Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

একদিনে ডেঙ্গুতে ১০ মৃত্যু, হাসপাতালে ২১৩৪

প্রকাশিত:রবিবার ২০ আগস্ট ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ২৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ১৩৪ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭ হাজার ৫৮২ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭৬ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের ৭৮৫ জন ঢাকার বাসিন্দা। আর ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৩৪৯ জন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ৩ হাজার ৫৩২ জন ঢাকার এবং ৪ হাজার ৫০ জন ঢাকার বাইরে।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৯ হাজার ৯৯৪ জন। তাদের মধ্যে ৪৮ হাজার ৪৫৬ জন ঢাকার এবং ৫১ হাজার ৫৩৮ জন ঢাকার বাইরের।


আরও খবর

ডোনাল্ড লু ঢাকায় আসছেন আজ

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪




কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল চুরান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ৬ষ্ঠ ধাপের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শহিদুল ইসলাম শালু (কাপ পিরিচ) প্রতীকে  বিজয়ী হয়েছেন। ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। চেয়ারম্যান পদে মোট ৮ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করেন। ভোট গ্রহনে নিরাপত্তা বাহিনী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ বাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ভিডিবি ও গ্রাম পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগন। 

বিকাল ৪টার পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু হয়। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার এমদদুল হকের বে-সরকারি ভাবে নির্বাচনি ফলাফল ঘোষনা করেন। এতে (কাপ পিরিচ) প্রতীক নিয়ে শহিদুল ইসলাম শালু ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদন্দি (টেলিফোন) প্রতীকে মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদা আক্তার সৃতি, হাস প্রতিকে বিজয়, তার প্রতিদন্দদ্ধী আয়শা সিদ্দিকা পরাজয় হয়। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান সামসুল দোহা,বিজয়ী,তার পতিদ্বন্ধী প্রার্থী মোজাফর হোসেন (মাইক) প্রতীকে পরাজয় হয়।

রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বেসরকারিভাবে জয় পরাজয় ঘোষনা দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমদাদুল হক ।


আরও খবর



গোদাগাড়ীর চরে মাদক কারবারিদের ২ দফা হামলায় ৪ পুলিশ আহত

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মোক্তার হোসেন গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক উদ্ধারের অভিযানে গিয়ে সংঘবদ্ধ মাদককারবারিদের দুই দফা হামলায় থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল মাহবুবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কনস্টেবল মাহবুবের মাথা ফেটে গেলে হাসপাতালে ভর্তির পর ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে বলে জানা গেছে। মাহবুবের একটি হাতও ভেঙে গেছে। আহত এসআই আতিকুর রহমানসহ অপর তিন পুলিশকে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বারীনগর ও ময়নারটেক এলাকাসহ চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে।এদিকে পুলিশের দাবি, শুক্রবার বিকালে গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বারীনগর গ্রামে মাদক উদ্ধারে গেলে সংঘবদ্ধ মাদককারবারি দলের নেতা তোজাম্মেল মেম্বারের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। গ্রামবাসী চার পুলিশকে চারদিক থেকে ঘেরাও দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। রাতভর অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অন্যদিকে এলাকাবাসীর দাবি, মাদক উদ্ধারের নামে পুলিশের চার সদস্যের দলটি সাদা পোশাকে বারীনগর গ্রামের রফিকের বাড়িতে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রফিক পালিয়ে যায়। তবে  মাদক না পেলেও পুলিশ রফিকের ভাইকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পদ্মার চরাঞ্চলের বারীনগরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ দুই নারীসহ মোট ছয়জনকে আটক করেছে। উদ্ধার করেছে ১৯ বোতল ফেনসিডিল। পুলিশের ওপর হামলা ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। পুলিশ বলছে আটককৃতরা মাদককারবারি। এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে এসআই আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে গোদাগাড়ী থানাপুলিশের চার সদস্যের একটি দল সাদা পোশাকে পদ্মা নদীর পশ্চিমপাড়ের সীমান্তবর্তী গ্রাম বারীনগরে যায় মাদকবিরোধী অভিযানে। এ সময় একজন সোর্সের সহায়তায় বারীনগর গ্রামের রফিকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এলাকাবাসীর দাবি রফিকও পুলিশের একজন সোর্স।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রফিক পালিয়ে গেলে পুলিশ তার ভাইকে আটক করেন। এ সময় রফিকের ভাইয়ের আট বছরের একটি শিশু তার বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের পা ধরে কান্নাকাটি শুরু করেন। এ সময় একজন পুলিশ ওই শিশুটিকে লাথি মারে।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের দলটিকে ঘেরাও করেন। তারা পুলিশের কাছে জানতে চান কেন তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উদ্ধার করা মাদক কোথায় সেটিও গ্রামবাসী দেখাতে বলে পুলিশকে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গ্রামবাসী পুলিশ দলটিকে ঘেরাও করে তাদের কাছে জানতে চাইছিলেন মাদক না পাওয়া গেলে কেন তারা একজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তোজাম্মেল মেম্বারের নেতৃত্বে গ্রামবাসী পুলিশের দলটিকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে কিছু সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে এসআই আতিকসহ তিন পুলিশ, কনস্টেবল মাহবুবকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী কনস্টেবল মাহবুবকে বেধড়ক পিটুনি দিলে তার মাথা ফেটে যায়। ভেঙে যায় একটি হাতও।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে গোদাগাড়ী থানায়। একটি মাদকের মামলা ও অপরটি পুলিশের ওপর হামলার মামলা। মাদকের মামলায় দুজন ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ সভা/২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)এর সভাপতিত্বে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে এপ্রিল/২০২৪ মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গি দমন, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি, জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার, সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয়, জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিতকরণে সকলকে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও সততার সাথে নিজ কর্তব্য পালনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, মাদক, জঙ্গিবাদ ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।

এপ্রিল/২০২৪ মাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও অর্জন এবং চৌকস কার্য সম্পাদনের জন্য পুলিশ সুপার মহোদয় টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভালো কাজের পুরস্কার স্বরুপ ক্রেস্ট প্রদান করেন।

এবারও মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলার গর্ব, সৎ ও আদর্শবান পুলিশ অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মধুপুর সার্কেল ফারজানা আফরোজ জেমি এপ্রিল ২০২৪ইং মাসে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মামলা তদন্ত ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদানের জন্য ১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

তার এই বিশাল সাফল্যের জন্য মধুপুর সার্কেলের আওতাধীন মধুপুর ও ধনবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জদ্বয়, আলোকদিয়া ও অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির আইসিদ্বয় সহ সকল ফোর্সদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে দুটি ধান কাটা মেশিন বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মাধ্যমে দুজন কৃষকে ধান কাটা দুটি মেশিন বিতরণ করেন।বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলা চত্ত্বরে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল কামাহ তমাল এর নির্দেশে উপজেলা কৃষিবিদ মোছাঃ রুম্মান আক্তার ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউপির তাহের মন্ডল এর পুত্র কৃষক মোঃ এনামুল হক ও কাহিজাল ইউপির চকিয়াপাড়া গ্রামের তৈয়ব উদ্দীন এর পুত্র কৃষক মোঃ আনসারুল ইসলাম সহ দুন জন কৃষক এর মাঝে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের উন্নয়নের আওতায় ৫০% ভর্তূকি কার্যক্রমের আওতায় দুজন কৃষকে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের চাবি তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষিবিদ মোছাঃ রুম্মান আক্তার সহ কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। আয়োজনে ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।


আরও খবর



শার্শার সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম, কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শার সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানাগেছে।

একাধিক অভিযোগে জানাগেছে, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু অবৈধ ভাবে জোর করে ক্ষমতার দাপটে পশু হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করে নাম মাত্র টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে। তবে কি কারনে এ বছর এই হাটের ইজারার মেয়াদ ১লা বৈশাখ শেষ হলেও নতুন করে ইজারা দেওয়া হয়নি তা নিয়ে ‌ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।

বিভিন্ন সূত্র হতে জানা গেছে, দক্ষিন বঙ্গের সব থেকে বড় শার্শার সাত মাইল পশু হাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন হাট বসে। দুই দিনের এই হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বেচাকেনা হয়। সরকারী ভাবে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকায় এই হাট ইজারা দেওয়া হয়। গত ১৩২৮ বঙ্গাব্দে সাত মাইল পশু হাটের ইজারা ডাক ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা, ১৩২৯ বঙ্গাব্দে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ও ১৩৩০ বঙ্গাব্দে এই হাটের ডাক ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। তবে নতুন বছর ১৩৩১ বঙ্গাব্দে এই হাটের কোন ডাক বা ইজারা হয়নি।যে কারনে পূর্বের ইজারাদারেরা সরকারী আইন অমান্য করে হাটের খাজনা আদায়
করছে।

সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছর ১৩৩১ বঙ্গাব্দে সাত মাইল পশু হাটের কোন ডাক বা ইজারা না হওয়ায় শার্শা উপজেলা প্রশাসন হাটের খাজনা আদায়ের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করে দেয়। যার স্মারক সংখ্যা ০৫.৪৪.৪১১০.০০২. ১৮৫.০০৫. ২০২৪-৩৪৮(ব)। যা স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য,যশোর জেলা প্রশাসক, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান ও শার্শা সহকারী কমিশনার(ভুমি) কে অবহিত করা হয়। উক্ত কমিটিতে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কে প্রধান করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বাগআঁচড়া ইউনিাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শার্শা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, বাগআঁচড়া ইউপি সদস্য আবু তালেব, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আসমা আক্তার, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভুমি) শার্শা।

একাধিক সূত্রে আরও জানা গেছে, উক্ত হাটের মেয়াদ গত চৈত্র মাসে শেষ হলেও উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া খাজনা আদায় কমিটি আজও হাটের খাজনা আদায় করতে পারেনি। যে কারনে পূর্বের ইজারা কমিটি অনিয়ম ও সরকারী নিয়ম অমান্য করে ব্যবসায়ী ও সাধারন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হাজার হাজার টাকা পকেট কাটছে। হাটে বিক্রির জন্য প্রতি পশু থেকে ১৫০ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ত মানা হচ্ছে না । যার প্রতিটি পশুর খাজনা আদায় ১৫০ টাকার বিপরীতে আদায় করা হচ্ছে ৫০০/১০০০/১২০০/১৫০০/২০০০/= টাকা করে। এ ছাড়া হাটে ৩ হাজার ব্যবসায়ীকে প্রতি ১ বছরের জন্য ৩ হাজার পাশ দেওয়া হয়েছে। সেখান থে আদায় করা হয়েছে প্রচুর টাকা।

যে কারনে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সাতমাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গদের সাথে নিয়ে অবৈধ ভাবে জোর করে পশু হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করে নাম মাত্র টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে । প্রতি হাটে প্রায় ১২/১৫ লক্ষ টাকা আদায় হলেও সরকারের কোষাগারে জমা পড়ছে ২লক্ষ টাকা। বাকী টাকা পকেটস্থ করছে পূর্বের ইজারাদারেরা।

হাটের একাধিক সুত্রে জানাগেছে শার্শার একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধির মদদে জোর করে ক্ষমতার জোরে সাত মাইল পশু হাট দখল করা হয়েছে। যে কারনে সাত মাইল পশু হাট থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল বলেন সাত মাইল পশু হাট সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। এ ব্যাাপারে কিছু বলতে পারবো না। তবে কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংক বলেন এ বছর সাত মাইল পশু হাট ইজারা হয়নি। আমরা শার্শা উপজেলা প্রশাসনকে হাটের খাজনা আদায়ের ব্যাপারে কিছুটা সহযোগিতা করি। তিনি বলেন হাটের টাকা পয়সার ব্যাপারে আমি জড়িত না।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নতুন বছরে সাত মাইল পশু হাটের ইজারা বা ডাক হয়নি।যে কারনে ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ খাজনা আদায় কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারী ভাবে জনবলের অভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে খাজনা আদায় করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া হাটে কোন অনিয়ম বা দূর্ণীতির অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে অপরাধীর বিরুরেদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর