Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জটিলতা কাটছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :অনুমোদনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা ফাইভ–জি সরবরাহ করার জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান ও উপযোগী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা যেন কাটছেই না।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা এবং পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার মতো নানা অভিযোগের মধ্যে গেল ৮ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব উন্মোচন করা হয়। যেখানে দরপত্রে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে চুক্তির পর এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা করা হয়েছে, একইভাবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার ক্ষেত্রেও সেটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’  বাস্তবায়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দ্রুতই বাস্তবায়ন জরুরি।

দেশে ফাইভজি চালুর জন্য ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয় ‘ফাইভ-জি রেডিনেস’ প্রকল্প। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এতে সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৬৩ কোটি টাকা। সরঞ্জাম সরবরাহে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্রের প্রি-বিডিং মিটিং হয়। পরে সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্রটি উন্মুক্ত করে।

দরপত্রে প্রস্তাব দাখিল করে তিনটি কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড, জেডটিই করপোরেশন এবং নকিয়া সলিউশন। আর্থিক প্রস্তাবের তথ্য অনুযায়ী, ফাইভজি প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য হুয়াওয়ে ৩২৬ কোটি টাকা দরপত্র দাখিল করে। জেডটিই দাখিল করে ৪১৫ কোটি টাকা এবং নকিয়া ৫৭৯ কোটি টাকার। সেই হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেডটি’র তুলনায় ৯০ কোটি টাকা কমে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারবে হুয়াওয়ে। আর প্রকল্পে সরকারের অনুমোদিত ব্যয়ের তুলনায় ১৩৭ কোটি টাকা কমে দরপত্র দাখিল করেছে হুয়াওয়ে, যার পুরোটাই সরকারের সাশ্রয় হবে।

কারণ দীর্ঘজটিলতার মধ্যে দিয়ে আসা প্রকল্পটি এখনই আলোর মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে প্রকল্পের শুরু থেকেই চলা জটিলতাকে দায়ী করছেন তারা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে আইন ও বিধি লঙ্ঘন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা ও পরিচালনা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছেন তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্যমতে, দরপত্র আহ্বানের সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমেই তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তিনটি কোম্পানির সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটিও। তবে এরপরই শুরু হয় জটিলতা। দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন করে গত ৬ এপ্রিল বিটিসিএলের কাছে প্রতিবেদন পাঠায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি)। প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়ে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার অনুমতির জন্য সুপারিশ করে তারা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্প কার্যালয় প্রধান (হোপ) অর্থাৎ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী দুটি দরদাতার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠান টিইসির কাছে।

সরকারি ক্রয় নীতিমালা-২০০৮ এর নিয়ম অনুযায়ী, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে প্রকল্প পরিচালককে। কিন্তু ২৪ দিন পর তিনি টিইসির কাছে ব্যাখ্যা চান।

টিইসি ব্যাখ্যা দিলেও গত ১৮ মে প্রকল্প পরিচালকের অফিস জানায়, প্রাপ্ত উত্তর সন্তোষজনক নয়। এরপর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন না করে ক্রয়কারী কর্তৃক বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে নির্দেশনা দেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর ৪২ দিন পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত ২৫ মে প্রকল্প কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী, সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে নথি পাঠানো হয়। তিনি এখতিয়ার এবং বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের ‘দরপত্র পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের’ নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (এ ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ) দরপত্র বা প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুমোদন বা কারণ ব্যাখ্যা ছাড়া দরপত্র বাতিল করে পুনঃমূল্যায়ন বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিতে পারেন না।

আবার, তিন জন দরদাতার মধ্যে দুই জনের সার্টিফিকেটের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তিনি পুরো দরপ্রস্তাবই বাতিল করেন, যা বিধি বর্হিভূত।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী পিপিআর-২০০৮ -এ বর্ণিত সময়সীমা ১৫ দিন না মেনে ৫৫ দিন পরে পুনঃদরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেটি অনুসরণ করেননি তিনি।

গত ২৪ জুলাই বিটিসিএলের বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত কার্যপত্রের ওপর আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, হোপের মাধ্যমে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিধি ও প্রক্রিয়াগত স্পষ্ট বিচ্যুতি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। সরকারি ক্রয় আইন ও বিধিমালার আলোকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে দরপত্র বাতিলের বিষয়ে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর আদেশের বিরুদ্ধে হুয়াওয়ে অভিযোগ দাখিল করে। গত ৯ অক্টোবর এই অভিযোগের ওপর শুনানি করে সেন্ট্রাল প্রকিওরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।

সব পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়ার পর ২২ অক্টোবর সিপিটিইউ দরপত্র বাতিলের আদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করার পর আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। প্রকল্পের ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের (যদি থাকে) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়সহ বিটিসিএল বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে আসাদুজ্জামানকে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিটিসিএল থেকে তার মূল প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ অধিদফতরে বদলি করা হয়।

রিভিউ প্যানেল এবং বোর্ডের নির্দেশনার পর দরদাতাদের আর্থিক প্রস্তাব ২৬ অক্টোবর খোলা হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ওই নোটিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হলে ২২ অক্টোবর আদালত সিপিটিইউ-এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংক্ষুব্ধ হিসেবে আসাদুজ্জামান রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেলের আদেশের ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশসহ দেওয়া রুল আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। আদালতের এই আদেশের পর ৮ নভেম্বর আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়।

জানা গেছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সম্মতি দিলেও মন্ত্রীর পরামর্শে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্র বাতিল করে দেন। কেননা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাতিলের পক্ষে ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  এটা বিধির লঙ্ঘন। কারণ, দুজনের কেউই মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন না। তারা কীভাবে বাতিলের পক্ষে মত দেন, সে প্রশ্ন ওঠে।

আগের দরপত্র বাতিলের পক্ষে থাকা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বরাবরই বলে আসছেন এ দরপত্রের মাধ্যমে আসলে ২০১৫ সালের পুরনো মডেলের যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অচল হয়ে যা্বে বলে আশঙ্কা তার। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা হবে ২৯.৮ টেরাবাইট।  সে তুলনায় টেন্ডারে সেকেন্ড-প্রতি ১২৬.২ টেরাবাইট ক্যাপাসিটি’র সংস্থান রাখা হয়েছে।  সুতরাং, এই ক্যাপাসিটির ব্যান্ডউইথ দিয়ে ২০৩০ সালের চাহিদা মিটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ দরপত্র বাতিল করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট অধিকাংশই। তাদের মতে,  প্রকল্প প্রণয়নের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরপত্রটির কারিগরি নির্দেশ প্রণয়ন হতে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ মাস সময় লেগেছে। এখন যদি দরপত্র বাতিল করে নতুন করে সব কিছু করা হয়, তা শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। যা একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপরদিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জন বিলম্বিত হবে।


আরও খবর



বাউফলে চাচার হাতে ভাতিজা খুন হওয়ার ঘটনায় মামলা করায় বাদীকে হুমকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

পটুয়াখালীর বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচার হাতে ভাতিজা আল-আমিন মৃধা (৩৫) খুন হওয়ার ঘটনায় মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে আসামী পক্ষ।  এঘটনায় শামীম মৃধা বাদী  হয়ে বাউফল থানায়  একটি মামলা দায়ের করে। প্রতিপক্ষ ক্ষেপ্ত হয়ে মামলার বাদী ও বাদীর লোকজনকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধবপুর গ্রামের হাতেম মৃধার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আল-আমিন একই গ্রামের মো. শানু মৃধার ছেলে।

 ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আল-আমিন মিলঘর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে হাতেম মৃধার বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার গতিরোধ করে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইসহ কয়েকজন যুবক। পরে তারা আল-আমিনকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে আল-আমিন এর চিৎকারে স্থানীয়রা, এগিয়ে এসে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে এই ঘটনায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষ এই হত্যাকারীদের বিচার চায়

 আল-আমিন এর পরিবারের দাবি, জমিজমা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে একই বাড়ির চাচা মোতালেব মৃধা ও চাচাতো ভাই মো. জাফরের নেতৃত্বে আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।


আরও খবর



ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ ৩৪ দল

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার স্বাক্ষরে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা জানাতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

পাশাপাশি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে চাইলে দলগুলোকে শনিবারের (১৮ নভেম্বর) মধ্যে ইসিকে জানানোর জন্য পরিপত্র জারি করা হয়। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত ইসির ডাকে আওয়ামী লীগসহ সাড়া দিয়েছে মাত্র ১০টি দল। বিএনপিসহ বাকি ৩৪ দল কোনো কিছু জানায়নি।

জানা যায়, গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) তফসিল ঘোষণার পরদিন ৪৪টি নিবন্ধিত দলকেই জোটগতভাবে ভোট করলে আবেদনের মাধ্যমে জানাতে চিঠি দেয় ইসি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সেই সময় শেষে মোট দশটি দল সাড়া দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু), গণতন্ত্রী পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ও জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ) জোটে থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা নিজ দলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নৌকা প্রতীক ব্যবহার করতে চেয়েছে।

এছাড়া বিএনপির সাবেক নেতাদের নিয়ে উজ্জীবিত দল তৃণমূল বিএনপিও জোট করবে বলে জানিয়েছে ইসি। প্রগতিশীল ইসলামী জোটকে নিজেদের প্রতীক সোনালী আশ দিতে চায় দলটি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আজ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। আওয়ামী লীগ বলেছে, তারা জোটবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচন করবে। সভাপতির স্বাক্ষরে তারা নমিনেশন দেবে।


আরও খবর



বিরাট কোহলির ফিফটি সেঞ্চুরি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক : একটা সময় বলা হতো শচীন টেন্ডুলকারের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে কোহলি । লম্বা সময় ধরে অফ-ফর্মে ছিলেন বিরাট কোহলি। সেই খারাপ সময়ে তাকে নিয়ে কত হাসাহাসি হলো। 

কিন্তু বিরাট আবার ফর্মে ফিরেছেন, ফিরেই করে চলছেন একের পর এক রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ভাগ বসান ওয়ানডেতে শচীনের ৪৯টি সেঞ্চুরির রেকর্ডে। এক ম্যাচ বাদে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পেছনে ফেললেন শচীনকে।

ম্যাচের ৪২তম ওভারের চতুর্থ বল। লকি ফার্গুসনকে স্কয়ার লেগের দিকে খেলে ডাবলস। ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম শতক। কিউইদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ছাড়াও এক বিশ্বকাপে শচীনের করা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন বিরাট। 

২০০৩ সালে ফাইনাল খেলেছিল ভারত। সেবার টেন্ডুলকার করেছিলেন ৬৭৩ রান। ১টি শতকের সঙ্গে ৬টি অর্ধশতক ছিল লিটল মাস্টারের। কোহলি ৩টি শতকের সঙ্গে এখন পর্যন্ত করেছেন ৫টি অর্ধশতক।


আরও খবর



মাদকের চাইতে ভয়ংকর মোবাইলের নেশা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:মাদকের চাইতে ভয়ংকর মোবাইলের নেশা। বর্তমান সময়ে মাদকের চেয়ে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবক-যুবতী এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়। এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে অহরহ। বর্তমান সময়ে যুবক-যুবতীরা প্রেমের সম্পর্কে সারারাত ফোনে কথা বলছে মেসেজ করছে। কখন যে রাত পার হয়ে যাচ্ছে তারা সেটা বলতে পারছে না। তাছাড়া বড় সমস্যা ফোনে সারাক্ষণ ফ্রি ফায়ার, পাবজি, টিকটক সহ বিভিন্ন গেমে ছোট্ট বাচ্চারাও আসক্ত হয়ে পড়ছে। ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন না দিলে তারা কান্নাকাটি, খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে। এমনকি মোবাইল ফোন নিতে না দিলে বা কেড়ে নিলে বা মোবাইল চালাতে মানা করতে বললে বকা দিলে অভিমান করে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে। আর বর্তমানে যেসব ছেলে-মেয়েরা মোবাইলের নেশায় আসক্ত হচ্ছে, তারা জগতের সমস্ত কিছু ভুলে যাচ্ছে। বর্তমানে ছেলে-মেয়েরা কোনো খেলাধুলা করতে চাই না। সারাদিন মোবাইল ফোন নিয়েই কাটিয়ে দিচ্ছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে তাদের নিজের ক্ষতি করছে, তা তারা বুঝতে পরেছে না। কিন্তু অভিভাবকরা কোনো মতেই মোবাইলের আসক্ত থেকে সরাতে পারছে না। খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মোবাইলে আসক্ত  এক নবম শ্রেণির শিক্ষর্থীর কাছে বিভিন্ন কথা বলতে বলতে এক মুহূর্তে সে নিজেই শিকার করে বলেন, আমি সত্যিই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছি, কোনো ভাবেই এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। সারাক্ষণ টিকটক, ইউটিউব ও ফ্রি ফায়ার এ পড়ে থাকি। টিকটকের ভিতর ডুকলে বের হতে ইচ্ছে করে না। মোবাইলে চার্জ শেষ না হওয়া পযর্ন্ত টিকটক ভিডিও দেখতে থাকি। আমার মাসে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা মোবাইলে খরচ হয়। রাত দুই টা থেকে তিন টা পযর্ন্ত মোবাইল দেখে ঘুমায়। যার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যাচ্ছে। সব কিছু বুঝতে পারছি কিন্তু এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। নলিছা পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক বলেন, সন্তানদের মোবাইল নেশা থেকে সরানো দরকার। এরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, এখন থেকে সারাক্ষণ মোবাইল টিপলে তাদের চোখের সমস্যা হবে তাতে এদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে। যে ভাবে হোক এদের কাছ থেকে মোবাইল নিতে হবে। কারন মোবাইল ফোনের নেশা, মাদকের চাইতে ভয়ংকর। নাম গোপন রাখা এক শিক্ষক বলেন, ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া ঠিকমতো করছে না। বই-খাতা ফেলে অধিকাংশ ছেলে-মেয়েরা মোবাইলে সময় দিয়ে থাকে। অভিভাবকরা মোবাইল ধরতে নিষেধ করলেই আত্মহত্যার হুমকি দেয় ছেলে-মেয়েরা। এমনকি শিক্ষকও তার বাচ্চা নিয়ে মহা বিপদে আছে। তিনিও এর প্রতিকার খুজে পাচ্ছে না।

চক্ষু ডাক্তার রবিউল আউয়াল বলেন, চোখের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসা বেশিরভাগ রোগীর মধ্যে অধিকাংশ ছোট বাচ্চা ও যুবক যুবতীরা। এরা সবাই মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখতে রাখতে চোখ নষ্ট করে ফেলছে। বর্তমান প্রজন্ম এইভাবে মোবাইলে আসক্ত হলে কি যে হবে তা বলা যাচ্ছে না। বিশেষ করে তিনি এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হতে বলছেন।

আরও খবর



নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃনারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী পক্ষকাল উদযাপন ও উন্নয়ন অগ্রপথিক সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা পুষ্ট প্রকল্পটির উদযাপন করা হয়। শনিবার ২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন। তিনি বলেন,এখনো আমরা দেখি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে বসে সমাজের অনেক মানুষ চা খেতে দ্বিধাবোধ করে ‌। পিছিয়ে পড়া মানুষদের আজকের সমাজে কোন সম্মানজনক অবস্থান নেই। আসার কথা এই যে, এই অবস্থার আস্তে আস্তে পরিবর্তন ঘটছে এবং সেজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক বুড়োর মহাপরিচালক শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান গ্রেড-১)। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক ডক্টর মোঃ মোক্তার হোসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (গভর্নেন্স এন্ড রাইটস) লায়লা জেসমিন বানু, ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুসহাত জাবিন এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।

অনুষ্ঠানটিতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সক্রিয় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে দলিত ট্রান্স জেন্ডার ও হিজড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত প্রতিনিধিগণ অংশ নেন যারা উন্নয়নের অগ্রগতিক হিসেবে বিগত প্রায় তিন বছর ধরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতকরণে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রকল্প থেকে নানা প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেদের জীবনের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এবং কমিউনিটির অন্যান্যদের মাঝেও এই সকল তথ্য প্রচার করেছেন এমন ১৩ জন গুড উইল আম্বাসেডর কে অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সম্মাননা জানানো হয়। সেইসাথে বিভিন্ন পেশা যেমন সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন,চেইঞ্জ এজেন্ট,এডভোকেট সি নেটওয়ার্ক মেম্বার:কাউকে বাদ দিয়ে নয় (এলওনবি) কোয়ালিশন, স্থানীয় নেতা থেকে আশা ১৫ জন ব্যক্তিকেও প্রকল্পের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মানিত করা হয়।

সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক ডঃ মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি অনেক আন্তরিক এবং তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করছে। তিনি আরো বলেন সরকার হিজড়াদের উন্নয়নে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে এছাড়া ট্রান্স জেন্ডার ও হিজড়া সম্প্রদায় কে ওয়ান স্টপ সেবা প্রদানের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে সরকার।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের গভর্নেন্স এন্ড রাইটস উইংয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার লায়লা জেসমিন বানু তার বক্তব্যে বলেন, সবাই মূল্যায়িত হতে চায় এবং মূল্যায়ন পেলে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক বুড়োর মহাপরিচালক শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে কারণ হিসেবে তিনি বলেন আর কিছুদিন পরেই ক্যাশলেস ট্রানজেকশন শুরু হবে এবং এখন অধিকাংশ লেনদেন অনলাইনে হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন । স্মার্ট না হলে প্রযুক্তির এসব সুবিধা গ্রহণ করা কঠিন হবে ।এজন্য নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী এই সুন্দর আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সামাজিক বৈষম্য নিরসনে আমাদেরকে অনেক দূর যেতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সর্বোপরি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং আয়োজকদের প্রতি আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করেন।

উল্লেখ্য জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা সকল সমাজে বিদ্যমান একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা ।এবং অর্থনৈতিক অবস্থা, শ্রেণী সংস্কৃতি কিংবা অন্য যেকোনো বৈচিত্র নির্বিশেষে এর শিকার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। এ ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়া অনেক নারী ঘরে, সমাজে এবং কর্মস্থলে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন বা হয়েছেন। নারীর প্রতি সহিংসতা বাল্যবিবাহ যৌন হয়রানি ও নির্যাতন চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যর মতো জেন্ডার ভিত্তিক অসামতা গুলো নারীর ক্ষমতায়নকে বাধাগ্রস্থ করছে। সামাজিক,অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রেও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নারীদের কণ্ঠস্বর অত্যন্ত ক্ষীণ।

এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে 'পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও  বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ(ইএলএমসি)'প্রকল্পটি এবছর জেন্ডার সমতা ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক পরিবর্তন তড়ান্নিতকরণে অবদান রেখেছেন এমন বেশ কয়েকজন প্রকল্প অংশীজনকে অনুষ্ঠানে' চ্যাম্পিয়ন এবং গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

২০২১ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলমান এই প্রকল্পটি যৌথ ভাবে বাস্তবায়ন করছে ক্রিশ্চিয়ান এইড, নাগরিক উদ্যোগ, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং ব্লাস্ট। প্রকল্পটি দলিত সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি তাদেরকে সরকারি সেবা সমূহে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি স্থানীয় নাগরিক সংগঠন এবং কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠনসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে থাকে।

দলিত সম্প্রদায়, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থেকে আগত অতিথিরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।



আরও খবর

ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩