Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ফখরুল সাহেবরা অসুস্থ রাজনীতি করে’ অসুস্থ হয়েছেন: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২২৮জন দেখেছেন

Image

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ‘অসুস্থ রাজনীতি’ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা অসুস্থ হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অসুস্থ রাজনীতি করতে করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীররা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিকে এক হয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশ সত্যি সত্যি একটা গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্যে। আমাদের দেশ আবারও সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে আক্রান্ত। যারা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তাদের প্রশ্রয়ে আজ আবারও হিংস্র থাবা দৃশ্যমান।’

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে লোকজ উৎসবে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) লিয়াকত হোসেন খোকা, ফাউন্ডেশনের পরিচালক এসএম রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ।

আজ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত।

এবারের উৎসব ও মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কারুশিল্পীদের প্রদর্শনী, লোক জীবন প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়স্কোপ, নাগর দোলা, গ্রামীণ খেলা প্রদর্শন করা হবে।

এ বছর কর্মরত কারুশিল্পীদের প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ ১০০টি স্টল রয়েছে। এ ছাড়া মুন্সিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শীতল পাটি, মাগুরা ও ঝিনাইদহের শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি ও মুখোশ। চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের জামদানি, বগুড়ার লোকজ খেলনা, প্রতিদিন সন্ধ্যায় লোকজ মঞ্চে পালাগান, বাউল গান, জারি-সারি গান, হাছন রাজার গান, গ্রামীণ খেলা হা-ডু-ডু, কানামাছি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

মেলা উপলক্ষে পুরো ফাউন্ডেশন চত্বরকে সাজানো হয়েছে বর্নিল সাজে। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য ফাউন্ডেশনের নাগরদোলা ও লেকে নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আরও খবর



হাকিমপুরের রমজানের গুরুত্ব তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে কাশিয়াডাঙ্গা শাহাদাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কল্পে সূধী সমাবেশ ও রমজানের গুরুত্ব তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা

ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার বিকেলে উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা শাহাদাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্ধসঢ়;রাসার আয়োজনে মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে উন্নয়ন কল্পে সূধী সমাবেশ ও রমজানের গুরুত্ব তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুন উর রশীদ হারুন।

অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন,যুক্তরাজ্য বার এ্যাট-ল,দিঅনারেল সোসাইটি অফ লিংকনস্ধসঢ়; ইন লন্ডন ব্যারিষ্টর সানী আব্দুল হক, হাইকোর্ট এর এ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন,(বাবুল), ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুজ্জামান ইসলাম,বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজের সহযোগি অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের নিউরো সার্জারী ডা:আব্দুল আহাদ, আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, মনসাপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আলহাজ্ব আব্দুল কালাম আজাদ,হরিহরপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আফজালুল হক মাস্টার,ডুগডুগির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলম,ওই মাদ্ধসঢ়;রাসার সেক্রেটারী মোস্তাফিজুর রহমান,প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,শফিকুল ইসলাম,মাওলানা ইদ্রিস আলী,হাফেজ আব্দুল কাসেমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জয়পুরহাট সিদ্দিকিয়া মেডল কামিল মাদ্ধসঢ়;রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল মতিন,দ্বিতীয় আলোচক হাকিমপুর পাউশগাড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্ধসঢ়;রাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা মামুনুর রশিদ।


আরও খবর



কুষ্টিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আবারো দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাটের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে চেয়ারম্যান আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এবং সবকিছু তার নিজের মর্জিতে লুটপাট করে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন- ওই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার সহ আরও অনেকে। তিন মহিলা মেম্বার কোন উপায় না পেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে গেলেও কোন সমাধান মিলছে না। আবার উল্টো চেয়ারম্যানের গুন্ডা বাহিনীর হুমকি ও লাঞ্চিত হচ্ছে। এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুদকে। 
 
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- আমি মোছাঃ রূপসী আকতার, ১২নং হরিণারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৭,৮,৯, নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান ২, ১২নং হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান সম্রাট এর নামে আনিত অভিযোগ। দূর্নীতি ও অনিয়মগুলো তুলে ধরা হলো- বরাদ্দকৃত কাজের কোন মিটিং আলোচনা ছাড়াই সবকিছু নিজের লোকজন দিয়ে পরিচালনা করেন। আবার কৌশলে সচিবকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে পরে ইচ্ছামত গদ বসিয়ে দেন। ১৫টি প্রকল্পের টাকা লামছাম কাজ করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া- ১। হাট বাজারের টাকা পায় ৩,৫০,০০০/- তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ২। ট্রেড লাইসেন্স প্রায় ৪,৫০,০০০/- চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ৩। বাসা বাড়ীর ট্যাক্স প্রায় ১০,০০,০০০/- দশ লক্ষ টাকা ৪। কাজ করার কথা বলে প্রস্তাব দিয়ে ১% এর ২,০০,০০০/- দুই লক্ষ টাকা, আবার কাজ না করে নিজেই তুলে আত্মত্মসাৎ করেন। ৫। প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০,০,০০০/- দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সর্বনিম্ন আয় এতকিছুর পরেও ৩,০০,০০০/- তিন লক্ষ টাকা বাজেট ঘাটতি দেখিয়েছেন। এর হিসাব চাইলে সচিব কোন হিসাব দেয় না। এদিকে প্রতি মাসে মেম্বরদের বেতন ৪৪০০/- টাকা বহন করবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু ৮-৯ মাস পর চার মাসের বেতন দিলেও আবার তার থেকে ৪০০/- কেটে নেওয়া হয়। হাট বাজার বরাদ্দের টাকার নামে আবার বেতনের টাকা না দিয়েও বেতন বহিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন এই আলোচিত চেয়ারম্যান। এদিকে কৃষকের বরাদ্দের কোন মেম্বরদের সাথে আলোচনা না করেই দেওয়া হয় ও নির্যাতন চালানো হয়।

আমি এর প্রতিবাদ করলে আমার বাড়ীতে রাতের বেলা চেয়ারম্যানের নাম করে ০৪ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমি এবং আমার পরিবারের প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যায়। তারপর আমি এ বিষয়ে ইবি থানাতে গিয়ে ওসি স্যারকে সকল বিষয়গুলো বলি। তারপর তিনি অজ্ঞাত নামে একটি অভিযোগ নেই। এতে আমার প্রাণ নাশের হুমকী আরও বেড়ে যায়। তখন আমি এর থেকে বাচার জন্য একটি পেপারিং করে সকলকে বিষয়টি জানাই। তারপর সে আমাকে মারতে না পেরে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকী দেয় এবং আমাকে পরিষদের সকল প্রকার বরাদ্দকৃত জিনিস থেকে বঞ্চিত করে আসছে। এ বিষয়ে আমি একটি মিটিং এ হাজির হয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বলি আমাকে কেন কোনকিছু দেওয়া হচ্ছে না? তাতে চেয়ারম্যান বলে, আমি তোমাকে কোন কিছু দিব না এবং আমি তোমাকে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য রেখেছি সেটাই তোমার জন্য বড় কপাল। উপরোক্ত বাক্যটি সকল মেম্বরগণ উপস্থিত থাকাবস্থায় শ্রবণ করেন এবং মেম্বারকে উক্তি করে এমন কথা বলেছেন বলে স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রতিনিধি’কে বলেন, ভাই আপনারা মহিলাদের কথা শুনেই নিউজ করতে ব্যস্ত হয়ে যান । আরও আমার অনেক সদস্য আছে তারা কখনও কি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে । আপনারা সাংবাদিক যা ভালো বুঝেন তাই লিখবেন , তবে অবশ্যই সত্যটা লিখবেন ।

আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




মধুপুর কুড়ালিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের উদ্দ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ-

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুড়ালিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের উদ্দ্যোগে আলোচনা সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুড়ালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান  ছরোয়ার আলম খান  আবু।


উক্ত ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্টিনা নকরেক, শিক্ষা ও  সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সামছুল আরেফিন শরিফ, মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী তালুকদার, বেরীবাইদ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ।


অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই বিকেল থেকেই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত হতে থাকেন। বিকেল পাঁচ টার মধ্যেই ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ জনসমুদ্রে পরিনত হয়। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



পোরশায় একটি “মিনি পুকুর” বদলে দিয়েছে শিক্ষিত বেকার যুবকের ভাগ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১০জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):শিক্ষিত বেকার যুবকের নাম নাইমুল ইসলাম নাঈম, তিনি এইচএসসি পাস করে নওগাঁর পোরশা সরকারি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন, কিন্তু গত করোনা মহামারির সময় পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়েন। বাড়িতে বেকার বসে থাকা এবং পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে হয় বাপ-দাদার পেশা কৃষি কাজে। বরেন্দ্র অঞ্চল এখন আমের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় তিনি আম চাষ করার পরিকল্পনা করেন। গত বছর তার গ্রামের পাশের মাঠে স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট থেকে ১২বছরের জন্য সোয়া ২বিঘা জমি লিজ নিয়ে তৈরি করেন আম্ব্রপালী জাতের আম বাগান। আর সেই বাগানের মধ্যে থাকা ছোট গর্তকে একটি বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় পুনঃখনন করে তৈরি করেন একটি মিনি পুকুর। ঐ পুকুরের পানি ব্যবহার করে, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করে শিক্ষিত এই বেকার যুবকের ভাগ্যের চাকা ঘোরা শুরু করেছে।

নাইমুল ইসলাম নাঈম নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের ছাওড় দক্ষিনপাড়া গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে, তার এই বাগানটি ছাওড়ের বরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন।

তরুণ চাষি নাইমুল ইসলাম নাঈম জানান, জমিতে আম বাগান তৈরি করার পরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট তীব্র খরা প্রবন এলাকা হওয়ায় পানির অভাবে তার আম বাগানের গাছ মরতে শুরু করে। বাগানটি রাস্তার সাথে হওয়ায় মরা গাছগুলি ঐ এলাকায় কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সিসিডিবি’র কর্মকর্তাদের নজরে আসে। সংস্থার পক্ষ হতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে আনুমানিক ১শতাংশ জমির উপর একটি মিনি পুকুর তৈরি করা হয়। এই মিনি পুকুর মূলত আকাশের বৃষ্টির পানি ধরে রেখে প্রয়োজন ও পরিমাণমতো গাছে পানি সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ঐ পুকুর থেকে বাগানের গাছ বাঁচিয়েও সিসিডিবি’র সহযোগিতায় পুকুর পাড়ে বেগুন, লাউ, টমেটো, সিম, করলা, পটল, গাজরসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি চাষ করেন নাঈম। এর পরেও ঐ মিনি পুকুরে পানি অবশিষ্ট থাকায় সিসিডিবি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আম বাগানের সাথি ফসল হিসাবে তিনি চাষ করেন মিষ্টি কুমড়া। বিনামূল্যে উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ, ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠাঁলো ফাঁদ, ২/৩জি কাটিং পদ্ধত্তি, কেঁচো সারের ব্যবহার, মালচিং ইত্যাদি জৈব পদ্ধত্তি চর্চা করার জন্য সহায়তা করে আসছে সিসিডিবি।

চাষি নাঈম আরও জানান, আম বাগান বাদে শুধু মিষ্টি কুমড়া পরিচর্যায় এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০হাজার টাকা। বাগানে মিষ্টি কুমড়ার গাছ রয়েছে ৮৫০টি, প্রতি গাছে ফল রয়েছে ৩-৪টি, তবে গাছে পর্যায়ক্রমে ফল ধরা চলমান রয়েছে। বর্তমান স্থানীয় বাজারে এই ফল বিক্রি হচ্ছে সাইজ ভেদে ৫০-৬০ টাকা প্রতিটি। শুধু মিষ্টি কুমড়া বিক্রয় করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন বলে তিনি আশা করছেন। এছাড়াও তিনি তার পুকুরপাড় থেকে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি বিক্রি করে প্রতি মাসে ২-৩ হাজার টাকা আয় করছেন। এর সবগুলো ঐ মিনি পুকুরের সংরক্ষিত বৃষ্টির পানির কারণে সম্ভপর হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বেসরকারি সংস্থা খ্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এর প্রোমোটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ-২ প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী স্টিভ রায় রুপন বলেন, আমরা প্রকল্পের কাজের জন্য ঐ বাগান সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। পানির অভাবে বাগানের গাছগুলো মরে যাচ্ছে দেখে আমাদের প্রকল্প থেকে উক্ত উপকারভোগী সদস্যকে “জলবায়ু অভিযোজিত কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রসারের জন্য” ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে একটি মিনি পুকুর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। তীব্র খরা প্রবণ এলাকা হওয়ায় খরা মৌসুমে এই এলাকার অনেক পুকুরই পানিশূন্য হয়ে যায়। আমরা ঐ মিনি পুকুরে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য ত্রিপল বিছিয়ে দিয়েছি, এখানে পানিতে কচুরিপানা এবং তালপাতা রাখা হয়েছে যাতে পানি কম বাষ্প হয় এবং বেশি দিন পানি ব্যবহার করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, তীব্র খরা প্রবণ এই এলাকার বিভিন্ন জমিতে বিশেষ করে নতুন ফল বাগানগুলোতে এমন মিনি পুকুর খনন করলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বেশ অবদান রাখা যাবে। একই সাথে বৃষ্টির পানি ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আমরা আম চাষি কৃষকদের আম বাগানে সাথি ফসল হিসাবে এই জাতীয় শাকসবজি ও মসলার মধ্যে পেঁয়াজ রসুন চাষ করতে বলছি। এতে আম গাছের পরিচর্যায় যে খরচ হবে তা এখান থেকেই উঠে আসবে। সিসিডিবির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এমন মিনি পুকুর এই এলাকার বাগানগুলোতে তৈরি করতে পারলে জমিতে সেচের পানির সংকট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ (এমডি) প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ'র

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

অবৈধ গ্যাস ব্যবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করছেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।গত দুই বছরের অধিক সময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেকর্ড গড়েছেন দেশের শীর্ষ গ্যাস বিতরনকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। তার এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ কোম্পানির লোকসানের বোঝা কমিয়ে আনা সহ রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অবৈধ সংযোগ অপসারণের পাশাপাশি অবৈধ পাইপলাইন অপসারণের কারনে নিরবিচ্ছিন্ন বিতরণ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হয়েছে।সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তার এসব সুদূর প্রসারী কর্মকান্ড ইতিবাচক অবদান রাখছে।দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর দুর্নীতি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে ধরেছিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (তিতাস)। গ্যাস খেকোদের ঘনিষ্ঠ তিতাস কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আর বদলির মাধ্যমে শুদ্ধাভিযান চালান কোম্পানির মধ্যে।তাছারাও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জরিমানার মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কারনে পরিস্থিতি বেশ অনুকূলে নিয়ে আসেন।গত এক দশকের মধ্যে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ গ্রহনকারীদের কোণঠাসা করে ফেলেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্। তার নির্দেশে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬৬৮ দশমিক ৫০কিলোমিটার অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব অবৈধ লাইন থেকে ৬ লাখ ৩ হাজার ৯৭৫ টি অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৯৮টি অভিযান পরিচালনা করে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময়ে আবাসিক ছাড়াও অবৈধ ব্যবহারের কারণে ২৫০ টি শিল্প, ৩২৯ টি বাণিজ্যিক, ৫৫ টি ক্যাপটিভ, দশটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব অভিযানে ৬ কোটি ৪৬ টাকা ব্যয় হয় যার বিপরীতে ৩১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল এবং ৯১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয় ।যার মধ্যে ১৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল ও ৩৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন লাইন কেটে দেয়ার পর আবারও লাইন বসলে সে অঞ্চলের লাইন বন্ধ করে দেয়া হবে।এদিকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্যাস বিক্রয় বাবদ তিতাসের বকেয়া ছয় হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া রয়েছে এক হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে পাঁচ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই হাজার ৩৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল, এক হাজার ৫২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এখন বকেয়ার পরিমাণ কমে এক হাজার ৬৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। বেসরকারি খাতে ৩১ হাজার ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল, এখন পাঁচ হাজার ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রয়েছে।তার এই শুদ্ধাভিযানে বিশেষ অবদান রয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধান এবং সাধারন সম্পাদক আয়েজ উদ্দিন সহ অন্যন্য নেতাদের।গ্যাস লুটে জড়িত ভয়ঙ্কর শক্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাজটা খুব কষ্টসাধ্য। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।২০২১ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর যোগদানের পর পরই তিতাসের সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে টিম ওয়ার্ক করে কঠোর হাতে দমন করেন এসব অনিয়ম দুর্নীতি।জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী তিতাসের এমডি প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ নিজের চাকরি জীবনে সফলতার স্বীকৃতি স্বরুপ সরকার এবং মন্ত্রণালয়ের মন জয় করে টানা তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।


আরও খবর