Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

দৌলতপুর পুলিশের অভিযানে অস্ত্র গুলি সহ আটক-১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানা পুলিশের অভিযানে একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান-শুটারগান অস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি সহ চিলমারী চর ভবন্দদিয়া গ্রামের আবু তৈয়ব মোল্লার ছেলে সাদআহম্মেদ কে আটক করেছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বিট অফিসার এস আই প্রকাশ চন্দ্র বাছার ও এ এস আই হুমায়ুন সহ সঙ্গীয় অফিসার নিয়ে রবিবার দুপুরে অবৈধ মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান পরিচালনা জন্য চিলমারী অব¯’া করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে একজন ব্যক্তি অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসছে।

এমত অব¯’ায় দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান কে অবহিত করিলে তার নির্দেশক্রমে পূর্ব আমদানি ঘাট গ্রাম হতে চিলমারী বাজার গামী কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন সামাদ আলীর ছেলে আকবর আলীর বাড়ির পশ্চিম পাশে রাস্তার উপর পৌঁছালে পুলিশের উপ¯ি’ত টেরপেয়ে একজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।তাকে আটক করিলে তার কাছে থাকা একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান-শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয় । আটকের পর সে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন তিনি চিলমারী চর ভবনন্দিয়া গ্রামের আবু তৈয়বমোল্লার ছেলে সাদ আহম্মেদ।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান-শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি সহ এক জনকে আটক করা হয়েছে। তার নামে দৌলতপুর থানা অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।



আরও খবর



মামলার ৬ঘন্টার পর চুরি হয়ে যাওয়া চোরাই ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার, মূলহোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়িতে মামলার ৬ঘন্টার পর  চুরি হয়ে যাওয়া ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ চোর চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে  জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর প্রেস ব্রিফিংয়ে  জানান, গত ৩০ মার্চ রাতে সুকৌশলে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ ও ৪টি এন্ড্রয়েড মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। পরে ১ এপ্রিল ভুক্তভোগী রুমি চাকমা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করলে অভিযানে নামে পুলিশ।

পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভোর রাতে খাগড়াছড়ি থানার ৩নং পৌর ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ মো. সাব্বির মিয়াকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে  আসামী মোঃ সাব্বির মিয়া (১৮) অত্র মামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং ইতিপূর্বেও বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় উক্তরূপ ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে   জানায়। মামলা তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। 

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)জানান,খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও চোরাইকৃত মালামাল সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে অনুরূপ যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ যথাযথ আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সদা সচেষ্ট থাকবে। 

আরও খবর



নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ: দুর্ভোগে লঞ্চ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:যাত্রী সংঙ্কটে গত নয় মাস ধরে আমতলী-ঢাকা রুটে নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ যাত্রী ও অল্প খরচে মালামাল আনা-নেয়ার নিরাপদ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরেছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দ্রুত এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন তারা।

জানাগেছে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী সংঙ্কটে পড়ে লঞ্চ মালিকরা। এতে আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চলাচলে বিঘœ ঘটে। যাত্রী সংঙ্কট চরম আকার ধারন করায় আমতলী-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ছয় মাস ধরে অনিয়মিতভাবে একটি লঞ্চ চলাচল করলেও গত বছর ২০ জুলাই মালিক কর্তৃপক্ষ একেবারেই বন্ধ করে দেয়। এতে দক্ষিণাঞ্চল আমতলী, তালতলী, বরগুনা, কলাপাড়া ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার নৌপথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পরছে। বাধ্য হয়েই তারা সড়ক পথে চলাচল শুরু করে। এদিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে স্বল্প খরচে দক্ষিণাঞ্চলে মালামাল আনা- নেয়া করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে বেশী খরচ দিয়ে তাদের মালামাল আনতে হচ্ছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপরে এর প্রভাব পরছে। অপর দিকে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন।

এছাড়াও লঞ্চঘাটে কর্মরত অর্ধ শতাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পরেছে। তারা খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বুধবার আমতলী লঞ্চঘাট ঘুরে দেখাগেছে, সুনসান নিরাবতা। নেই কোন যাত্রীর কোলাহল। লঞ্চ টামিনাল ফাঁকা। টার্মিনালে জেলেরা নৌকা ও বালু ব্যবসায়ীরা বলগেট বেঁধে রেখেছে। লঞ্চঘাটের সিঁড়িতে ছাগল শুয়ে আছে।

লঞ্চযাত্রী জুয়েল, কামরুল, সাকিলা ও মামুন বলেন, কাজের সন্ধানে ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার যেতে খুব সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত আমতলী-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার দাবী জানান তারা।কেয়ামনি বলেন, অসুস্থ্য থাকায় গাড়ীতে উঠতে পারি না। তাই লঞ্চে ঢাকায় যেতাম কিন্তু লঞ্চের নিরাপদ যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবই সমস্যা পরেছি।

আমতলী মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের মালিক জিএম মুছা বলেন, লঞ্চে অল্প খরচে ঢাকা থেকে মালামাল আনা যেত কিন্তু সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশী খরচে সড়ক পথে মালামাল আনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পরছে দ্রব্য মুল্যের উপরে। দ্রুত লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবী জানান তিনি।

আমতলী লঞ্চঘাট সুপার ভাইজার শহীদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আমতলী লঞ্চঘাটের অন্তত অর্ধ শতাধিক শ্রমিক কঠিন সঙ্কটে পরেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

ইয়াদ লঞ্চ মালিক মামুন-অর রশিদ বলেন, যাত্রী সংঙ্কটে লোকসানের মুখে গত নয় মাস ধরে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছি। লঞ্চ চালালে ওই রুটে দৈনিক এক লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হয়। এতো লোকসান আর গুনে পারছি না। তিনি আরো বলেন, যাত্রীদের দাবীর মুখে আগামী শুক্রবার ঢাকা থেকে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে।

বরগুনা বিআইডব্লিউটি’র সহকারী নৌ বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন মুঠোফোনে (০১৮১৯৬৬১৬৪৩) বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



তাহসান-মিথিলা বিচ্ছেদের পর ফের ‘একসঙ্গে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি: ২০০৭ সালে বিয়ের করেন শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আচমকা  বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ। তারপর দুজন দুদিকে। তবে সন্তানের কারণে দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এখনও অটুট।

অবশ্য বছর দুয়েক আগে একটি ই-কমার্স সাইটের লাইভ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। তবে কখনও পর্দা ভাগাভাগি করতে দেখা যায়নি। তবে তাহসান মিথিলা ভক্তদের জন্য সুখবর হল- সাত পর্বের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। ‘বাজি’ শিরোনামে এটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’ খ্যাত নির্মাতা আরিফুর রহমান।

জানা গেছে, ওয়েব সিরিজটির কিছু ধাপের শুটিং হয়ে গেছে। একটি ফোরস্টার মানের হোটেলে মাস দুয়েক আগে হয়েছে শুটিং। তাহসান মিথিলা ছাড়াও সিরিজে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয়শিল্পী। সিরিজটিতে তাহসান অভিনয় করছেন একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে। আর মিথিলাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের চরিত্রে।


আরও খবর



যশোরে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপিয়ে মা মেয়ের আত্নহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোর সদরের পোলতাডাঙ্গা শশ্নানঘাট এলাকায় ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ দিয়ে মা মেয়ে আত্নহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকাল ৩ টার সময়। নিহতরা হলেন বড় হৈবতপুর গ্রামের ভাড়াটিয়া লাকি বেগম(৩৫) ও তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিম(১২)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড় হৈবতপুর গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর মেয়ে লাকি বেগম। স্বামী পরিত্যাক্ত লাকি বেগম তার একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিমিকে সাথে নিয়ে সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো। রোববার বিকাল ৩ টার সময় তারা মা ও মেয়ে পোলতাডাঙ্গা নামকস্থানে এসে ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যা করতে পারে। তবে কি কারণে আত্নহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সাখাওয়াত হোসেন জানান, সুন্দরবন এক্সেপ্রেস ট্রেনটি তিনটার দিকে যাওয়ার পর লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তিনি আরো বলেন,মেয়েটিকে জোর করে নিয়েই মা ট্রেনের নিচেই ঝাঁপ দেয়।

নিহতের ছোট বোন রোজিনা খাতুন জানান, তিনি জানতেন তার বোন সকালে ডাক্তার দেখাতে যশোর শহরে গেছে। পরে তার বোনের মোবাইল থেকে ফোন করে জানানো হয় তারা ট্রেনে কেটে মারা গেছে। তবে কি কারণে তারা আত্নহত্যা করেছে তা তিনি জানেননা। রোজিনা খাতুন আরো জানান, তার বোনের দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিলো। বর্তমানে তিনি স্বামী পরিত্যাক্ত।

সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সেলিম হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটা আত্নহত্যা।তবে কি কারণে তারা মা মেয়ে একই সাথে আত্নহত্যা করেছে তা এখনি বলা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, মরদেহের পাশ থেকে একটি জম্মদিনের কেক, একটি মোবাইল ফোন ও দুটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি নেতারা বলেন- ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতার পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে যুদ্ধটা করল কে? বিজয় কে আনল? বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব নগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেপ্তারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো। এখন যারা বলছে, পালিয়ে গেলো-তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান তো বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন। সামরিক অফিসার হিসেবে তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, সেটা কে দিয়েছেন? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। এটাও অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ এক কদম এগুতে পারেনি। আমি বলি, এক কদম এগুতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা প্রতিবেশীসহ অনেক দেশের সহায়তা। আবার পেয়েছি, অনেক বড় বড় দেশের বৈরিতা। অবশ্য, সে দেশের নাগরিকদের সমর্থনও পেয়েছি। যারা আমাদের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে, তাদের আমরা সম্মানিত করেছি, স্বীকৃতি দিয়েছি। একমাত্র বাংলাদেশই এটা করেছে। এতে বাংলাদেশও সম্মানিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেউ বলছে, গণতন্ত্র নেই। দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেলো সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। তারা সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়। একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্পোন্নোত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন শেখ মুজিব। আইন, নীতিমালাসহ সবকিছু করে দিয়ে যান। একটি সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন। এতে আমাদের প্রতিটি অধিকারের কথা বলা আছে।

আজকের আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।


আরও খবর