Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
মলি আক্তার রিতার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

একুশে পদক পাচ্ছেন যারা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক-২০২৩ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ রোববার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের নাম ঘোষণা করে।

ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখায় এবার একুশে পদক পাচ্ছেন খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. শামসুল হক (মরণোত্তর) ও মো. মজিবর রহমান। শিল্পকলায় অভিনয় ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পাচ্ছেন মাসুদ আলী খান ও শিমূল ইউসুফ। সংগীতে পাচ্ছেন মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর)। আবৃত্তিতে পাচ্ছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। শিল্পকলায় নওয়াজীশ আলী খান ও কনক চাঁপা চাকমা (চিত্রকলা)।

মুক্তিযুদ্ধে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ড. মো. আবদুল মজিদ, শিক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর)। সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও মো. সাইদুল হক, রাজনীতিতে অ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রদত্ত বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পদক। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো একুশে পদক।

একুশে পদক হিসেবে ১৮ ক্যারেট মানের ৩৫ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে ঈদ ও বৈসাবি উপলক্ষ্যে মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,বিশেষ প্রতিনিধি:বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে পবিএ ঈদ উল-ফিতর ও বৈসাবি উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে পাহাড়ী- বাঙ্গালী দুঃস্থ নারী ও পুরুষের মাঝে শাড়ি, পাঞ্জাবী এবং পাহাড়ী ড্রেস বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল)  মাটিরাঙ্গা জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক মানবিক সহায়তা  কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় সকালের দিকে , মাটিরাঙ্গা  সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- ও বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা জোনের আওতায় ২০০জন  দু:স্থ,অসহায় হতদরিদ্র  পরিবারের মাঝে ঈদ ও বৈসাবি উপহার সামগ্রী বিতরণ ও পাঁচশতাধিক মানুষের মাঝে  স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, দন্ত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা সহ বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল উপকার ভোগীদের মাঝে ঈদ ও বৈসাবি উপহার সামগ্রী তুলেদেন।

এ সময় মাটিরাঙ্গা জোনের জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো.কামরুল হাসান পিএসসি
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম
সহ সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানবিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক হত-দরিদ্র পাহাড়ি-বাঙ্গালি পরিবারের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, পাহাড়ী ড্রেস বিতরণ, বিদ্যুৎ বিহীন ১০টি পরিবারকে সোলার প্যানেল, সুবিধা বঞ্চিত ৫টি পরিবারকে সেলাই মেশিন, ১০টি পরিবারের মাঝে ১০বান ডেউটিন, ৮ জন অসহায় ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নগদ আর্থিক অনুদান ও ২টি এতিমখানায় ১০টি ফ্যান রয়েছে। এছাড়াও অন্তত পাঁচশতাধিক জনসাধারণের মাঝে  বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল  বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের পাহাড়ি এবং বাঙ্গালীদের মাঝে অত্যন্ত সোহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সু-সসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও মাটিরাঙ্গা জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। আপনারা এই সু-সম্পর্ক বজায় রাখবেন এটাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। সর্বোপরি আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুরু থেকে বিভিন্ন মানবেতর চাহিদা পরিপূরণের মাধ্যমে মানুষের পাশে আছে। তেমনিভাবে মানুষের একমাত্র সঠিক আস্থাভাজন এবং গৌরবের প্রতীক হিসাবে সুদূর ভবিষতেও এই ধারা অব্যহত রাখবে।পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ঈদ-উল-ফিতর ও বৈসাবি,র শুভেচ্ছা জানান।

আরও খবর



সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়াবাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী,কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায় না।

খোঁজ জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজু মিয়া (৩০) ও রিপন চৌধুরী (৩৬) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। কিন্তু পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,সুন্দরবন, লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকায় চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া ও তার সহযোগী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামালগং চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন কয়লা, চিনি, সুপারী, চুনাপাথর, গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও এব্যাপারে নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম, টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল, হারুন, জামাল, জম্মত আলী, সাহিবুর মেম্মার, লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই। অন্যদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি, ডলুরা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে পেয়াজ, চিনি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। থেকে নেই দোয়াবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত চোরাচালান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পেয়াজ, চিনি, কয়লা ও পাথরসহ মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র শাকিবুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পড়ে এঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ওই স্কুল ছাত্রের লাশ বালির নিচে চাপা দেয় চোরাকারবারীরা। অনেক খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় যাদুকাটার বালুর ভিতর থেকে শাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত সীমান্তের অংশে চুনাপাথর ভাংগে। এরপর রাত হলে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা মোটর সাইকেল ও আটোরিক্সা বোঝাই করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর সোর্স আক্কল আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে। তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়া টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চোরাকারবারী রমিজ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সোর্স আক্কাল আলী। এঘটনায় ওই চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চাঁনপুর সীমান্তে ২জন, টেকেরঘাট সীমান্তে ৫জন, বালিয়াঘাট সীমান্তে ১৩জন, চারাগাঁও সীমান্তে ২জনসহ লাউড়গড় সীমান্তে এপর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক ও চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন- বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা লাখলাখ টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়না। তাই চোরাচালানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চোরাকারবারীরা প্রাণনাসের হুমকি দেয়ে।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। এব্যাপারে আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। সীমান্তে এলাকায় থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ আমরা ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা কান্ডে ২ জনের মৃত্যু: আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত সোর্স পরিচয়ধারী ও তার গডফাদার নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘদিন যাবত করছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। তাদের নেতৃত্বে সরকারের কোটিকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, পেয়াজ, চিনি, গরু, মহিষ, কসমেটিকস ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে একেরপর এক ঘটছে মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিন মোকাম, দশঘর, বারেকটিলা, কড়ইগড়া, রাজাই, নয়াছড়া, রজনী লাইন ও বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, ঘোড়া, নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, রুসমত আলী, নাজির মিয়া, নজরুল মিয়া, সাইকুল, আশরাফ, হাছান আলী, শাহিবুর মেম্বার, বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং।

এমতাবস্থায় সকাল ৬টায় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে নায়ছড়া এলাকার ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অন্যদিকে একই সময় বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি, লাকমা ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা ও সুন্দরবন এলাকা দিয়ে একই সময় ওই গডফাদারের নেতৃত্বে কয়লা, চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলা আসামী আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামাল, বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শামসুল মিয়া, শরাফত আলী, ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং।

এমতাবস্থায় লালঘাট সীমান্তে চোরাই কয়লা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।

এছাড়াও গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮), গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পাচাঁরকৃত ১টন অবৈধ চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচাঁরকৃত অন্যান্য অবৈধ মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদার উত্তোলন করলেও তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন দুই চোরাকারবারীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই, সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। মৃত দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেন কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:রাত তখন ১ টা  বাজে।  হঠাৎ করেই সে সময় কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযানে বের হলেন । ২ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করলেন । এতে করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম। রাতের বেলায় এমন উদ্যোগ অনেক স্থায়ী মানুষ স্বাগতম জানিয়েছেন। যাদের গ্রেফতার করেছেন তারা ওই এলাকা তার সৃষ্টি করেছিলেন। 

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম জানান, মাদকের ব্যাপারে আমাদের কমিশনার স্যারের নির্দেশনা হলে জিরো টলারেন্স। তাই আমরা সাধারণত মাদক ব্যবসায়ী ধরতে রাতে বের হই। যারা মাদকের ব্যবসা করে তারা রাতের বেলায় বেশি বিক্রি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ওইখানে মাদক  বিক্রি হবে তখন আমরা তাদের হাতে নাতে গ্রেফতার  করি। এ সময় কাফরুল থানা  অফিসারগান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ঢাকার বাতাস ফের অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে বাতাসের কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু শহরটিতে বৃষ্টি বিদায় নিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৪৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৯৫। আর ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর, ১৬৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার স্কোর ১৬৮।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর