Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে আবির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২২৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়! আর তার এই দ্বিতীয় বিয়ের ঘটকালি করছেন পরিচালক অর্জুন দত্ত! ইন্ডাস্ট্রিতে এমন গুঞ্জনই রটেছে। যা নিয়ে ভক্তরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। সুখী দাম্পত্য জীবন কাটানোর পরেও কেন অভিনেতা তার বর্তমান স্ত্রীকে ডিভোর্স দিচ্ছেন? কে হচ্ছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী? এসব চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম। আসলে তেমন কিছুই নয়, যা হচ্ছে তার পুরোটাই সিনেমায়।

টালিউডের অন্দরে যে খবর ভাসছে তাতে শোনা যাচ্ছে, অব্যক্ত থেকে শ্রীমতীর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন যে পরিচালক, সেই অর্জুন দত্তই আবিরের দ্বিতীয় বিয়ে দিতে চলেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত পরিচালক বা অভিনেতা কেউই কিছু জানাননি। বরং মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন।

তবে আপাতত শোনা যাচ্ছে, অর্জুন দত্তের আগামী সিনেমার নাম হতে চলেছে ‘ডিপ ফ্রিজ’। সেখানেই দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে। তাতে তার প্রাক্তনের ভূমিকায় দেখা যাবে তনুশ্রী চক্রবর্তীকে। তবে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কে হচ্ছেন সেটা এখনো জানা যায়নি। এখানে দেখা যাবে, প্রথম পক্ষে আবিরের একটি ছেলেও আছে।

সম্পর্কে যখন আর টান থাকে না, অনুভূতি যখন ঠাণ্ডা হয়ে যায়- তখন সেটা বরফের মতো মনে হয়। অনেকটা ডিপ ফ্রিজের মতো। সেই সম্পর্কের নানা ধাপ, চরিত্রের নানা দিক সিনেমাটিতে উঠে আসবে বলে জানা গেছে। আগেও যেমন পরিচালক তার সিনেমাতে সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছিলেন, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই অনুমান করা যাচ্ছে।

এই সিনেমাতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন সৌম্যঋত। তবে কার কণ্ঠে এই সিনেমার গান শোনা যাবে সেটা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু গানে যে তার একটা বড় ভূমিকা থাকবে সেটা অনেকটা নিশ্চিত। এখনো অনেক উত্তর অধরা থাকলেও পয়লা বৈশাখের আগেই নাকি এই সিনেমার শুটিং শুরু হয়ে যাবে।

এদিকে অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায় আবারও ফিরছেন ছোট পর্দায়। তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ধারাবাহিক দিয়ে। সেই ধারাবাহিকেই ফিরছেন বাংলা সিনেমা জগতের জনপ্রিয় এ তারকা। তবে একটি বিশেষ চরিত্রে, কিছু দিনের জন্য। সান বাংলায় শুরু হয়েছে ‘বিনোদনের মহা পার্বণ’। ওই চ্যানেলের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সাথী’। আর এই ধারাবাহিকেই বহুদিন পর দেখা যাবে আবীরকে।

এতে আবীর হিসেবেই হাজির হবেন তিনি। ‘সাথী’র নায়ক ওম তথা ইন্দ্রজিৎ বসুর কলেজের সিনিয়ের চরিত্রেই দেখা যাবে আবীরকে। কার্যত হিরো হয়েই এন্ট্রি নিবেন আবীর।

এদিকে আবীরকে আবারও ধারাবাহিকে ফিরতে দেখে খুশি তার অনুরাগীরা। কিছুটা নস্টালজিকও বটে। ‘প্রলয় আসছে’ থেকে শুরু করে ‘খুঁজে বেরাই কাছের মানুষ’, ‘এক আকাশের নীচে’, ‘বহ্নিশিখা’সহ বহু সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন আবীর।

শুধু মাত্র মূল চরিত্রই নয়, তাকে দেখা গেছে পার্শ্বচরিত্রেও। যদিও তার ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে বছর কয়েক আগেই। এখন তিনি পর্দা কাঁপান ব্যোমকেশ হয়ে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ- উল ফিতর উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১হাজার ৮শ'৩৩জন  অসহায় দু:স্থ হতদরিদ্রদের মাঝে  প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ করা হয়েছে। 

বুধবার (৩ এপ্রিল)  দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি কার্যালয়ে সদর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮ শ' ৩৩টি  অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে পবিএ  ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১০কেজি করে চাউল বিতরণ কার্যত্রুম উদ্বোধন করেন
মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা।

এসময় তদারকি কর্মকর্তা উপজেনা প্রোগ্রামার রাজীব রায় চৌধুরী, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো.রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান সহ ইউপি সদস্য ও উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



"বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আওয়ামী লীগ ইফতার বিতরণ করে"

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, এ সরকারের আমলে তাদের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নাকি নিগৃহীত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,আমি তাকে বলব, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৮০ ভাগ নেতাকর্মীরা কারা? আমির খসরু, মির্জা ফখরুল একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেছেন। তাহলে নিগৃহীত কে হচ্ছে? তাদের তালিকা প্রকাশ্যে দিতে হবে।

তিনি বলেন, মিথ্যাচার অনেক করেছেন। আপনাদের নেগেটিভ রাজনীতি এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। কেউই গ্রহণ করবে না। বিএনপি নামে একটি দল সংকুচিত হয়ে যাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আওয়ামী লীগ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে। আজকে বিএনপি ইফতার পার্টি করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এখন তারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। আসলে বিএনপির চেতনায় পাকিস্তান।

কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের দাসত্ব আমরা করি না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ। আমাদের চেতনায় বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি। আজকে বিএনপির চারদিকে অন্ধকার।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা বিশ্বে সংকট তার প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশেও আছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। তুলনামূলক অনেক দেশের মানুষের যে কষ্ট সে তুলনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক ভালো আমরা আছি।


আরও খবর

জামিন পেলেন ড. ইউনূস

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ) ২০২৩ সালের জন্য শেয়ার প্রতি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার অনলাইন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে এই সাধারণ সভায় লভ্যাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভায় শেয়ারহোল্ডাররা সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন, ২০২৩ সালের জন্য শেয়ার প্রতি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন, সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক ও কর্পোরেট গভর্নেন্স অডিটর নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করা হয়।

বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। দেশ ও বিদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা বিএটি বাংলাদেশের এজিএম পোর্টালের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।২০২৩ সালে বিএটি বাংলাদেশ মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর হিসেবে জাতীয় কোষাগারে ৩২,৮০২ কোটি টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম সেরা করদাতায় পরিণত করেছে।

সভায় প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক এ. কে. এম. আফতাব উল ইসলাম, কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী ও ড. এম হারুনুর রশিদ; অ-নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, সিরাজুন নূর চৌধুরী, মো. আবুল হোসেন, মনিশা আব্রাহাম, ওয়েল সাবরা, গ্যারি ট্যারান্ট, স্টুয়ার্ট কিড ও ফ্রান্সিসকো তোসো ক্যানেপা; এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্‌জাদ মুনীম, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিরালা সিং ও কোম্পানি সচিব মো. আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



দুইবারের ব্যর্থতার পর তৃতীয়বারে সফল নিটারের মারুফ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

লাবিবা সালওয়া ইসলাম:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর ইইই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রবিউল ইসললম মারুফ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে "ডেভলপমেন্ট অফ অ্যান্টিগ্র্যাভিটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণার উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অবশিষ্ট অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে তাকে অবগত করা হয়েছে।

গত ৩১শে মার্চ, রোজ রবিবার তৃতীয় দফায় গবেষণা মূল্যায়নের পর মারুফকে মঞ্জুরিপত্রের অনলাইন কপি প্রেরণ করা হয়। এই মূল্যায়ন এর আগে ২ বার যথাক্রমে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল সন্তোষজনক অগ্রগতি মূল্যায়ন লাভ করেনি। অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব তার প্রজেক্ট অসমাপ্ত রেখেই শেষ করার পরামর্শ দিলেও, সে ইচ্ছেশক্তি দিয়ে কাজ চালিয়ে যায়। গত ৩১শে জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর সাক্ষাৎকার এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ভার্চুয়ালি গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জানান, বর্তমানে তিনি জনাব কামরুল আলম খান, অধ্যাপক, পদার্থবিদ্যা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা করছেন এবং গবেষণা বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো করতে পারেননি। তবে ইতিমধ্যে বিদেশ হতে তা সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন; যা শীঘ্রই পাওয়া যাবে। সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি। এমতাবস্থায়, প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। উক্ত মূল্যায়নে সন্তোষজনক বিবেচিত হলেই পরবর্তী কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়। এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে ড. মো: শাহেদুল আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যানেজমেন্ট, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কে প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়। গত ২০২৩ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জানান, তিনি বিদেশ হতে হাই ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই আনলেও কাজ করার জন্য যথাযথ ল্যাব এর সাপোর্ট পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হলেও তারা তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি। এমতাবস্থায় কিছু শর্তারোপে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। 

সর্বশেষ ৩য় ধাপেই তার কাজ মূল্যায়ন কমিটির নজরে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করে এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে অবশিষ্ট ২য় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এমন সফলতায় আপ্লুত হয়ে মারুফ বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ ২.৫ বছর পরে আমি চেকের অবশিষ্ট পাচ্ছি।আসলে লেগে থাকতে পারলে যেকোনো কষ্টের একটা শ্রমফল আছে, যা আমি আজ পেয়েছি। এখন সৃষ্টিকর্তার কৃপায় উদ্ভাবনটি পরবর্তী ধাপে সফলভাবে এগিয়ে যাওয়াটাই আগামির লক্ষ্য।"


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর