Logo
আজঃ শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছি, আর নয়: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে দলটি আর প্রতারণার শিকার হবে না বলেও দাবি করেন তিনি। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ফখরুল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৃত ইস্যু- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে এই সরকার চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যে কারণে আমরা বারবার করে বলছি যে, এই সরকারের এখন থাকার আর কোনো কারণ নেই। তারপরও তার নেতা, তার মন্ত্রীরা বলেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি এখন ডেড (মৃত) ইস্যু। ডেড ইস্যু হবে কেন? এটাই তো এখন সবচেয়ে লাইভ (জীবিত) ইস্যু।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, এই সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। এত চুরি করেছে, এত দুর্নীতি করেছে এবং একটা সমস্যারও সমাধান করতে পারেনি সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কারণ নেই। সেই কারণে আমরা বলেছি যে, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা একটা নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্দলীয় সরকারকে দায়িত্ব দিতে হবে।

 তিনি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা, নির্বাচনী ব্যবস্থা এটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে পরিকল্পিতভাবে। কারণ তারা জানে যে, তারা এত চুরি-চামারি করেছে যে, সাধারণভাবে যদি ‍সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন হয় তাহলে কোনোদিনই তারা ক্ষমতায় ফিরে আসা দূরে থাকুক, পার্লামেন্টে ১০ ভাগেরও বেশি ভোট পাবে না। সেই সরকার আজকে ক্ষমতায় বসে আছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, বাংলাদেশের মানুষ দুইটা ইলেকশন দেখেছে- ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে। আবার ওই জায়গায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না। এখানে দাদা (সুব্রত চৌধুরী) আছেন। গত ১৮ সালে শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডেকেছিলেন সংলাপের জন্য। আমরা গিয়েছিলাম এ জন্য যে, আমরা মনে করেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা অবস্থা তৈরি হয় সেই অবস্থায় আমরা যদি একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি তাহলে হয়তো বা জনগণের সেই ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন ঘটাতে পারব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী পার্লামেন্টে কালকে বলেছেন যে, যখন নির্বাচন চলবে নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা থাকবে যে, তখন আর কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা কাউকে আটক করা যাবে না। এই কথা কে বিশ্বাস করবে? সেই রাখাল বালকের গল্পের মতো। আপনারা সেই রাখাল বালক গ্রামবাসীকে বোকা বানানোর জন্য যখন প্রায় চিৎকার করতো যে, বাঘ আসছে বাঘ আসছে বলে গ্রামবাসী তখন লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসতো। এসে দেখে যে, কিছু নেই্ সেই রাখাল বালক দূরে দাঁড়িয়ে হাসছে।

তিনি বলেন, ‘থার্ড টাইম যখন সত্যি সত্যি বাঘ এসেছে, চিৎকার শুরু করেছে তখন দেখে গ্রামবাসী কেউ আসেনি। আমরা তো দুইবার প্রতারণার স্বীকার হয়েছি। থার্ড টাইম (তৃতীয়বার) এদেশের মানুষ আর প্রতারণার স্বীকার হবে না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, তোমাদের এই সমস্ত কথায় কেউ ভুলবে না। কারণ কখনোই তোমরা প্রমিজ (প্রতিশ্রুতি) রক্ষা করনি।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। আগে পদত্যাগ করুন, তারপরে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনকালীন একটা নির্দলীয় সরকার গঠন করবার জন্য সেই ব্যবস্থা নিন। নতুন নির্বাচন কমিশন নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন করবে।

 হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার ও মহাসচিব তরুন কুমার দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, তপন চন্দ্র মজুমদার, সুশীল বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান অর্পনা রায়, নিতাই চন্দ্র ঘোষ, রমেশ দত্ত, প্রয়াত নেতার ছেলে গৌরব চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে গৌতম চক্রবর্তীর সহধর্মিনী ও ফ্রন্টের উপদেষ্টা দিপালী সাহা চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের অধিকার চর্চার জায়গা দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে।আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘সমাজের প্রতি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যে প্রতিশ্রুতি, তা আমরা এই দিবসে উদ্‌যাপন করছি। একই সঙ্গে বর্তমানের অস্থির ও উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে গণতন্ত্র যে হুমকির মুখোমুখি, তা–ও স্বীকার করে নিচ্ছি।তিনি বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি যে শ্রদ্ধবোধ, তা আসলে সমৃদ্ধ, সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজের মূলভিত্তি। সমাজের প্রত্যেক মানুষের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা, টেকসই উন্নয়ন ও স্বাধীনতা রক্ষাকবচ ও গণতন্ত্র ও আইনের শাসন।

বিবৃতিতে গুতেরেস আরও বলেন, মিথ্যা ও অপতথ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, সমাজকে মেরুকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি যে আস্থা, সেটাও নষ্ট করে দিচ্ছে এমন মিথ্যা ও অপতথ্য এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষমতায়ন’। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, বর্তমান সময়ে এবং ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের সুরক্ষার ক্ষেত্রে শিশু ও তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে। 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শিশু ও তরুণদের বক্তব্য যথাযথভাবে নেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষা, দক্ষতা ও জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় শিখনে বিপুল বিনিয়োগ করে এই তরুণ ও শিশুদের সহযোগিতা করতে হবে


আরও খবর

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করলো ভারত

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হিজাব না পরলে ইরানে ১০ বছরের জেল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




হাইতিতে খ্রিষ্টানদের বিক্ষোভে মেশিনগান দিয়ে গুলি, নিহত ১০

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:হাইতিতে খ্রিষ্টানদের গির্জার এক নেতার নেতৃত্বে আয়োজিত এক বিক্ষোভে অতর্কিত গুলি চালিয়েছে দেশটির স্থানীয় গ্যাং। এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা সিএআরডিএইচ এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ১০ জন। খবর এএফপির।

সিএআরডিএইচ বলেছে, রাজধানী পর্তোপ্রাঁসের উত্তর শহরতলি একটি গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণে। তারা শনিবারের বিক্ষোভে মেশিনগান দিয়ে গুলি চালিয়েছে।

সিএআরডিএইচ এর পরিচালক গেডিওন জিন বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। বেশ কয়েকজন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ারকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, অন্তত ১০০ জন হলুদ শার্ট পরা ব্যক্তি কানান শহরতলিতে মার্চ করছিল। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, রাস্তায় লোকদের গুলি করা হচ্ছে। অনেকের লাশ রাস্তায় পরে আছে।

তবে এসব ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


আরও খবর

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করলো ভারত

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হিজাব না পরলে ইরানে ১০ বছরের জেল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




লিবিয়ায় নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:লিবিয়ার দেরনা শহরের আকাশ-বাতাস এখনো লাশের গন্ধে ভারি হয়ে আছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের কোনো খোঁজ মিলছে না।

সেখানে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শহরের কাছেই অবস্থিত একটি সেতু বন্যার পানিতে পুরোপুরি ভেসে গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে মরদেহ পড়ে থাকায় তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াও এখন বেশ কষ্টসাধ্য। ঝাঁঝালো গন্ধে গা গুলিয়ে উঠবে আপনার, বিশেষ করে যদি কেউ বন্দরের দিকে যায় তবে বুঝতে পারবেন সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ।

হাজার-হাজার মানুষ, ঘরবাড়ি পানির স্রোতে ভেসে গেছে। যারা বেঁচে আছেন তাদের জীবনও পাল্টে গেছে। লোকজনের মধ্যে স্বজন হারানোর দুঃখ আর ক্ষোভ বাড়ছে। ফারিস গাসার নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা তার পরিবারের পাঁচজনকে হারিয়েছেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমাদেরকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল। তাদের বলা উচিত ছিল যে, ঝড় আসছে আর বাঁধটি নাজুক হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, কয়েকশ বছরের পুরনো ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এটা পুরোপুরি রাজনীতি। পশ্চিমে একটি সরকার, পূর্বে আরেকটি সরকার। এটাই আমাদের বড় সমস্যা। নিজের দশ মাস বয়সী কন্যা সন্তানকেও হারিয়েছেন ফারিস গাসার। সাগরে ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করতে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলোকে। দেরনা শহরের দুটি বাঁধ ও চারটি সেতু ধসে পড়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট বলছে, হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং মৃতের সংখ্যাও আরও বাড়তে পারে। উদ্ধার কর্মীরা ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত মানুষের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত দিয়ে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম বলছে, শহরটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।

হাসপাতাল আর মর্গগুলো মৃতদেহে সয়লাব হয়ে পড়েছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তেল সমৃদ্ধ দেশ লিবিয়া। এর একটি সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত এবং এর রাজধানী ত্রিপলি। আরেকটি সরকার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।

দেরনা শহরটি বেনগাজীর ২৫০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে। গাদ্দাফির পতনের পর এই শহরটি ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের একটি ঘাঁটি। পরে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এলএনএ তাদের বিতাড়িত করে। এলএনএ পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ জেনারেল খালিফা হাফতারের প্রতি অনুগত। প্রভাবশালী এই জেনারেল বলেছেন বন্যার কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি তারা নিরূপণ করছেন।

লিবিয়ার আল ওয়াসাত নিউজ ওয়েবসাইট বলছে, বহু বছর ধরে দেরনা শহরের রাস্তাঘাট পুনর্র্নিমাণ বা সংস্কার না হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা এতো বেশি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে লিবিয়ায়। তবে দুর্গতদের দিন কাটছে শোকে, স্তব্ধতায়, নিদারুণ অভাব আর সংকটে।

দেরনা শহরে যে পরিমাণ ওষুধ এবং খাবার পানি প্রয়োজন স্থানীয় বাসিন্দারা তা পাচ্ছেন না। যারা বাড়ি-ঘর হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা এখনো পৌঁছায়নি। দেরনা শহর থেকে লোকজনকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঝড়ের তাণ্ডবে তিনটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানির তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে একেবারে সমুদ্রে নিয়ে ফেলেছে বহু বসতি। এর জেরেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পচা দেহের গন্ধ ও স্বজন হারানো পরিবারের লোকেদের আর্তনাদ মিশছে বাতাসে। গণকবর দেওয়া হচ্ছে মরদেহ। পরিচয়ের অপেক্ষায় হাসপাতালে পড়ে আছে বহু লাশ।

গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে ভূমধ্যসাগরের ওপর তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর গ্রিসে রেকর্ড বৃষ্টিপাত ঘটে। গ্রিসের জাগোরা গ্রামের একটি অংশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রায় ১৮ মাসের বৃষ্টিপাতের সমতুল্য।

লিবিয়ার জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর তীব্রতর হয় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অংশে ১৫০ থেকে ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ বন্যা। সবচেয়ে বেশি হয়েছে লিবিয়ার আল-বায়দাতে। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত রোববার ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ‘ড্যানিয়েল’ আছড়ে পড়ে লিবিয়ার উপকূলে। ‘ড্যানিয়েল’-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো বেশ কিছু শহর। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেরনা ও বেনগাজির। প্রবল বৃষ্টি ও বানের ফলে দেরনা শহর যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করলো ভারত

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হিজাব না পরলে ইরানে ১০ বছরের জেল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পত্নীতলায় আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | ৫৭জন দেখেছেন

Image

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:পত্নীতলায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে । উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুক্রবার একটি বর্ণাঢ্য রালী শেষে উপজেলা অডিটেরিয়াম হলররুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

"পরিবর্তন শীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে স্বাক্ষরতার প্রসার" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রুমানা আফরোজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফফার। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, উ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম জিল্লুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল হক, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সূধীজন প্রমুখ।

আরও খবর

বিপদজনক সংযোগ সড়কে বাধ্য হয়ে চলাচল

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




একদিনে ডেঙ্গুতে ১৩ মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৯১ ডেঙ্গু রোগী।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩৭১ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮ হাজার ২১৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮৩৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৩৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ৫৬ হাজার ২৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬২ হাজার ৮৮৬ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৩৪৬ জন। ঢাকায় ৫১ হাজার ৯৯২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৮ হাজার ৩৫৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩