদিয়া, হিউম্যান রিসোর্সেসের ডেপুটি ম্যানেজার মো. ফাইয়াজ হোসেন।

অনুষ্ঠানে মেটলাইফ বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থতি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট বিজনেস অফিসার নাফিস আখতার আহমেদ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব এমপ্লয়ি বেনিফিটস মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এমপ্লয়ি বেনেফিটসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব নিউ সেলস মো. মনিরুল ইসলাম, এমপ্লয়ি বেনিফিটসের ডেপুটি ম্যানেজার রায়হান চৌধুরী এবং রাসেল এজেন্সির ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ রাসেল।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, জানতে চান হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে জনসভায় ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়া রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার সকালে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। তখন আদালত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষকে অবহিত করতে বলেন এবং পুলিশের সবশেষ পদক্ষেপও জানতে চান।

এ সময় রাজশাহীর পুলিশ সুপার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’র ঘটনায় মামলা হলেও এখনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে ‘সরকারের পদত্যাগ, গায়েবি মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবিতে রাজশাহীতে সমাবেশ করে বিএনপি। সেই সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে ‘কবরস্থানে’ পাঠানোর হুমকি দেন।

২২ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে চাঁদকে বলতে শোনা যায়, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করণীয় আমার করব ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৬৬জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মো.শওকত আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। আজ শনিবার দুপুরে কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী বলেন।

কিছু নাম সর্বস্ব পত্রিকার অনলাইন পেইজে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা- বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ভাবে তাদের মন গড়া কথা প্রকাশ করছে।তারা বলছেন আমি নাকি কাইতলা জমিদার বাড়ির সরকারি পুকুর থেকে ১০ লক্ষ টাকা মাছ ও ২২ হাজার টাকার বাঁশ লুটপাট করেছি। আমি এসব মিথ্যা সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রয়োজনে আমি এই মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. গোলাম কিবরিয়া, সাবেক মেম্বার আবু তাহের সরকার, ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম,  মো. রুহুল আমীন সংগ্রাম, ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সৈয়দ সোহাগ, ৪.৫.৬ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার লাকি আক্তার, ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সৈয়দ নাজমুল সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদকর্মীরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী জানালেন

রোববার কক্সবাজারে আঘাত হানতে পারে ‘মোখা’

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে। আগামী রোববার নাগাদ এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন তিনি। এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আগামীকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে এটা আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দেশের পূর্বাভাস সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেছি, এটা এখন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এনামুর রহমান বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে এখনো গড়ে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। আগামী ১২ মে নাগাদ এটি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেবে। এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে, সেটা আমাদের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটির গতি ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমারে এটি আঘাত হানবে। এটি টেকনাফের বর্ডার থেকে একটু দক্ষিণ দিক দিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত এমনটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আঘাতের সময় এর গতি ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এসওডি (দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি) অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

‘মোখা’ নিয়ে ঝুঁকির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একটি জেলা কক্সবাজারই আক্রান্ত হওয়ার বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের নিম্ন এলাকা।

উপকূলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘৫, ৬, ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি হলে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে। সিপিপিকে (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সব নির্দেশনা দিয়েছি চট্টগ্রামের যতগুলো উপকূলীয় উপজেলা আছে সেগুলোর আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার জন্য বলেছি।

এনামুর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে খাওয়ার জন্য আমরা ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট বিস্কুট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকালের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য। আমরা আশা করি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারব।


আরও খবর