Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

এইচএসসিতে ডেমরায় সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের ঈর্ষনীয় সাফল্য

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৩৮৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃএইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজ।ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ৮৯৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে রেকর্ড গড়েছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এইচএসসিতে মোট অংশ নেয় ১০৯৮ জন। এবার পাশের হার ৯৯.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে ১০৯৬ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।

এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করেছে ৭২৭ জন।  কৃতকার্য হয়েছে ৭২৭ জন। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯৬ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় মোট ২২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং  জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৫ জন। মানবিক শাখায় ১৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং । তার মধ্যে জিপিএ পেয়েছে ৬৮ জন।

প্রতিষ্ঠানের চোখ ধাঁধানো ধারাবাহিক অর্জন এইচএসসিসহ সকল পর্যায়ে। গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকাসহ সারা দেশে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছে ক্রমশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।  আনন্দঘন সাফল্যে শিক্ষার্থী-অভিভাবক সকলেই উচ্ছ্বসিত ও আবেগাপ্লুত।

ফলাফল প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আলহাজ মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, শিক্ষকদের আপ্রাণ চেষ্টা ও অভিভাবকদের নিয়মিত তদারকির ফলেই ছেলে-মেয়েরা এইচএসসি পরীক্ষায় আশাব্যাঞ্জক ফল অর্জন করেছে।

এসএসসি ও এইচএসসিতে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বারবার গৌরবোজ্জ্বল ফল অর্জন করে। ২০১৫ সালে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে প্রথম হয়েছে, ২০১২ সালে হয়েছে দ্বিতীয়। ২০০৭ সালে শতকরা পাসের ভিত্তিতে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে এ প্রতিষ্ঠান প্রথম হয়। কেবল শ্রেণিকক্ষের লেখাপড়া নিয়েই এ প্রতিষ্ঠান সীমাবদ্ধ নয়, একটা বিস্তৃত সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলও রয়েছে।


আরও খবর



ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দিন রাত দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে।

নির্বাচনে জয়ী হতে তারা তাদের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে হাট, বাজার, পাড়া মহল্লায় পথসভা, উঠান বৈঠক, মিছিল মিটিং করে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। পেষ্টারে ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বিকাল হলেই শুরু হয় প্রার্থীদের নামে গান বাজনার তালে তালে গুনো কির্তন। দোয়া ও আর্শিবাদের পাশাপাশী নিজের মার্কায় ভোট চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে তারা। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনসহ মোট ২১ জন বৈধ্য প্রার্থী মাঠে কাজ করছে।

চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ (আনারস), উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. মনোয়ার হোসেন (হেলিকপ্টার), সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী (কাপ-পিরিচ), কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি (টেলিফোন), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার (ঘোড়া), কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিব আহসান প্রধান (কই মাছ), প্রভাষক এহছানুল হক (দোয়াত-কলম) এবং প্রভাষক মদন মোহন সিংহ পিন্টু (মোটরসাইকেল) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এখন জনমনে অপেক্ষার পালা ৮ তারিখের নির্বাচনে কে হতে পারে উপজেলা পরিষদের প্রশাসন। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৫শত ৭১। মোট কেন্দ্র ৭৫ এবং বুথ সংখ্যা হবে ৫শত ৮৫টি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা নুরে আলম।


আরও খবর



নাসিরনগর থেকে ২৭ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫৪২জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার সিভিল টিমের পাঁচ সদস্য মিলে গতকাল বিকেলে উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সাবেক চেয়ারম্যান বাহার উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি নিকট প্রথম  ব্রীজের উপর থেকে মোঃ রুবেল মিয়া ২৫ কে আটক করে তার কাছে ব্যাগে থাকা ২৭ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

ওই সিভিল টিমের সদস্যরা হলেন,নাসিরনগর থানার চৌকশ পুলিশ অফিসার এস আই রূপন নাথ,এ এস আই সফিকুল ইসলাম, এ এস আই মোঃ কামরুল হোসেন,কনস্টেবল জাফর ও কনস্টেবল রানা দাস।এর পূর্বেও ওই টিমের সদস্যরা মাদক,অস্ত্র,ডাকাতি মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিভাগীয় পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বগুড়া ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১২৬জন দেখেছেন

Image

বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়া ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের স্থানীয় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এক টেবিলে বসার সুযোগ করেছে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। বগুড়া ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কর্মরত ফটো সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠন। এই এসোসিয়েশনের প্রতিটি কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের আয়োজনে সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। দেশের মানুষ সংবাদপত্রের মাধ্যমে সমাজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। আর এ কাজটি করতে যারা অসামান্য অবদান রাখেন তারা ফটো সাংবাদিক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যে ভাবে কাজ করেন তা দেশ ও জাতি গঠনে নিঃসন্দেহে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এসময় তিনি রমজান মাসের সংযমের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগের আহবান জানান।

ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাওছার উল্লাহ আরিফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জেএম রউফ, সাধারণ সম্পাদক মাছুদুর রহমান রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া এর সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, সূচনা কম্পিউটারের স্বত্তাধিকারী নাজমুল হক সোহেল, বগুড়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম কমল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আসাফুদ্দৌলা ডিউক, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মুমিন, কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ মামুন, প্রদর্শনী সম্পাদক জাফর আহম্মেদ মিলন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাবু ইসলাম, সদস্য মহিত উল আলম মিলন, মোমিন জিল্লু, শফিকুল ইসলাম শফিক, বজলুর রশিদ সুইট, আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, সোহেল রানা, বিমু রহমান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আল আমিন,। ইফতার পূর্বে দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বগুড়া বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ বেলায়েত আলী।


আরও খবর



রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান । ঢাকার ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে৷ এছাড়া যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা তাদেরও তালিকা করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে। কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়টি নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি’র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, জিয়া খান, অনিমেষ কর ও কাওসার সোহেলী।


আরও খবর

ড. ইউনূস জামিন পেলেন

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ:৬ জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা!

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি;আমতলী উপজেলায় ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। স্থান সংকুলণ না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। ধারন ক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ৬ জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা চলছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত বেড বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা। অপর দিকে আইভি স্যালাইন সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোগীদের ফার্মেসি থেকে আইভি স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

জানাগেছে, গত এক সপ্তারে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে শতাধির রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবিকাদের রোগীদের সামাল দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালের ৬ শয্যার ডায়েরীয়া রোগীর বেডের স্থলে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় রোগীদের বেড দেয়া হয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হচ্ছে এবং হাসপাতালের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা। এছাড়াও শত শত রোগী কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।

ডায়েরীয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী পায়না নদী সংলগ্ন এলাকার বলে জানা গেছে। লবনাক্ত পানি ব্যবহারেই ডায়েরীয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখাগেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দার বেডে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে বেডে ১১ জন এবং বারান্দায় ১৯ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে।

ডায়েরীয় আক্রান্ত আমড়াগাছিয়া গ্রামের খাদিজা বেগম বলেন, হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়েটিক ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে তারপরও বাহির থেকে ঔষুধ কিনতে হয়। তিনি আরো বলেন, বেড না থাকায় বারান্দায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। দ্রুত হাসপাতালে বেড বাড়ানো প্রয়োজন।চাওড়া পাতাকাটা গ্রামের সাজেদা আক্তারের স্বামী জসিম উদ্দিন বলেন, দুই দিন আগে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতাল থেকে কিছুই দিচ্ছে না।

চাওড়া ইউনিয়নের ডাক্তারবাড়ী এলাকার জাহেদা বেগমের স্বজন বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন নেই। স্যালাইন  বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।আমতলী পৌরসভার বটতলা এলাকার শিশু রোগী রেদওয়ানের স্বজন বলেন, হাসপাতাল থেকে কিছুই দেয়নি। সব কিছু বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন হাসপাতালে বেড না থাকায় বাহিরের বেডে ছেলেকে নিয়ে থাকছি। এতে সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে আরো ডায়েরিয়া বেড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

কুকুয়া গ্রামে ৭০ বছর বয়সী রুপশা বেগম বলেন, ওরে বাবা আল্লায় মোরে বাচাইবে কিনা হেইয়্যা কইতে পারি না। মুইএ্যাকছের বায়রায় যাই।আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে ডায়েরীয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকায় রোগীদের সংখ্যা অনেক বেশী। ধারনা করা হচ্ছে নদীর লবন পানি ব্যবহারের ফলে এ রোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইভি স্যালাইন সরবরাহ অব্যহত আছে। তবে আরো স্যালাইনে চাহিদা দেয়া হয়েছে। দ্রুত ওই স্যালাইন পেয়ে যাব। ডায়েরিয়া রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪