Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ থাকছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সদর দপ্তরে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে পারবেন। তবে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে পাঁচ দিন ও ঈদের পরের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা তেলের পাম্প খোলা থাকবে।

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গত বছর ঈদুল আজহার আগে জাতীয় সড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, পবিত্র ঈদুল আজহার আগের তিন দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের তিন দিন—এই সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল করা যাবে না। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল শুধু রাজধানী ঢাকাসহ অনুমোদিত এলাকায় চলতে পারবে। এ ছাড়া এক জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা মোটরসাইকেল অন্য জেলায় চালানো যাবে না। কিন্তু এবার মোটরসাইকেল চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।

এদিকে গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। পরদিন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ জুন ২০২২ সকাল ছয়টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।


আরও খবর



"আওয়ামী লীগ অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার"

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সবার সঙ্গে অটিজম ও প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।

এ লক্ষ্যে আরও বেশি প্রযুক্তিবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে তিনি নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্টকে আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিশ্বাস অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৭তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম বিষয়ক গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। বিগত ১৫ বছরে আমরা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে ব্যাপক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছি। এরমধ্যে রয়েছে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা- ২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯। আমাদের সরকার এসব আইনের সফল বাস্তবায়নে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ‘কাউকে পেছনে রেখে উন্নয়ন নয়’-এ নীতির আলোকে আমরা সমাজের সবার জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশের ১৪টি স্থানে প্রকল্প হিসেবে ১৪টি ‘অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি ‘চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এনডিডি ব্যক্তির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাধারণ বিমা কর্পোরেশনের সঙ্গে ট্রাস্ট যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ বাস্তবায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার এনডিডি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় ‘জাতীয় কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে। এ কর্মপরিকল্পনার আলোকে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির গৃহভিত্তিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্যের যতœ নেওয়ার জন্য মাতা-পিতা ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে। একইসঙ্গে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট অমৌখিক যোগাযোগের জন্য ‘বলতে চাই’ এবং অটিজম বিষয়ক প্রাথমিক স্ক্রিনিং বা শনাক্তকরণের জন্য ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামক দুটি অ্যাপস তৈরি করেছে।

শেখ হাসিনা ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন।

সূত্র: বাসস


আরও খবর



ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়ন ডেমরা থানা কমিটি গভঃ রেজিস্ট্রেশন নং-৪৫৮৬ এর পরিচিতি সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৯ শে মার্চ এই কর্মসূচি পালিত হয়। পরিচিতি সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়ন ডেমরা থানা কমিটি গভঃ রেজিস্ট্রেশন নং-৪৫৮৬ ডেমরা থানার সভাপতি মোঃ আপেল মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ডেমরা থানার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলে করিম সাগর। উক্ত পরিচিতি সভা ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্নান স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডি সভাপতি গোলাম মোর্শেদ অরুন।ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়ন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম। অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসলাম,ঢাকা জেলা ফোর স্টোক অটো রিক্সা সিএনজি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা মোঃ ফয়সাল রহমান হিমেল। পরিচিতি সভায় ডেমরা থানার সকল সদস্যদের সাথে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।



আরও খবর



মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাঁটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে,বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলায় প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।

হস্তান্তরের সময় মিয়ানমার থেকে বুধবার আসা প্রতিনিধিরা ছাড়াও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে জেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে এবারে হস্তান্তর কার্যক্রম স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশ ছিল সংরক্ষিত। এমনকি গণমাধ্যমের সাথে কথাও বলেননি কোনো কর্মকর্তা।

ভোর সাড়ে ৪টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ১০টি বাসে করে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আনা হয়। যেখানে আছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমেগ্রেশনের ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্য আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে গতবার ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাঁটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষামান মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতয়ে বন্দরের উদ্দেশে।

মূলত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমায় আসে মিয়ানমারের চিন ডুইন জাহাজ। চিন ডুইন জাহাজ থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘কর্ণফুলী টাগ-১’ জাহাজে করে কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের। একই প্রক্রিয়ায় এসব জাহাজের স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিরে যাবেন মিয়ানমারের এই ২৮৮ নাগরিক।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ামারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরও ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষংছড়ির বিজিবি স্কুলে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিল আরও ৩৩০ জনকে।


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




হরিরামপুর ইউনিয়নে অবরুদ্ধ নির্যাতিত গৃহবধূ কে ৯৯৯ ফোন দিয়ে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী,ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা হরিরামপুর ইউনিয়নে স্ত্রী মোহসীনা বেগমকে মারপিট করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে পাসন্ড স্বামী শাহরিয়ার রহমান রুবেল। অবরুদ্ধ স্ত্রী বন্দিদশা থেকে মুক্ত হতে প্রতিবেশীর সহায়তায় ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের নিকট বাঁচার আকুতি জানায়। অপরদিকে নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবার ও একই সময়ে তাকে উদ্ধারে পুলিশী সহায়তার জন্য স্ধসঢ়;হানীয় মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে শরণাপন্ন হলে দ্রুত সময়ে পুলিশ নির্যাতিতা গৃহ বধুকে উদ্ধার করে।

শারীরিক নির্যাতনের শিকার এক সন্তানের জননী গৃহবধূ মোহসীনা এখনো রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত সোমবার দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ১০নং হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের আনারুল হকের ছেলে শাহরিয়ার রহমান রুবেল এর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে ২৩/৪/২১ সালে রংপুর জেলার বদরগনজ উপজেলার রামকৃষ্ণপুর মাসানডোবার মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে মোহসীনা বেগমের সঙ্গে শাহরিয়ার রহমান রুবেল এর বিবাহ হয়। বিবাহের পর হতেই তুচ্ছ ঘটনায় শশুর শাশুড়ী নন্দিয়া রশিদুল ইসলাম নানা ভাবে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে শশুর আনারুল হক পুত্র বধু মোহসীনার হাতের আঙুল কেটে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আমার স্বামী আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করেছে আমার বাবা সহ আত্মীয় স্বজন আসলে তাদেরকে খুন করার হুমকি দেয়। আমি আমার একমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে মুখ বুঝে সব যন্ত্রনা নীরবে সহ্য করে আছি। এখন দিন দিন শারীরিক মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে।

মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এসআই বাবুল হোসেন জানান নির্যাতিত গৃহবধু কে ৯৯৯ এর ফোনের আলোকে এএস আই খালেক সঙ্গিয় পুলিশ সহ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে এনে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন মোহসীনা বেগম এর বাবা মোসলেম উদ্দিন বলেন মেয়ের চিকিৎসা চলছে একটু সুস্থ হলেই আইনানুগ প্রতিকার চেয়ে মামলা করব।


আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




তীব্র গরমে বাড়ছে শিশুরোগী হাসপাতালে শয্যা সংকট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত ৩ দিনে প্রায় ৮০০ শিশুরোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। প্রতিদিন শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১ বছরের শিশু মেসবান  ৩/৪ দিনের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডাইরিয়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির মা আমেনা বেগম বলেন কয়েকদিন ধরে বাচ্চার জ্বর।এরপর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত। বেবি নামের অপর এক নারী বলেন, তাঁর ৬ বছরের শিশু আরমান হোসেন, গত তিন দিনের গরমে ১০২ ডিগ্রি জ্বরের পর ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালের ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয়ের চিকিৎসায় জ্বরের সাথে সাথে ডাইরিয়াটাও কমেছে। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের অধিকাংশ শিশুই মেসবানের মত অবস্থা।হাসপাতালের সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪০০/৫০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।এর মধ্যে অর্ধেক রোগীই হলো শিশু।  গড়ে প্রতিদিন ৭০/৮০ শিশু রোগী জ্বরের পর ডাইরিয়ায় আক্রান্তে ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে। গত ৩/৪ দিন থেকে ৪০/৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করায় অসুস্থ হওয়া শিশুদের নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাবা মায়েরা ছুটছেন হাসপাতালে। কিন্তু শয্যা সংকটের কারনে কেউ কেউ মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন, আবার অনেকেই শিশুকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।  

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আফরোজা সিমু জানান,গত বছরের তুলনায় এবছর গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া রোগীর চাপ বেড়েছে।  তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮০%। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। কেউ কেউ মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিলেও শয্যা সংকটের কারনে সব রোগী ভর্তি নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।তিনি বলেন, গরমের তীব্রতা বাড়লে হিট ষ্ট্রোক হতে পারে। এজন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শরীর থেকে পনি শুন্যতা রক্ষায় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর মুখ ও ঘাড় ভিজিয়ে নিতে হবে। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন,গত বছরের তুলনায় বর্তমানে যেভাবে গরম পড়েছে, তাতে শিশুদের অবস্থা কাহিল। তীব্র গরমে শিশুদের প্রথমে জ্বর, এরপর ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক শিশু ডাইরিয়ার সাথে নিউমোনিয়া রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবার ব্যাবস্হা রয়েছে।  শয্যা সংকট হলেও ঔষধ সংকট নেই। তবে প্রতিটি বাবা - মাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এরপরেও যদি শিশুর জ্বর, কাশি,ডাইরিয়া ও শাসকষ্ট হতে দেখা যায়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর

সাজেকে ড্রাম ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ১০

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪