Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দুর্নীতি মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২১৫জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:নোটিশ পেয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক আরাফাত হোসেন অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগ গঠনের সময় আসলাম চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি দোষী না নির্দোষ আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরে আদালত আগামী ১০ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১ জুন এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে আসলাম চৌধুরীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।আসামি পক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন। তিনি জানান, অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

তিনি আরও জানান, মামলাটিতে হাইকোর্ট আসলাম চৌধুরীকে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আমরা জামিন চাইলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। তারা এ আসামির বিরুদ্ধে মোট ৬৮টি মামলা আছে বলে জানান। যার মধ্যে ৩টি মামলায় তিনি জামিন না পাওয়ায় এখনো কারাগারে রয়েছেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি কারাগারেই আছেন।

২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীল চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা চলতি বছরের ১৩ মে আসলাম চৌধুরী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য দুদকে দাখিলের জন্য নোটিশ দেন। তিনি কারাবন্দি থাকায় কারাগারেও নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পেয়ে তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ২১ কর্মদিবস, এরপর আরও ১৫ কর্মদিবস সময় দেয় দুদক। কিন্তু তিনি ওই সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তিন মাস সময় চেয়ে ফের আবেদন করেন। কিন্তু সময় বৃদ্ধির সুযোগ নেই জানিয়ে তাকে নোটিশ দেয়ার পরও তিনি সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেননি। দুর্নীতি দমন কমিশনের আদেশ মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলাটি তদন্তের পর ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর এ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। ওই মামলায় সে বছর ৩১ মে ৭ দিন এবং ৬ জুন ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে সে বছর ১৩ জুন তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, আসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই মোসাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে আসছিলেন। ওই চেষ্টা সফল হয় ২০১৫ সালের জুন মাসে। সে সময় দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে পশ্চিমা একটি দেশে আসলাম চৌধুরীর প্রথম দফায় বৈঠক হয়। এরপর মোসাদ এজেন্টদের সঙ্গে আরও দুটি বৈঠক হয়েছে ভারতে। সর্বশেষ বৈঠকটি হয় ২০১৬ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে।

মোসাদের সঙ্গে ‘সরকার উৎখাতের’ গোপন আলোচনার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই বছরের ২৫ মে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। পরে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।


আরও খবর



স্ত্রী'র মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃবাংলাদেশের বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক ও নতুন মুখের কারিগর  সোহানুর রহমান সোহান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উল্লেখ্য, স্ত্রীর মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনিও ইহলোক ত্যাগ করেছেন।

গতকাল (মঙ্গলবার) ব্রেণ স্ট্রোকে স্ত্রী মারা যাবার পর তাঁকে টাঙ্গাইলে দাফন করে আজ (বুধবার)তিনি ঢাকায় উত্তরার বাসায় ফিরে আসেন। দুপুরের দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকতে গেলে কোন সাড়াশব্দ না দেয়ায় সাথে সাথে তাকে উত্তরাস্থ ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তার মৃত্যুতে সিনেমা পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অবশেষে ঢাকা থেকে রংপুর রেঞ্জে যোগদান করলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পেটানোর ঘটনায় আলোচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে হাজিরা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) পংকজ চন্দ্র রায়।তিনি বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাময়িক বরখাস্ত) হারুন বুধবার আমাদের অফিসে যোগদান করেছেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুনকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। আদেশের এক সপ্তাহ পর তিনি সেখানে গেলেন।

৯ সেপ্টেম্বর রাজধানী শাহবাগ থানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারপিট করেন এডিসি হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় প্রথমে পিএমও উত্তর বিভাগে বদলি করা হয় হারুন অর রশিদকে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে তাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে পুলিশ সদরদপ্তর।

এদিকে দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় ডিএমপি গঠিত তদন্ত কমিটি আরও তিন দিন সময় পেয়েছে। যা আগামী রোববার শেষ হচ্ছে। এডিসি হারুন ও সানজিদা আফরিনের ঘটনায় ডিএমপির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল।


আরও খবর



নবীনগর নারুই গ্রামে ড্রাগন ফল ও মাল্টা চাষে সফল উদ্যোক্তা ,রিপন মিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৭৯জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া  প্রতিনিধি:বাড়ির আঙিনায় চারদিকে সবুজের সমারোহ। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফল অর  মাল্টা ফলের বাগান । বাগানে সবুজ গাছে শোভা পাচ্ছে গোলাপি, লাল আর সবুজ ফলের  পরিপাটি এ বাগানটি গড়ে তুলেছেন ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর  ইউনিয়ন নারুই গ্রামে ড্রাগন ও মাল্টা চাষ  করে সাফল্য পেয়েছেন,স্পাইডার গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট বিশিষ্ট শিল্পপ্রতি,ব্রাহ্মণহাতা(নারুই) গ্রামের কৃতি সন্তান রিপন মিয়া ।

কয়েক বছর আগেও দেশের মানুষ জানতো ড্রাগন একটি বিদেশি ফল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে এর চাষ এতোটা বেড়েছে যে, এখন এটি দেশি ফল বলেই মানুষের কাছে পরিচিত।তাছাড়াও বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে মাল্টা। এ ফলটি সারা বছরই পাওয়া যায়।

শিল্পপতি রিপন মিয়া তিনি বলেন, ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোসেরিয়াস। এটি ক্যাকটাস জাতীয় একটি মিষ্টি ফল। যাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার ও এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ ও আর্থাইটিস রোগ নিরাময়ে দারুণ উপকার করে ,পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিনসহ মাল্টার অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে।

বহুমুখী পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ বিদেশি এক ফলের নাম ড্রাগন। দক্ষিণ আমেরিকার গভীর অরণ্যে এই ফলের জন্ম হলেও বর্তমানে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, চীন এবং ভারত সহ দিন দিন সাড়া পৃথিবী জুড়ে এই ফলের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও এই পুষ্টিকর ফল ড্রাগনের চাষ দিন দিন বেড়ে চলছে। 

তাই এই সফলতার দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ড্রাগন চাষ করেছেন স্পাইডার গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মিয়া ।

ব্রাহ্মণহাতা(নারুই) গ্রাম এলাকায় ৪৫ বিঘা জমিতে ড্রাগন ও  মাল্টা ফলের বাগান তৈরি  করেছেন , এছাড়াও তার বাবার বসত বাড়ির বাগানে ৬ প্রজাতির ড্রাগন ফল, ৩ প্রজাতির মালটা, ২৬ প্রজাতির দেশি-বিদেশি আম, ২ প্রজাতির কমলা, লেবু, পেঁপে ও লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছের বাগান চাষ করে এলাকায় সকলের নজর কেড়েছে ।

বাগানে সারিবদ্ধ বারি-১ থাইল্যান্ড জাতের মাল্টা ও  বাউ  ড্রাগন ফলের  গাছে প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ডালে ঝুলে রয়েছে আধাপাকা মাল্টা। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। 

মাল্টা ও ড্রাগন চাষ করে সফল হয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন স্পাইডার গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মিয়া। তার বাগানে থাকা প্রত্যেক গাছেই ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা অর ড্রাগন ।

আমাদের প্রতিনিধি সাংবাদিক মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ ,সরেজমিনে গিয়ে এই বাগানের শ্রমিকদের নিকট জানতে পায় , যে এই বাগানে অনেক বেকার যুবক কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। 

মাল্টা চারা লাগানোর ৩ বছরের মাথায় ফলন আসা শুরু হয়েছে। আমার চাষ করা অধিকাংশ মাল্টা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ী এসে 

যেমন, নবীনগর উপজেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে বাগান থেকেই ফল কিনে নিয়ে যায়। এই বাগানে ফলের চাহিদাও অনেক।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব

আরও খবর

সৈয়দপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের ধুম

শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দিপক্ষীয় সফরে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। জানা গেছে, ম্যাক্রোঁর এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।

আশা করা হচ্ছে, এদিন সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ রোববার সন্ধ্যায় তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন। 

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।

সোমবার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এরপর দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই শেষে উভয় নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে তার সঙ্গে থাকছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী কেথেরিন কলোন্না। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকারের আশা, ম্যাক্রোঁর এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে ও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন।

১৯৯০ সালের ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরের পর ম্যাক্রোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। মিত্রান্দের ওই সফরের পর থেকে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে ও ফ্রান্স রপ্তানির ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ। ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশের প্রকৌশল, জ্বালানি, মহাকাশ ও পানিসহ বিভিন্ন খাতের সঙ্গে জড়িত।


আরও খবর



মধুপুরে বিষাক্ত রঙ ও কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুখাদ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮১জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিশুখাদ্য তৈরির অবৈধ কারখানা। আমরা কি খাওয়াচ্ছি শিশুদের ? কি দিয়েই বা তৈরি করা হচ্ছে এ-সব শিশু খাদ্য, দেখলে অভাগ হয়ে যাবেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিষাক্ত রঙ ও কেমিক্যাল মিশিয়ে  তৈরি করা হচ্ছে জুস, পাইপ আইসক্রিম, বিভিন্ন নামি-দামি ব্যান্ডের নাম নকল করে তৈরি করা হচ্ছে জেম-জলী, বিভিন্ন ফলের ফ্লেভারে পাইপ জুস, অরেঞ্জ জুস, তেঁতুল পাইপ সহ আরও নানান ধরনের শিশুখাদ্য।

এই সকল শিশু খাদ্য প্রকাশ্যে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে মধুপুর শহরের বিভিন্ন দোকানে। মধুপুর সাপ্তাহিক হাটে প্রায় ৩০টির মতো শিশুখাদ্য বিক্রির পাইকারী দোকান রয়েছে। মুলতঃ এখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও পাড়া মহল্লায়।কোনো প্যাকেটের গায়ে খাদ্য তৈরি ও মেয়াদ উর্ত্তীন্যের তারিখ দেওয়া নেই। এই সকল শিশুখাদ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রঙ ও  কেমিক্যাল যা খেয়ে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশেষ করে স্কুল মাদ্রাসার কোমলমতি ছেলে মেয়েরাই এই সকল লোভনীয় শিশুখাদ্য খেয়ে থাকে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকার কারণে এ-সব শিশু খাদ্য আনাচে কানাচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এবং তা প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।তাদের মতে, অবৈধ শিশুখাদ্য তৈরির কারখানা ও পাইকারী দোকানে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে না পারলে ভবিষ্যতে শিশুস্বাস্থ্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়বে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর