Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

ফুলবাড়ীতে দুই দলিল লেখকের সংঘর্ষে আহত এক দলিল লেখক

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তু”ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দুই দলিল লেখকের সংঘর্ষে আসাদুজ্জামান বাবু নামে এক দলিল লেখক গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি এ উপজেলায় চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস প্রাঙ্গনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত আসাদুজ্জামান বাবুকে উদ্ধার করে, ফুলবাড়ী উপজেলা স্বা¯’্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় আসাদুজ্জামান বাবুর মাথায় বড় রকমের ছোট পড়েছে, এতে তার মাথার উপরি ভাগ ফেটে গেছে।

প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত দলিল লেখক আসাদুজ্জমান বাবু পুর্ব গৌরীপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। আসাদুজ্জামান বাবু ও তার স্বজনেরা জানায় কথা কাটাকাটি তর্ক-বিতর্কের মধ্যে একই অফিসে কর্মরত ষ্টেশনপাড়া গ্রামের বাসীন্দা দলিল লেখক আব্দুল ওহাব মনুর ছেলে, দলিল লেখক ফরহাদ হোসেন টুটুল তার মাথায় মোটা কাঠ দিয়ে আঘার করে, এতে তার মাথা ফেটে তিনি গরুতর আহত হয়ে পড়েন। এসময় তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকরা হয়। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা করার প্র¯‘তি চলছিল।

এদিকে দলিল লেখক ফরহাদ হোসেন টুটুল বলেন ভুলবুঝাবুজিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

দুই দলিল লেখকের মারা-মারির ঘটনাটি উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পরিনত হয়েছে। 




সংবাদ প্রেরক

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

মোবাইল-০১৭১২৫৮১৫১২

তারিখ-২৫.০৩.২০২৩



আরও খবর



ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশের আকাল

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

ভোলা (বিশেষ) প্রতিনিধি : দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারে নেমে কাঙ্খিত ইলিশ পাচ্ছেনা ভোলার জেলেরা, চরম হতাশা ও অভাব অনটনের মধ্যে দিন জেলেদের। চলছে ইলিশের আকাল। নদীতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে অনেক জেলে। গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস ইলিশের অভয়াশ্রম ভোলার ইলিশা থেকে চরপিয়ালের ৯০ কিলোমিটার, ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম ১০০ কিলোমিটার তেঁতুলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ স্বীকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ।

নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নদীতে নামে ভোলার জেলেরা। কিন্তু নদীতে নেমে মাছ না পাওয়ায় হতাশ তারা, যে মাছ পায় তা বিক্রি করে তেল খরচই উঠছে না। ভোলার তুলাতুলি ও ভোলার খাল মাছঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শুনশান নীরবতা মাছঘাটগুলোতে। নেই জেলে, পাইকার, আড়তদারদের হাকডাক। অনেকটা অলস সময় পার করছেন ইলিশের সাথে সম্পৃক্তরা। তুলাতুলি এলাকার জেলে মুছা মাঝি বলেন, ৬ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে নদীতে গেছি ইলিশ মাছ ধরতে। নদীতে ২ বার জাল ফেলে ১ হাজার ৯ শ’ টাকার মাছ পাইছি। তেলের টাকা দিয়ে ভাগে ২শ’ টাকা করে পরছে। হতাশা নিয়ে তিনি আরো বলেন, কিভাবে কি করবো বুঝতেছিনা। তার মতো একই অবস্থা ভোলার বেশিরভাগ জেলের।

তুলাতুলির অপর জেলে আবু বলেন, এনজিও থেকে লোন নিয়ে জাল আর নৌকা বানিয়েছি। এখন নদীতে গিয়ে আশানুরূপ মাছ পাইনা, যা পাই তা বিক্রি করলে নিজেদের খরচই চলেনা। এনজিওর কিস্তি দিবো কিভাবে ? এনজিও ওয়ালারা বাড়িতে গিয়ে বসে থাকে কিস্তির টাকার জন্য। ভোলার খালের জেলে সহিজল বলেন, অভিযানের সময় ধার-দেনা করে চলছি। অভিযান শেষ হইছে আশা করছি নদীতে গিয়ে বড় বড় মাছ পামু। সেই মাছ বিক্রি করে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করমু, কিন্তু অভিযানের পরে এখন নদীতে গিয়ে মাছ পাইনা। তুলাতুলি মাছঘাটের আড়ৎদার মো: মঞ্জু বলেন, ঢাকা, যশোর, খুলনার মোকাম থেকে দাদন এনে জেলেদের দিয়েছি, জেলেরা নদীতে মাছ আশানুরূপ মাছ পাচ্ছেনা, আমরাও মোকামে মাছ সরবরাহ করতে পারছিনা। মোকামের খুব চাপে আছি। ইলিশ সম্পদসহ মাছের অভয়াশ্রমে ২ মাসের অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে। এতে মাছের উৎপাদন বাড়বে বলে দাবি করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ। তিনি বলেন, নদীতে মাছ কম হওয়ার কারণ হলো পর্যাপ্ত বৃস্টিপাত না হওয়া। তবে জুনের দিকে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ প্রচুর পরিমানে ধরা পড়বে বলেও আশাবাদী তিনি।


আরও খবর



বালু চড়ে ঘোড়ার গাড়ীর একমাত্র ভরসা!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:-গাইবান্ধার বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বালুচরের পথে ঘোড়ার গাড়িতে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সম্প্রতি তোলা গাইবান্ধার বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বালুচরের পথে ঘোড়ার গাড়িতে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। ধু ধু মরুপথে মানুষের চলার বাহন উট। উটের আরেক নাম এ কারণে মরুভূমির জাহাজ। গাইবান্ধায় মরুভূমি না থাকলেও আছে মরুপ্রায় বিস্তীর্ণ বালুচর, কিন্তু উট নেই। উট নেই তো কী! উটের বদলে আছে শত শত ঘোড়া। গাইবান্ধার দৃশ্যপটে তারা দিয়েছে ভিন্ন এক রঙের পোঁচ।

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া ঘাট। সেখানে না চলে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশাভ্যান, অটোরিকশার মতো বাহন; সেখানে না যায় হাঁটা। অতএব চড়ে বসো ঘোড়ার গাড়িতে। উট যদি হয় মরুভূমির জাহাজ, এই বালুচরের জাহাজ না হয় ঘোড়া।

বালাসী ঘাট গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত অঞ্চলে বর্ষামুখর ছয়টি মাস চলে নৌকা। বাকি ছয় মাস প্রায় শুষ্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত জেগে উঠেছে বালুচর,বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া পর্যন্ত। সেই বালুচর পাড়ি দিতে ঘোড়াই ত্রাণকর্তা! বালুচরের দুস্তর পারাবার ঘোড়াই যদি পার করিয়ে দেয়, বাহাদুরাবাদ ঘাটে যেতে বাকি পথ আর এমনকি! লঞ্চ বা শ্যালো ইঞ্জিনে চলা নৌকা তো আছেই। সেখান থেকে ময়মনসিংহ হয়ে কম সময়ে গাইবান্ধার মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করছেন।

প্রতিদিন হাজারো মানুষ ঘোড়ার গাড়িতে করেই পাড়ি দিচ্ছেন এই পথ। শুধু এখানেই নয়, আর সব চরেও যাবতীয় মালপত্র আনা-নেওয়ায় ঘোড়াই ভরসা। চরাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘোড়ার গাড়িতে চড়ছেন মর্যাদা বাড়ানোর জন্য নয়, এ ছাড়া যে চলাচলেরই কোনো বন্দোবস্ত নেই।

ঘোড়াই তাই এই বালুচরের প্রাণ। শুধু সহযোগিতার নয়, উপার্জনেরও। যাঁরা একসময় দিনমজুরের কাজ করতেন, এখন তাঁদের হাতে কাজ নেই। ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে আয় রোজগার করছেন তাঁরা। বালাসী ঘাট থেকে বাগুরিয়া পর্যন্ত ঘোড়ার গাড়িতে জনপ্রতি ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বাগুরিয়া-বাহাদুরাবাদ নৌকাভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা এখন শতাধিক। চরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান, পাট, গম, ভুট্টা, কাউনসহ বিচিত্র কৃষিপণ্য পরিবহন করে ঘোড়া টিকিয়ে রেখেছে গরিব মানুষের অর্থনীতি। ঘোড়ার কাজের শেষ নেই। জমি চাষাবাদেও রাখছে ভূমিকা। এলাকার মানুষ শখের বশেও ঘোড়া লালন-পালন করছেন।

বালাসী ঘাটে গেলেই চোখে পড়বে সারি সারি ঘোড়ার গাড়ি। কেউ গাড়িতে উঠছেন, কেউ নামছেন, গলা ছেড়ে হাঁক দিচ্ছেন ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা। এক ব্যস্ত চিত্র। কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি ঠেলাগাড়িতে ট্রাকের চাকা লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে গাড়ি। গাড়ির ওপর তোশক বিছানো। তাতে চাদর পাতা। কায়দা একেবারে জমিদারি। সেখানে আয়েশ করে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

যাত্রীরা জানালেন, বিনোদনকেন্দ্রগুলোয় যাওয়ার সময় মানুষ শখ করেই চড়ে বসেন ঘোড়ায় চালানো টমটমে। সহজে বালুচর পাড়ি দেওয়া যায়, মনে জেগে ওঠে ফুরফুরে অনুভূতি। আর একাকী যাঁরা ঘোড়ার গাড়িতে ঘোরাঘুরি করতে ওঠেন, তাঁদের আনন্দের তো সীমা নেই।

গাইবান্ধা থেকে নৌকায় বালাসী
বাহাদুরাবাদ রুট হয়ে ঢাকা যেতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। সড়কপথে ৯ ও রেলপথে ১০ ঘণ্টা। এই রুটের কয়েক কিলোমিটার চরে ঘোড়ার গাড়ির জনপ্রিয়তা আকাশে তুলে দিয়েছে। গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১৪টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। এসব ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি কেবল উপায় নয়, উপভোগও।

ইয়াসিন আলী (৪৫) বাগুরিয়া গ্রামের কোচোয়ান। ঘোড়ার গাড়িতে যাত্রী টেনে ভালোই চলছে সংসার। তিনি বললেন, ‘বালুচরোত অ্যাকনা ভ্যান-অটোরিকশা চলে না। তাই ঘোড়ার গাড়ি বানাচি।’ একজন যাত্রী তুললে তিনি পান ৫০ টাকা। এভাবে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা তাঁর রোজকার আয়। ঘোড়া তাঁর সংসারে দিয়েছে স্বস্তি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, এই জেলায় ঘোড়ার সংখ্যা প্রায় ৫০০। একেকটা ঘোড়ার দাম ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীচা-পাঁচপীর এলাকায় বসে ঘোড়ার হাট। রোজগারের পাশাপাশি মানুষের মিলনেরও সেটা আরেক আনন্দময় উপলক্ষ।

ঘোড়া যেন এ অঞ্চলে ঘোষণা করছে মানুষের সঙ্গে প্রাণিকুলের হাজার 
 বছরের বন্ধুত্বের কথা।

আরও খবর



প্রতারনা মামলায় জেল হাজতে ঢাকা জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃঢাকা জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন ডিপটি কে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় আটকের পর জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। শনিবার (২০ মে) বিকেলে আলাদা তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আবজাল হোসেন ডিপটি কে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ আইনের একটি মামলায় সাত এবং অর্থ জালিয়াতির মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন ডিপটি। তাছাড়া আরও একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল তার বিরুদ্ধে। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই রিয়াজ, এস আই আলকসহ পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে ঐদিন সন্ধ্যায় তাকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি(তদন্ত) খালেদুর রহমান।


আরও খবর



তানোর পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন নিয়ে চাপা ক্ষোভ পাঁচজন সমর্থন দিলেও করা হয়নি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভা সেচ্ছাসেবক লীগের  ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে আটজন সভাপতি প্রার্থী হন। আটজনের মধ্যে পাঁচজন প্রার্থী পৌর আহবায়ক আকতারকে সমর্থন দিলেও তাকে সভাপতি না করে  সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে মনিরুজ্জান শিপলন নামের একজনকে সভাপতি করা হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত  করেন। মঙ্গলবার সন্ধার পরে গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠে  এমন কাল্পনিক কমিটি করেছেন উপজেলা আহবায়ক শামসুল হক ও সদস্য সচিব রামিল হাসান সুইট বলে অভিযোগ প্রার্থীদের। এতে করে এমন বিতর্কিত কমিটির খবর ছড়িয়ে পড়লে সিনিয়র নেতাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ।

ত্রি বার্ষিক সম্মেলনের আহবায়ক আকতার হোসেন জানান, যাকে সভাপতি করা হয়েছে, তাকে কোন সময় দেখিনি। আমিসহ আটজন সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। এর মধ্যে পাঁচজন আমাকে সমর্থন দেয়। কিন্তু সমর্থনের কোন মর্যদা বা মূল্যায়ন না করে একজনের কথায় পছন্দের ব্যাক্তিকে সভাপতি করা  হয়। সারা জীবন দল করে এটাই পেলাম। তবে নতুন কমিটিকে স্বাগত জানায়। কারন তাকে দিয়ে দল শক্তিশালী হবে হয়তো। আমি নতুন কমিটির মঙ্গল কামনা করি।

উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামসুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে না বলে সাক্ষাতে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে চান।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে তানোর পৌরসভা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন শামসুল হক। পৌর সদস্য সচিব সাফিউলের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব রামিল হাসান সুইট। বিশেষ অতিতির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ"লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক প্রদীপ সরকার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা কৃষকলীগের সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার, কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, শিক্ষক জিল্লুর রহমান, আবু সাইদ সরকার প্রমুখ। 

সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী হওয়ার কারনে তাদেরকে সমন্বয় করতে বলা হয়। সভাপতি পদে আটজনের মধ্যে পাঁচজন প্রার্থী আকতারকে সমর্থন দিলেও রহস্য জনক কারনে তাকে করা হয়নি। পরে নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তে সভাপতি শিপলন ও সম্পাদক সাইফুলের নাম ঘোষনা করা হয়। এসময় সেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী রা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image
একেএম শামছুল হক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।বিকেলে বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ'র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ফিল্ড অফিসার শেখ আছানুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বেলকা মনিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সুদীপ্ত শামীম, প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য আবু রায়হান তারা, আব্দুল মালেক মিয়া, জহুরুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী সদস্য ফিরোজা বেগম, আরডিআরএসের সঙ্গ প্রকল্পের সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ, এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রদৃপ্ত প্রকল্পের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মুন্নী বেগম প্রমুখ।

পরে ইউনিয়নের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য সূধীজনের উপস্থিতিতে ইউপি সচিব মো. আলতাফ হোসেন ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করেন। এতে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬০ টাকা সম্ভব্য আয় ও ২ কোটি ৫৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৬০ টাকা ব্যয় ধরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাজেট ঘোষণা করা হয়।

আরও খবর