Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

ফুলকপি চাষাবাদ করে সৈয়দপুরের কৃষকের সাফল্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৮৫জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর বড়দহ গ্রামের আবুল হোসেন। সঠিক সময়ে যত্ন নেয়া ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে তাঁর। আগাম জাতের এ সবজি চাষ করে দাম বেশি পাওয়ায় তার চোখেমুখে হাসির ঝিলিক লক্ষ্য করা গেছে। তার এই চাষাবাদ দেখে ওই ইউনিয়ন এর প্রায় ২০ কৃষক ঝুকে পড়েছেন এই আবাদে। তাদের মতে, শুধু বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর চাষাবাদে সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাট বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব। 

কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে তিনি ৪ একর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন। এরমধ্যে প্রায় ২ একর জমির ফুলকপি বাজারে বিক্রি করেছেন।এতে খরচেন ৩ গুন লাভ হয়েছে।  আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাকি জমির ফুলকপি বিক্রি করে যথেষ্ট লাভবান হবেন। তিনি আরো বলেন,কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আগাম জাতের ফুলকপি বা বাধাকপির চাষাবাদ করলে সব কৃষকই লাভবান হবেন।

ওই ইউনিয়ন এর আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান,আবুল হোসেনের চাষাবাদ দেখে তিনি ৩ একর জমিতে ফুলকপি, ২ একর জমিতে বাধাকপি ও ১ একর জমিতে ছিমের চাষাবাদ করেছেন।গত মৌসুমে চাষাবাদ করে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, বর্তমান মৌসুমে তার কয়েকগুন বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি। ভরা মৌসুমে এসব সবজির চাষাবাদ করলে বাজারে দাম তেমন একটা পাওয়া যায় না বলেই এবারে আগাম চাষাবাদ করেছেন বলে জানান।৩১ অক্টোবর সকালে কথা হয় সবজি বিক্রেতা আলমগীর কবির এর সাথে, তিনি বলেন, সৈয়দপুরের বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। ভাল মানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।টমেটো ১৩০ টাকা, মুলাও বাঁধাকপি ৬০ টাকা ও সিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজি আগাম চাষাবাদ করে বাজারে উঠার কারনেই দাম চড়া।তবে মাসখানেক পর দাম এমনটা থাকবে না বলে জানান তিনি। 

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধু ভুষন রায় বলেন,সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন ও বাংগালীপুর ইউনিয়নে সবজির আগাম চাষাবাদ হয়। এই দুই ইউনিয়ন এর কৃষকদের চাষাবাদের কারনে সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে তা সরবরাহ করা হয়। উপজেলার সব ইউনিয়ন এর কৃষকরা যদি কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে চাষাবাদ করেন তাহলে কোন কৃষকই লোকসানের কবলে পরবেন না। ২/৪ বছরেই তাঁরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হবেন বলে জানান তিনি। 

আরও খবর



২১ মে ব্যাংক বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ২১ মে (মঙ্গলবার) দেশের ১৫৭টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ওই এলাকাগুলোতে ব্যাংক ওই দিন বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ২১ মে রংপুর বিভাগের ২১টি, রাজশাহী বিভাগের ১৯টি, খুলনা বিভাগের ২৫টি, বরিশাল বিভাগের ১৪টি, ঢাকা বিভাগের ৩০টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ১১টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৬টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর



তানোরে সেচ অরাজকতা ও প্রচন্ড তাপমাত্রায় কমেছে ধানের ফলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে কৃষি ভান্ডার খ্যাত, খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি। এবারে চলতি বোরো মৌসুমে গভীর অগভীর নলকূপের সেচ অরাজকতা এবং প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে বিঘায় ৬ থেকে ৭ মন করে ধানের ফলন কমেছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। গত মৌসুমে বিঘায় যদি ২৬ মন ফলন হয়েছে,  এবার কমে প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ মন করে ফলন হয়েছে। অথচ গত মৌসুমেের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায়। অতিরিক্ত সেচ, সার কীটনাশকের বাড়তি দাম এবং শ্রমিক সংকটের জন্য  উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রচুর পরিমানে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কোন রকমে খরচের টাকা উঠেছে, তবে যারা টেন্ডার নিয়ে  জমি চাষ করেছেন  তাদের বিঘায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে।তানোর পৌর সদর এলাকার কৃষক সাহেব আলী বলেন বিল কুমারী বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ে সেচ না পাওয়া এবং তীব্র তাপদহের কারনে বিঘায় ৬ থেকে -৭ মন ধান কম ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে ৬ বিঘায় রোপন করে বিঘায় ৩০ থেকে- ৩২ মন করে ফলন হয়েছিল।  এবার বিঘায়  ২৪-২৫ মন করে ফলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন শাওন বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করে তারও একই অবস্থা। আব্দুস সালাম সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রোপন করে ফলন কম পেয়েছে । প্রতি বিঘায়  রোপন থেকে মাড়ায় পর্যন্ত ১৯ হাজার টাকা  থেকে ২০ হাজার টাকা  আবার যাদের জমি দূরে তাদের ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কোন রকমে উৎপাদন খরচ উঠে আসছে।তানোর পৌর সদর এলাকায় সাড়ে ২৮ কেজিতে এক মন হিসেব ধরা হয়। আর পৌর এলাকার বাহিরে ৩৮ কেজিতে এক মন হিসাবে সবকিছু হয়।সাহেব জানান, গত সপ্তাহে এক মন ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। গত দুদিন ধরে কমে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘায় ২২ মন ফলন হলে ৯০০ টাকা মন ধরা হলে ১৯ হাজার  ৮০০ টাকা আসে। আবার যাদের বিঘায় উর্ধ্বে ২৫ ফলন হয়েছে ৯০০ টাকা মনে ২২ হাজার ৫০০ টাকা আসে।

কৃষক মফিজ জানান, ধান কাটার সময় তীব্র তাপমাত্রার সাথে ছিল প্রচন্ড খরতাপ। কোনভাবেই জমিতে টিকে থাকা যেত না। খাবার স্যালাইন পানি খেয়ে কোন কাজ হত না। কিন্তু জমিতে পাকা ধান কাটতেই হবে। এত কষ্ট করার পর যদি দিনের দিন সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমে যায় তাহলে কৃষকরা যাবে কোথায়। মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে ধানের দাম কমছে। অথচ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। তাহলে যে কৃষক ফসল উৎপাদন করে দেশকে খাদ্যে ভরপুর করছে সেই কৃষকদের সাথে কেন এমন প্রতারনা করা হচ্ছে। কার ইশারায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। একদিকে সেচের অভাবে কমেছে ফলন অন্যদিকে দিনের দিন কমতেই আছে ধানের দাম। আর কৃষি দপ্তর ঠান্ডা রুমে বসে রিপোর্ট দিচ্ছেন। যত মরন পা ফাটা কৃষকের। কৃষকের কথা কেউ ভাবেনা। তাহলে সেচ পানি সার কীটনাশক নিয়ে ইচ্ছে মত সিন্ডিকেট হত না।তবে কৃষি অফিসের এমন কাল্পনিক তথ্য মানতে নারাজ কৃষক রা। কারন উপজেলায় দুভাগে মনের হিসাব চলমান। ৩৮ কেজিতে একমন আবার সাড়ে ২৮ কেজি তে একমন হিসেবে ফলন কেনা বেচা হয়ে থাকে। আর কৃষি অফিস ৪০ কেজিতে এক মনের হিসাব করে থাকে। সুতরাং স্থানীয় হিসেবের সাথে কৃষি অফিসের হিসেবে অনেক ফারাক দেখছেন কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক ব্যক্তি জানান এবার সেচ এবং প্রচন্ড খরতাপ, অতিরিক্ত তাপদহের কারনে বিঘায় ফলন কম হয়েছে এমন হিসেব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মৌসুমের হিসেব বলবত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,  এবারে উপজেলায় ১৪ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এপর্যন্ত  ৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন ধরা হয়েছে বিঘায় হাইব্রিড সাড়ে ২৬ মন এবং উপশী বিঘায় ২৩ মন করে।স্বর্ন প্রদক প্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা চলে। সময় মত সেচ দিতে চায় না। আবার অতিরিক্ত সেচ হার। আবার ছিল রেকর্ড পরিমাণ  তাপমাত্রা একারনে ফলন কম হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর



কমিউনিটির মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে আইএসডি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য ও একাত্মত উদযাপনে আইএসডি ফেয়ার এর আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা। স্কুল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

কমিউনিটির সবাই যেন একে অন্যের সাথে হৃদ্যতার বন্ধনে যুক্ত হতে পারে এ উদ্দেশ্যেই এ মেলায় আয়োজন করা হয়। মেলায় আগতদের জন্য ছিল ডল ক্যাচার, জাঙ্গল বাম্পার, বাস্কেটবল, মিনি ট্রেইন রাইড, মাসকট ডান্স, পাপেট শো, নাগরদোলা, বাবল রুম ও ইনফ্ল্যাটেবল স্লিপারি ফুটবল ফিল্ডসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।

অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বাংলাদেশ সফররত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এসময় তারা স্কুলটির শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সংগীত এবং গেইম উপভোগ করেন। মেলার এ আয়োজনকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে অতিথিদের পছন্দের গান পরিবেশন করে শাওন গানওয়ালা ও তার দল।

মেলার টাইটেল স্পন্সর ছিল ইউনিমার্ট, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল স্টেপ মিডিয়া, সাউথ ইস্ট ব্যাংক ও লংকা বাংলা এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে ছিল এভারকেয়ার হাসপাতাল।

এ আয়োজন নিয়ে আইএসডি’র পরিচালক স্টিভ ক্যালান্ড-স্কোবল বলেন, “কমিউনিটির সকল পরিবারকে একসাথে করা এবং আমাদের সবার মধ্যকার বন্ধন গড়ে তুলতে ও উদযাপনে আমরা এ মেলার আয়োজন করে আসছি। এবং আমার বিশ্বাস এক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও আমরা ধারাবাহিকভাবে এ মেলা আয়োজনের ব্যাপারে প্রত্যাশী।”


আরও খবর



আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া জরাজীর্ণ ঘরেই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে রেজাউল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িতেই পরিবারের সদস্য নিয়ে কষ্টে বসবাস করছেন দিনমজুর রেজাউল করিম। গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে তার বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তার ঘরের টিনের ছাউনি, কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ঘর পুনরায় সংস্কার করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ কারনে তিনি আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দিনমুজর রেজাউলের ঘরের মাটির তালা কয়লায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। টিনের ছাউনি আগুনে পুড়ে ফায়ার সার্ভিসের পানির চাপে ঘরের চারদিকে এলোমেলো পরে রয়েছে। বাড়ির ভিতর ও বাহিরে রাখা আছে আগুনে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, টিন ও অন্যান্য তৈজসপত্র। বাড়ির দুটি কক্ষে গাদাগাদি করে রাখা আছে বেঁচে যাওয়া অন্যান্য আসবাবপত্র।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই বাড়িতেই পরিবারের দুই মেয়ে, দুই নাতি ও রেজাউল দম্পতির বসবাস। ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দিনমজুর রেজাউল হওয়াই তাদের পক্ষে ওই বাড়িটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। একারণে ঘরের উপরে ছাউনি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রচন্ড তাপদাহে কষ্ট করে সেখানেই অবস্থান করছেন তারা। যে কোন সময় ঝড় বা বৃষ্টি হলে পরিবারটি পরতে পারে মহা বিপদে। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার গুরকী গ্রামে দিনমজুর রেজাউলের বাড়িতে গোয়াল ঘরে চুলার কয়লার আগুন থেকে আগুনের সূত্র পাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে সাড়া বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার বাড়ির টিনের চালা, ঘরের মাটির তালাতে রাখা খরকুটো সহ অন্যান্য কিছু আসবাব পুড়ে যায়। খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে পৌনে এক ঘন্টা ব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় ওই পরিবারের আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

দিনমজুর রেজাউল করিম বলেন, এনজিও থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে আমার বাড়ির টিনের ছাউনী দিয়েছিলাম। কিস্তি পরিশোধের আগেই আগুনে পুড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। পোড়া বাড়িতেই প্রচন্ড গরমের মধ্যে পরিবার নিয়ে আছি। বর্তমানে এটা ছাড়া আমার থাকার মতো কোন পথ নাই। আমি অন্যের বাড়িতে কামলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন আমার অন্যের সহযোগীতা প্রয়োজন।

আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌনে এক ঘন্টা প্রচেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়। গোয়াল ঘরের পাশের চুলার জ¦লন্ত কয়লার আগুন থেকে অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।পৌর মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী বলেন, দিনমজুর রেজাউলকে পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর



হিলি স্থলবন্দরে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:আলোচনা সভা,র‌্যালী ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আন্তার্জাতিক মে দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় হিলি চারমাথা মোড়ে স্থলবন্দর শ্রমিক সংগঠন কার্যালয়ে জাতীয় ও মে দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি র‌্যালি বের হয়ে বন্দরের প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে।

এরপর সেখানে মে দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী মিঠু এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন।

এতে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন,বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহেদ মল্লিক বাবু,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াত আলী,মে দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীসহ স্থলবন্দর কুলি শ্রমিক,ইমারত নির্মাণ শ্রমিক,ট্রাক ট্যাংকলরী শ্রমিক,হিলি-বগুড়া-দিনাজপুর বাস মালিক সমিতি,স্থলবন্দর ট্রাক ড্রাইভার সমিতি, ইজিবাইক, অটোরিকশা,ভ্যান চালকসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন মে দিবসে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,আগামীতে হিলি স্থলবন্দর এলাকার যে কোন সংগঠনের শ্রমিকদের সকল প্রকার সমস্যার দ্রুত সমাধান করার দেন। সেই সাথে সকল শ্রমিক সংগঠন মিলে একটি সংগঠন তৈরির আহবান জানানও তিনি।


আরও খবর