Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এবাদতের জোড়ার পর তাসকিন আঘাত, সাকিবের ব্রেকথ্রু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক ;আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে আইরিশরা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করেছে আয়ারল্যান্ড।

৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ড দারুণ শুরু পায়। উদ্বোধনী জুটিতে ১১.২ ওভারে ৬০ রান তোলেন দুই ওপেনার স্টেফেন ডোহেনি ও পল স্টার্লিং। তবে এরপর সাকিব আল হাসানের ব্রেকথ্রুর পর জোড়া আঘাত করেন এবাদত হোসেন। দলীয় ৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ডোহেনিকে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে ফেরান সাকিব। এই ব্যাটার ৩৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন।

১৩তম ওভারে আরেক ওপেনার স্টার্লিংকে ব্যক্তিগত ২২ রানে সেই মুশফিকের ক্যাচে আউট করেন এবাদত। নিজের পরের ওভারে ফের এবাদতের আঘাত। এবার হ্যারি টেক্টরকে (৩) বিদায় করেন। ক্যাচ নেন মুশফিক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড ১৬তম ওভারে ফের চোট পায়। এবার তাসকিন আহমেদ সরাসরি বোল্ড করেন দলটির অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নিকে (৫)।

এর আগে শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় খেলতে নামে দুদল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল ৮ উইকেটে ৩৩৩ রান। ২০১৯ বিশ্বকাপে নটিংহামে সেবার অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রান তাড়া করতে নেমে এই সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত ৩ রানে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে আউট হন। এরপর দলীয় ৪৯ রানে আরেক ওপেনার লিটন দাস ফেরেন। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে ২৬ রান করা এই ডানহাতি পল স্টার্লিংকে ক্যাচ দেন। আর ২৫ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রিনের বলে বোল্ড হন।

দলীয় ৩৮তম ওভারে নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হন সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত ব্যাট করা এই তারকা ৮৯ বলে ব্যক্তিগত ৯৩ রানে গ্রাহাম হিউমের শিকার হন। ৫৩তম ফিফটি পাওয়া এই তারকা ৯টি চার হাঁকিয়েছেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তিনি তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১২৫ বলে ১৩৫ রান তোলেন।

যদিও তামিমের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন সাকিব। ২০তম ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে মিড অফে সিঙ্গেল নিয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি। পাশাপাশি ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ‘ডাবল’ও হয়ে গেছে সাকিবের। আর এই ডাবলে সাকিবই দ্রুততম। তিনি পেছনে ফেলেন শ্রীলংকান কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদিকে।

৪৬তম ওভারে মুশফিকুর রহিম ও তৌহিদ হৃদয় আউট হন। যেখানে অভিষেকে দারুণ ব্যাটিং করলেও নড়বড়ে নব্বইয়ে বিদায় নিয়েছেন হৃদয়। তিনি গ্রাহামের বলে ৮৫ বলে ৯২ করে বোল্ড হন। ৮টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি। একই ওভারে এর আগে মুশফিক ২৬ বলে সমান ৩টি চার ও ছক্কায় ৪৪ করে মাঠ ছাড়েন। এই দুজন জুটি গড়ে ৪৯ বলে ৮০ রান তোলেন।

হিউমের চতুর্থ শিকার হওয়া তাসকিন আহমেদ ৭ বলে এক ছক্কায় ১১ রান করেন। আর শেষ ওভারে ইয়াসির আলী ১০ বলে ১৭ করে রান আউট হন।

আইরিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান হিউম। একটি করে উইকেট পান অ্যাডায়ার, ম্যাকব্রিন ও ক্যাম্ফার।


আরও খবর



ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্র সংগঠন, তারা (ছাত্রলীগ) দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) দলের দপ্তরর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিল। ছাত্রলীগ সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্র সংগঠন। তারা দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারিত্ব শুরু হয় সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ক্ষমতা ও অর্থের প্রলোভনে মোহাবিষ্টের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের আদর্শবিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয়। নীতি-আদর্শকে পাশ কাটিয়ে বৈষয়িক চিন্তা ও বিলাসি জীবনযাপনে অভ্যন্ত করা হয় তাদের। এর ধারাবাহিকতায় দিনে দিনে ছাত্ররাজনীতিতে একটি কলুষিত ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একইভাবে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রচলন হয়। এর ছোঁয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে থাকে এবং তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ব্যাহত করে। এই নীতি ও আদর্শ বিবর্জিত ধারার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নিরন্তর সংগ্রাম জারি রেখেছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমাদের আফসোস হয়। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বোঝে না যে এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখলে তারা জনগণ থেকে আরও দূরে সরে যাবে। তারা ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিরোধী বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করেছে এবং তা পরিপুষ্ট করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি নেতাদের সমোলোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথে হেঁটেছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এখন তো তাদের নেতাকর্মীরা একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে। অথচ তাদের মুখে অত্যাচার-নির্যাতনের তথাকথিত বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে এটা তারা চিরস্থায়ী পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কোনো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নাই। বরং নির্বাচন বানচাল ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে যে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, সরকার তা থেকে জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভয়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর।


আরও খবর



মধুপুরে ৩০ বছর পর আইনি লড়াই করে জমি ফেরত পেলো প্রকৃত মালিকগন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃ-

টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন বোয়ালী মৌজায় ৩৮ শতাংশ জমি দীর্ঘ ৩০ বছর আইনি লড়াই করে ফেরত পেলেন প্রকৃত মালিকগন।সাব-কবলা দলিল মুলে মালিকগন হলেন- এস,এ খতিয়ান- ৮১ দাগ নং--২৯৮, মোট জমি ১ একর ৩৮ শতাংশ।এই ভুমির অর্ধেক মালিক মরহুম মোন্তাজ আলী সরকার।


মঘুমরহুম মোন্তাজ আলী সরকার সাহেবের এস,এ খতিয়ান নং-৮১ দাগ নং-২৯৮ মোট জমির পরিমান ৬৯ শতাংশ।এ ভুমি থেকে মরহুম মোন্তাজ আলী সরকারের ৫ কন্যা পেয়েছেন বি,আর,এস খতিয়ান-১০০৯,দাগ নং-৭৫৪,জমি-৩৮ শতাংশ।মরহুম মোন্তাজ আলী সরকারের ২পুত্র পেয়েছেন বি,আর,এস খতিয়ান-১১৫, দাগ নং-৭৫৪জমির পরিমান ৩১- শতাংশ।এই জমিতে আর অন্য কারো অংশ নেই বলে জানান জমির প্রকৃত মালিকগন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বাংলাদেশ-ভুটান তিনটি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তির নবায়ন

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিনটি সমঝোতা স্মারক সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে । সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সমঝোতাগুলো হচ্ছে– থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। এছাড়া দুই দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা-সংক্রান্ত একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।

এর আগে, চারদিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথমদিনই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক বসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। দুপুর ১টার কিছু পরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। এ সময় টাইগারগেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে, দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা। পরে, সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। সবশেষ, দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তাকে লাল গালিচার অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শহরের বিদ্যুৎ এর খুটিগুলোতে ঝুলছে বাদুড়ের মতো তার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এবং অলিগলিতে মার্কেটের সামনে বিদ্যুৎতের খুটিগুলোতে ঝুলছে বাদুড়ের মত তার, বিদ্যুৎতের তার এর সাথে মিশে গিয়েছে ডিস লাইন, ইন্টারনেট লাইনসহ কোম্পানির প্রায় ২০ টি সেবাদান প্রতিষ্ঠানের তার।
বোঝার উপায় নেই কোনটা বিদ্যুৎতের তার কোনটা ডিস এবং ইন্টারনেটের তার। বিভিন্ন জায়গায় ছিড়ে ঝুলে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে এই তার গুলো, অনেক সময় মানুষের মাথার সাথে লেগে যাচ্ছে আবার তারের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে মানুষ, শুধু সরবরাহ লাইন নয়, ১১ হাজার হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলোও রয়েছে বিপদজনকভাবে। অতিরিক্ত তারের ভারে হেলে পড়েছে অনেক পোল। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ব্যবসায়ীরা বলছেন বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানিগুলোর যেন দেখার কেউ নেই। দিন দিন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পরিস্থিতি। দ্রুত সময়ে এর ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মুহূর্তে তার থেকে আগুন লাগতে পারে, তাছাড়া আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকি কখন যে শর্টসার্কিট থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

আই এস পি এ বি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি এর সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন এই বিষয়ে নীতি মালা হচ্ছে নীতি মালার আলোকে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো তবে বিদ্যুৎ এর খুটি ব্যবহার করার অনুমোদন নবায়ন নেই দীর্ঘদিন ধরে।

সিরাজগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন শহরের বিভিন্ন খুটিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার জন্য অনেকাংশই দায়ী বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলন্ত ক্যাবলের জঞ্জাল। তাই পরিকল্পিত ভাবে তার ব্যবস্থাপনা না করা হলে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান।

শহরের মধ্যে অগোছালো তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অতিঃ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-০১ নেসকো পিএলসি, সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ফারুক এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

আরও খবর



জয়পুরহাটে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩৮জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন আসমী পলাতক রয়েছেন।

রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের আ: গফুর, মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ,  জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম,  মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য জুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি ঈদ উদযাপনে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন। সে ১১ জানুয়ারি বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন সকালে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।

আরও খবর