Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯৭জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার (পাকচং-১) জাতের ঘাস। কৃষকরা ধানের খড়ের বিকল্প হিসেবে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিকর গো-খাদ্য হিসেবে এ ঘাস চাষে ঝুঁকে পড়েছে। অনেকে আবার বাণিজ্যিক ভাবে এ ঘাস চাষে সফল হয়েছেন।জেলা প্রাণিসম্পদক বিভাগ থেকে চাষিদেরকে এ ঘাস চাষে উদ্বৃদ্ধ করতে প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে বলে জানাযায়।সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে,এ উপজেলায়  গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে দেশী ঘাস ও ধানের খর গরুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করা হতো।

বর্তমানে প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে গরু, ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশু ব্যাপকভাবে পালন করা হচ্ছে।গরুর খাদ্য হিসেবে ভুষি খুদ, ভুট্টা ও দানাদার খাদ্যের দাম ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা নেপিয়ার ঘাষ চাষের উপর ঝুকে পরেছে।অনেক কৃষক জমিতে ধান চাষের পরিবর্তে ঘাস চাষ করছেন।খামারী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে সাহারুল ইসলাম জানান তিনি ১ একর জমিতে এই ঘাস চাষ করেছেন তেল, সার,বীজ ও মজুরী দিয়ে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়।একই জমিতে ধানের পরিবর্তে ঘাস চাষ করে সে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। 

 কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর পাড়া গ্রামের কেরামত মুন্সি ছেলে নুরুল ইসলাম বলেন এই ঘাস চাস করে তিনি এক দিকে যেমন পশু খাদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছেন অন্যদিকে বানিজ্যিক ভাবে তিনি লাভবান হচ্ছেন।বরিশাল ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকার কৃষক স্বপন চন্দ্র বলেন এই ঘাস চাষ অত্যান্ত লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এই ঘাস চাষে ঝুকে পরেছেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার ডেইরী ফার্ম চাষিদেরকে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ নেপিয়ার ঘাস (পাকচং-১) চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে ও খামারীরা জানান।এতে কৃষকরা বেশি পরিমাণে এ ঘাস চাষ করছেন। কাটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘাস জমিতে লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ঘাস কাটা শুরু হয়।  

 উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন বলেন দানাদার খাদ্যের তুলনায় এই ঘাসের দাম কম হওয়ায় খামারীরা এই ঘাস চাষ করছেন।এই ঘাস শুধু পলাশবাড়ী উপজেলায় নয় গোটা গাইবান্ধা জেলায় বানিজ্যিক ভাবে সরবরাহ করছে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা।গবাদিপশু প্রজননের ক্ষেত্রে কাচা ঘাসের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই ঘাস চাষের জন্য স্বল্প পরিমান সার ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডা: মাসুদার রহমান বলেন গোটা গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাষ চাষ হচ্ছে পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায়।গবাদী পশুর অন্যান্য খাদ্যের তুলনায় কাচা ঘাষ স্বাস্থ্য সম্মত।খামারী ও কৃষকরা  নিজেদের পশু খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই ঘাষ বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করছেন।

আরও খবর



টাঙ্গাইলের মধুপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরাগ্রামে জোরপূর্বক ছাপড়া ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বকুলের ছেলে রিপন জানান, তাদের পৈত্রিক জমি জোরপূর্বক পুন্ডুরা গ্রামের মৃত তসর শেখের ছেলে আফছার, আফছারের ছেলে শাকিল, সাকিব, হাবেজ আলীর ছেলে লালন, এলাহী, সিদ্দিকের ছেলে হানু, ইয়াদ আলীর ছেলে ছাত্তার মেকার,মৃত আফজালের ছেলে পলাশ, হাবেজের মেয়ে  কালাগেদী, দুখীনী সহ ১৫/২০ জন মিলে পুন্ডুরা গ্রামের মৃত বকুলের ছেলে রিপনদের পৈতৃক জমি জোরপূর্বক ছাপড়া ঘর তুলে বেদখল দেয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা তাদের ছাপড়া ঘর সড়াতে বললে তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে এবং আমার বকুল তলা মোড়ে মনোহরী দোকানের সাটার কুপাইয়া ক্ষতি করে। এব্যাপারে মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগী রিপন।


আরও খবর



পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
বাবুল, কুড়িগ্রাম ব্যুরো চিফ:কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজে ইফতার ও দো"আ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ ২৬ শে মার্চ মঙ্গলবার ইফতার ও দো'আ  মাহফিলের পূর্বাহ্নে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ডা মোঃ জাহেদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন, উলিপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উলিপুর এমএস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, পাঁচপীর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজয় কুমার সরকার সামু, উলিপুর বণিক সমিতির প্রতিনিধি নুরে আলম সিদ্দিকী, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাঈদ। অনুষ্ঠানে প্রিয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা'র সহধর্মিনী কাবেরী পান্ডে । এর আগে প্রিয় অতিথি কলেজ চত্বরে একটি গাছের চারা রোপন করেন। 

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক,  কলেজ এর গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।

আরও খবর



আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



আগাম জামিন অনির্দিষ্টকালের জন্য দেওয়া উচিত নয়: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ। রমনা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিন প্রশ্নে এক আদেশে এমন অভিমত দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

গত ৬ মার্চ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চের ওই আদেশ শনিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, এই সব রায়ের নীতি অনুসারে ব্যক্তি/ব্যক্তিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত বিবাদীদের আগাম জামিন দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল বিভাগের রায়ের নীতি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাঝেমধ্যে যথাযথ তদন্তের স্বার্থে কোনো মামলার প্রতিবেদন দিতে বেশি সময় নিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে, অভিযুক্ত পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত আগাম জামিনের সুবিধা উপভোগ করার অধিকারী নয়।

আপিল বিভাগের আগের দেওয়া কয়েকটি রায়ের রেফারেন্স দিয়ে এসব কথা বলেন আদালত। ‘রাষ্ট্র বনাম মো. কবির বিশ্বাস’, ‘রাষ্ট্র বনাম অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান এবং অন্যান্য, ‘রাষ্ট্র বনাম আবদুল ওয়াহাদ শাহ চৌধুরী’ মামলার রায় এ আদেশে উদ্বৃত করা হয়।


আরও খবর



শারীরিক অবস্থার অবনতি: সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হবে।

শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডাম রাত ৩টায় হাসপাতালে পৌঁছেছেন। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের আরেক সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, হাসপাতালে পৌঁছালে ম্যাডামকে ইমারজেন্সিতে নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে সরাসরি সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তার পুরোনো রোগ লিভার সিরোসিস জটিলতা বেড়ে যাওয়া তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে, শনিবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় যান তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।

তখন বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।

সবশেষ, গত ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। পর দিন ১৪ মার্চ রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।


আরও খবর