Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

দৌলতপুরে আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, পাচ্ছে না কৃষি অফিসের সেবা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৭৯জন দেখেছেন

Image

দৌলতপুর,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় দৌলতপুরে রোপা আমন ধানের ক্ষেতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে মাজরা ও লীফ ফোন্ডার পোকার আক্রমণ। ফলে কয়েকদিন পরপর বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকা দমনে ব্যর্থ হয়ে দিশেহারা চাষিরা। পোকা দমন বা নিধনে কৃষি অফিসের কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না বলে কৃষকরা অভিযোগ করছেন। বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে দৌলতপুরের বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা তাদের রোপা আমন ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। কিন্তু কিছুতেই প্রতিকার পাচ্ছেন না কৃষকরা। উপজেলার আমদহ গ্রামের কৃষক আমীর হামজা বলেন, চার বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রী—ধান ৮৭ ও ৪৯ জাতের ধান রোপণ করেছি।ধানের গাছও ভাল হয়েছে। কিন্তু পোকার আক্রমণে ধান গাছের মূল কা- শুকিয়ে যাচ্ছে এবং পাতা খেয়ে ফেলছে। স্থানীয় দোকান থেকে কীটনাশক কিনে ক্ষেতে স্প্রে করেছি কিন্তু কোনো উপকার হয়নি।

পিয়ারপুর, হোগলবাড়ী, মরিচা রিফাইতপুরের কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা মিলছে না মাঠে। বিভিন্ন কীটনাশক কোম্পানির লোকজন এসে যতটুকু পরামর্শ দিচ্ছেন শুধুমাত্র সেভাবেই ধানের জমিতে পরিচর্যা করছি। পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই না পেলে ধানে ফলন কম হবে এবং লোকসান হবে আমন ধান আবাদে। উপজেলার সোনাইকুন্ডী, টলটলি পাড়া, বালিরদিয়ার ও সিরাজনগরসহ কয়েকটি গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব জমির আমন ধানের গাছে ব্যাপকভাবে মাজরা ও লীফ ফোন্ডার বা পাতা মরা (লেদা) পোকাসহ পাতা খাদক পোকা আক্রমণ করেছে। মাজরা পোকার আক্রমণের কারণে অধিকাংশ ধানগাছের পাতা মরে হলুদ রং ধারণ করেছে। কোনো কোনো জমির ধানগাছ প্রায় পাতাশূন্য হয়ে মরে যাচ্ছে।

আল্লারদর্গা তাজপুর গ্রামের কৃষক হানিফ আলী বলেন, এ বছর আমি প্রায় দেড় বিঘা জমিতে বিনা-৭ জাতের আমন ধান চাষ করেছেন। আমারসহ গ্রামের অধিকাংশ কৃষকের জমিতে মাজরা পোকা ও পাতা খাদক লেদা পোকায় আক্রমণ করেছে। পোকা দমনের জন্য প্রায় সব কৃষক দানাদার, পাউডার ও তরলজাতীয় কীটনাশক ব্যবহার করছেন কিন্তু কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না পোকার আক্রমণ। মাজরার পাশাপাশি ধানগাছে ঘাসফড়িং পোকারও আক্রমণ দেখা যাচ্ছে।

কৃষক ওসমান গনি ও সাবু মন্ডল জানান, এর আগে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাঝে মধ্যে আমাদের মাঝে দেখা গেলেও ইদানীং তাদের আর খোঁজ নেই। আমরা কম্পানির কর্মীদের কথা মত বিষ দিলেও হচ্ছে না উপকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, কৃষি অফিসের তারা সকালে এসে স্থানীয় সার ও কীটনাশকের দোকানে আড্ডা দেয়। কিন্ত মাঠ পর্যানে কোন কাজ করতে দেখা যায় না। আমরা তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হই ফলে গ্রামের মাঠে আমন ধানে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাজরা ও লেদা পোকার আক্রমণ হয়েছে। আমরা কি করবো বুঝতে পাছি না। পোকা দমন করা না গেলে ধানের ফলনে বড় ধরনের প্রভাব আমাদের উপর পড়বে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে ধানের ক্ষতি হয়েছে তবে এখন তাপমাত্রা কিছুটা কম যেসব এলাকায় ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার, আক্রমণের কথা বলা হচ্ছে, সেই এলাকায় আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে। উপসহকারী কৃষি অফিসারের ব্যাপারে আমাকে কোনো কৃষক জানায়নি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ মৌসুমে দৌলতপুর উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রায় ৯ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন।


আরও খবর



কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের অনন্য সাফল্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘আউটস্ট্যান্ডিং কেমব্রিজ লার্নার্স অ্যাওয়ার্ড’ -এর ফলাফল। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছেন। দেশের আইজিসিএসই-তে ১১টি শীর্ষস্থান অর্জনকারীদের মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থীই ডিপিএস এসটিএস স্কুলের, যা স্কুলটিকে দেশের সেরা শিক্ষার্থীদের স্কুলে পরিণত করেছে।     

স্কুলের ৩৭৮ জন সিএআইই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ডিপিএস’র ১০ জন শিক্ষার্থীকে কান্ট্রি টপার ও হাই অ্যাচিভার ক্যাটাগরিতে সম্মানজনক কেমব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ দেয়া হয়। সম্মানজনক এ পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জন হচ্ছেন  আইজিসিএসই ও ১ জন  এএস লেভেলের কান্ট্রি টপার; অন্যদিকে, ১ জন আইসিএসই এবং ১ জন এএস লেভেল শিক্ষার্থী হাই অ্যাভিচার। ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা থেকে ১৫৮ জন আইজিসিএসই, ১৩২ জন এএস লেভেল এবং ৮৮ জন এ লেভেল শিক্ষার্থী সিএআইই ২০২৩ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে  

শিক্ষার্থীদের ফলাফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “আমি সকল কান্ট্রি টপার এবং হাই অ্যাচিভারদের আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। এই অর্জন আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরলস কঠোর পরিশ্রম এবং তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধারাবাহিক সহায়তারই প্রতিফলন। আমি তাদের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।”

আইজিসিএসই কান্ট্রি টপাররা হলেন: ফাইয়াজ এনায়েত হোসেন, মোহাম্মদ জুমায়েল উদ্দীন, পারিসা আবেনি হক, ফাইয়াজ এনায়েত হোসেন, তায়েবা আঞ্জুম রাহা, মুসাররাত ইসলাম খান ও ফারহান শহীদ। এএস লেভেল বিজনেসে দেশ সেরা হন আনিশা ইবনাত নিধি। হাই অ্যাচিভারদের মধ্যে আরও রয়েছেন আফরাহ নূর (আইজিসিএসই ফ্রেঞ্চ) এবং ফারদীন আবরার খান (এএস লেভেল ইনফরমেশন টেকনোলজি)।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ সভা/২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)এর সভাপতিত্বে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে এপ্রিল/২০২৪ মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গি দমন, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি, জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার, সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয়, জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিতকরণে সকলকে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও সততার সাথে নিজ কর্তব্য পালনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, মাদক, জঙ্গিবাদ ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।

এপ্রিল/২০২৪ মাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও অর্জন এবং চৌকস কার্য সম্পাদনের জন্য পুলিশ সুপার মহোদয় টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভালো কাজের পুরস্কার স্বরুপ ক্রেস্ট প্রদান করেন।

এবারও মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলার গর্ব, সৎ ও আদর্শবান পুলিশ অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মধুপুর সার্কেল ফারজানা আফরোজ জেমি এপ্রিল ২০২৪ইং মাসে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মামলা তদন্ত ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদানের জন্য ১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

তার এই বিশাল সাফল্যের জন্য মধুপুর সার্কেলের আওতাধীন মধুপুর ও ধনবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জদ্বয়, আলোকদিয়া ও অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির আইসিদ্বয় সহ সকল ফোর্সদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



দাফন সম্পন্ন হয়েছে আসিম জাওয়াদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মরদেহ আসার পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) বাদ জুমা নামাজের পর বেলা ৩টার দিকে শহরের সেওতা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়াম এসে অবতরণ করে। বাদ জুমা তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শেষ বারের মতো আসিম জাওয়াদকে দেখতে স্বজন ও স্থানীয়রা ভিড় জমায়।

জানাজা ও দাফনকালে নিহত আসিম জাওয়াদকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় সেনা বাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেই সঙ্গে ৩০ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ারিং করা হয়।

জানাজায় সেনা বাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, মানিকগঞ্জ প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্বজনসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামক একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। পরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমানটি।


আরও খবর



খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

বুধবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বও না। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।

আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ‘৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান। এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা। শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করব। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলব। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর



নীলফামারীতে কৃষি বিষয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৭০জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীতে জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্পের সহায়তায় কৃষক ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের নিয়ে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নীলফামারী পরিবার পরিকল্পনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পোরশিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও গবেষনা কেন্দ্র রংপুর আঞ্চলিক শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, কেয়ার বাংলাদেশ এর পাবলিক এন্ড প্রাইভেট সেক্টর কনসালটেন্ট মাহামুদুল ইফতেখারুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার নিহার কুমার প্রামানিক, প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার শরিফ আহম্মেদ শাহ্ধসঢ়; প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৮০ জন সফল খামারী, কৃষক ও প্রকল্পের উদ্দোক্তাসহ সুধীজন  অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য- জানো প্রকল্পটি ইউরোপিয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে অষ্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এর সহায়তায় কেয়ার  ইন্টারন্যাশনাল ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরী সহায়তায় জাতীয় পর্যায়ের বে-সরকারী সংস্থা ইকো সোশ্যাল  ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১সেপ্টেম্বর হতে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, কাউনিয়া,গংঙ্গাচড়া এবং নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় একযোগে প্রকল্পটি  সরকারের সমম্বিত পুষ্টি কার্যক্রমকে সহায়তা করে এলাকায় ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে।


আরও খবর